প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সফরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কারও সঙ্গে কথা হয়নি। আমার মনে পড়ে না, এ ধরনের কোনো কথা হয়নি। কেউ জিজ্ঞেসও করেনি। ২০০৭ এ তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে যে অভিজ্ঞতা, এরপর এটা কেউ চায়? শুক্রবার বিকেল ৪টায় গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিক ফারজানা রুপা জানতে চান, মার্কিন প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে কোনো কথা বলেছেন কিনা। এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।বিএনপির আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা তো বারবার তারিখ দিয়েই যাচ্ছে। এই তারিখে ফেলে দেবে, ওই তারিখে ফেলে দেবে। তারা আন্দোলন করুক। তাদের যে আন্দোলন, আমরা তো আন্দোলনে বাধা দিচ্ছি না। তারা আন্দোলন করে যাচ্ছে, লোকসমাগম করে যাচ্ছে, খুব ভালো কথা। এত কাল চুরিচামারি করে এত পয়সা বানিয়েছিল, আর যত টাকা মানি লন্ডারিং করেছিল, সেগুলোর ব্যবহার হচ্ছে। অন্তত সাধারণ মানুষের হাতে কিছু টাকা তো যাচ্ছে। আমি কিন্তু ওভাবেই বিবেচনা করি। তারা যত আন্দোলন করবে, সাধারণ মানুষের পকেটে কিছু টাকা যাবে। এই দুঃসময়ে সাধারণ মানুষ কিছু টাকা পেলে তো ভালো। এই টাকাগুলো তো বেরোনোর দরকার। সেই টাকাটাও বের হচ্ছে, মানুষও কিছু পাচ্ছে।শেখ হাসিনা বলেন, তারা আন্দোলনও করতে থাকুক। তবে হ্যাঁ, আমি আগেও বলেছি, যদি মানুষের কোনো ক্ষতি করতে চেষ্টা করে, ওই রকম অগ্নিসন্ত্রাস, ওই ধরনের যদি কিছু করে। তখন তো ছাড়ব না। কারণ আমাদের সঙ্গে তো জনগণ আছে। আমাদের কিছু করা লাগবে না। জনগণকে ডাক দিলে তারাই ঠান্ডা করে দেবে। কারণ, যখন অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, তখন সাধারণ মানুষই ওদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল, এবারও তাই হবে।তিনি বলেন, সাংবাদিকদের অনুরোধ করব, এই যে তাদের সোর্স অব মানিটা, এটা কোথা থেকে? সেটা একটু খবর নেওয়া দরকার যে তারা এত টাকা কোথা থেকে পায়। এত টাকা কীভাবে খরচ করে, সেটাও একটু খোঁজ নেওয়া দরকার।যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৬ দিনের সরকারি সফর শেষ করে বুধবার দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছিলেন।নিউইয়র্ক সফরে প্রধানমন্ত্রী ১৭-২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দেন। অধিবেশনের ফাঁকে অন্যান্য উচ্চ-পর্যায়ের ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ দেন।তিনি ৩০ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি বিমানে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে যান। লন্ডনে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত শেখ হাসিনা বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে দেওয়া সংবর্ধনায় যোগ দেন।এছাড়া বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গা বিষয়ে গঠিত এপিপিজি’র সভাপতি এবং যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগ ও ক্ষুদ্র ব্যবসা বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী রুশনারা আলী এমপির নেতৃত্বে অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) এক প্রতিনিধি দলসহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্টজন তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।ওয়াশিংটন ডিসিতে শেখ হাসিনা ২৩ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন।
আন্তরজাতিক ডেস্ক
2023-10-06