গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের পথে নিয়ে যাওয়া, জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করা এবং একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি করতে হবে। কারণ একটা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ছাড়া কেবলমাত্র এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামালে হবে না। এই দৈত্য সরকার যে রাষ্ট্রটা বানিয়ে গেছে, এই রাষ্ট্রকে না বদলালে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি না হলে, এই দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যাবে না, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যাবে না।
শনিবার বেলা এগারটায় নগরীর শিববাড়ি আলহাজ্ব মোহাম্মাদ শহিদুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের সংগ্রাম ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নে গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা শাখা আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
সংগঠনের খুলনা জেলা কমিটির আহ্বায়ক মুনির চৌধুরী সোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য দেওয়ান আব্দুর রশীদ মিলু, শ্রমিক নেতা নূর মোহাম্মদ, মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন, সংগঠনের খুলনা যশোর আঞ্চলিক কমিটির আহবায়ক ইলিয়াস হোসেন, ঝিনাইদহ জেলা কমিটির আহবায়ক নজরুল ইসলাম, বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির নেতা কে এম আলীদাদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সহ-সভাপতি শেখ আঃ হালিম, জেএসডি’র জেলা কমিটির সভাপতি খান লোকমান হাকিম।
জোনায়েদ সাকি বলেন, রাষ্ট্রের মধ্যে সবাই হচ্ছে নাগরিক এবং নাগরিকরা সুযোগের ক্ষমতা পাবে। সবার জন্য সমান সুযোগ থাকবে, সবাই মানবিক মর্যাদা পাবে। রাষ্ট্র কাউকে ধর্মের ভিত্তিতে, জাতির ভিত্তিতে, কিংবা নারী পুর”ষের ভিত্তিতে আলাদা চোখে দেখবে না। রাষ্ট্র প্রত্যেককে দেখবে নাগরিক হিসেবে।এই দেশের নাগরিক মানে আপনি সমান সুযোগ পাবেন।
এ সময় বক্তৃতা করেন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা কামরুল হাসান, গণতন্ত্র মঞ্চের সংগঠক মোঃ আলতাফ হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা কামর”জ্জামান টুকু, শ্রমিকনেতা নুর ইসলাম, মনির হোসেন মুন্নি, মোশাররফ হোসেন, শামসুজ্জোহা ,শামসুল আলম শামসু প্রমুখ। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন গণসংহতি আন্দোলনের সদস্য মোঃ আল আমিন।
ADDVERTISE HERE 728 x 90 1