আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নিজস্ব পরিচয়ে ভোট দিতে পারবেন না হিজড়ারা। জেলায় মাত্র ১৪ জনের পরিচয় পত্রে তৃতীয় লিঙ্গ উল্লেখ রয়েছে। বাকিরা আগের মতো ‘নারী’ অথবা ‘পুরুষ’ হিসেবে ভোট দিতে হবে বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারাজী বেনজীর আহম্মেদ।
বেসরকারি হিসাবমতে এ জেলায় হিজড়ার সংখা দুই শতাধিক। যার অধিকাংশ গেজেটের পূর্বে হওয়ায় তারা নারী বা পুরুষ হিসেবে ভোটার। তবে কারও কারও নামের সাথে ডাক নাম রয়েছে হিজড়া যা নিয়ে ক্ষোভ এ জনগোষ্ঠির। এছাড়া ট্রান্সজেন্ডার হিসেবে রয়েছে অগনিত। যার কোন পরিসংখ্যান করা সম্ভব হয়নি।
স্বপ্নচূড়া মানবকল্যান সংস্থার সভাপতি তৃতীয় লিঙ্গের আফরিন ইসলাম অর্পা বলেন, আমি হিজড়া জনগোষ্ঠির সদস্য, অথচ আমাকে ভোট দিতে হবে নারী হিসেবে। আমার জাতীয় পরিচয় পত্রে রয়েছে নারী।
তিনি আরও বলেন, এ সম্প্রদায়ের অনেক সদস্য রয়েছে পরিচয় পত্রে যাদের ডাক নাম রয়েছে হিজড়া, যেটাও কাম্য নয়। আমরা চাই নিজস্ব পরিচয়ের স্বীকৃতি। যা শুধু কাগজে সীমাবদ্ধ থাকবে না।
ছিন্নমুল মানবকল্যান সোসাইটির সভাপতি সিমলা বলেন, আমি জন্মগত ভাবে হিজড়া। তবে আমার পরিচয় পত্রে রয়েছি নারী হিসেবে। আমরা আমাদের অধিকার চাই। নিজস্ব পরিচয়ে বাঁচতে চাই।
নক্ষত্র যুব মানব কল্যাণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলামিন শরীফ বলেন, আমাদের সংগঠনের সভাপতি পাখি দত্তর জাতীয় পরিচয়পত্রে নামের সামনে ডাক নামে লেখা হিজড়া। তাছাড়া লিঙ্গের স্থানে লেখা অন্যান্য। আমরা চাই হিজড়াদের তাদের নিজস্ব পরিচয়ে পরিচয় পত্র দেয়া হোক।
নির্বাচন কর্মকর্তা ফারাজী বেনজীর আহম্মেদ বলেন, নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা তৈরি হয়ে গেছে। যে কারণে এবারের নির্বাচনে ভোটার তালিকায় হিজড়াদের লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া সম্ভব নয়।
খুলনা জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, নানা কারণে এই সমস্যাটার সৃষ্টি হয়েছে। এক্ষেত্রে অনেকেই পুরনো ভোটার, গেজেট হওয়ার আগেই ভোটার হয়েছেন। যার কারণে পুরুষ বা নারী রয়েছে পরিচয় পত্রে। তবে কেউ যদি উদ্দেশ্যমুলকভাবে তাদের নারী বা পুরুষ পরিচয় দিয়ে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, পরিচয়পত্র সংশোধনের সুযোগ রয়েছে, যাদের ক্ষেত্রে এরকম হয়েছে।
ADDVERTISE HERE 728 x 90 1