কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও মিয়ানমারের বিদ্রোহী সংগঠন রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) মধ্যে সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাতে ও বুধবার (৪ অক্টোবর) ভোরে এই ঘটনা ঘটে। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)-১৪-এর অধিনায়ক মোহাম্মদ ইকবাল জানান, মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে ক্যাম্প-৮ ডব্লিউ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জেরে আরসা ও আরএসও’র মধ্যে সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে আরএসও’র ছোড়া গুলিতে আরসার কিলিং গ্রুপের শীর্ষ কমান্ডার চাকমাইয়া ইউসুফ গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে জবাই করে হত্যা করা হয়।চাকমাইয়া ইউসুফ ক্যাম্প-৯ এলাকার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে তিনটি হত্যা মামলা রয়েছে। এদিকে, মঙ্গলবার রাতের ঘটনার জেরে আরসার সদস্যরা আজ বুধবার ভোর ৫টার দিকে ১৫ নম্বর ক্যাম্পে আরএসও’র ওপর হামলা চালায়। এ সময় আরাফাত নামে আরএসও’র এক সদস্যকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে আরসার সন্ত্রাসীরা। এপিবিএন-৮-এর অধিনায়ক আমির জাফর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চলছে। মিথ্যা বলা বিএনপির অভ্যাস, দেশবাসীকে কান না দেয়ার আহ্বান জানান তিনি। শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের জন্মই হয়েছে অবৈধভাবে। আর টিকে আছে মিথ্যার ওপরে। তাদের শেকড় তো নেই। তারা মিথ্যার ওপর নির্ভর করে। এটাই করবে। এটা তাদের অভ্যাস।সুশীল সমাজের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু স্বনামধন্য অর্থনীতিবিদ থেকে শুরু করে অনেকে বললেন, মেগা প্রজেক্ট আমরা করেছি। কিন্তু দরিদ্রদের জন্য আমরা নাকি কিছু করিনি। এরকম বক্তব্য শুনলে মনে হয় তারা বাংলাদেশটাকে দেখেনি। তারা ঘরের ভেতরেই আছেন। আর শুধু টেলিভিশনটাই দেখেন। দিন দুনিয়া তাকিয়ে দেখে না। প্রধানমন্ত্রী এ সময় দারিদ্র্য বিমোচনসহ দেশের সার্বিক উন্নয়নে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন তার ফিরিস্তি তুলে ধরেন। জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান ও যুক্তরাজ্য সফরের নানা দিক তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৬ দিনের সরকারি সফর শেষ করে গত বুধবার (৪ অক্টোবর) দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন। নিউইয়র্ক সফরে প্রধানমন্ত্রী ১৭-২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দেন। অধিবেশনের ফাঁকে অন্যান্য উচ্চ-পর্যায়ের ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেন।ওয়াশিংটন ডিসিতে শেখ হাসিনা ২৩ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন।
‘জনরোষ ক্রমেই বাড়ছে, সরকার দিশাহারা। দেশের ভেতরে ও বাইরে বন্ধুহীন হয়ে পড়ার কারণে তাদের পতনের দিন আসন্ন বলে মনেকরে এবি পার্টি। আজ রাজধানীর বিজয় নগরস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেনী ও পেশার নেতা কর্মীদের এবি পার্টিতে যোগদান উপলক্ষে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন এবি পার্টির যুগ্ম-আহবায়ক এ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিনের আহবায়ক বিএম নাজমুল হকের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানার পরিচালনায় এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে ফিলিস্তিনের মানবিক বিপর্যয় প্রসঙ্গ টেনে বলেন, জাতিসংঘ থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের দায়িত্ব পালন করতে বরাবরই ব্যর্থ হয়েছে। আরব বিশ্ব ১৯৬৭-পূর্ব সীমানায় যে স্বাধীন ফিলিস্তীন রাষ্ট্র প্রস্তাব করেছিল পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে, সেটা বাস্তবায়নে পদক্ষেপের দাবি করছে এবি পার্টি। সকলকে সংযত আচরনের আহ্বান জানিয়ে অনতিবিলম্বে গাজায় মানবিক সাহায্যের করিডোর খুলে দেবার দাবি জানান তিনি।এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মন্জু বলেন, বিগত দিনে দলীয় সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনই সুষ্ঠু হয়নি এর মূল কারন ক্ষমতাসীনদের যে কোন মূল্যে ক্ষমতায় টিকে থাকার মানসিকতা। তিনি বলেন বর্তমান সরকারও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যেনতেন ভাবে একতরফা নির্বাচন করে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে জনরোষ ক্রমেই বাড়ছে, সরকারের আচরণে এটা স্পষ্ট তারা দিশাহারা। দেশের ভেতরে ও বাইরে বন্ধুহীন হয়ে পড়ার কারণে তাদের পতনের দিন আসন্ন। তিনি তালবাহানা না করে অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানান। বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকার নাগরিকদের সকল অধিকার কেড়ে নিয়ে দেশকে এমন অবস্থায় নিয়ে গেছে যখন একজন নাগরিক অন্য দেশের ভিসা পাওয়া কিংবা অন্য দেশে চলে যাওয়াটায় সৌভাগ্য বলে মনে করছে যা একটা স্বাধীন দেশের জন্য অত্যন্ত লজ্জাস্কর ঘটনা।তিনি বলেন দেশের সব সংকটের মুলে রয়েছে বিগত ১৫ বছর ধরে একটি অনির্বাচিত সরকার গণতন্ত্রকামী সকল মানুষেরস্বাধীন মত প্রকাশ ও ভোট দানের অধিকার তো দুরের কথা মানুষের জীবনধারনের অধীকার পর্যন্ত কেড়ে নিতে চাচ্ছে।সরকারের এসব কার্যকলাপ মহান স্বাধীনতার ঘোষনাপত্রের তিন মূলনীতির সাথে স্পষ্ট প্রতরনার সামিল।
মার্কিন পর্যবেক্ষকদের সুপারিশকে যুক্তিযুক্ত মনে করে আমার বাংলাদেশ পার্টি ‘এবি পার্টি’। পর্যবেক্ষক দলের সুপারিশ মেনে কার্যকর রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন প্রদান এবং অবিলম্বে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা ছাড়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দলটি। বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে বিজয়নগরস্থ এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান দলের নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ আজ জাতীয় জীবনের একটি সন্ধিক্ষণে এসে উপস্থিত হয়েছে। যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে তারা কথায় কথায় সংবিধানের দোহাই দেয়। যখন গোটা বিশ্বের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রসমূহ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান সমূহকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছেন তখন সরকার একগুয়েমি করে হুঙ্কার দিচ্ছেন তারা কাউকে পরোয়া করে না। আওয়ামী লীগ আজ দেশকে উত্তর কোরিয়ার মতো বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে চাইছে যা একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা হতে দিতে পারি না। তিনি বলেন, আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য যারা ভূমিকা রাখছে তাদেরকে আমরা সাধুবাদ জানাই। নির্বাচন কমিশন এবি পার্টিকে নিবন্ধন না দিয়ে দল দাস কমিশনের পরিচয় দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এই দলান্ধ নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো ভাবেই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশন সরকারের ইচ্ছা অনিচ্ছা বাস্তবায়নের এজেন্টে পরিণত হয়েছে। সরকারের পদত্যাগের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন করারও দাবি জানান তিনি। মজিবুর রহমান মন্জু বলেন, অতীতের স্বৈরাচারদের তুলনায় বর্তমান সরকার বহুগুণ বেশি ভুল করছে। একের পর এক ভুলের কারণে তাদেরকে চড়া মাশুল গুণতে হবে। সীমাহীন দুর্নীতি ও দুঃশাসনের মাধ্যমে তারা শ্রেণিবৈষম্য উস্কে দিয়ে নিজেদের বিপজ্জনক পতনের প্রেক্ষাপট তৈরি করছে। তিনি বলেন, মার্কিন পর্যবেক্ষকরা সবার সাথে কথা বলেছে। এবি পার্টিসহ সক্রিয় কার্যকর দলগুলোকে নিবন্ধন না দেয়ার বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলকেও ক্ষুব্ধ ও বিস্মিত করেছে। তারা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে যে ৫ দফা সুপারিশ দিয়েছে তা খুবই যুক্তিযুক্ত। তিনি মার্কিন পর্যবেক্ষকদের সুপারিশ মেনে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন দেয়ার এবং অবিলম্বে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা ছাড়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হক, সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুব পার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, সহকারী সদস্যসচিব এম আমজাদ খান সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ।
জ্ঞান হবার পর থেকে সমাজ সংসারের কিছু নিষেধাজ্ঞার উপর আমার প্রশ্ন রয়ে গেছে যার উত্তর আমি ত্রিশ বছর বয়সে এসেও খুঁজে চলেছি তার মধ্যে একটি প্রশ্ন হলো উত্তরহস্ত। মানব দেহের বাম হাত। বাল্যকাল থেকেই শুনতে হয়েছে, বাম হাত দিয়ে কাউকে কিছু দিতে নেই বিশেষ করে বড়দের। তবে নাকি যাকে দেয়া হচ্ছে তাকে অসম্মান করা হয়। বাম হাত দেখিয়ে কথা বলতে নেই, এই হাত দিয়ে খেতে নেই, এই হাত বাড়িয়ে কাউকে সম্মোধন পর্যন্ত করা যাবে না এমনকি রেগে গিয়ে যদি ডান হাত দিয়ে অন্যকে চড় মারে তবে পরর্বতীতে ক্ষমা চাইলে তাকে ক্ষমা করা যায় কিন্তু বাম হাত দিয়ে মারলে তা ক্ষমার অযোগ্য হয়ে পড়ে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে একটি প্রোগ্রামে গিয়েছিলাম সেখানে দেশের গানের উপর নাচ করতে হয়েছিল আমাদের। ঐ নাচে কোরিওগ্রাফির জন্য তিনজনকে বাম হাতে পতাকা ধরতে বলেছিলাম। সেই কথা যত দিন আমি জীবিত থাকবো তত দিন মনে যতœ করে রেখে দেবো। তার কারণ হলো বাম হাত দিয়ে পতাকা ধরাতে পতাকার অসম্মান করা হয়েছে আর পতাকার অসম্মান মানে হলো দেশের অসম্মান। সেই কারণে সকলের এবং দেশের সম্মান বজায় রাখতে আমাকে কোরিওগ্রাফি পরির্বতন করে ডান হাতে পতাকা দিতে হয়েছিল। অনেকের ভাষ্য মতে বাম হাত হলো অশুভ, আবার অনেকে না জেনে অন্যের গতানুগতিক শিক্ষার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। এখন প্রশ্ন হলোÑবাম হাত যদি সত্যিই অশুভ একটি হাত হয় তবে সৃষ্টিকর্তা জেনে বুঝে এই অশুভ অঙ্গটি মানব দেহে কেন দিয়েছেন। এই কথাটি কখনো ভেবে দেখেছেন কি? মানব দেহের প্রতিটি অঙ্গ, প্রতঙ্গ, উপাঙ্গ একে অপরের পরিপূরক। একটু ভেবে দেখুন তো বাম হাত ব্যবহার না করে আপনাকে সবকিছু করতে হচ্ছে আপনার কি খুব সুবিধা হবে তখন? না ভালো লাগবে? পরীক্ষামূলক আজই এই কাজটা করে দেখুন যদি আপনার খুব সুবিধা হয় তবে তো হয়েই গেলো আর কথা বলার প্রয়োজন নেই কিন্তু তা যদি না হয় তবে খানিকক্ষণ চিন্তা করে দেখুন তো যে হাত দিয়ে আপনি সকল প্রকার সুবিধা গ্রহণ করছেন, সকল প্রকার কাজ করাচ্ছেন, এমনকি শৌচালয়ে গিয়েও এই হাতের ব্যবহার করছেন, সেই প্রয়োজনীয় হাতকে আপনি নিজেই আবার অশুভ বলে আখ্যা দিচ্ছেন, কেন? শুধুমাত্র এই হাতটি শৌচালয়ে ব্যবহার করা হয় বলে নাকি আরও অন্যও কোন কারণ আছে? যদি শৌচালয়ে ব্যবহার হয় এই কারণ থাকে বাম হাতকে অশুভ বলে অপমান করার তবে কি মানুষ এই হাত রান্না করার সময় রান্নার কাজে ব্যবহার করে না? অন্যকে খাবার পরিবেশন করার সময় বাম হাতের সাহায্য নেয় না? যে অঙ্গটির কাছ থেকে মানুষ সমস্ত রকম সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে চলেছে আমৃত্যু পর্যন্ত সেই অঙ্গটিকেই অপমান, অসম্মান, অবহেলা করবার কারণ আজ পর্যন্ত আমার বোধোগম্য হয়নি। যে মানুষ বন্দুক হাতে দেশ স¦াধীন করার মতো মহৎ কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন তিনি কি শক্র পক্ষকে আক্রমণ করার সময় শুধুমাত্র ডান হাত ব্যবহার করেছিলেন-বাম হাতের প্রয়োজন পড়েনি বুঝি, যদি ডান-বাম উভয় হাতের ব্যবহার করে দেশ থেকে শত্রæ পক্ষকে পরাজিত করা হয় তবে পতাকা ধরবার অধিকার শুধু ডান হাতকেই দেয়া হবে কেন বাম হাতকে বঞ্চিত করার অর্থ কি? যারা ঈশ্বরের অস্তিতে বিশ্বাসী তাদের উদ্দেশ্যে বলচ্ছি-ঈশ্বর সর্বময় ক্ষমতা এবং সর্বময় জ্ঞানের অধিকারী বলে যদি তারা মেনে থাকেন তবে ঈশ্বর কি বলেছেন মানবদেহের এই অংশটি অশুভ। কোন র্ধমগ্রন্থে এই কথা লেখা আছে বলে আমার জানা নেই। বিজ্ঞান বলে মানবদেহের সাধারণত একপাশ অন্যপাশের তুলনায় একটু বেশি শক্তিশালী হয়ে থাকে সেইসূত্র অনুযায়ী শতকরা ৯০% মানুষের বাম পাশের তুলনায় ডান পাশের কর্মক্ষমতা বেশি তাই মানুষ সবকিছুতে ডান হাতের ব্যবহার বেশি করে কিন্তু তাই বলে এই নয় যে বাম হাত অশুভ, অপয়া কোন অঙ্গ। বাকি ১০% মানুষ যারা বাহাতি হয় তাহলে তাদের কি বলা উচিৎ নয় যে ডান হাত অশুভ। তর্কের প্রয়োজনে যদি তারা বলেও তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষেরা তাদের হাসির খোরাক বানাতে পিছ পা হবেনা কখনই, ঠিক যেমন আমাকে এখন বলছেন আপনারা যারা আমার এই লেখা পড়ছেন। শিশুকাল থেকেই আমি সকলের হাসি এবং বিরক্তির কারণ তাই এটা নিয়ে আর ভাবি না কেননা আমি এত বছরে এটা বুঝে গেছি যে, যাদের আমার প্রশ্নের জবাব দেবার মতো ক্ষমতা বা জ্ঞান নেই তারা নিজেদের অজ্ঞতা লুকানোর জন্য অন্যকে উপহাস করে, প্রকৃত পক্ষে এতে করে সেই ব্যক্তি যে নিজেকেই অজ্ঞতার কাতারে নিয়ে গেছে এটা বুঝার মতন বোধটুকুও নেই তাদের। যাইহোক এবার কিছু বাম হাত ব্যবহারকারী মানুষের কথা বলি। একজন ধর্মীয় যাজক, যিনি জন্ম নিয়েছিলেন বাম পাশের কর্মক্ষমতা নিয়ে উনি বাংলাদেশের এক ছোট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, যদিও সেইগ্রাম এখন প্রায় শহরে পরিণত হচ্ছে কিন্তু ১৯৭১ সালের পূর্বের সময়ে ওটা একটা অজপাড়াগা ছিল। সেই যাজকের সাক্ষ্য থেকে শোনা কিছু কথা আপনাদের বলতে চাই, তিনি সবকিছুতে বাম হাত ব্যবহার করত বলে তাকে শিশুকাল থেকেই নানা রকম শারীরিক, মানুসিক র্নিযাতনের শিকার হতে হয়েছে বিশেষ করে তার বাবার কাছ থেকে। তাকে ডান হাত দিয়ে লেখানো, ডান হাত দিয়ে খাবার খাওয়া শেখানোর পরেও যখন সে তার বাম হাতের ব্যবহার করতো তখন তাকে মারপিট থেকে শুরু করে খাবার বন্ধ করে দেয়া হতো একদিন নাকি তাকে বাঁশের কাঁচা কঞ্চি দিয়ে মেরে সারাদিন ঘরের খুঁটির সাথে বাম হাত বেধে রেখেছিলেন এবং কিছু খেতে দেয়নি রাত পর্যন্ত তার বাবা। এটাতো গেল উনবিংশ শতাব্দীর মানুষের চিন্তা ভাবনার কথা এবার বলব বিংশ শতাব্দীতে এসেও মানুষের চিন্তার পরির্বতন ঘটেনি তার আরও একটি গল্প।
জ্ঞান হবার পর থেকে সমাজ সংসারের কিছু নিষেধাজ্ঞার উপর আমার প্রশ্ন রয়ে গেছে যার উত্তর আমি ত্রিশ বছর বয়সে এসেও খুঁজে চলেছি তার মধ্যে একটি প্রশ্ন হলো উত্তরহস্ত। মানব দেহের বাম হাত। বাল্যকাল থেকেই শুনতে হয়েছে, বাম হাত দিয়ে কাউকে কিছু দিতে নেই বিশেষ করে বড়দের। তবে নাকি যাকে দেয়া হচ্ছে তাকে অসম্মান করা হয়। বাম হাত দেখিয়ে কথা বলতে নেই, এই হাত দিয়ে খেতে নেই, এই হাত বাড়িয়ে কাউকে সম্মোধন পর্যন্ত করা যাবে না এমনকি রেগে গিয়ে যদি ডান হাত দিয়ে অন্যকে চড় মারে তবে পরর্বতীতে ক্ষমা চাইলে তাকে ক্ষমা করা যায় কিন্তু বাম হাত দিয়ে মারলে তা ক্ষমার অযোগ্য হয়ে পড়ে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে একটি প্রোগ্রামে গিয়েছিলাম সেখানে দেশের গানের উপর নাচ করতে হয়েছিল আমাদের। ঐ নাচে কোরিওগ্রাফির জন্য তিনজনকে বাম হাতে পতাকা ধরতে বলেছিলাম। সেই কথা যত দিন আমি জীবিত থাকবো তত দিন মনে যতœ করে রেখে দেবো। তার কারণ হলো বাম হাত দিয়ে পতাকা ধরাতে পতাকার অসম্মান করা হয়েছে আর পতাকার অসম্মান মানে হলো দেশের অসম্মান। সেই কারণে সকলের এবং দেশের সম্মান বজায় রাখতে আমাকে কোরিওগ্রাফি পরির্বতন করে ডান হাতে পতাকা দিতে হয়েছিল। অনেকের ভাষ্য মতে বাম হাত হলো অশুভ, আবার অনেকে না জেনে অন্যের গতানুগতিক শিক্ষার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। এখন প্রশ্ন হলোÑবাম হাত যদি সত্যিই অশুভ একটি হাত হয় তবে সৃষ্টিকর্তা জেনে বুঝে এই অশুভ অঙ্গটি মানব দেহে কেন দিয়েছেন। এই কথাটি কখনো ভেবে দেখেছেন কি? মানব দেহের প্রতিটি অঙ্গ, প্রতঙ্গ, উপাঙ্গ একে অপরের পরিপূরক। একটু ভেবে দেখুন তো বাম হাত ব্যবহার না করে আপনাকে সবকিছু করতে হচ্ছে আপনার কি খুব সুবিধা হবে তখন? না ভালো লাগবে? পরীক্ষামূলক আজই এই কাজটা করে দেখুন যদি আপনার খুব সুবিধা হয় তবে তো হয়েই গেলো আর কথা বলার প্রয়োজন নেই কিন্তু তা যদি না হয় তবে খানিকক্ষণ চিন্তা করে দেখুন তো যে হাত দিয়ে আপনি সকল প্রকার সুবিধা গ্রহণ করছেন, সকল প্রকার কাজ করাচ্ছেন, এমনকি শৌচালয়ে গিয়েও এই হাতের ব্যবহার করছেন, সেই প্রয়োজনীয় হাতকে আপনি নিজেই আবার অশুভ বলে আখ্যা দিচ্ছেন, কেন? শুধুমাত্র এই হাতটি শৌচালয়ে ব্যবহার করা হয় বলে নাকি আরও অন্যও কোন কারণ আছে? যদি শৌচালয়ে ব্যবহার হয় এই কারণ থাকে বাম হাতকে অশুভ বলে অপমান করার তবে কি মানুষ এই হাত রান্না করার সময় রান্নার কাজে ব্যবহার করে না? অন্যকে খাবার পরিবেশন করার সময় বাম হাতের সাহায্য নেয় না? যে অঙ্গটির কাছ থেকে মানুষ সমস্ত রকম সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে চলেছে আমৃত্যু পর্যন্ত সেই অঙ্গটিকেই অপমান, অসম্মান, অবহেলা করবার কারণ আজ পর্যন্ত আমার বোধোগম্য হয়নি। যে মানুষ বন্দুক হাতে দেশ স¦াধীন করার মতো মহৎ কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন তিনি কি শক্র পক্ষকে আক্রমণ করার সময় শুধুমাত্র ডান হাত ব্যবহার করেছিলেন-বাম হাতের প্রয়োজন পড়েনি বুঝি, যদি ডান-বাম উভয় হাতের ব্যবহার করে দেশ থেকে শত্রæ পক্ষকে পরাজিত করা হয় তবে পতাকা ধরবার অধিকার শুধু ডান হাতকেই দেয়া হবে কেন বাম হাতকে বঞ্চিত করার অর্থ কি? যারা ঈশ্বরের অস্তিতে বিশ্বাসী তাদের উদ্দেশ্যে বলচ্ছি-ঈশ্বর সর্বময় ক্ষমতা এবং সর্বময় জ্ঞানের অধিকারী বলে যদি তারা মেনে থাকেন তবে ঈশ্বর কি বলেছেন মানবদেহের এই অংশটি অশুভ। কোন র্ধমগ্রন্থে এই কথা লেখা আছে বলে আমার জানা নেই। বিজ্ঞান বলে মানবদেহের সাধারণত একপাশ অন্যপাশের তুলনায় একটু বেশি শক্তিশালী হয়ে থাকে সেইসূত্র অনুযায়ী শতকরা ৯০% মানুষের বাম পাশের তুলনায় ডান পাশের কর্মক্ষমতা বেশি তাই মানুষ সবকিছুতে ডান হাতের ব্যবহার বেশি করে কিন্তু তাই বলে এই নয় যে বাম হাত অশুভ, অপয়া কোন অঙ্গ। বাকি ১০% মানুষ যারা বাহাতি হয় তাহলে তাদের কি বলা উচিৎ নয় যে ডান হাত অশুভ। তর্কের প্রয়োজনে যদি তারা বলেও তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষেরা তাদের হাসির খোরাক বানাতে পিছ পা হবেনা কখনই, ঠিক যেমন আমাকে এখন বলছেন আপনারা যারা আমার এই লেখা পড়ছেন। শিশুকাল থেকেই আমি সকলের হাসি এবং বিরক্তির কারণ তাই এটা নিয়ে আর ভাবি না কেননা আমি এত বছরে এটা বুঝে গেছি যে, যাদের আমার প্রশ্নের জবাব দেবার মতো ক্ষমতা বা জ্ঞান নেই তারা নিজেদের অজ্ঞতা লুকানোর জন্য অন্যকে উপহাস করে, প্রকৃত পক্ষে এতে করে সেই ব্যক্তি যে নিজেকেই অজ্ঞতার কাতারে নিয়ে গেছে এটা বুঝার মতন বোধটুকুও নেই তাদের। যাইহোক এবার কিছু বাম হাত ব্যবহারকারী মানুষের কথা বলি। একজন ধর্মীয় যাজক, যিনি জন্ম নিয়েছিলেন বাম পাশের কর্মক্ষমতা নিয়ে উনি বাংলাদেশের এক ছোট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, যদিও সেইগ্রাম এখন প্রায় শহরে পরিণত হচ্ছে কিন্তু ১৯৭১ সালের পূর্বের সময়ে ওটা একটা অজপাড়াগা ছিল। সেই যাজকের সাক্ষ্য থেকে শোনা কিছু কথা আপনাদের বলতে চাই, তিনি সবকিছুতে বাম হাত ব্যবহার করত বলে তাকে শিশুকাল থেকেই নানা রকম শারীরিক, মানুসিক র্নিযাতনের শিকার হতে হয়েছে বিশেষ করে তার বাবার কাছ থেকে। তাকে ডান হাত দিয়ে লেখানো, ডান হাত দিয়ে খাবার খাওয়া শেখানোর পরেও যখন সে তার বাম হাতের ব্যবহার করতো তখন তাকে মারপিট থেকে শুরু করে খাবার বন্ধ করে দেয়া হতো একদিন নাকি তাকে বাঁশের কাঁচা কঞ্চি দিয়ে মেরে সারাদিন ঘরের খুঁটির সাথে বাম হাত বেধে রেখেছিলেন এবং কিছু খেতে দেয়নি রাত পর্যন্ত তার বাবা। এটাতো গেল উনবিংশ শতাব্দীর মানুষের চিন্তা ভাবনার কথা এবার বলব বিংশ শতাব্দীতে এসেও মানুষের চিন্তার পরির্বতন ঘটেনি তার আরও একটি গল্প।
"স্বপ্ন দুয়ার খুলে গেল" খুলনা-মোংলা রেলসেতু চালু হলো, যেন স্বপ্নের দুয়ার খুললো আজ খুলনাবাসীর। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে প্রাণঢালা অভিনন্দন। পরিবহন ব্যয় কমার পাশাপাশি সাশ্রয় হবে সময়ের।দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত খুলনা-মোংলা ৬৫ কিলোমিটার রেললাইনের শুভ উদ্বোধন করলেন বদলে যাওয়া বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। একটি বন্দরের উন্নয়নের জন্য সড়ক পথ, রেলপথ , নৌপথ এবং বিমানপথ খুবই জরুরী। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নৌবন্দর মোংলা বন্দরের উন্নয়নের জন্য ইতিমধ্যে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের কাজ চলমান। বর্তমানে বন্দরে আট মিটার জাহাজ চলাচল করতে সক্ষম। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের ফলে মোংলা বন্দর অতীতের তুলনায় আরো সচল হয়েছে। সড়ক পথের বাধা কমে যাওয়ায় এর প্রধান কারণ। আজ খুলনা-মোংলা রেললাইন চালু হল। এর ফলে বন্দরে পন্য পরিবহনে সময় এবং অর্থ দুটোই সাশ্রয় হবে। আমদানি এবং রপ্তানি বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে। ব্যবসায়ীরা মোংলা বন্দর ব্যবহারে আরো বেশি উৎসাহিত হবে। বন্দর ঘিরে পদ্মা সেতু ও রেললাইনকে কেন্দ্র করে শিল্প উন্নয়ন শিল্পপল্লী গড়ে উঠবে। তাই মোংলা, খুলনা, যশোর এবং বেনাপোল বাসির আনন্দে উচ্ছ্বসিত, আবেগে আপ্লুত।ভারত, নেপাল এবং ভুটান মোংলা বন্দরের ট্রানজিট ব্যবহার করে তাদের পণ্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে বেনাপোল, ভোমরা এবং হিলি বন্দর দিয়ে খালাস করতে সক্ষম হবে। ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন দেখার জন্য অনেক বেশি সংখ্যক পর্যটক আসবে। এর ফলে মোংলা বন্দরের আয় বৃদ্ধি পাবে জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি বাড়বে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়ে খান জাহান আলী বিমানবন্দর ও খুলনায় একটি আইসিটি টার্মিনাল নির্মাণ করা হলে মোংলা বন্দরের পুনাঙ্গ সফলতা আসবে।জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।জয়তু দেশরত্ন শেখ হাসিনা। সদস্য : শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ কমিটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।পরিচালক:খুলনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৯৬ সালে প্রথম ক্ষমতায় আসি। মাত্র পাঁচ বছর ক্ষমতায় ছিলাম। ২০০১ সালে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, আমি গ্যাস বিক্রিতে রাজি না হওয়ায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু করে। ফলে পরে আর ক্ষমতায় আসতে দেয়নি। এটা আমার পক্ষে সম্ভব না, কারণ আমি কিন্তু শেখ মুজিবের মেয়ে। শনিবার দোহাজারী-কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানের কক্সবাজার ১৫ বছর আগে এমন দৃশ্য ছিল না। আগে দালান-কোঠা এত ছিল না। যোগাযোগ ব্যবস্থা এত ভালো ছিল না। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে এগুলো উন্নত করেছে। এদিন সকাল সাড়ে ১১টার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারের আইকনিক রেলস্টেশন থেকে ১০২ কিলোমিটার দীর্ঘ সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ রেলপথের উদ্বোধন করেন। এ স্টেশনের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে নেটওয়ার্কের ৪৮তম জেলা হিসেবে যুক্ত হচ্ছে কক্সবাজার।দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের জন্য ২০১০ সালের ৬ জুলাই দোহাজারী-রামু-ঘুমধুম রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন পায়।মেগা প্রকল্প হিসেবে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরবর্তীতে টেন্ডার হলে দোহাজারি-চকরিয়া এবং চকরিয়া-কক্সবাজার (লট-১ ও লট-২) এই দুই লটে চীনা প্রতিষ্ঠান সিআরসি (চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন) ও দেশীয় প্রতিষ্ঠান তমা কনসট্রাকশন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ পায়।কার্যাদেশ দেয়ার পর ২০১৮ সালে এই মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। সেই হিসেবে অনুমোদানের ১৩ বছর ৪ মাস ৪ দিন পর প্রকল্পটির উদ্বোধন হল। এই ১০২ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এর অর্থায়ন করেছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৯৬ সালে আমরা ক্ষমতায় এলে স্বাস্থ্যসেবার ওপর গুরুত্ব দেই। ফলে প্রাইভেট হাসাপাতাল গড়ে তোলার লক্ষ্যে ক্লিনিকের সমস্ত যন্ত্রপাতির ওপর ট্যাক্স বাতিল করে দিয়েছিলাম। পাশাপাশি মানুষের জন্য একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক বা স্বাস্থ্যসেবা গড়েছিলাম। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এটি ভালো সাড়া ফেলেছিল। কিন্তু ২০০১ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এলে কমিউনিটি ক্লিনিক সব বন্ধ করে দেয়, ফলে মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হয়। রোববার হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে ‘ন্যাশনাল লেপ্রোসি কনফারেন্সে’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয়বারের মতো ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে আবারও স্বাস্থ্যসেবার ওপর বিশেষ নজর দেয় আওয়ামী লীগ সরকার। সেই কমিউনিটি ক্লিনিক আরও আধুনিক করে চালু করা হয়েছে। কমবেশি ৬ হাজার মানুষের জন্য একটি করে ক্লিনিক করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অন্য চিকিৎসা ব্যবস্থাও উন্নত করা হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিষয়ক অনেক আন্তর্জাতিক সম্মান পুরস্কারে ভূষিতও হয়। বিশেষ করে এমডিজি ও ভ্যাকসিনসহ অনেক পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কার্যক্রমকে সমর্থন করে পাশে থাকার জন্য জাতিসংঘসহ সকল দেশকে ধন্যবাদ জানাই।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর কালজয়ী “কারার ঐ লৌহ কপাট” গানের সুর বিকৃত করায় গভীর ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সভাপতি, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর উপদেষ্টা ও বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শেরীফা কাদের এমপি। আজ এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, অন্যায়-অবিচার এবং অনৈতিকতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের প্রতীক কোন গানেরই সুর বিকৃতি মেনে নেয়া যায় না। তিনি বলেন, একজন অস্কার বিজয়ী সুরকার কেমন করে ঐতিহ্যের সাথে মিশে থাকা গানটির সুর বিকৃত করেছে তা আমরা বুঝতে পারছি না।বিবৃতিতে জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সভাপতি শেরীফা কাদের এমপি আরো বলেন, “কারার ঐ লৌহ কপাট” গানটি মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বীর সেনাদের দারুণভাবে উজ্জীবিত করেছে। ঐ গানটির সুর বিকৃত করে কোটি বাঙালীর হৃদয়ে আঘাত করা হয়েছে। কারার ঐ লৌহ কপাট গানের সুর বিকৃত করার অধিকার কারোরই নেই। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত গানটির বিকৃত ভার্সন চলচ্চিত্র ও ইউটিউব সহ সকল মাধ্যম থেকে প্রত্যাহার করার দাবি জানান। একই সাথে প্রকৃত সুরে গানটি রেকর্ড করে চলচ্চিত্র সহ সকল মাধ্যমে ব্যবহার করার পরামর্শও দিয়েছেন নজরুল সঙ্গীতের খ্যাতিমান শিল্পী শেরীফা কাদের এমপি।জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর কালজয়ী “কারার ঐ লৌহ কপাট” গানের সুর বিকৃত করায় একইভাবে গভীর ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আহমেদ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। শনিবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বিক্রির প্রথম দিনে ফরম সংগ্রহ করেন আলোচিত এই ক্রিকেটার। ঢাকা-১০ আসন থেকে সাকিব আল হাসান ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন চেয়েছেন। তবে শুধু একটি নয়, আরো দুইটি আসন থেকে মনোনয়ন তুলেছেন টাইগার অধিনায়ক। সূত্র জানিয়েছে, তিনি তিনটি আসন থেকে মনোনয়ন ফরম তুলেছেন। আসন তিনটি হল- মাগুরা-১, মাগুরা-২ এবং ঢাকা- ১০। সাকিব আল হাসানের পক্ষে তার একজন প্রতিনিধি মনোনয়ন ফরমগুলো সংগ্রহ করেন। ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।গত বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। ভাষণে সিইসি জানান, মনোনয়পত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। আর নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হবে ৭ জানুয়ারি। এদিকে, সংসদ নির্বাচনের জন্য ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন বিক্রি শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহের মাধ্যমে ফরম বিক্রি কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক শুরু করেন। এর পর বেলা ১১টার পর থেকে মনোনয়ন কেনা দলীয় প্রার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
#কারটা আমলে নেবে ইসি?জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ একই দিন নির্বাচন কমিশন বরাবর চিঠি দিয়েছেন। কার সইয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হবে, লাঙ্গল প্রতীকের মালিক কে হবেন এবং জাপা মহাজোটের অংশ হয়ে নির্বাচন করবে না কি এককভাবে করবে সে বিষয় নিয়ে আলাদা চিঠি দিয়েছে এই দুই নেতা। শনিবার (১৮ নভেম্বর) জি এম কাদের ও রওশন এরশাদ ইসিতে পৃথক পৃথকভাবে চিঠি দিয়েছেন।এদিন দুপুরে প্রথমে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের একটি চিঠি পাঠানো হয় ইসিতে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) ইসির উপসচিব মো. মাহবুব আলম শাহ স্বাক্ষরিত একটি ই-মেইল পেয়েছি। সেই ই-মেইলের আলোকে আপনাকে জানানো যাচ্ছে, জাতীয় পার্টির (নিবন্ধন নং-১২) পক্ষ থেকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রদানের ক্ষেত্রে আরওপিও অনুযায়ী সংসদ সদস্য পদে রাজনৈতিক দলের মনোনীতপ্রার্থী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে দলের প্রার্থী মনোনয়ন ও প্রতীক বরাদ্দ করবেন- জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি।একই দিন তার কিছু সময় পরেই চিঠি পাঠান রওশন এরশাদ। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর পাঠানো চিঠিতে তিনি জানান, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মহাজোটের অংশ হয়ে নির্বাচন করবে।তিনি আরও জানান, এই নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনীতপ্রার্থীরা দলীয় প্রতীক ‘লাঙ্গল’ কিংবা প্রার্থীর ইচ্ছানুসারে মহাজোটে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করতে পারবেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।জাতীয় পার্টির (জাপা) বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেছেন, জাপার দুটো চিঠি এসেছে। জি এম কাদের বলেছেন কার সইয়ে মনোনয়ন হবে। আর রওশন এরশাদ বলেছেন তারা জোটে ভোট করবেন। আমলে নেবেন কোনটা? এটা কমিশন দেখবে। কারণ দুটো চিঠি এসেছে। কমিশন যেটা আমলে নেয়।জাপার সাইনিং অথরিটি কে হবেন এমন প্রশ্নের জবাবে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, সাধারণত দলের চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক বা মহাসচিব সাইনিং অথরিটি হন। তাহলে তো জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের সাইনিং অথরিটি। তাহলে বিবেচনা কী হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, এটা কমিশন বলতে হবে।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (১৮ নভেম্বর) বেলা ১১টায় শেখ হাসিনা বঙ্গভবনে গিয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এর আগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন হতে ব্যক্তিগত গাড়িতে করে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন। সেখানে দলীয় মনোনয়নপত্র বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। পরে তিনি সরকারি গাড়িতে করে বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।এর আগে গোপালগঞ্জ-৩ আসনের নেতারা শনিবার সকাল ১০টায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মনোনয়নপত্র কেনার মাধ্যমে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন দলীয় প্রধান।দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ক্ষমতাসীন দলটির মনোনয়ন ফরম বিক্রির এ কার্যক্রম চলবে আগামী ২১ নভেম্বর (মঙ্গলবার) পর্যন্ত। এ বছর অনলাইনেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে।এ ছাড়া অনলাইনে ‘স্মার্ট নমিনেশন অ্যাপ’ নামে একটি অ্যাপ চালু করেছে ক্ষমতাসীন দলটি। গুগল প্লে স্টোর অথবা ওআইওএস অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করে ইনস্টল করতে হবে। অ্যাপটি থেকে অনলাইনেই ফরম পূরণ করে জমা দিতে পারবেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা।
রাজধানীর তেজগাঁও ঢাকা জেলা ও ঢাকা মহানগর উত্তর আ’লীগের কার্যালয়ে দলটির জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভায় জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি এবং ১৫টি উপ-কমিটি গঠন করেছে ক্ষমতাসীন দল আ’লীগ। শুক্রবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী ও আ’লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এসব কমিটি গঠন করা হয়। এদিন নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ও দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। এ সভায় আ’লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান করা হয় দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উলাহকে। এর আগে গত ৯ নভেম্বর শেখ হাসিনাকে সভাপতি ও ওবায়দুল কাদেরকে সদস্য সচিব করে আ’লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। সে সময় কো- চেয়ারম্যান পদ শূন্য রাখা হয়েছিল। এর আট দিন পর সেই পদ পূরণের পাশাপাশি নির্বাচন পরিচালনায় ১৫টি উপ-কমিটি গঠন করা হলো।উপ-কমিটিগুলো হলো, ইশতেহার প্রণয়ন উপ-কমিটি, নির্বাচন কমিশন সমন্বয়ে বিষয়ক উপ-কমিটি, দপ্তর ব্যবস্থাপনা উপ-কমিটি, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সমন্বয়ে উপ-কমিটি কমিটি, লিয়াজোঁ উপ-কমিটি, পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ উপ-কমিটি, প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি, মিডিয়া উপ-কমিটি, পেশাজীবী সমন্বয় উপ-কমিটি, আইন বিষয়ক উপ-কমিটি, বিদেশি মিশন বা সংস্থা উপ-কমিটি, সাংস্কৃতিক সামাজিক ও ক্রীড়া উপ-কমিটি, অর্থ বিষয়ক উপ-কমিটি ও ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটি।নির্বাচন পরিচালনা কমিটি এবং নির্বাচন পরিচালনা সংশ্লিষ্টরা হলেন-আ’লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, কার্যনির্বাহী সদস্য, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আ’লীগ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, দলের সহযোগী সংগঠনের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকরা।আ’লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির তালিকা নিচে যুক্ত করা হলো : আ’লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান শেখ হাসিনা, কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফর উলাহ, আর সদস্য সচিব ওবায়দুল কাদের। এ কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন আ’লীগ কেন্দ্রায় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ, সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আ’লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকরা।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন ফরম কিনেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিজ এলাকা গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন তিনি। শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন ফরম কেনেন তিনি। পরে তিনি সব বুথ ঘুরে দেখেন। কোন প্রক্রিয়ায় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের হাতে ফরম তুলে দেওয়া হবে তা তদারকি করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। গত বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। রিটার্নিং অফিসারের আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি হবে ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।
জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এমপি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বলে স্যোশাল মিডিয়ায় একটি তথ্য প্রচার করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা ও বানোয়াট। দুপুরে এবিষয় বিরোধী দলীয় নেতার মূখপাত্র কাজী মামুনূর রশিদ এ তথ্য জানান। এবিষয়ে তিনি বলেন, দলের একটি গোষ্ঠি বেগম রওশন এরশাদ এমপির নামে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করার নাটক সাজিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভ্রান্ত করছেন। যা স্যোশাল মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে। এতে সংবাদমাধ্যম কর্মীরা পড়ছেন তথ্য বিভ্রাটে। কাজী মামুন বলেন, স্পষ্ট বক্তব্য ম্যাডাম রওশন এরশাদ কোনো মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেননি। তিনি বলেন, আজ রাতে রওশন এরশাদের পক্ষে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন ফরম বিক্রির সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন তৃণমূল বিএনপির নেতারা। রোববার রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে দুই ঘণ্টাব্যাপী এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দলটির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার।তিনি বলেন, ‘আমরা দেখা করেছি।’ আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে চাইলে তৈমুর বলেন, ‘এটা রাষ্ট্রীয় বিষয়। আমি কিছু বলতে পারব না। আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে সেখান (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) থেকে জেন নিন।’ এদিকে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থীদের কাছে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করেছে তৃণমূল বিএনপি। গত দুই দিনে দলটি মোট ৭৮টি ফরম বিক্রি করেছে। আগামী ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত দলটির মনোনয়ন ফরম বিক্রি চলমান থাকবে।প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে যাওয়া দলটি ফরমের মূল্য ধরেছে ৫ হাজার টাকা। ফলে গত দুই দিনে ফরম বিক্রি বাবদ দলটির আয় হয়েছে ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা।জানা গেছে, ১৮ নভেম্বর তৃণমূল বিএনপির মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ১৩ জন প্রার্থী। আর দ্বিতীয় দিন ৬৫ জন। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আক্কাস আলী খান জানান, ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত তাদের ফরম বিক্রি করা হবে। একইসঙ্গে ২১ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকারও নেওয়া হবে।
সরকারী দল আওয়ামীলীগসহ কিছু অকার্যকর সুবিধাবাদী রাজনৈতিক দলকে নিয়ে একতরফা নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন মূলতঃ ‘কিংডম অব গুম-খুন-দূর্নীতি’ প্রতিষ্ঠিত করতে যাচ্ছে বলে মনেকরে এবি পার্টি। বিগত দুটি জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে না পারা ‘বঞ্চিত ভোটারদের এক প্রতিবাদ সমাবেশে’ এবি পার্টি নেতৃবৃন্দ আজ একথা বলেন। দলের যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. আব্দুল ওহাব মিনারের সভাপতিত্বে বিকেল ৩ টায় বিজয়নগরস্থ বিজয়-৭১ চত্বরে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।চলমান রাজনৈতিক কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানিয়ে এর আগে ‘ভোটের অধিকার হরণকারী অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ও প্রহসনের নির্বাচনী তফসিল বাতিলের দাবিতে গত ২টি নির্বাচনে ভোট দিতে না পারা ‘বঞ্চিত ভোটারদের সমাবেশে’র ডাক দেয় এবি পার্টি। আজকের সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ ও বিএম নাজমুল হক, সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহবায়ক এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন, সহকারী সদস্যসচিব ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি, শাহ আব্দুর রহমান, এস এম আক্তারুজ্জামান প্রমূখ।বক্তব্য প্রদানকালে দলের সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, নির্বাচন কমিশনারগণ সংবিধানের শপথ ভঙ্গ করে আওয়ামীলীগের সাজানো প্রেসক্রিপশনে নির্বাচনের আয়োজন করে দেশকে চরম অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে। সবাই জানে এই নির্বাচনে কে কোথায় এমপি হবে তা নির্ধারণ করবে আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তাহলে দেশের শত শত কোটি টাকা খরচ করে এই ভোট রঙ্গমঞ্চের কী দরকার! তিনি বলেন গত ১৫ বছরে দেশে যে লুটপাট ও স্বৈরতন্ত্র কায়েম হয়েছে তাতে এখন এটাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশেষ দল ও গোষ্ঠীর নিজস্ব রাজ্য ঘোষনা করা বাকী আছে। ৭ জানুয়ারি যদি নির্বাচন হয় তাহলে সেটা হবে ‘কিংডম অব গুম খুন ও দূর্নীতি’ প্রতিষ্ঠিত করার নির্বাচন’ বলে তিনি মন্তব্য করেন।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এর অফিসার্স এসোসিয়েশনের নির্বাচন, বার্ষিক সাধারণ সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০ ডিসেম্বর বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের গেস্ট হাউজ কাম ক্লাব ভবনে নির্বাহী কমিটির নির্বাচন ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়। বেলা আড়াইটায় বার্ষিক সাধারণ সভার পূর্বে ইতঃপূর্বে অনুষ্ঠিত ইনডোর গেমস্্ এ বিজয়ী কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার বিতরণ করেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া ও পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) প্রফেসর ড. শিবেন্দ্র শেখর শিকদার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি প্রকৌশলী হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মোঃ মাহমুদুল হাসান।
নির্বাচন বর্জন ও সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে প্রতিবাদী পদযাত্রা, উদ্বুদ্ধকরণ প্রচারণা, মানববন্ধন ও বিক্ষোভসহ লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে লাইভ ব্রিফিং থেকে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।ব্রিফিংকালে আরো বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহ্বায়ক এ বি এম খালিদ হাসান ও মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন। মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ গত দুটি জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। এবারও হাজার হাজার বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীকে জেলখানায় বন্দি রেখে একদলীয় জালিয়াতির ও তামাশার নির্বাচন করা হচ্ছে। দেশ এক ভয়ানক অর্থনৈতিক সংকটে নিপতিত। ব্যাংকগুলো সরকারি দলের লোক এবং আওয়ামী সুবিধাভোগীদের হাতে লুট হয়ে গেছে। দ্রব্যমূল্য ক্রমাগত বাড়ছে এবং তা দেশের সকল সাধারণ মানুষের সাধ্যের বাইরে চলে গেছে। দুর্নীতির সকল সীমা ছাড়িয়ে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা পরম সুখে আছে এবং দেশের বাকি সকল মানুষ মারাত্মক অভাবে আছে। মানুষ যে কষ্টে আছে সেকথাও মুখ ফুটে বলতে পারছে না নির্যাতন ও নিপীড়নের ভয়ে। তিনি বলেন, এরকম পরিস্থিতিতে জনগণের রক্ত, ঘাম পানি করে দেওয়া ভ্যাট ও ট্যাক্সের হাজার হাজার কোটি টাকা অপচয় করে এই প্রহসনের নির্বাচন জাতির সাথে একটি জঘন্য প্রতারণা। এই পাতানো ভোট চুরির নির্বাচন প্রত্যাখ্যান ও বর্জন করার জন্য তিনি দেশবাসীকে আহ্বান জানান। তিনি দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা আপনাদের বন্ধু স্বজন ও প্রতিবেশীদের সচেতন করুন। এই হঠকারী নির্বাচনে সব ধরনের সমর্থন ও সহযোগিতা থেকে বিরত থাকুন এবং অন্যদের বিরত থাকতে উদ্বুদ্ধ করুন। একদলীয় স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে আপনার প্রতিবাদ, প্রতিরোধ, লেখনি ও সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখুন। বক্তব্য শেষে তিনি আগামী ২৩ ডিসেম্বর (শনিবার) বেলা ১২টায় ‘প্রহসনের নির্বাচন বর্জনে প্রচার ও উদ্বুদ্ধকরণ পদযাত্রা’, আগামী ২৪ ডিসেম্বর বিকেল তিনটায় ‘প্রহসনের নির্বাচন বর্জনের দাবিতে মানববন্ধন’ সহ লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করেন। লাইভ ব্রিফিংকালে আরও উপস্থিত ছিলেন, এবি পার্টির সহকারী সদস্য সচিব শাহ আব্দুর রহমান, যুবপার্টির সদস্য সচিব শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম খোকন, যুগ্ম সদস্য সচিব সফিউল বাসার, কেফায়েত হোসেন তানভীর, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফেরদৌসী আক্তার অপি, সেলিম খান, আমেনা বেগম, রিপন মাহমুদ, আমানুল্লাহ খান রাসেল, আমিরুল ইসলাম নুর, যুবপার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব শাহিনুর আক্তার শীলা, সহকারী অর্থ সম্পাদক সুমাইয়া শারমিন ফারহানা, পল্টন থানা আহ্বায়ক আব্দুল কাদের মুন্সিসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
রাজশাহী ব্যুরো মাহিয়া মাহি বলেছেন, ভোটের মাঠে আমি কোনো থ্রেট পাইনি। আপনাদের (সাংবাদিকদের) জন্য থ্রেট দেবে না আশা করি। কর্মীরাও থ্রেট পায়নি, সেটাও আপনাদের জন্য; কিন্তু যে মাইক ভাড়া দিবে, সেই রিজার্ভ করা মাইক নিয়ে আর বের হলো না। তার ভয়, মাইকটা ভেঙে ফেলবে বা তাকে মাইর দেবে। এ রকম বিষয় হচ্ছে- এগুলো বলেছি সিইসিকে।রাজশাহীতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মাহিয়া মাহি। তিনি বলেন, আমি অন্যভাবে কৌশলে ওই এলাকায় প্রচারণা করব। কিছুই যদি না থাকে, তাহলে ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার মতো ব্যাপার। আপনারা সাংবাদিকরা আছেন। আপনাদের কলম, আপনাদের লেখনী- সেটাই হচ্ছে আমার একটা পাওয়ার। আমাকে ভোটের মাঠে কোনোরকম ডিস্টার্ব করলে সেটা যে আপনারা প্রতিহত করার চেষ্টা করবেন এবং ঢালাওভাবে প্রচার করবেন- এটার জন্য হয়তোবা ভয়ে আমাকে কেউ ডিস্টার্ব করবে না এবং আমার পেশিশক্তির দরকার হবে না।মাহি বলেন, সিইসির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় আমি বলেছি, আমার এলাকাটা তো মানুষ এমনিতেই ভয় পায়। কারণ সহজ-সরল মানুষকে কিছু বললেই তারা অনেক ভয় পেয়ে যান। আমি শুধু বলেছি, কোনোরকম সহিংসতা-আতঙ্ক যেন বিরাজ না করে। কেউ যদি গুজব রটায়, সেটা যাতে না হয় তার জন্য লক্ষ্য রাখতে বলেছি। আপনারা থাকবেন সেদিন, সারা বিশ্ব তো দেখবে কত পার্সেন্ট ভোট আসলে কাস্ট হলো। সেটার জন্য বলেছি।মাহি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে এবং সুষ্ঠু কিভাবে হবে এগুলো নিয়ে তিনি একটা ব্রিফিং দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, কোনোবারই এরকম আইন ছিল না যে, ভোটারদের ভয়ভীতি দেখালে সেটা দণ্ডনীয় অপরাধ। এরকম কিছু ছিল না। এবার আইনটা সংশোধিত হয়েছে। কেউ যদি ভোটার পরিচয়ে ফোন করে ভয় দেখানোর অভিযোগ করে, তবে সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন নেওয়া হবে। আমাদের নিশ্চিত করেছেন, ভোট এবার সুষ্ঠু হবে।নির্বাচন কমিশনের কথায় আস্থা পাচ্ছেন জানিয়ে এই চিত্রনায়িকা বলেন, আমি এক হাজার পার্সেন্ট মিল পাচ্ছি। কথার সঙ্গে মাঠ পর্যায়ে মিল আছে; কিন্তু আমি যেটা বলতে চাই, নির্বাচনের আগের দিনটা কোনো প্রার্থী যাতে এ রকম কোনো পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারে। সেটার জন্য অনুরোধ করেছি। ট্রাকের প্রচারণা প্রসঙ্গে মাহি বলেন, আমার এখন প্রত্যেকটা ঘরে ঘরে যাওয়া দরকার। তাদের বলা উচিত, আপনারা নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে আসুন। নারীদের বলছি আপনারা প্লিজ শাড়ি-টাড়ি পরে সেজেগুজে চলে আসবেন। ওই দিন একটা উৎসবের দিন। ভোট তো একটা অধিকার, সেটা কিন্তু আনন্দেরও দিন। আপনারা ওই উৎসবে অংশগ্রহণ করবেন। আমি ছোট একটা ট্রাক নিয়ে ঘুরছি। অতো সুন্দর ট্রাক পাইনি। এখানে যেটা পেয়েছি, সেটা নিয়ে সবার কাছে যাচ্ছি। অনেক পিচ্চিরা আবার বলছে, এই ট্রাকটা আমাদের দিয়ে যান। সেটা আবার দিয়ে আসতে হচ্ছে। আমার প্রতিপক্ষ যারা আছে, ফেসবুকে দেখি- তারা ট্রাক নিয়ে আমাকে অনেক পচাচ্ছে যে, ট্রাকের চাকা পাংচার হয়ে যাবে তখন বুঝবে। তো এইরকম করে আসলে ভালোই লাগছে। ট্রাকটা যে আমার প্রতীক, তারাই মানুষকে আরও পৌঁছে দিচ্ছে।নির্বাচিত হলে সব শ্রেণির মানুষকে সম্মান দিতে চান মাহি। সে কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমার এলাকার ভোটাররা খুবই সাধারণ। তারা আসলে চায়, গায়ে হাত দিয়ে কেউ কথা বলুক। সেটুকুর জন্য আসলে তারা পরিবর্তন চায়। এই ভালবাসাটুকু তারা চায়। তারা বিগত দিনে এই ভালবাসাটুকু পায়নি। যারা শিক্ষকেরা আছেন, এই শিক্ষকগোষ্ঠী আসলে চায় পরিবর্তন। তারা সম্মান চান। শিক্ষকদের আমরা ‘স্যার’ বলে ডাকব। আমরা যদি তাদের তুই-তুকারি করি, তাদের কান ধরে ওঠবস করাই তাহলে তো সমস্যা। আরেকটা হচ্ছে যে, নারীরা সম্মান চান। আসলে তানোর গোদাগাড়ীবাসী সম্মানের সঙ্গে থাকতে চান। তারা নিজের খাবে, নিজের পরবে, আত্মসম্মান নিয়ে বাঁচবে। কাউকে ভয় পাবে না তারা এবং তারা চায়, মাসে একবার হলেও তাদের জনপ্রতিনিধি তাদের কাছে আসুক। সমস্যাগুলো শুনুক।অভিনয় না রাজনীতি- নির্বাচিত হলে কোনটা থাকবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মাহি বললেন, অভিনয়টা আমার গ্রোথ। এ অভিনয়ের কারণে আপনারা আমার ইন্টারভিউ নিচ্ছেন। এখানে কিন্তু অনেক প্রার্থী ছিলেন, আপনারা সবার ইন্টারভিউ তেমনভাবে নেননি, আমার সঙ্গে কথা বলছেন। সেই পরিচিতির জায়গাটা আমাকে যে ইন্ডাস্ট্রি দিয়েছে তারা ছাড়া আমার কোনো অস্তিত্ব নেই। তাদের বাদ দিয়ে অন্যকিছু আমার দ্বারা সম্ভব নয়; কিন্তু অভিনয়টা অভিনয়ের জায়গায় থাকবে, আমি মানুষের সেবা করব। রাজনীতির মূলনীতি মানুষের সেবা করা। মানুষের সেবাটা করব, আর অভিনয়টা চালিয়ে যাব। আমি তো ইনকাম করব আমার অভিনয় থেকে। রাজনীতি থেকে যে ইনকাম হবে সেগুলো জনগণের মাঝে বিলিয়ে দেব।
বরিশাল বিভাগে বিএনপির কোনো লোক থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ব্যারিস্টার এম শাহজাহান ওমর বীর উত্তম। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে শনিবার বিকেলে ঝালকাঠির রাজাপুরের কানুদাসকাঠি ইসলামিয়া কমপ্লেক্সে মাঠে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।শাহজাহান ওমর বলেন, আমি যখন আওয়ামী লীগে যোগদান করেছি, তখন এ অঞ্চলে, বরিশাল বিভাগে আর কোনো বিএনপি থাকবে না। শেখ হাসিনার এই আস্থা আমার ওপর আছে। তিনি বলেন, আমি ইতোমধ্যেই কাঠালিয়া বিএনপির সব লোক নিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছি। রাজাপুরেরও অনেক অংশ এসে গেছে। দু-একটা নাবালক এদিক-ওদিক ঘোরাফেরা করতেছে। আমি যখন এই দলে (আওয়ামী লীগ) এসেছি, তারাও চলে আসবে। ঝালকাঠি-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব বজলুল হক হারুন মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন। এ সময় রাজাপুর ও কাঠালিয়ার উপজেলার আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। বজলুল হক হারুনকে উদ্দেশ্য করে শাহজাহান ওমর বলেন, আমি হারুন সাহেবের ‘বাড়া ভাতে’ ভাগ বসাতে আসিনি। আমি হারুন ভাইকেও বলেছি, আপনার কোনো কাজে বাধা দিতে আসিনি। তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র ওইসব দেশের জন্য প্রয়োজন যে দেশের মানুষ রাতে না খেয়ে ঘুমায় না, যে দেশের মানুষ ছাদের নিচে ঘুমায়, যে দেশের মোটামুটি লেখাপড়া জানে, পেপার-পত্রিকা পড়ে পৃথিবী সর্ম্পকে ধারণা নেয়, তাদের জন্য গণতন্ত্র। আমাত আমার দেশের গণতন্ত্র হবে, আমাদের দেশের লোকে যেটা অনুভব করে সেই হিসেবে। আমাদের দেশের লোকে চায় সুখে-শান্তিতে থাকতে। সামনে নির্বাচন হবে। বিরোধী দল নির্বাচন বয়কট করার চেষ্টা করবে। সভাপতির বক্তব্যে বজলুল হক হারুন বলেন, মানব জাতি এই নৌকায় চড়েই ভেসেছিল। এই নৌকা সেই নূহু নবী’র নৌকা। এই নৌকা স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর নৌকা। নেত্রী শাহজাহান ওমর সাহেবকে নৌকা দিয়েছেন। এখন আমরা এক হয়ে এই অঞ্চলের উন্নয়ন করব।
রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে জুতা মারার হুমকি দিয়েছেন নৌকার প্রার্থীর এক সমর্থক। শনিবার রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক ভিডিওতে মাহিকে জুতা দেখিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আপনার মতো মাহিয়া মাহিকে, এই যে দেখছেন এই জুতা? এই জুতা দিয়ে, একদম জুতা দিয়ে পিটানো উচিত আপনার মতো মেয়েকে। কারণ, আপনি এমন একটা মেয়ে আপনার মা এই চলচ্চিত্র জগতে যাওয়ার আগে আপনাকে নিষেধ করেছেন।’জানা গেছে, এই যুবকের নাম মাহাবুর রহমান মাহাম। বাড়ি তানোর উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নের কালনা পূর্বপাড়া গ্রামে। বাবার নাম মৃত ছদের আলী। তিনি বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের রাজশাহী জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিয়ে বেড়ান বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। তবে যোগাযোগ করা হলে মাহাম জানিয়েছেন, বর্তমানে দলীয় কোন পদ নেই তার।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাহাম এলাকায় দুষ্টু প্রকৃতির ছেলে হিসেবে পরিচিত। তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের গাড়ি ভাঙচুর মামলার আসামি তিনি। সে মামলা এখনও চলমান।আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহিয়া মাহি গত কয়েকদিন ধরে নিজের প্রচার-প্রচারণায় এ আসনের নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীকে নিয়ে কথা বলছেন। ফারুক চৌধুরীর নানা বিতর্ক সামনে এনে তিনি এবার তাকে ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। আর এ কারণেই ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করে মাহিকে হুমকি দেন মাহাম। যদিও কিছুক্ষণ পর তিনি সেই ভিডিও ফেসবুক আইডি থেকে মুছে ফেলেন।মাহাম ভিডিওতে মাহিয়া মাহি সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। কারা সিনেমায় যায়, সেই প্রশ্নও তোলেন। বলেন, ‘আপনার মতো মাহিয়া মাহির দ্বারা তানোর-গোদাগাড়ীর উন্নয়ন তো দূরের কথা; হাজারো ছেলে নষ্ট হবে। আপনার মতো দুশ্চরিত্রা মহিলা থাকলে। আপনার মতো বেয়াদব মহিলাকে আমি এখনও বলছি, এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীকে নিয়ে আর একটা যদি বাজে মন্তব্য কখনও করেন, আপনাকে জুতা দিয়ে পিটানো উচিত। আপনি ওমর ফারুক চৌধুরীর বাসার কাজের মেয়ের যোগ্য না।’যোগাযোগ করা হলে মাহাম বলেন, ‘ভিডিও ছাড়ার পর রাজশাহী থেকে কয়েকজন সাংবাদিক ফোন করেছিলেন। তারা নানা কথা বলছেন। সেই কারণে ভিডিও ডিলিট করে দিয়েছি।’ মাহাম জানান, তিনি নৌকার সমর্থক। তবে এখন তার কোন দলীয় পদ নেই। এরপরই মাহাম মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এ আসনের নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘ভিডিওটি আমি দেখেছি। অভিযুক্ত পক্ষের সঙ্গে আমার কথা বলার প্রয়োজন নেই। কথা বলিওনি। তবে যাকে নিয়ে কথা বলেছে, সেই পক্ষের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। একটা অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ দিলে মাহামের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সে কে তা দেখা হবে না।’
কক্সবাজার ১ চকরিয়া পেকুয়া আসনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির হাতঘড়ি মার্কার প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন জানিয়েছে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ। শনিবার বিকালে চকরিয়া আবাসিক মহিলা কলেজ মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই সমর্থনের ঘোষণা দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী। ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী সভায় বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে হাতঘড়ি মার্কাকে বিজয়ী করে সন্ত্রাস ও ডাকাতমুক্ত চকরিয়া পেকুয়া গড়ে তোলা হবে।তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক তথা হাতঘড়ির পক্ষে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই আমরা জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে তাকে বিজয়ী করব ইনশাআল্লাহ। তিনি একজন অত্যন্ত সৎ, দক্ষ ও গ্রহণযোগ্য মানুষ। এলাকার সাধারণ মানুষ তাকে অত্যন্ত ভালোবাসে। তাই ৭ জানুয়ারি ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে হাতঘড়ি মার্কাকে বিজয়ী করবে এই জনপদের মানুষ।কক্সবাজারের চকরিয়ায় বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, তিনি নির্বাচিত হলে চকরিয়া পেকুয়ার মানুষকে অত্যাচার, জুলুম, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, দখলদার ও ডাকাতের হাত থেকে মুক্ত করবেন। তার নেতাকর্মীদের হুমকি ধমকি ও শারীরিক নির্যাতন করছে প্রতিপক্ষ লোকজন। তাই সুস্থ নির্বাচনের স্বার্থে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা চান। জেনারেল ইব্রাহিম বলেন, এই আসনে যেহেতু নৌকার প্রার্থী নেই। তাই তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকের ভোট পাবেন। এ জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা এবং দলের নেতাদের ধন্যবাদ জানান। সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিমের সমর্থনে চকরিয়া, পেকুয়া ও মাতামুহুরি আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগ এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী। বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, চকরিয়া পৌর মেয়র আলমগীর চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতারা।
প্রার্থনা ফারদিন দীঘি নতুন প্রজন্মের অভিনেত্রী। শিশুশিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু করা এই অভিনেত্রী এরই মধ্যে নায়িকা তকমা নামের সঙ্গে যুক্ত করেছেন। অনেক দিন হলো নতুন কোনো সিনেমায় অভিনয় করছেন না তিনি। এবার নতুন একটি সিনেমার খবরে এলেন দীঘি। ফিরছেন ইফতেখার আহমেদ ওশিনের পরিচালনায়। ছবির নাম ‘জীবন-জুয়া’।জানা গেছে, ‘জীবন-জুয়া’ মূলত অ্যান্থলজি ফিল্ম। ‘জীবন-জুয়া’ ছবিতে মোট তিনটি গল্প থাকছে; যার মধ্যে একটি হলো ‘প্রিয় প্রাক্তন’। মূলত এক দম্পতির ভালোবাসা, খুনসুঁটি, সংসার, অতঃপর একদিন ফিরে পাওয়া অতীত- এসব নিয়েই এ সিনেমার গল্প। এ গল্পেরই প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন দীঘি। এতে তার বিপরীতে রয়েছেন সুদীপ বিশ্বাস দীপ। ‘জীবন-জুয়া’ ছবিতে অন্য একটি গল্পের নাম ‘খোয়াব’। এটি নির্মাণ করবেন আশুতোষ সুজন। এ সিনেমায় প্রথমবারের মতো জুটি বেঁধে অভিনয় করবেন আদর আজাদ ও ইয়ামিন হক ববি। এছাড়াও একই পরিচালকের আরেকটি সিনেমা ‘ফিল্ম কানন’। এর প্রধান চরিত্রে অভিনয় করবেন ফজলুর রহমান বাবু ও সামিয়া অথৈ। একজন সিনেমা পাগলের গল্প নিয়ে নির্মিত হবে সিনেমাটি।
আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মন্জু বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ এমন একটি প্রহসনের নির্বাচন আয়োজন করেছে যেখানে আজ প্রার্থীকে জুতাপেটা করা হচ্ছে। দলীয় ক্যাডাররা পাড়ায়-পাড়ায় হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে, নৌকায় ভোট না দিলে ভিজিডি-ভিজিএফ কার্ডসহ সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা বাতিল করা হবে। আওয়ামী লীগ ১৫ বছর ধরে ক্ষমতা দখল করে রেখেছে। এই সময়ে তারা জনগণের সেবা করলে, জনগণের অধিকার হরণ না করলে আজতো ভয় দেখানোর দরকার হতো না।’ তিনি বলেন, ‘জনগণ বাজারে যায় আর সরকারকে অভিশাপ দেয়। আজ প্রধানমন্ত্রী দুর্ভিক্ষের কথা বলছেন, এটা তো আওয়ামী লীগের ইতিহাস।’ মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দেশবাসীর প্রতি নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গণসচেতনতামূলক প্রচারপত্র বিলি কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি। বিকেল ৩টায় রাজধানীর বিজয় নগর, পল্টন, নয়াপল্টন, কাকরাইল, সেগুন বাগিচাসহ বিভিন্ন এলাকায় জনসাধারণের মাঝে ‘প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করুন’- শিরোনামে প্রচারপত্র বিলি করে এবি পার্টি। দলের যুগ্ম আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হক বলেন, ‘আমরা বারবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বলেছি, একতরফা নির্বাচন থেকে সরে আসুন। কিন্তু তিনি আমাদের কথা শোনেননি, তিনি শেখ হাসিনার পদলেহন করে একটি একদলীয় নির্বাচন করার মাধ্যমে দেশকে ভয়াবহ পরিণতির দিকে ঠেলে দিয়েছেন।’ এ সময় দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, অর্থ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম এফসিএ, শ্রমিক নেতা শাহ্ আব্দুর রহমান, কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব আব্দুল বাসেত মারজান, সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগ ভোটাধিকার ও নাগরিক অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই। তিনি বলেন, সরকার তলে তলে সকল আসনে এমপি সিলেক্ট করে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে একতরফা নির্বাচনের নাটক মঞ্চস্থ করছে। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য কিছু কিংস পার্টি ও ডমেস্টিক দল নিয়ে কথিত নির্বাচনি বৈতরণী পার হতে যাচ্ছে। এবার নির্বাচন হচ্ছে নৌকা-স্বতন্ত্র-ডামি নৌকা-বিদ্রোহী নৌকার চরিত্রে নাটকে অভিনয় করছে। এভাবে নির্বাচনের নামে তামাশার কোন মানে হয় না। শনিবার বিকালে পুরানা পল্টনস্থ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মজলিসে আমেরার সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দলের মহাসচিব মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন ও খন্দকার গোলাম মাওলা, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ ও মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কৃষিবিদ আফতাব উদ্দিন, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, আলহাজ্ব হারম্নন অর রশিদ, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলুল করীম মারম্নফ, মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, উপাধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট হাফেজ মাওলানা এম হাসিবুল ইসলাম, জি এম রম্নহুল আমীন, মাওলানা নূরুল ইসলাম আল আমীন, বরকতউলস্নাহ লতিফ, হাফেজ মাওলানা নুরুল করীম আকরাম, অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, ডা. দেলোয়ার হোসেন। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, কথিত নির্বাচনে ভোটার নেয়ার জন্য নাগরিকদের ভয়ভীতি প্রদর্শণ, নাগরিক সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি প্রদর্শন করছে। যা সত্যিকারের অমানবিক। এখান থেকে সরকার দলীয় লোকজন বিরত থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ভোট বর্জন নাগরিক অধিকার। সরকার দেশের সম্পদ নষ্ট করে তামাশার নির্বাচনের নামে জনগণকে ধোকা দিচ্ছে। দেশ-বিদেশের প্রবল আপত্তিকে আমলে না নিয়ে সরকার পাতানোর একতরফা নির্বাচনের নামে নাটক করছে। বিরোধী দলগুলোকে বাইরে রেখে খালি মাঠে গোল দিচ্ছে। তিনি বলেন, সরকার নির্বাচনের আগে ঠিক করছে কে বিরোধী দল হবে। এভাবে নির্বাচনের নামে জাতিকে ধোকা দিচ্ছে অবৈধ সরকার। পীর সাহেব চরমোনাই একতরফা নির্বাচন ও নতুন শিক্ষা কারিকুলাম বাতিলের দাবিতে আগামিকার ৩১ ডিসেম্বর রবিবার রাষ্ট্রপতির বরাবর স্মারকলিপি কর্মসূচি সফলের আহ্বান জানান।পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সরকারের একগুয়েমীর কারণে দেশ ভয়াবহ সঙ্কটের দিকে ধাবিত হচ্ছে। অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার কবলে পরতে যাচ্ছে দেশ। কাজেই জনগণের রায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে সরকার গায়ের জোরে নির্বাচন করে দেশকে বয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।শিক্ষা কারিকুলাম সম্পর্কে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, নতুন শিক্ষা কারিকুলামের মাধ্যমে সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। নতুন প্রজন্মকে নাস্তিক ও মেধাশূণ্য করার সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। তিনি বলেন, নতুন শিক্ষা কারিকুলাম বাতিল করে বিরানব্বই ভাগ মানুষের চিন্তা চেতনা অনুযায়ী নতুন শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, জাতিসত্তা বিরোধী যে কোন সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে সর্বত্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘ডামি’ আখ্যা দিয়ে দলের সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জুর সঞ্চালনায় সভায় ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আ ক ম ওয়ারেসুল করিম। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের, গণফোরাম সেক্রেটারি সুব্রত চৌধুরী, আলোকচিত্রী ড. শহীদুল আলম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ড. রেজা কিবরিয়া, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ূম, এনডিএমর চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালাল উদ্দিন, এবি পার্টির ডা. আব্দুল ওহাব মিনার, তাজুল ইসলাম ও বিএম নাজমুল হক, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার, ইসলামী আন্দোলনের আশরাফ আলী আকন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের দিদারুল ভূঁইয়া, এনডিএমর নুরুজ্জামান হীরা, এবি পার্টির আসাদুজ্জামান ফুয়াদ ও যোবায়ের আহমদ ভূঁইয়া।বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা আগে দেখেছি চুরি বা জালিয়াতি হয় গোপনে। কিন্তু ২০১৮ সালে যা হয়েছে তা নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন আর আওয়ামী লীগ মিলে জনসমক্ষে ভোট ডাকাতি করে নিয়ে গেছে। যে প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন চলছে তা হাস্যকর। সিন্ডিকেট করে বাজার লুট, ব্যাংক লুট, শেয়ারবাজার লুটের যে মহোৎসব আওয়ামী লীগ চালিয়েছে সেই লোভেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। জনগণের ওপর গত ১৫ বছর যে সীমাহীন নির্যাতন চালিয়েছে সরকার তাতে ক্ষমতায় না থাকলে কী পরিণতি হবে সেই ভয়ও তাদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের ভয় আর লোভ থেকে যে নির্বাচনী প্রহসনের আয়োজন তাতে জনগণের কোনো অংশগ্রহণ নাই। এই ভোটে জনগণ অংশ নিবে না ইনশাআল্লাহ। মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, এমপিরা যে হলফ নামা দিয়েছে তা আগে দেখলে মানুষ আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোনো পার্টি করত না। এইভাবে মানুষ টাকার মালিক হতে পারে তা কল্পনাও করা যায় না। একজনেরই তিনশ ফ্ল্যাট, যার সবই নাকি ইউরোপ-আমেরিকায়। এখন একটাই উপায়, সরকারকে সকল সহোযোগিতা বন্ধ করতে হবে। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চালাতে হবে।
বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী (নৌকা) ব্যারিস্টার মুহম্মদ শাহজাহান ওমর বীরউত্তম বলেছেন, এবারের নির্বাচনকে হালকা ভাবার কোনো সুযোগ নেই, এবারের নির্বাচন কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। ৬০-৭০ শতাংশ ভোট না দেখাতে পারলে স্যাংশন আসবে। রোববার সকাল ১০টায় ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার সমর্থনে কাঁঠালিয়া বাইপাস মোড়ে সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্থানীয় পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।শাহজাহান ওমর বলেন, নির্বাচন দুই প্রকার- এক. অন্তর্ভুক্তিমূলক (সব দল মিলে করা), দুই. প্রতিযোগিতামূলক। এখানে যেহেতু বড় কয়েকটি দল নেই, এখানে যদি আমরা ৬০/৭০/৮০ ভাগ ভোট না দেখাতে না পারি তাহলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার দেশে-বিদেশে অনেক শত্রু আছে, তারা চায় না তিনি প্রধানমন্ত্রিত্ব করুন। যদি আমরা ভোট ৬০ পারসেন্টের ওপরে দেখাতে না পারি তখন তারা প্রধানমন্ত্রীকে বলবেন- এ ভোট হয় নাই। এ ভোট গ্রহণযোগ্য নয়। এ অজুহাতে বিভিন্ন দেশ থেকে অর্থনৈতিক, ভিসা, গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন স্যাংশন দিতে থাকবে। এজন্যই আমাদের ৬০/৭০//৮০ ভাগ ভোটার হাজির করাতে হবে এবং বিপুল ভোটে নৌকাকে জেতাতে হবে।কাঁঠালিয়া সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মঞ্জুরুল কবির পারভেজ জোমাদ্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. এমাদুল হক মনির, ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাহমুদুল হক নাহিদ সিকদার ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রোকন সিকদার, ইডেন মহিলা কলেজের ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাদিয়া জাহান সাথী ও কাজল বেগম।এ পথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- শাহজাহান ওমরের ছোটভাই আমেরিকা প্রবাসী ডা. মো. শাহ আলম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. বদুউজ্জআমান বদু সিকদার, শৌলজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাহমুদ হোসেন রিপন, আওরাবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিঠু সিকদার, চেঁচরী রামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশিদ জমাদ্দার, ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সঞ্জিব দাস, কাঁঠালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বিমল চন্দ্র সমাদ্দার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. তরুণ সিকদার, জেলা পরিষদ সদস্য এসএম ফয়জুল আলম সিদ্দিকী ফিরোজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. আজাদুল ইসলাম জমাদ্দার, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য এসএম আমিরুল ইসলাম লিটন সিকদার, লায়ন এমএ খালেক, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জিসান সিকদার, সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদ খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী একান্ত সহকারী সচিব মো. আতিকুর রহমান রুবেল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. গিয়াস উদ্দীন বাচ্চু সিকদার, সদ্য বিএনপি থেকে পদত্যাগ করা সাবেক উপজেলা বিএনপি সভাপতি আব্দুল জলিল মিয়াজী, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন কবির, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইলিয়াস মিয়া, মো. মোস্তাফিজুর রহমান মারুফ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহবায়ক মো. হাছিব ভুট্টো, যুবদল নেতা মো. বশির হাওলাদার প্রমুখ।রোববার দিনব্যাপী নির্বাচনি গণসংযোগ উপলক্ষে কাঁঠালিয়া উপজেলার জয়খালী বাজার, চিংড়াখালী মিয়াজী দরবার শরীফ, হেলাবুনিয়া, বটতলা বাজার, কৈখালী বাজার, তারাবুনিয়া বাজার ও বানাই বাজারসহ বেশ কয়েকটি স্থানে পথসভা করেন শাহজাহান ওমর। এসব পথসভায় স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিরা সভাপতিত্ব করেন। পথসভায় উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও শাহজাহান ওমরের অনুসারী বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের কয়েকশ নারী-পুরুষ প্রচারণায় অংশ নেন।
হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনের আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করতে চলেছেন। এখনো পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গেছে কাস্টিং ভোটের ৮০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন ব্যারিস্টার সুমন।নৌকার প্রার্থী বিমান প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলীর চরম ভরাডুবি হতে চলেছে এ আসনে। এখনো পর্যন্ত একটি কেন্দ্রেও মন্ত্রী পাস করতে পারেননি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ‘ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ায়’ জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছে এবি পার্টি। রবিবার দুপুরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যলয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন এবি পার্টির আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এবি পার্টির আহ্বানে অভূতপূর্ব সাড়া দিয়ে জনগণ ভোট দিতে যায়নি, রাস্তায় বের হয়নি। রাস্তাঘাট ছিল জনশূন্য। কেন্দ্রগুলো ছিল ফাঁকা। ভোটকেন্দ্রে রয়েছে সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আওয়ামী লীগের ক্যাডার বাহিনী। ভোটারদের দেখা যাচ্ছে না। দেখা যাচ্ছে, কিছু কুকুর, বানর, ভেড়া-ছাগল। জনগণ এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে।সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম ও সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু। মেজর মিনার (অব.) বলেন, ‘আজ কালো দিন। আমরা গতকাল দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছিলাম তারা যেন এই প্রহসনের নির্বাচনে অংশ না নেয়। জনগণ আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়েছে, তাদের ধন্যবাদ জানাই।’অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, বিমান হামলার সাইরেন বাজালে যেমন মানুষ ঘরে আবদ্ধ থাকে, সুনসান নীরবতা; তেমনি আজকের রাস্তাঘাটও জনমানবশূন্য। সবচেয়ে লজ্জাজনক ব্যাপার হচ্ছে, এই একতরফা নির্বাচনের মধ্যেও নির্লজ্জ আওয়ামী লীগ ব্যালট পেপারে সিল মারার উৎসবে মেতেছে।’মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘শহীদ ফেলানী দিবসে আজ একটি প্রহসনের একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকেও কাঁটাতারে ঝোলানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে জনগণ এই দুরাচার সরকারের তামাশার নির্বাচনে অংশ নেয়নি।আমরা দেখলাম ভোটকেন্দ্রে আজ আওয়ামী লীগের বহু লোকও অনুপস্থিত। এক জায়গায় দেখলাম, বানরের দল নাচানাচি করছে। আমরা জনগণকে ধন্যবাদ জানাই এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যানের জন্য।’
জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসেবে আবারও ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে শিরীন শারমিন চৌধুরীকে স্পিকার হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।মঙ্গলবার বিকালে সংসদ শুরু হওয়ার পর ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক তা অধিবেশনে উত্থাপন করেন। পরে সর্বসম্মতিক্রমে বিষয়টি পাস। পরে সংসদে বিরতি ঘোষণা করা হয়।২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল তৎকালীন জাতীয় সংসদের স্পিকার মো. আবদুল হামিদ রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেওয়ার পর স্পিকারের পদটি শূন্য হয়। এরপর সংরক্ষিত সংসদ সদস্য এবং তৎকালীন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ওই বছরের ৩০ এপ্রিল স্পিকার হিসেবে নির্বাচিত হন। ২৪ জানুয়ারি ২০১৪ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এরপর দশম সংসদে আওয়ামী লীগ আবারও সরকার গঠন করলে শিরীন শারমিনকে দ্বিতীয়বারের মতো স্পিকার নির্বাচিত করা হয়। পরে একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম বৈঠকে তৃতীয়বারের মতো শিরীন শারমিন চৌধুরীকে স্পিকার হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনগণ ও গণতন্ত্রের জয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করায় নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনার মাধ্যমে দেশে গণতান্ত্রিক শক্তি আরও সুদৃঢ় হয়েছে।মঙ্গলবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে প্রেসিডেন্টের দেয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, জনগণের রায় মেনে নিয়ে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দেশের গণতন্ত্রের জন্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজন অত্যন্ত যুগান্তকারী ঘটনা, যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় হয়েছে দেশের জনগণের, জয় হয়েছে গণতন্ত্রের।প্রেসিডেন্ট বলেন, নির্বাচন ঘিরে একটি মহল সহিংসতা ও সংঘাত সৃষ্টি করে গণতন্ত্রের শান্ত-স্নিগ্ধ যাত্রাপথে বাধা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছিল। তাদের গণতন্ত্রবিরোধী ও সহিংস কর্মকাণ্ড সাময়িকভাবে জনগণকে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে রাখলেও ভোটারদের ভোটদান থেকে বিরত রাখতে পারেনি। সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ও সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্যই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সব পদক্ষেপ সার্থক হয়েছে।তিনি বলেন, নির্বাচন বর্জনকারী দলগুলো সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করেছে। আমি আশা করি- ভবিষ্যতে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো সহিংসতা ও নৈরাজ্যের পথ পরিহার করে সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং জনগণ ও গণতন্ত্রের কল্যাণে অহিংস পন্থায় গঠনমূলক কর্মসূচি পালন করবে। সরকারও এক্ষেত্রে সংযত আচরণ করবে- এটাই সবার প্রত্যাশা।
জাজ মাল্টিমিডিয়ার প্রযোজনায় ২০১৩ সালে ‘ভালোবাসা আজকাল’ সিনেমায় প্রথমবার একসঙ্গে হাজির হয়েছিলেন শাকিব খান-মাহিয়া মাহি। সাত বছর পর ২০২০ সালে তারা জুটি বাঁধেন ‘নবাব এলএলবি’ সিনেমায়। চার বছর পর আবারো একসঙ্গে কাজ করছেন তারা। তাদের দেখা যাবে ‘রাজকুমার’ সিনেমায়। তবে এবার জুটি হয়ে নয় বরং মা-ছেলের ভূমিকায় দেখা যাবে তাদের। সিনেমার পক্ষ থেকে বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছে; যা থাকছে বিশেষ চমক হিসেবে। এ নিয়ে চুপ আছেন চিত্রনায়িকাও। বাংলাদেশ, আমেরিকা, ভারতে কাজ ও দুবাইয়ের বুর্জ খলিফাতে ট্রেলার প্রদর্শনীসহ নানা চমকে ঠাসা ছবি ‘রাজকুমার’। আছেন আমেরিকান অভিনেত্রী কোর্টনি কফি। হিমেল আশরাফ পরিচালিত ঈদের ‘রাজকুমার’ সিনেমায় শাকিব খানের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাহিয়া মাহি।ঘনিষ্ঠসূত্রে জানা যায়, শাকিবের মায়ের ভূমিকায় হাজির হবেন মাহি। বাবা হয়ে পর্দায় আসবেন তারিক আনাম খান। মাহির বিষয়টি নিয়ে ঘনিষ্ঠসূত্রটি বলেছে- ‘মাহি থাকছেন এটা নিশ্চিত। এমন রূপে মাহিকে আগে কেউ দেখেননি, চরিত্রেও নয়। তাকে চেনাটাই দর্শকের জন্য কঠিন হবে।’হিমেল আশরাফ শুরু থেকেই রাজকুমার সিনেমা নিয়ে বেশ কিছু চমকের অপেক্ষা করতে বলেছেন। মাহিও সেই চমকেরই একটি অংশ হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।গত বছরের শেষে ঢাকায় শুরু হয় বিগ বাজেটের এ সিনেমার শুটিং। এরপর পাবনা, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, সাজেক ও আমেরিকার নিউইয়র্কে হয়েছে সিনেমাটির বিভিন্ন অংশের দৃশ্যধারণ।জানা গেছে, পারিবারিক সম্পর্ক এবং একজন স্বপ্নবাজ তরুণের বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রার গল্পকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে রাজকুমার। আসন্ন ঈদে বাংলাদেশের পাশাপাশি সিনেমাটি মুক্তি দেওয়া হবে যুক্তরাষ্ট্র, লন্ডন, মধ্যপ্রাচ্য, কানাডা, ইন্ডিয়াসহ বিভিন্ন দেশে।
বিএমএ নির্বাচনে নির্বাচিত হলে আমলাতান্ত্রিক হস্তক্ষেপমুক্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা গঠন এবং চিকিৎসকদের সার্বিক নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেছেন ‘ডা.বাহার-ডা.তুষার পরিষদ’। গতকাল শনিবার দুপুরে খুলনা বিএমএ ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তারা।লিখিত বক্তৃতায় ডা. শেখ বাহারুল আলম বলেন, দীর্ঘ ৭ বছর পর আগামী ২১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) নির্বাচন। কেবল শুধু নেতৃত্বের হাত বদলের জন্যই নয়, বরং চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্যাসমূহ সমাধানের জন্য বিএমএর এ নির্বাচন। দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি ও আমলাতান্ত্রিক হস্তক্ষেপমুক্ত চিকিৎসাব্যবস্থা গড়তে এবং চিকিৎসকদের সার্বিক নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।তিনি বলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসকদের প্রতিনিধিত্বশীল জাতীয় সংগঠন হয়েও বিএমএ আজ দুর্বল একটি সংগঠন। অথচ এটি হওয়ার কথা ছিলন া। ‘ধ্রুপদী বিএমএ’ একসময় দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী ও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলে চিকিৎসকদের ন্যায্য দাবি-দাওয়া আদায় করার কৃতিত্ব অর্জন করেছিল। অথচ সেই অবস্থা এখন আর নেই। তিনি বলেন, ধ্রুপদী বিএমএ হলে অতীতের মতো একদিকে রোগী-চিকিৎসক, চিকিৎসার পরিবেশ ও নিরাপত্তা পাবে, অন্যদিকে সামাজিক সম্মান ও ভদ্রোচিত আয়ের নিশ্চয়তা পাবে চিকিৎসকরা। বর্তমান বিএমএ হওয়ার কথা ছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রক এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার শক্তিশালী পরামর্শক। তা না হওয়ার কারণে রাষ্ট্রের অবহেলা ও দলীয় লেজুড়বৃত্তি বর্তমান বিএমএকে দুর্বল সংগঠনে রূপান্তর করেছে। সংগঠন এখন আর চিকিৎসকদের হয়ে কথা বলতে পারছে না। সংবাদ সম্মেলনে তিনি ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বেতন বৃদ্ধি, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো অর্গানোগ্রাম, জনবল, প্রযুক্তি ও প্রয়োজনীয় উপকরণসহ পদায়ন, পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা, কোভিড মহামারিতে রাষ্ট্রের প্রতিশ্রুত ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ অন্যান্য ভাতা প্রদান, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের দৃশ্যমান কার্যক্রম, চিকিৎসার নামে কমিশনভিত্তিক বিদেশি হাসপাতালের দালালী করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা, দলীয় লেজুড়বৃত্তি ও অযাচিত আমলাতান্ত্রিক হস্তক্ষেপ বন্ধ এবং চিকিৎসকদের সার্বিক নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নির্বাচিত হলে এই পরিষদ উক্ত বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করবে। সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন খ্যাতিমান চিকিৎসক ও জনপ্রিয় টিভি ব্যক্তিত্ব ডা. আব্দুন নূর তুষার।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এমপি বলেছেন, বর্তমান সরকার অত্যন্ত জনবহুল এদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সামলানোর পাশাপাশি বিভিন্ন বৈশ্বিক সূচকেও ঈর্ষনীয় সাফল্য লাভ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবার এক অপরিহার্য ও নির্ভরযোগ্য ভরসার নাম। এছাড়াও নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা, হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক, সরকারি হাসপাতালে বিনামুল্যে ঔষধ বিতরণ, দেশজুড়ে ঔষধ শিল্পে সফলতা, ইপিআইসহ নানাবিধ কার্যক্রম স্বাস্থ্যখাতে গতি সঞ্চার করেছে। তিনি আরও বলেন, সরকারের এই সাফল্য ধরে রাখতে জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদসহ সকল স্তরের জনগণকে একসাথে কাজ করতে হবে। গতকাল শনিবার বেলা ১২ টায় ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অডিটরিয়ামে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির মাসিক সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। এ সময় উপস্থিত উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসনীম জাহান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফারজানা ফেরদৌস নিশা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জেসমিন আরা, থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম, ওসি (তদন্ত) মুক্ত রায় চৌধুরী (পিপিএম বার), জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বি.এম.এ সালাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এস মৃনাল হাজরা, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কাজী জাফর উদ্দিন, ফুলতলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম মোস্তাফিজুর রহমান, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সেলিনা খাতুন, মেডিসিন কনসালটেন্ট ডা. সাইফুর রহমান, শিশু কনসালটেন্ট ডা. উত্তম কুমার দেওয়ান, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মৃন্ময় পাল, এমওডিসি ডা. তানভীর আহম্মেদ, ডেন্টাল সার্জন ডা. মিলন প্রমুখ। এর পূর্বে প্রধান অতিথি ফুলতলা উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক পদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলমকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।সোমবার (২১ অক্টোবর) ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিষদের ২য় সভায় তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।এতে বলা হয়, সারজিস আলমকে সাধারণ সম্পাদক এবং মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত একটি অরাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবামূলক এবং জনকল্যাণমূলক বেসরকারি সংস্থা।২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের কল্যাণার্থে তাদের পরিবারকে আর্থিক ও মানবিক সহায়তা, পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান বা অন্যকোনো উপযুক্ত সুবিধা এবং আহত বা পঙ্গুত্ববরণকারী ব্যক্তিদের ওষুধপত্রসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা প্রদান, কর্মসংস্থান, আর্থিক ও মানবিক সহায়তা বা অন্যকোনো উপযুক্ত সুবিধা প্রদান করা এ ফাউন্ডেশনের প্রধান লক্ষ্য।
দেশে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে তরুণদের মনস্থির করে স্বপ্ন দেখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার (৩ নভেম্বর) তেজগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে এনডিসি ও এফডব্লিউসি কোর্সের সদস্যদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন তিনি।তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে আমি তরুণদের মনস্থির করতে, চিন্তা করতে ও স্বপ্ন দেখতে উৎসাহিত করি। স্বপ্ন হলো পরিবর্তনের সূচনা। স্বপ্ন দেখলে পরিবর্তন হবে। আপনি যদি স্বপ্ন না দেখেন তবে এটি কখনোই হবে না।’তরুণদের দিকে ইঙ্গিত করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘নিজেকে প্রশ্ন করুন আমি বিশ্বের জন্য কী করতে পারি? একবার আপনি কী করতে চান তা বুঝতে পারলে আপনি তা করতে পারবেন। কারণ আপনার সেই ক্ষমতা রয়েছে।’তিনি বলেন, ‘বিশ্বের তরুণ প্রজন্ম এখন সমগ্র মানব ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রজন্ম। তারা যথেষ্ট স্মার্ট হওয়ার কারণে নয় বরং তাদের হাতে প্রচুর প্রযুক্তি রয়েছে বলে।’প্রযুক্তিকে আলাদিনের চেরাগ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনি যদি ছাত্রবিপ্লবের দিকে তাকান, তবে এটি প্রযুক্তির বিষয়। তারা একে অপরের সঙ্গে খুব দ্রুত যোগাযোগ করতে পারত। তাদের কোনো কমান্ড কাঠামো ছিল না।’ছাত্র নেতৃত্বাধীন বিপ্লব সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশের তরুণ যুবকেরা একটি নতুন বাংলাদেশ দেখতে চায়। তরুণরা রাজনীতিবিদ নয় এবং কোনো রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের চেষ্টাও তারা করছে না। তবে তারা নিজেদের জন্য একটি নতুন দেশ চায়।
‘জয় বাংলা’-কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। এর আগে ‘জয় বাংলা’-কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। গত ২ ডিসেম্বর এ তথ্য জানান অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক।২০২০ সালের ১০ মার্চ ‘জয় বাংলা’-কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে রায় দেন বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ।‘জয় বাংলা’-কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা চেয়ে ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বশির আহমেদের করা রিট আবেদনের শুনানি শেষে এ রায় দেন হাইকোর্টের এ বেঞ্চ।পরে ২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ‘জয় বাংলা’-কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভা। এরপর ২ মার্চ ‘জয় বাংলা’-কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম। আজ সোমবার সন্ধ্যায় সংগঠনের আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।জাতীয় নাগরিক কমিটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নের কার্যক্রমকে সম্প্রসারিত করার লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য সারজিস আলমকে মুখ্য সংগঠক পদে মনোনীত করা হলো। এর আগে গত ২৫ নভেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলমকে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য করা হয়েছিল।ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। সেই অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারীকে আহ্বায়ক ও আখতার হোসেনকে সদস্য সচিব করে গত ৮ সেপ্টেম্বর আত্মপ্রকাশ করে ৫৫ সদস্যের জাতীয় নাগরিক কমিটি।ফ্যাসিবাদি ব্যবস্থার বিলোপ এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের চলমান লড়াই সফল করার লক্ষ্যে ৫৫ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় নাগরিক কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়। ৫৫ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক করা হয় মুহাম্মদ নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারীকে। সদস্য সচিব করা হয়েছে আখতার হোসেন এবং সামান্তা শারমীনকে মুখপাত্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরে দুই দফায় আরও ৫২ জনকে সদস্য হিসেবে কমিটিতে যুক্ত করা হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৫ নভেম্বর যে ৪৫ জনকে সদস্য করা হয়, তাঁদের মধ্যে সারজিস আলমও ছিলেন।জাতীয় নাগরিক কমিটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের লক্ষ্যে দেশের থানা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি করছে তারা। এখন পর্যন্ত দেশের ৪৪টি থানা ও উপজেলায় প্রতিনিধি কমিটি করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। চলতি ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশের সব থানায় কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছে তারা। জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, রাজনৈতিক ব্যবস্থার সংস্কার, মিডিয়া হাউজসহ দেশের সব সেবা খাত সংস্কারে কাজ করবে জাতীয় নাগরিক কমিটি। দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হবে। গ্রাম পর্যন্ত ছড়ানো হবে। যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে। রাষ্ট্র গঠনের জন্য এই কমিটি। নতুন রাজনৈতিক বন্দবস্ত করা হবে। এবার ব্যর্থ হবার সুযোগ নেই।জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক হিসেবে মনোনীত হওয়া সারজিস আলম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ২০১৬–১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হল সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন সারজিস। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে তিনি ব্যাপক পরিচিতি পান। সারজিস একই সঙ্গে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করছেন।
ADDVERTISE HERE 336 x 280
ADDVERTISE HERE 728 x 90
ADDVERTISE HERE 728 x 90
© 2024 All rights reserved by the owner.