খুলনা প্রতিনিধি জনাকীর্ণ প্রকাশ্য আদালতে শুনানী শেষে মৌখিক আদেশ ডিক্লেয়ার করার পরে রহস্যজনকভাবে বিবাদী পক্ষ দ্বারা প্রভাবিত ও দুর্নীতির মাধ্যমে আর্থিকভাবে অবৈধ সুবিধা ভোগ করে চূড়ান্ত শুনানী গোপনে বাতিলের অভিযোগ উঠেছে। খুলনার চানমারী বাজারের মাসুমা আক্তার নামের এক অসহায় নারী সম্প্রতি খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিতভাবে এমন অভিযোগ করেছেন। ওই চক্রটি মাসুমাকে প্রাণ নাশের হামকিও দিচ্ছে।অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ২০২৩-২৪নং মিস কেসের হুকুম মোতাবেক পৃথক ৩৭৩০নং খতিয়ানে ০.১৬৬৩ একর জমি আমার নামে রেকর্ড করাইয়া সর্বসাধারণের জ্ঞাতসারে খাজনাদি পরিশোধ করতঃ ওয়ারেশগণের সাথে আপোষ বণ্টন মতে ২৫৫১ নং দাগে ভোগ দখলরত আছি। ২০২২ সালে বিবাদীগণ আমার উক্ত ভোগ দখলীয় জমি জোর পূর্বক দখলে নিতে চাওয়ায় আমি জানতে পারি যে, আর, এস-৪৫৮নং খতিয়ানের রেকর্ডীয় মালিক সুরেশ চন্দ্রের মৃত্যুয়ান্তে উক্ত খতিয়ানে তাহার নামে কোন সম্পত্তি না থাকা সত্ত্বেও তাহার ওয়ারিশগনের নিকট হইতে ২৩/৫/২০১৭ তারিখের ৩২২৯নং আমমোক্তার দলিল মূলে মোঃ আবু শাহাদাৎ বাবুল নামক জনৈক ভূমি দস্যু ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর বর্তমানে ভোল পাল্টে দুর্ধর্ষ ধুরন্ধর ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী, পরসম্পদ লোভী মিস্টি ভাষী উক্ত আবু শাহদাৎ বাবুলের প্ররোচনায় আমার ভোগ দখলীয় সম্পত্তি আমমোক্তার দলিলমূলে ১ ও ২নং বিবাদী ইং ২৭/১১/২০১৮ তারিখে ৯০৮৩ ও ৯০৮৪নং দলিলমূলে ০.১৩২০ একর জমি খরিদ করিয়া তাহাদের নামে নামপত্তন করিয়া আমার ভোগ দখলকৃত আর,এস ২৫৫১ নং দাগে আমার চৌহদ্দীর মধ্যে না থাকা সত্ত্বও জোর পূর্বক দখল করার পায়তারা করিতেছে।এমতাবস্থায়, আমি উপায়ান্ত না পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বটিয়াঘাটা, খুলনা বরাবর বিবাদীগণের ৯.৯৫৪ (XI-I)/২০১৮-১৯ নং ভূয়া, তঞ্চকী জাল কাগজপত্রাদি করে নামজারী কেস বাতিলের জন্য ১৫০ ধারার বিধান মতে জাল জালিয়াতিভাবে সৃজনকৃত কাগজপত্রের বুনিয়াদে এসি ল্যান্ড অফিসকে ম্যানেজ করে নামজারী করে যা বাতিলের আবেদন করি। কাগজপত্রাদি পর্যালোচনা করে মোঃ আসাদুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি), বটিয়াঘাটা, খুলনা পর্যালোচনা করিয়া ওপেন কোর্টে চূড়ান্ত শুননী শেষে ১৫০ ধারা মোতাবেক উক্ত ভুয়া যোগসাজসী নামজারি ও নাম পত্তন বাতিলের প্রকাশ্য আদালতে মৌখিক আদেশ প্রদান করেন। আমি বিজ্ঞ সহকারী কমিশনার (ভূমি), বটিয়াঘাটা মহোদয় ইং ০৮/৯/২৪ তারিখের রায়ের নকল কপি পাওয়ার জন্য প্রধান সহাকরী আজিজুর রহমানের নিকট গেলে আজ দিব কাল দিব, স্যার স্বাক্ষর করেননি, এভাবে ইং ১৬/৯/২৪ তারিখ পর্যন্ত প্রতিদিন উপজেলা ভূমি অফিসে উপস্থিত হলেও আমাকে রায়ের নকল কপি সরবরাহ করেননি এবং ১৭/৯/২৪ তারিখে অফিস পিয়ন নিরুতোষ মারফৎ আমাকে মুঠোফোনে জানান আপনার ২৪২/২০২৩-২৪ কেসের ইং ০৫/৯/২০২৪ তারিখের রায় বাতিল হইয়াছে পুনরায় ইং ১০/১০/২৪ তারিখে শুনানীর তারিখ ধার্য করা হয়েছে। উক্ত অফিসে কর্মরত আজিজুর রহমান আমার পক্ষের রায় নিশ্চিত করিতে আমার নিকট হইতে এক লক্ষ টাকা টাকা ঘুষ দাবী করেন এবং খুলনা নিউ মার্কেটের পিছনে জুসের দোকানের সামনে সন্ধ্যার পরে টাকা দিতে বলেন, আমি কোন উপায়ান্ত না পেয়ে আজিজুর রহমানকে নগদ ৩০,০০০ টাকা প্রদান করি। উক্ত আজিজুর রহমান ২৪/১০/২৪ তারিখে পুনরায় শুনানীর তারিখ ধার্য করেন এবং শুনানীর জন্য উপস্থিত হইলে শুনানীর দিন স্থানান্তর করিয়া উক্ত আজিজুর রহমান শুনানীর তারিখ পরির্তন করে ০৭/১১/২৪ তারিখে শুনানীর তারিখ ধার্য করেন। আমি আজিজুরকে তার দাবীকৃক্ত ঘুষের ৭০,০০০টাকা না দিতে পারায় আজিজুর রহমানের প্রত্যক্ষ মদদে নতুন সহকারী কমিশনার স্যার আমার কাগজপত্রাদি পর্যালোচনা না করেই কেসটি খারিজ করিয়া দিয়া আমাকে ন্যায় বিচার হইতে বঞ্চিত করেন। পরে আমি আজিজুরের কাছে আমার নিকট হইতে নেওয়া ৩০,০০০টাকা ফেরত চাইলে তিনি নিউ মার্কেটের পিছনে জুসের দোকানের সামনে ও ভূমি অফিসের ৪/৫জন স্টাফদের সামনে ২০,০০০ টাকা ফেরৎ প্রদান করেন, যা আরও লোকজন সাক্ষী রয়েছেন। বাকী ১০,০০০ টাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি), বটিযাঘাটাকে দিয়েছেন বলে জানান এবং আরও বলেন যে, বিবাদী পক্ষ বেশী টাকা দেওয়ায় তাদের পক্ষে আদেশ হয়েছে। এরপর বিবাদী পপি আক্তার সুইটি আমার নামে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এর মূল হোতা লবনচরার আবু শাহদাৎ বাবুল ও কাজী কামাল।এমন প্রেক্ষিতে যাতে সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে আমি ন্যায় ও সুবিচার পেতে পারি এবং দুর্নীতিবাজদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হয় তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়।
2024-12-12