কেন্দ্র ঘোষিত প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে বৈরী আহহাওয়ার মধ্যে খুলনা জেলা গনঅধিকার পরিষদ কতৃক আয়োজিত " সরকার ও শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের ১ দফা দাবিতে সমাবেশ ও পদযাত্রা " খুলনার প্রাণকেন্দ্র শিববাড়ি মোড়ে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত প্রোগ্রামে সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা গণঅধিকার পরিষদের সংগ্রামী আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় সংসদের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মো: বিল্লাল হোসেন, আর ও উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা গণঅধিকার পরিষদ এর সম্মানিত সদস্য সচিব (ভারপ্রাপ্ত) জি,এম আজিজুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি যগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারহাদ হাসান রাজ,খুলনা জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সংগ্রামী সভাপতি রাজু হাওলাদার, খুলনা মহানগর ছাত্র অধিকার পরিষদ এর সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির রহমান শুভ,ডুমুরিয়া উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সংগ্রামী সদস্য সচিব মাজেদুল ইসলাম মুন্না সহ অন্যান নেতাকর্মী।
খবর বিজ্ঞপ্তিঃ খুলনা জেলা যুবলীগ নেতা আল মোমিন লিটনের মমতাময়ী মা অসুস্থ অবস্থায় রুপসার আইচগাতিস্থ বাসভবনে চিকিৎসাধীন আছেন। তার অসুস্থতার খবর শুনে গতকাল বেলা ১২টায় তাকে দেখতে ও চিকিৎসার খোজ খবর নিতে ছুটে যান খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান জামাল। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পাপিয়া সরোয়ার শিউলি, মোঃ জামিল খান, যুবনেতা বিধান চন্দ্র রায়, তালিউর রহমান সানি, মোঃ ফারুক মাস্টার, বদরুল আলম তয়ন, এ্যাড. জাহিদ ইসলাম, ইসমাইল মৃধা ইমন, অয়ন রহমত উল্লাহ প্রমুখ।
বিজ্ঞপ্তি খুলনার ফুলতলা উপজেলার বেজেরডাঙ্গা-যোগিনীপাশা বাজারে গণসংযোগ এবং শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের লিফলেট বিতরণ করেন খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনয়ন প্রত্যাশী, খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতি ও সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম।একসময় উপস্থিত ছিলেন ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহানেওয়াজ হোসেন জোয়ারদারসহ ডুমুরিয়া ফুলতলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট মো. এনামুল হক, এ্যাড. এস এম তারিক মাহমুদ তারা, এ্যাড. এম এম সাজ্জাদ আলী, এ্যাড. কে এম ইকবাল হোসেন, কাজী আলমগীর হোসেন, আফরোজা খানম মিতা, সরদার আব্দুল গনি, অধ্যাপক হযরত আলী, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, মোঃ ইউসুফ আলী, দীপক চন্দ্র মন্ডল, আনিসুর রহমান, নবিরুল ইসলাম রাজা, সাংবাদিক মল্লিক সুধাংশু, রামপ্রসাদ জোরদার, আদিত্য মন্ডল, এ্যাড. সরুপ নন্দী, এ্যাড. আয়ুব আলী, এ্যাড. তারিক হাসান মিন্টু, এ্যাড. মোহাম্মদ নাসির, হিমাংশু বিশ্বাস, অধ্যাপক শশাঙ্ক মল্লিক, সিরাজ মেম্বার, শাহিন সরদার মেম্বার, এ্যাড. আখতারুন্নেসার তিতাস, এ্যাড. ইয়াসিন, এ্যাড. কঙ্কন, এ্যাড. নৃপেন দাস, এ্যাড. সাহারা ইরানি পিয়া, এ্যাড. সঞ্জীব দাস, মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম, আরমান কাজী, এ্যাড. সুবীর কুমার, এ্যাড. মিরাজ, এ্যাড. শারমিন সুলতানা, এ্যাড. নাবিলা মুনমুন, এ্যাড. আরিফা খাতুন, মোঃ শাহাবুদ্দিন, মোহাম্মদ সাব্বির গাজী, নাজমুল হোসেন, মোহাম্মদ তাহাসিন, মোহাম্মদ সাজ্জাদ আলী, মোহাম্মদ মঈন, আরাফাত হোসেন, মোঃ সুমন, এ্যাড. শেখ আশরাফ আলী পাপ্পু, এ্যাড. রথীন্দ্রনাথ সরদার, এ্যাড. মানিক চৌধুরী, এ্যাড. মেহেদী হাসান, এ্যাড. অশোক গোলদার, এ্যাড. আব্দুল কুদ্দুস, মোঃ শরিফুল ইসলাম মুন্না, ওহিদুজ্জামান গোলাপ, মোঃ রফিকুল ইসলাম বাবু, ইমরুল কায়েস, উৎপল মল্লিক, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, অ্যাডভোকেট উল্লাস কর বৈরাগী, ব্যাংকার আব্দুল হামিদ, ব্যাংকের আব্দুল মান্নান, মোহাম্মদ রিয়াজ হোসেন, মোঃ ফেরদৌস হোসেন, মোঃ সুইট, মোঃ ফারুক হোসেন, মো. আশরাফ আলী, শরিফুল ইসলাম লিটু, মোহাম্মদ মেহেদী হাসান, সাংবাদিক সোহেল, মোঃ রুহুল হোসেন, রফিকুল ইসলাম রাসেল, মো. কামরুল ইসলাম, হায়দার আলী, আব্দুল মান্নান, পিয়ার হোসেন, মো. সাগর, উৎপল মল্লিক, সৌমিক দে, রাজন কুমার, মোহাম্মদ শাহেদ, ওয়াহিদ মিন্টু, বিল্লাল হোসেন, মোহাম্মদ শাহিন, মো. আলমগীর হোসেন, মো. জাকির হোসেন, ইমরান হোসেন, রাজু মোহরি, ইয়াসিন মেম্বার, মোঃ সোলায়মান, মোহাম্মদ হানিফ প্রমূখ।
পদত্যাগের ঘোষনা দিয়েছেন খুলনার শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা৷ আজ ১০ অক্টোবর, মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে একযোগে পদত্যাগের ঘোষনা দেন তারা। কলেজ কমিটির ২৫ জন সদস্যের পক্ষে বিবৃতিতে সাক্ষর করেন আহবায়ক মহরম হোসেন মাহিম ও সদস্য সচিব সাব্বির হোসেন।পদত্যাগকৃতরা হলেন, আহবায়ক মহরম হাসান মাহিম, সদস্য সচিব সাব্বির শেখ, যুগ্ম আহবায়ক আহাদ জিহান, ইসরাত সুলতানা ঋতু, কৌশিক মন্ডল, হামিম মাহমুদ রকি, মন্জুরুল ইসলাম জিহাদ, আরফিন মামুন, যুগ্ম সদস্য সচিব জয়দেব মিস্ত্রি, ঋতুপর্ণা সরকার, মোস্তফা সারওয়ার, মোঃ সালমান সরকার, মুকুট মন্ডল, আশিক আহমেদ, কার্যনির্বাহী সদস্য সাঈদ জাকির, সাফায়েত ইসলাম, মোহাম্মাদ সাকিব, মোঃ রায়হান, মিম ইসলাম, মোঃ জুবায়ের ইসলাম, তিসা আক্তার, আশরাফুল ইসলাম, মোঃ রিয়াদ ইসলাম, সুরাইয়া আক্তার ও আব্দুর রহিম।বিবৃতিতে বলা হয়, নানান ঘটনা প্রবাহে নীতি ও আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র সংগঠন গড়ে তোলা, রাজনীতির নামে গতানুগতিক অপরাজনীতি চর্চা ও সাধারণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতিভঙ্গের কারণে আমাদের এই সম্পর্কের ইতি টানতে হচ্ছে। একের পর এক নেতাদের ভুল সিদ্ধান্ত, অযাচিত পদক্ষেপ, নীতি ও আদর্শ বিবর্জিত বক্তব্য, স্বেচ্ছায় বিপথগামী হওয়া, নিজেদের অন্যায় ঢাকতে নেতাদের একেরপর এক মিথ্যাচার এবং দ্বি-খন্ডিত গণঅধিকার পরিষদের ২ মেরুর পথচলা আমাদের নিরাশ করেছে এবং পাশাপাশি তৃণমূলে কাজ করার পরিবেশ নষ্ট করেছে।এরআগে গত ৫ আগষ্ট পদত্যাগের ঘোষনা দেন জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি। একদিন পর সাংগঠনিক সম্পাদক সহ পদত্যাগ করেন জেলা শাখার আরো প্রায় ২ ডজন নেতা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষে খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগ ও আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম শিশু এবং দরিদ্রদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. এস. এম. তারিক মাহমুদ তারা, মহানগর যুবলীগের সভাপতি সফিকুর রহমান পলাশ, এ্যাড. এনামুল হক, এ্যাড. কে এম ইকাবাল হোসেন, এ্যাড. এম এম সাজ্জাদ আলী, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হাই পলাশ, মোহাম্মদ সেলিম মুন্সি, শিহাব উদ্দিন, এ্যাড. আব্দুল কুদ্দুস, এ্যাড. প্রজেস রায়, শরিফুল ইসলাম মুন্না, মোহাম্মদ ইশতিয়াক, আব্দুল আজিজ, মোহাম্মদ সাগর, কামরুল ইসলাম, মোঃ হায়দার আলী, মোহাম্মদ রফিক প্রমুখ।##
নগরীর নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের মাঝে শনিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী ও খুলনা-২ আসনের বর্তমান সাংসদের উন্নয়ন চিত্রের লিফলেট বিতরণ করেন নারী নেত্রীরা। এ সময় নেত্রীরা বলেন, শুধু উন্নয়ন নয়, শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকলে ব্যবসায়ীদেরও উন্নতি ঘটে। চলমান কাজ ও আগামীতে যে সকল উন্নয়নমূখী মেগা প্রকল্পগুলো সরকার হাতে নিয়েছে সেগুলোও তারা জনসাধারণের মাঝে তুলে ধরেন। উন্নয়ন চিত্রর লিফলেট বিতরণকালে আগামী ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুলনার সার্কিট হাউজ ময়দানের জনসভায় সকলকে উপস্থিত থাকারও আহবান জানান। যুব মহিলা লীগের সম্মেলণ প্রস্তুত কমিটির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক নাসরিন ইসলাম তন্দ্রার তত্বাবধানে এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও বয়রা সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক জিএস আফসানা ফেরদৌস কেকা, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শিউলী বিশ্বাস, সাবেক ছাত্রনেতা আফরোজা জেসমিন বিথি ২৮ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেখা খানম, মাহবুবা আক্তার সুমি, জেসমিন আরা লাকি, ঝুনু, নাজমা হোসেন, শান্তা, তাসলিমা, চায়না, কালো, দুঃখী, শাকিলা, চাঁদনী, শাহানা, পারভিন, সিমা, আঁখি, লাকি, মেঘনা, শিরিন প্রমুখ।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, জালাও, পোড়াও ও অগ্নিসংযোগ করে ক্ষমতায় আসা যায় না। বিএনপি-জামায়াত আবারও প্রমান করেছে তারা সন্ত্রাসী দল। তাদের কাছে দেশের জনগন নিরাপদ নয়। শান্তিপূর্ণ সমাবেশের নামে বিএনপি জামায়াত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে যে তান্ডব চালিয়েছে তা ফিলিস্তিনিতে ইসরাইলী হামলার চেয়ে ভয়ংকর। তারা একজন পুলিশ সদস্যকে সাপ পিটান পিটিয়ে হত্যা করেছে। তারা ২১ জন সংবাদকর্মীকে আহত করেছে। তাদের দেয়া হরতাল ইতিমধ্যে জনগন প্রত্যাক্ষান করেছে। আজ থেকে ৩ দিন ব্যাপী অবরোধের চিত্রও বাংলার জনগন বয়কট করেছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগি সংগঠনকে সজাগ াকতে হবে যাতে কোন উপজেলায়, ানায় বা ইউনিয়ন এমনকি ওয়ার্ডেও কোন পাড়া-মহল্লায় যাতে বিএনপি ও জামায়াতের সন্ত্রাসীরা কোন তান্ডব চালাতে পারে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত সকল নেতাকর্মীকে মাঠে থেকে সকল সন্ত্রাসী কর্মকান্ড রোধে কার্যকরী ভ’কিা রাখার আহবান জানান। তিনি মঙ্গলবার সকালে ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। ইউনিয়ন সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান দুলুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ রায়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শান্তি সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান জামাল, কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবু সালেহ,জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পাপিয়া সরোয়ার শিউলি, মোঃ জামিল খান, জেলা মৎস্য জীবী লীগের সভাপতি হাজী সাইফুল খান, সরদার জাকির হোসেন, জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মাহাফুজুর রহমান সোহাগ, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইমরান হোসেন, জিএম ফারুক হোসেন,উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক প্রভাষক গোবিন্দ ঘোষ, মোঃ ইকবাল হোসেন,বিধান চন্দ্র রায়, কবির আহম্মেদ মনা, শিমুল বিশ্বাস, সরদার শরীফুল ইসলাম, রাফেল হোসেন বাবু, মোঃ আল আমিন,মাহামুদ আল হাসান গালিব,জাকির হোসেন মিল্টন,মেহেদী হাসান রাজা,বিশ্বজিৎ মজুমদার,তানভীর রহমান আকাশ,চিশতি নাজমুল বাশার সম্রাট, আহসান আহম্মেদ পাভেল, মোর্শেদ রিয়াদ,খান আবুল বাশার,শেখ মাসুদ রানা,আবু দাউদ,মোঃ কামরুল ইসলাম,ফরহাদ হোসেন বাবু,সৈকত আহম্মেদ জন, মনোজ সরকার,রতন ঘোষ,কে এম মফিজুল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম বাবু,আবু সাঈদ খান,জাহিদুর রহমান,রাসেল সরদার প্রমুখ।
খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি আদশির্ক সংগঠন। দেশ ও জাতির স্বার্থে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পূণরায় ক্ষমতায় আনতে তৃনমুলের সকল নেতৃবৃন্দকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৩ নভেম্বরের সার্কিট হাউস মাঠের জনসভা সফল করতে । আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের সকল নেতৃবৃন্দ ভেদাভেদ ভূলে একসাথে কাজ করতে হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচন সফল ও আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত করতে সার্কেট হাউস মাঠের এ জনসভা বিশাল ভূমিকা রাখবে।আগামী ১৩ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুলনায় বিশাল জনসভা সফল করার লক্ষ্য, গতকাল বুধবার বারাকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গাজী আঃ রউফের সভাপতিত্বে বিকাল ৪ টায় বারাকপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ওয়াদুদের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এম, এ রিয়াজ কচি, দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোল্লা আকরাম হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারহানা হালিম, সামসুন্নাহার, মিলন কান্তি দে, গাজি সাহগীর রহমান পাভেল, সোমনাথ কুন্ডু, জয়ব্রত বাছাড়, শেখ হাফিজুর রহমান, শাহ আলম, শেখ আঃ রহমান, গাজী নাসির উদ্দীন, হারুন মিনা, উত্তম কুমার, সিরাজ শেখ, গাজী ফরহাদ হোসেন, মোঃ জুলফিকার, মঞ্জুয়ারা বেগম, আলী বাকের প্রিন্স, মুরাদ গাজী,আঃ কাদের গাজি, আকুব্বার বিশ্বস, গাজি আলম, ইকলাস শেখ, মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, হাসেম মোল্লা, হায়দার মোল্লা, আবজাল, মোঃ শরিফুল ইসলাম, চৌধুরী সাহিদুল ইসলাম, আজিবর শেখ, ইসরাইল চৌধুরী, শরিফ গাজী, তাপস বিশ্বাস, নিলমনি বিশ্বাস প্রমূখ।
গণতন্ত্র মঞ্চসহ সকল বিরোধী রাজনৈতিক দল আহুত সারাদেশে ৩ দিনব্যাপী অবরোধ জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও গণতান্ত্রিক এবং শান্তিপূূর্ণভাবে সফল করায় খুলনাসহ দেশবাসীর প্রতি অভিনন্দন জানিয়েছেন গণতন্ত্র মঞ্চ খুলনা জেলা ও মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের সিংহভাগ মানুষ আজ ফ্যাসিবাদী সরকারের দুষ্টচক্রের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। দেশের সর্বক্ষেত্রে অরাজক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নিত্যপণ্যসহ সকল দ্রব্যসামগ্রী মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। সরকারই এখন দুর্নীতি লুটপাটের সিন্ডিকেটে পরিণত হয়েছে। জনগণের কণ্ঠরোধকারী এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের পুঞ্জিভ‚ত ক্ষোভ রয়েছে। ফলে দেশ ও সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে সারাদেশের মানুষ বিরোধী দলের ডাকে সাড়া দিয়ে অবরোধ কর্মসূচি সফল করে তুলেছেন। গণআন্দোলনে ভীত হয়ে সরকার কূটকৌশল অবলম্বন করে তার পেটোয়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও তাদের দলের সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ওপর হামলা চালিয়েছে। আর সেই হামলার দায় বিরোধী দলের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু মানুষ তাদের এই হীন ষড়যন্ত্র জেনে গেছে। জনগণের ঐক্য ধরে রেখে আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বিরোধী দলের নেতাদের ওপর হামলা, নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানান। গ্রেফতারকৃত বিএনপিসহ অন্যান্য দলের নেতৃবৃন্দের অবিলম্বে মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। বিবৃতিদাতারা হলেন, গণতন্ত্র মঞ্চ খুলনা জেলা ও মহানগর আহবায়ক ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) খুলনা মহানগর সভাপতি খান লোকমান হাকিম, সদস্য সচিব ও গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা আহবায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল, জেএসডি মহানগর সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবদুল খালেক, জেএসডি খুলনা জেলা সাধারণ সম্পাদক স, ম, রেজাউল করীম, মহানগর সাধারণ সম্পাদক রাশিদুল আহসান বাবলু, নাগরিক ঐক্য খুলনা মহানগর আহবায়ক এ্যাড,ডঃ জাকির হোসেন, সদস্য সচিব কাজী মোতাহার রহমান বাবু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি খুলনা জেলা সম্পাদক কেএম আলীদাদ, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) খুলনা মহানগর সভাপতি মোস্তফা কামাল।
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধ চলাকালে রূপসায় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। ৫ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রূপসা-বাগেরহাট পুরাতন সড়কের তালিমপুর ভূমি অফিস সংলগ্ন মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানায়, মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের মালিকানাধীন খুলনা-মোংলা লোকাল রুটের খুলনা-ব-৯১৭ নম্বরের “মায়ের আচল” যাত্রীবাহী বাসটি ৫ নভেম্বর দুপুরে উপকারভোগীদের নিয়ে উপজেলার বঙ্গবন্ধু কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে যায়। সেখান থেকে সন্ধ্যায় ফেরার পর চালক অমিত কুমার দাস বাসটি তালিমপুরস্থ নৈহাটী ইউনিয়ন ভূমি অফিস সংলগ্ন মসজিদের সামনে রেখে বাড়িতে যায়। এমতাবস্থায় কিছুসংখ্যক ব্যক্তি ভ্যান যোগে এসে বাসে অগ্নি সংযোগ করে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ তদন্ত মোঃ সিরাজুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ অর্থনৈতিক মুক্তির দ্বারপ্রান্তে। কিন্তু জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি-জামায়াত গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। দলের প্রত্যেকটি নেতা-কর্মীকে সর্বদা সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। উন্নয়নমূলক কর্মকা-ে বাধা দিলে তাদের রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করতে হবে।সালাম মূর্শেদী বলেন, গ্রামে-গঞ্জে অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসাসেবা নেওয়ার জন্য তাদের আর্থিক অনুদানের চেক প্রদান করা হচ্ছে; এটা একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যার দ্বারা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন হয়। দেশের মানুষ তাদের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা পায়। তাই এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনার সরকারকে পুণরায় নির্বাচিত করতে হবে।গতকাল শনিবার (১১ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় দিঘলিয়া উপজেলা পরিষদের একটি কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আর্থিক অনুদানের চেক ও সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদীর ঐচ্ছিক তহবিল থেকে নগদ অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।উপজেলা নির্বাহী অফিসার খান মাসুম বিল্লাহ’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ মারুফু ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খান নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোল্লা আকরাম হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আ’লীগের সদস্য অধ্যক্ষ ফ ম আব্দুস সালাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক মোঃ মোতালেব হোসেন, দিঘলিয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হায়দার আলী মোড়ল, সেনহাটী ইউপি চেয়ারম্যান গাজী জিয়াউর রহমান, গাজীরহাট ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা মফিজুল ইসলাম ঠান্ডু, বারাকপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাহগীর হোসেন পাভেল, আ’লীগ নেতা কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী হেলাল, শেখ আনছার আলী, যুবলীগ নেতা শেখ মনিরুল ইসলাম, শেখ ইয়াজুল ইসলাম, শেখ ফরহাদ হোসেন ফারাক, অবসরপ্রাপ্ত সহকারী পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু হারুনার রশিদ, দিঘলিয়া উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তারেক, সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার ওয়াহিদ মুরাদ, যুগ্ম-সম্পাদক কেএম আসাদুজ্জামান, সহ-সম্পাদক মোঃ মনিরুল ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক রানা মোল্লা, কৃষক লীগ নেতা শেখ আব্দুর রহমান, দেলোয়ার হোসেন, মোঃ জাকারিয়া, শুকুর আলী মোল্লা প্রমুখ।এরপর তিনি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা যুবলীগ আয়োজিত যুবলীগের ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেককাটা, আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শেখ মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ইয়াজুল ইসলামের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ মারুফুল ইসলাম, উপজেলা আ’র্লীগের সভাপতি খান নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোল্লা আকরাম হোসেন। #
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় (কুয়েট) শাখার আয়োজনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুলনায় আগমন উপলক্ষ্যে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১১ নভেম্বর শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিল বিশ^বিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামের সামনে থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাস এবং ফুলবাড়ীগেট প্রদক্ষিণ শেষে দুর্বার বাংলা প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। মিছিলে নের্তৃত্ব দেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কুয়েট শাখার সভাপতি রুদ্রনীল সিংহ শুভ ও সাধারণ সম্পাদক এ. কে. এম. নিবিড় রেজা। মিছিলে বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কুয়েট শাখার নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান মন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে খুলনা বিভাগ সেজে উঠেছে অপরূপ সাজে। ১৩ নভেম্বর ঘর থেকে বেরিয়ে আসবে নারী-পূরুষ। ১০ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটবে এ দিনে। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর খুলনা বিভাগের মানুষ প্রাণপ্রিয় প্রধানমন্ত্রীকে কাছে পাবে। তাই তাদের মাঝে বিপুল উৎসাহ উদ্দিপনা বিরাজ করছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলার গ্রাম-গঞ্জ থেকেই বাস-ট্রাক-লঞ্চ যোগে হাজার হাজার মানুষ সমাবেশ স্থলে এসে হাজির হবেন। এমনকি দুর-দুরান্তের মানুষ একদিন আগেই খুলনায় এসে পৌঁছবেন।বিষয়টি নিয়ে খুলনার তরুণ নেতা জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান জামাল বলেন, খুলনার মনুষের মাঝে যেন নতুন করে প্রাণ ফিরে এসেছে। খুলনার যেদিকে তাকানো হোক বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর হাতের ছোঁয়া সর্বত্র লেগে আছে। খুলনা আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল, খুলনা মোংলা রেল লাইন, রূপসাব্রিজ, মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়, বিভিন্ন সড়ক মহাসড়কসহ অসংখ্য উন্নয়নের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৮ সালের ৩ মার্চ তিনি খুলনায় ৯৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন করে ছিলেন। এবার তিনি আরও ২৪টি প্রকল্পের উপহার দিবেন। খুলনার কথা সব সময়ই তার স্মরণে গাঁথা আছে। তাই না চাইলেও খুলনার মানুষ অনেক কিছুই পেয়ে যায়। তরুণ এই নেতা আরও বলেন, খুলনা-৪ ও ৬ আসনের মানুষের সাথে আমি কথা বলেছি। সেখান থেকে লক্ষাধিক নেতাকর্মী প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ স্থালে আসতে প্রস্তুতি নিয়ে আছেন। সোমবারের জনসমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হবে।
আগামী ১৩ নভেম্বর এর সমাবেশ সফলে যুবলীগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এর চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিল এর নির্দেশ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা জনসমুদ্রে পরিনত করতে নিরলস কাজ করতে হবে যুবলীগকে। শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি ও শেখ সোহেল এর নেতৃত্বে ১৩ তারীখের জনসভা সফলের মধ্যদিয়ে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের জবাব দেওয়া হবে। আগামী দ্বাদশ নির্বাচনের আগ মুহুর্তে এই সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য দিবেন। পাশাপাশি এই অঞ্চলের উন্নয়নে সরকারের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশ সফলের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এর বিভাগীয় প্রস্তুতি সভায় এ কথা বলেন নেতৃবৃন্দ।বৃহস্পতিবার (০৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় এই প্রস্তুতি সভা। প্রস্তুতি সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) এ্যাড: শামীম আল সাইফুল সোহাগ এর সঞ্চালনায় ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) সুব্রত পালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম, ইঞ্জি: মৃণাল কান্তি জোয়ার্দার, মো: আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম, এ্যাড: শেখ নবীরুজ্জামান বাবু, মো: বাবলুর রহমান, খুলনা মহানগর যুবলীগ এর সভাপতি সফিকুর রহমান পলাশ, খুলনা জেলা যুবলীগ এর সভাপতি চৌধুরী মো: রায়হান ফরীদ, বাগেরহাট জেলা যুবলীগ এর সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন, নড়াইল জেলা যুবলীগ এর আহবায়ক ওয়াহিদুজ্জামান, সাতক্ষীরা যুবলীগ এর আহবায়ক মিজানুর রহমান, যশোর জেলা যুবলীগ এর সভাপতি মোস্তফা আহমেদ চৌধুরী, খুলনা মহানগর যুবলীগ এর সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন, খুলনা জেলা যুবলীগ এর সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি: মাহাফুজুর রহমান সোহাগ, বাগেরহাট জেলার সাধারণ সম্পাদক মীর জায়েসী আশরাফী জেমস, যশোর জেলার রেন্টু চাকলাদার, সহ সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, গোপালগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি/আহবায়ক ও সাধারণ সম্পাদক/যুগ্ম আহবায়ক সহ আট জেলা ও এক মহানগরের অন্তর্গত উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড সহ সভাপতি/আহবায়ক ও সাধারণ সম্পাদক/যুগ্ম আহবায়করা উপস্থিত ছিলেন।অপরদিকে সন্ধ্যায় ১৩ নভেম্বর এর সমাবেশ সফলে দলীয় স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা।নগর যুবলীগের সভাপতি সফিকুর রহমান পলাশের সভাপতিত্বে ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল এর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রনজিত কুমার ঘোষ, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজনসহ নগর যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ৩২৭ জন স্বেচ্ছাসেবক।
আলহাজ্ব ইঞ্জি. এস. এম. শফিকুল ইসলামকে আহবায়ক ও মোঃ সালাউদ্দীন রাজীবকে সদস্য সচিব করে গণঅধিকার পরিষদ খুলনা মহানগর শাখার নতুন কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক ড. রেজা কিবরিয়া ও সদস্য সচিব ফারুক হাসান সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।কমিটিতে অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন, যুগ্ম আহবায়ক জাহিদুল ইসলাম, ইয়াফেজ ইস্তেহাদ দ্বীপ, রেজাউল করিম পলাশ, সাইফুল্লাহ বাবু, সাবেক সেনাকর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, মোঃ সোহাগ, মোঃ সাইফুল ইসলাম, মোঃ রাশেদ, আনোয়ারুল ইসলাম, ইলিয়াস হোসেন, ইমরান হোসেন, যুগ্ম সদস্য সচিব সৈয়দ নূর মোহাম্মাদ, আলাউদ্দীন খান, সুজন আহমেদ বাবু, আসিফ শেখ, রাসেল আকুঞ্জি, সাইফুল ইসলাম রাজু, সোহেল রানা, কার্যনির্বাহী সদস্য সাদেকুর রহমান মিলন, আলী আকবার, মোঃ সজীব, আফজাল হাওলাদার, উজ্জ্বল মিয়া, মোঃ সুমন, ইলিয়াস হোসেন, জুয়েল খাঁ, মুন্না খান, মোঃ তারেক, এস. এম. সাজিব। নবনির্বাচিত আহবায়ক এস. এম শফিকুল ইসলাম বলেন, চলমান ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে খুলনার রাজপথে গণঅধিকার পরিষদ সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে ৷
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে খুলনা ৫ (ডুমুরিয়া- ফুলতলা) আসনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন মনোনয়ন প্রত্যাশী অ্যাডভোকেট মোঃ সাইফুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ নেওয়াজ জোয়ারদার,কেসিসি প্যানেল মেয়র- ১ এস এম রফি উদ্দিন আহমেদ, অ্যাডভোকেট মাহমুদ এনামুল হক, এডভোকেট এসএম তারিক মাহমুদ তারা, সাংবাদিক মল্লিক সুধাংশু,অ্যাডভোকেট কেএম ইকবাল হোসেন, অ্যাডভোকেট এম এম সাজ্জাদ আলী, খুলনা চেম্বারের পরিচালক আলহাজ্ব মোশাররফ হোসেন, কাজী আলমগীর হোসেন, সরদার আব্দুল গনি, হিমাংশু বিশ্বাস, রামপ্রসাদ জোরদার, আদিত্য মন্ডল, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, ডাক্তার বিপ্লব মন্ডল, মোঃ শফিকুল ইসলাম টুটুল, মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, মোঃ সিরাজুল ইসলাম মেম্বার, হাজী লুৎফর রহমান গাজী, মোঃ রবিউল ইসলাম মিঠু, মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, মোহাম্মদ রাজু, মোহাম্মদ আনিসুর রহমান,আশরাফ আলী প্রমুখ। আজ দুপুরে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ দলীয় কার্যালয় থেকে খুলনা ৫ আসনের(ডুমুরিয়া - ফুলতলা) মনোনয়নপত্র উত্তোলন করার পর মনোনয়ন পত্রটি পূরণ করে একই দিনে জমা প্রদান করা হয়। এছাড়াও ঢাকাস্থ খুলনার অনেক রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন বিক্রীর প্রথম দিনে খুলনার ৬টি আসন থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন ৮ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী। গতকাল শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে ফরম তুলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের মনোনয়ন ফরম বিতরণ কাজ উদ্বোধন করেন। পরে সারাদেশ থেকে আসা প্রার্থীরা ফরম তোলেন। দলটির দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।খুলনা-১: আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্র সংগ্রহ করলেন জাতীয় সংসদের হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস এমপি ও সাবেক সংসদ সদস্য ননীগোপাল মন্ডল। এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস এমপি বলেন, এলাকার মানুষ আমাকে আবারও নির্বাচন করার জন্য বারবার অনুরোধ করছে। তাই আমি দলীয় মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছি। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিলে অবশ্যই নির্বাচন করবো এবং বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হবো। প্রধানমন্ত্রী যাকেই মনোনয়নদেন আমি নৌকার পক্ষেই থাকবো। সাবেক এমপি ননীগোপাল মন্ডল বলেন, আমি নিজে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করতে যাইনি। আমার পক্ষে অনেকেই গিয়েছিলেন। তবে খুলনা-১ আসনের বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষ এবং আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা আমাকে আবারও নির্বাচন করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে অনুরোধ করে আসছেন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিলে অবশ্যই নৌকার প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবো।খুলনা-২ (সোনাডাঙ্গা-সদর)ঃ আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন কিনেছেন বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র ও বর্তমান সংসদ সদস্য সেখ সালাউদ্দিন জুয়েল।খুলনা-৩(খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী থানা)ঃ মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শেখ ফারুক হাসান হিটলু মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন।খুলনা-৪ (রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়া)ঃ বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদি ও স্পেন প্রবাসী আওয়ামীলীগ নেতা রেজভী আলম মনোয়ন পত্র কিনেছেন।খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা)ঃ খুলনা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এ্যাড সাইফুল ইসলাম ও অজয় সরকার মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন।
আওয়ামী লীগ নেতাদেরকে তথাকথিত শান্তি সমাবেশের নামে ভীতি উৎপাদন ও সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে এবি পার্টি। জনগণের ভোটাধিকার হরণের প্রতিবাদে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো যখন নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের কর্মসূচি দিচ্ছে তখন সরকারি দলের নেতারা তার পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে প্রকাশ্য অস্ত্র হাতে পুলিশের সামনে শান্তি সমাবেশের নামে সন্ত্রাসের মহড়া দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে দলটি। অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, প্রহসনমূলক নির্বাচনী তফসিল বাতিল ও সকল রাজনৈতিক বন্দীর মুক্তির দাবিতে চলমান আন্দোলন কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানিয়ে রবিবার (১৯ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় বিজয়নগরের বিজয়-৭১ চত্বরে দলের জনবিক্ষোভ কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। দলের যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার এর সভাপতিত্বে জনবিক্ষোভ ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু ও যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার বলেন, এই ফ্যাসিবাদী সরকার গোটা দেশকে একটি সংঘাত সংঘর্ষের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। একতরফা একটা সাজানো প্রহসনের নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশনের ঘাড়ে বন্দুক রাখা হয়েছে। আজ বিরোধীদলের অফিস তালাবদ্ধ করে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন বিক্রির উৎসবে মেতে উঠেছে। আমরা মেরুদণ্ডবিহীন এই নির্বাচন কমিশনের অবিলম্বে পদত্যাগ চাই, এই অবৈধ সরকারের অবিলম্বে পদত্যাগ চাই। দেশে একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, নির্বাচন কমিশনের একতরফা নির্বাচন আয়োজন ও আওয়ামী লীগ নেতাদের উল্লাস দেখে জনগণ খুব মজা পাচ্ছে। প্রতিপক্ষ ছাড়া খালি মাঠে খেলার মধ্যে যারা আনন্দ পায় তাদের রাজনৈতিক দৈন্যতা দেখে করুণা প্রকাশ ছাড়া আর কিছু বলার নাই। তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদেরকে তথাকথিত শান্তি সমাবেশের নামে ভীতি উৎপাদন ও সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনাদের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে আপনারা নব্য আওয়ামী অশান্তিবাহিনী। তিনি এই আওয়ামী অশান্তিবাহিনীর হাত থেকে জাতিকে রক্ষা করতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণবিপ্লবে ঝাপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান।
প্রহসনের তফসিল বাতিল করে একতরফা ভোটারবিহীন নির্বাচন আয়োজন থেকে সরে এসে সকল রাজনৈতিক দলের অর্থবহ সংলাপ ডাকার জন্য আজ আবারও আহ্বান জানিয়েছে এবি পার্টি। আজ বিকেল ৩ টায় পল্টন বিজয়-৭১ চত্বরে অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, প্রহসনমূলক নির্বাচনী তফসিল বাতিল ও সকল রাজনৈতিক বন্দীর মুক্তির দাবিতে চলমান আন্দোলন কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানিয়ে আয়োজিত সংহতি সমাবেশে এবি পার্টি নেতারা এ আহ্বান জানান। ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইনের সঞ্চালনা ও সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জুর সভাপতিত্বে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।সমাবেশে দলের সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সকল মহলের উদ্বেগ ও আপত্তি উপেক্ষা করে বিতর্কিত নির্বাচন কমিশন যে তফসিল ঘোষনা করেছে তা আওয়ামীলীগ ছাড়া সবাই প্রত্যাখান করেছে। তফসিলের আগে ২৮ অক্টোবরের ঘটনাকে পুঁজি করে গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সহ প্রায় ১৫ হাজার নেতা-কর্মী গ্রেফতারের ঘটনায় দেশবাসী ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে দুরভিসন্ধি পরিস্কার হয়ে গেছে। এটা যে আবারও একটা ভোটার বিহীন একদলীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে তাতে কারও কোন সন্দেহ নাই। তিনি বলেন, এই প্রহসনের তফসিল বাতিল ও গ্রেফতারকৃত নেতাদের মুক্তি দিতে হবে এবং একটি কার্যকর অর্থবহ সংলাপের মাধ্যমে সকলের অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। যদি তা না করা হয় তাহলে জাতির জন্য ঘোর অমানিশা নেমে আসবে বলে তিনি আশংকা প্রকাশ করেন।সংহতি সমাবেশে পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, আমরা সরকারকে বার বার সতর্ক করার পরেও গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী বন্ধু রাষ্ট্র সমুহের কুটনৈতিকদের নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। সরকারকে বার বার সতর্ক করার পরেও তারা একতরফা নির্বাচনের পথে হাটছেন। আজ ব্যাবসায়ীরা আওয়ামিলীগের তল্পি বাহক হয়ে ভুমিকা রাখছেন। তিনি সবাইকে সতর্ক করে বলেন, এই প্রহসনের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন, দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা, যে সমস্ত ব্যবসায়ী শ্রমিকদের বেতন লুট করে আওয়ামিলীগকে পয়সা দিচ্ছেন কেউই রেহাই পাবেন না। সবাই স্যাংশনের আওতায় আসবেন। লুটের টাকা ভোগ করার সুযোগ পাবেন না।ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক বিএম নাজমুল হক বলেন, অবিলম্বে এই সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। এই দালাল নির্বাচন কমিশনকে পদত্যাগ করতে হবে। একতরফা এই নির্বাচন বাংলার জনগণ মানেনা।
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, নারীর শক্তিতেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। নারীদের ধৈর্য, পরিশ্রম, অধ্যবসায় এবং শত বাধা অতিক্রম করে সফল হবার স্পৃহার কারণেই বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে। নারীরা নিরন্তর প্রচেষ্টা, অদম্য সাহস, অমিত প্রতিভা ও দক্ষতার বলেই সমাজে তাদের অবস্থান অধিকার করে নেয়। যোগ্যতাবলেই বাংলাদেশের নারীরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ভূমিকা রেখে চলেছে।তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীরা যেভাবে অবদান রাখছে সেভাবে যুব মহিলা লীগকে সাংগঠনিকভাবে সুসংগঠিত করে দেশের উন্নয়নের সহযোগী হতে হবে। যুব মহিলা লীগের নেতাকর্মীদের প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে নারীদেরকে সরকারের উন্নয়নের কথা বলতে হবে। নারীদেরকে ভোট দানে উৎসাহিত করতে হবে। ভোট দেয়া প্রতিটি নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব তাদের বুঝাতে হবে।গতকাল শনিবার বিকালে ২২ ও ২৯নং ওয়ার্ড যুব মহিলা লীগের কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ২২নং ওয়ার্ডের কর্মীসভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর যুব মহিলা লীগের সাবেক আহ্বায়ক এ্যাড. রাবেয়া ওয়ালী করবী এবং ২৯নং ওয়ার্ডে সভাপতিত্ব করেন মহানগর যুব মহিলা লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নাছরিন পারভেজ তন্দ্রা। এসময়ে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, আব্দুল হাই পলাশ, এ্যাড. শামীম মোশাররফ, ওহিদুল ইসলাম পলাশ, মহিলা আওয়ামী লীগ নেতা নাজনিন নাহার কনা, আইরিন চৌধুরী নীপা, ফেরদৌস আলম রিতা, রোকেয়া রহমান, শিউলি বিশ্বাস, পারভিন মোর্তজা, নাজনিন নাহার বিউটিসহ যুব মহিলা লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
খুলনা জেলার ৬ টি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নে ৩টিতে নতুন মুখ এসেছে। বাকি ৩ টিতে সাবেকরাই বহাল রয়েছেন। নতুনদের মধ্যে রয়েছেন খুলনা-১(বটিয়াঘাটা ও দাকোপ) উপজেলায় সাবেক সংসদ সদস্য ননী গোপাল মন্ডল। খুলনা-৩ এ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল ও খুলনা-৬ এ প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য শেখ রাসেদুল ইসলাম রাসেল।বহাল রয়েছেন খুলনা-২ এ বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, খুলনা-৪ এ আব্দুস সালাম মুর্শীদি ও খুলনা-৫ এ সাবেক মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ। এদিকে রবিবার বিকেল ৪ টায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকওবায়দুল কাদেও দলীয় প্রর্থিীদের নাম ঘোষনার সাথে সাথে খুলনার ৬টি সংসদীয় আসনেই মনোনয়ন প্রাপ্তদের পক্ষে আনন্দ মিছিলি বের হয়। বিভিন্ন এলাকায় মিষ্টি বিতরন হয়। চায়ের দোকানসহ সর্বস্তরে মনোনয়ন প্রাপ্তদের পক্ষে চলে চা ও কপি আড্ডা। উল্লেখ্য, খুলনা-১ এসংসদ সদস্য ছিলেন বর্তমান সংসদের হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস, খুলনা-৩ এ ছিলেন বর্তমান শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান ও খুলনা-৬ আসনে আক্তারুজ্জামান বাবু। আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বাগেরহাট আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রর্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে নৌকার প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।বাগেরহাট-১ (চিতলমারী, মোল্লাহাট ও ফকিরহাট) আসনে শেখ হেলাল উদ্দিনবাগেরহাট-২ (কচুয়া ও বাগেরহাট সদর) আসনে শেখ সারহান নাসের তন্ময়বাগেরহাট-৩ (মোংলা ও রামপাল) আসনে উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহান এবংবাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা) আসনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ মনোনয়ন পেয়েছেন।বাগেরহাটে ১, ২ ও ৩ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্যদের মনোনয়ন বহাল থাকলেও বাগেরহাট ৪ আসনে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন। এ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং মোড়েলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন। ২০২০ সালে উপনির্বাচনের মাধ্যমে তিনি প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য হয়েছিলেন।মনোনয়নের খবরে জেলার বিভিন্ন এলাকায় মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল হয়েছে। তবে সব থেকে বেশি উৎফুল্ল মোড়েলগঞ্জ ও সরণখোলা উপজেলার মানুষ। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগের মনোনয়ন পাওয়ার খবরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তারা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়ার জন্য ২৬ জন আওয়ামী লীগের নেতা মনোনয়ন কিনেছিলেন। তবে ১ ও ২ আসনে শেখ হেলাল উদ্দিন ও তার ছেলে শেখ তন্ময়ের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে কেউ মনোনয়নপত্র কেনেননি।বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) আসনে ১১ জন ও বাগেরহাট-৪ (মোড়েলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে ১৩ জন নেতা দলী। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ ঘটিকায় জাতীয় পার্টির খুলনা কার্যালয়ে দলিত ওয়ার্কিং গ্রুপের আহ্বায়ক সিলভী হারুন এর নেতৃত্বে দলিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ৮ দফা দাবী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে অর্ন্তভূক্তির জন্য খুলনা জাতীয় পার্টির নেতাদের কাছে তুলে ধরা হয়। দলিত সম্প্রদায় আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশে সবচেয়ে উপেক্ষিত, বঞ্চিত ও অসহায় জনগোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম । ঋষি, জেলে, হরিজন ( পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাকর্মী) তাঁতি সহ বিভিন্ন সম্প্রদায় মিলে দলিত সম্প্রদায়। এই দলিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে খুলনার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ, সচেতন নাগরিকবৃন্দ, আইনজীবী, সাংবাদিকবৃন্দ, দলিত সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিবৃন্দ সমৃদ্ধ ওয়ার্কিং গ্রুপ।দাবীসমূহঃ১. বৈষম্য নিরোধ আইন কার্যকর করা এবং এতে দলিত জনগোষ্ঠীর কথা উল্লেখ করা। ২. আসন্ন দ্বাদশ সংসদে প্রতিশ্রুত সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা।৩. জাতীয় সংসদে ও স্থানীয় সরকার এ আসন সংরক্ষণের পাশাপাশি স্টান্ডিং কমিটিতে দলিতদরে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা ও সংসদীয় ককাস গঠন করা।৪. সমাজকল্যান মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া/ অনগ্রসর জনগোষ্ঠী কারা তা সুনিদিৃষ্ট করা এবং পিছিয়ে পড়া/ অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর তালিকায় দলিত উল্লেখ করা।৫. দলিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ঝরে পরা রোধে, উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন শিক্ষা অব্যাহত রাখতে শিক্ষা ঋণ চালু করা।৬. ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরী এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্দেশ্যে দলিত এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বিনিয়োগ তহবিল (সহজ শর্তে ঋণ) গঠন করা৭. মেডিকেল ও প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয় গুলিতে দলিত দের জন্য কোটা বরাদ্দ করা।৮. সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভায় হরিজন জনগোষ্ঠীর জন্য চাকরি নীতি যুগোপযোগী করা সহ সকল প্রতিষ্ঠানে চাকুরি স্থায়ী করা এবং ঘোষিত প্রঙ্গাপন অনুসারে ঝাড়ুদার/ক্লিনার/সুইপার পদে মোট নিয়োগের ৮০% হরিজন জনগোষ্ঠীর কোটার সঠিক বাস্তবায়ন করা এবং আউটসোর্সিং পদ্ধতি বাতিল করা।দলিত ওয়ার্কিং গ্রুপের আহ্বায়ক সিলভী হারুনের নেতৃত্বে দলিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ৮ দফা দাবী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভূক্তির জন্য জাতীয় পার্টির নেতাদের কাছে তুরে ধরা হয়। এ সময় উপস্থিত জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সহ অন্যান্য নেতারা ৮ টি দাবির প্রতি সহমত পোষণ করেন এবং দাবিগুলো সংসদে উত্থাপন ও নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভূক্ত করবেন বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।এ সময় জাতীয় পার্টির খুলনা কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পাটির খুলনা ১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী হাসানুর রশিদ, খুলনা ২ আসনের সংসদ সদস্য প্রাথী গোঃ গাউসুল আজম, খুলনা ৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী জাতীয় পার্টির মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং খুলনা ৬ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মোঃ শফিকুল ইসলাম মধু, নগর জাপার সাধারন সম্পাদক হাতিউজ্জামান, সভাপতি নাজমুর কবির সাদী, মো কারাচান প্রমুখ। । এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্কিং গ্রুপের আহ্বায়ক সিলভী হারুন, ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্য বৃন্দ, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফুজ্জামান, ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্য ও সম্প্রীতি ফোরামের সহ-সভাপতি মিনা আজিজুর রহমান, খুলনা হরিজন কলোনির প্রতিনিধি মতিলাল রাউথ ও শাওন দাস; মানবাধিকার কর্মী ইসরাত নূয়েরী হোসেন মুমু; অরুন দাশ, সম্পা দাস প্রমুখ।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে দলের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। এমপি বলেন, আপনাদের মূল্যবান ভোটে দুইবার নির্বাচিত হয়েছি। রূপসা-তেরখাদা ও দিঘলিয়ায় আমি যে উন্নয়ন করেছি তা বিগত দিনে কেউ করতে পারেনি। দলের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, তাহলে সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিক নৌকার বিজয়কে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না।প্রধান অতিথি বলেন, নৌকা স্বাধীনতার প্রতীক, বিজয়ের প্রতীক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতীক, বাঙালি জাতি সত্ত্বার প্রতীক, বঙ্গবন্ধুর প্রতীক, শেখ হাসিনা’র প্রতীক। তাই নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একযোগে কাজ করতে হবে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার গাজী মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মিলনায়তনে নৈহাটী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।নৈহাটী ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেন বুলবুলের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আ’লীগ সভাপতি ও পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল উদ্দীন বাদশা, জেলা আ’লীগের সদস্য অধ্যক্ষ ফ ম আব্দুস সালাম, জেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক মিজানুর রহমান, জেলা আ’লীগের সাবেক সদস্য আঃ মজিদ ফকির, উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি আরিফুর রহমান মোল্লা, সৈয়দ মোর্শেদুল আলম বাবু, সাধারণ সম্পাদক সরদার আবুল কাসেম ডাবলু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শ্যামল দাস, ইমদাদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম হাবিব, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক মোঃ মোতালেব হোসেন, উপজেলা আ’লীগের দপ্তর সম্পাদক আক্তার ফারুক, কোষাধ্যক্ষ সেলিম মোল্যা, সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম লিটু, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শ ম জাহাঙ্গীর হোসেন, শিক্ষা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক প্রভাষক মোঃ অয়াহিদুজ্জামান, সদস্য আকতার হোসেন খান।বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ’লীগের সদস্য আসাদুজ্জামান বাবু, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আঃ মান্নান শেখ, প্রধান শিক্ষক মোঃ হায়দার আলী, সহকারী শিক্ষক প্রদীপ কুমার পাল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রুহুল আমিন রবি, শ্রমিক লীগের আহবায়ক মফিজুল ইসলাম, আঃ সাত্তার শেখ, আ’লীগ নেতা আলহাজ¦ শাহাজান শেখ, ইউপি সদস্য কামরুজ্জামান সোহেল, আলমগীর হোসেন শ্রাবন, আশাবুর রহমান, বাবর আলী, মাসুম শেখ, মাসুম সরদার, মাহফুজুর রহমান ও লিপিকা রানী দাস, ওলিয়ার রহমান মাস্টার, সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, জেলা কৃষক লীগের সংসদ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচীব আবু আহাদ হাফিজ বাবু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-সম্পাদক আবু সালেহ বাবু, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আশিকুর রহমান তানভীর, ওয়াছিকুর রহমান, ইউপি সদস্য রিনা পারভিন, জামাল মোল্লা, যুবলীগ নেতা হারুন মোল্যা, শ্রমিক লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম, কুতুব শেখ, ওয়ার্ড আ’লীগ নেতা সৈয়দ আশিক হাসান লিখন, মোঃ ফরিদ শেখ, মোঃ বেনজির হোসেন, ফ. ম আইয়ুব আলী, মোঃ মামুন শেখ, ইফতেখারুল আলম, মোজাফফর শেখ, আলহাজ¦ মুজিবর রহমান, কামরুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন, নাজির শেখ, ফ ম অহিদুল ইসলাম, সিদ্দিক শেখ, মোঃ মনিরুজ্জামান, ফারুক হোসেন, কামাল হোসেন, ইলিয়াস শেখ, হাফিজুর রহমান, মোঃ মেহেদী হাসান, আবু হানিফ, রবিন পাল, মোমরেজ আলী, আইয়ুব আলী, আফজালুল হক, যুবলীগ নেতা সাইদুর রহমান সগীর, আশিষ রায়, সরদার জসিম উদ্দীন, শফিকুর রহমান ইমন, সামছুল আলম বাবু, জাহিদ হোসেন, সাইফুল ইসলাম শাওন, খালিদ হোসেন, তারেক আজিজ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোঃ মঈনুদ্দিন, মোঃ ওয়ায়েসকুরুনী বাবু, আজমল হোসেন, এহতেশামুল হক শাওন, মোল্লা ইমামুল ইসলাম সুমন, আশিক ইকবাল, রবিউল ইসলাম, খায়রুজ্জামান সজল, মহিউদ্দীন মানিক, গিয়াস উদ্দিন কামাল, শিমুল শিকদার, মামুন হাওলাদার, সাইফুল ইসলাম পলু, শেখ সাগর, শাহনেওয়াজ হোসেন মিলন, জিএম রাসেল, আ’লীগ নেতা নজরুল ইসলাম, আবু তাহের, প্রশান্ত কুমার দে, মোঃ মোহর আলী ফকির, রবিউল ইসলাম, কামরুল হাসান শান্ত, শ্রমিক লীগ নেতা জাহিদ হাসান, মহিলা লীগ নেত্রী রোকেয়া বেগম, রোমেছা বেগম, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আঃ জব্বার হাওলাদার, হারুন হাওলাদার, ছাত্রলীগ নেতা আরিফুল ইসলাম কাজল, এমএম রিয়াজ আহমেদ, শেখ রাসেল, নজমুল হুদা অঞ্জন, ইমু মোল্লা, নোমান সৈকত প্রমুখ। এরপর বিকেল ৫টায় আইচগাতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী।#
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা ৩ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের এস এম কামাল হোসেন ২০ ডিসেম্বর সকাল ৯ টা থেকে দুপুর পর্যন্ত কেসিসি ২ নং ওয়ার্ড এলাকার রেলিগেট, মিরেরডাঙ্গা, ফুলবাড়ী গেট বাজার, সেনপাড়া, টিবি হাসপাতাল, কলেরা হাসপাতাল, হাসপাতাল ঘাট, এজাক্স জুটমিল, সোনালী জুট মিল, বাংলাদেশ কেবল শিল্প লিমিটেড, কেডিএ আবাসিক এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ নৌকা প্রতীকের লিফলেট বিতরণ ও পথসভা করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বেগ লিয়াকত আলী, খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবিদ হোসেন, খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আনিসুর রহমান, কেসিসি ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস এম মনিরুজ্জামান মুকুল, আলহাজ্ব মোড়ল আনিসুর রহমান, মাস্টার মনিরুল ইসলাম, মোঃ মনির শিকদার, শেখ কামাল আহমদ, মোহাম্মদ সেলিম রেজা,মোহাম্মদ জাকারিয়া রিপন, মোঃ হাবিবুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ শাকিল আহমেদ, মোঃ ফয়সাল আহমেদ, বেগ খালিদ হোসেন, লিয়াকত মুন্সী, মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, সুরুজ্জামান হানিফ, মিঠু মুন্সী, নার্গিস খানম, নীলা নাসির, মুক্তা বেগম, মোহন মুন্সী, কামাল মুন্সী, টনি মীর, রুপা বেগম, পারভিন বেগম, আব্দুল আউয়াল আজাদ, মোহাম্মদ বাবুল হোসেন, আব্দুর রশিদ, মনজুরুল ইসলাম, রেবা সুলতানা, রিমা আক্তার, মোহাম্মদ মিলন, মোহাম্মদ সোহেল, মোঃ কামরুজ্জামান সহ এলাকার সকল নেতাকর্মী।
ঝালকাঠি-১ আসনে (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুহম্মদ শাহজাহান ওমর বীর উত্তমের পক্ষে নির্বাচনে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ। এ বিষয়ে ১৮ ডিসেম্বর রাতে দলের সাধারণ সভায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হয়েছে।রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সব সদস্যের সই আছে ওই সিদ্ধান্তে। সাধারণ সভার বিবরণীতে উল্লেখ আছে, শাহজাহান ওমর এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের দলীয় নেতা-কর্মী ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার কোনো আগ্রহ প্রকাশ করেননি। তিনি বিএনপির নেতা থাকার সময় যে ভবনে বসতেন, সেটিকে নির্বাচনী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করছেন। স্বাধীনতাবিরোধী ও তাঁদের সন্তানদের নিয়ে তিনি গণসংযোগ করেছেন। বিএনপির নেতা হিসেবে সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী থাকার সময় তিনি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিভিন্নভাবে নির্যাতন করেছেন। তাই দলীয় সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মনিরুজ্জামানের পক্ষে দলের সবাই কাজ করবেন। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহজাহান ওমরের বক্তব্য জানতে চেয়ে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি তা ধরেননি। তবে তাঁর নির্বাচন পরিচালনার সমন্বয়ক মিজানুর রহমান বলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত দলের গঠনতন্ত্রবিরোধী। কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য আওয়ামী লীগের দলীয় সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত হওয়া সম্পূর্ণ অবৈধ।রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ এইচ এম খায়রুল আলম সরফরাজ বলেন, শাহজাহান ওমর নৌকার প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী এলাকায় এসে দলের সভাপতি-সম্পাদকসহ কোনো নেতাকে ডাকেননি। দলীয় কার্যালয়ে না এসে নিজের নির্বাচনী কার্যালয়ে অবস্থান করে বিএনপির সমর্থক ও স্বাধীনতাবিরোধীদের নিয়ে কাজ করছেন। তাই সাধারণ সভায় তাঁর পক্ষে কাজ না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিষয়টি তাঁরা কেন্দ্রীয় নেতাদের জানিয়েছেন বলে দাবি করলেন তিনি।শাহজাহান ওমর বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। এরপর টুঙ্গিপাড়া থেকে ফিরে তিনি রাজাপুরের বাইপাস মোড়ে তাঁর নির্বাচনী কার্যালয়ে যান। নির্বাচনী এলাকার দুই উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের কেউ তাঁর সঙ্গে ছিলেন না।এ বিষয়ে কাঁঠালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বিমল সমাদ্দার বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে নামতে পারিনি। তিনি এর আগে কাঁঠালিয়ায় এসে সভা করলেও উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সেখানে কেউই যায়নি। তাঁকে সাংগঠনিকভাবে জানিয়েছিলাম, আমরা তাঁর সঙ্গে কাজ করতে চাচ্ছি। কিন্তু তিনি যদি আমাদের না ডাকেন, তাহলে আমরা কীভাবে যাই!’স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকার দুই উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সবাই আমার সঙ্গে আছেন। তাঁরা আমার ঈগল প্রতীকের পক্ষে নির্বাচন করতে একমত হয়েছেন।’
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলের পক্ষে গণসংযোগ করেছে খুলনা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নগরীর ১৮ নং ওয়ার্ডে সংগঠনের সভাপতি এম এ নাসিম ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আসাদুজ্জামান রাসেলের নেতৃত্বে গণসংযোগে অংশগ্রহণ করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। ওয়ার্ডের সোনাডাঙ্গা খালাসির মাদ্রাসার মোড় থেকে শুরু করে গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বাসস্ট্যান্ড, ট্রাকস্ট্যান্ড, কাঁচাবাজার, নবপল্লী, বসুপাড়া কবরস্থান হয়ে পল্লীমঙ্গল এলাকায় রাস্তার গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় নেতৃবৃন্দ পাশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠনে ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে লিফলেট বিতরণ এবং ভোট প্রার্থনা করেন। নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোঃ মাসুম বিল্লাহ, কাজী মোঃ ইউসুফ আলী মন্টু, ইসরাফুল জামান খান শাকিল, মোঃ রাজীব হোসাইন, শাহরিয়ার মাহমুদ রিয়াদ, এস.এম. আসিফ ইকবাল সবুজ, রফিকুর রহমান মারুফ, মোঃ হুমায়ুন শিকদার, লিটন মাহমুদ, রবীন্দ্রনাথ ধর, মোঃ রিপনুজ্জামান রিপন, মোঃ ইমরান হাওলাদার, মোঃ রফিকুল ইসলাম কাজল, মোঃ খান আজিম হিজল, রফিকুল ইসলাম খান, মোঃ শাহরিয়ান নেওয়াজ রাব্বি, মোঃ রবিউল ইসলাম প্রিন্স, হামিদা বেগম, রেয়াজাদ হোসেন জন, মোঃ নাসির উদ্দিন, কাজী মোঃ জায়েনুর ইসলাম বাবু, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, ফাহিদ হোসেন ঐশ্বর্য, মোঃ ইমরান গাজী, এ.কে.এম জান্নাতুল ফেরদৌস রুপম, ইঞ্জি. মোঃ হাফিজুর রহমান, মোঃ নাসির শেখ, মোঃ মারুফ হোসেন, শামীম হাওলাদার, নূর আলম সজিব, ইব্রাহিম হোসেন আরজু, সুমনা আক্তার। দেবদাশ বিশ্বাস, মনিরুল ইসলাম, কোমল বিশ্বাস, মোঃ আবু হোসেন, মোঃ হানিফ শেখ, রাশেদুজ্জামান রুবেল, নাসির মৃধা, মাসুম চৌধুরী, নুরুন নাহার খাতুন মুন্নী এবং মোঃ আল-আমিন, শেখ ছাহিদ, রাজিব মোল্লা, জুবায়ের হোসেন জনি, নাদিম খান প্রমুখ;
দ্ধাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ও বিএনপির সাবেক নেতা এম শাহজাহান ওমর বীর উত্তম বলেছেন, আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, জয় বাংলার লোক। নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। বিএনপি নির্বাচনে না এসে ভুল করেছে। বিএনপিকে এর জন্য কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। শুক্রবার বিকেলে কাঠালিয়া পাইলট গালর্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। শাহজাহান ওমর আরও বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর ডাকে ২৪ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। আমি স্বাধীনতার পক্ষের লোক তাই স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছি। এখন আমি শেখ হাসিনার চতুর্থ ভাই। বিএনপির আমলে আমার কোনো কর্মী-সমর্থকের আচরণে আপনারা কষ্ট পেয়ে থাকলে, তাদের ক্ষমা করে দেবেন। আমি কখনও আওয়ামী লীগের কোনো লোককে খারাপ কথা বলিনি। আমরা নব্য আওয়ামী লীগ, পুরান আওয়ামী লীগের লোকজন আমাদের বরণ করেছে। পথসভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বিমল চন্দ্র সমদ্দার। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমাদুল হক মনিরের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এমএ জলিল, উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা খানম, ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ, শিশির দাস, আমিরুল ইসলাম ফোরকান, মাহামুদুল হক নাহিদ, মিঠু সিকদার, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও শাহজাহান ওমরের অনুসারী আবদুল জলিল মিয়াজী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, কবির হাওলাদার প্রমুখ।
আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যাকারীরা দেশ ও মানবতার শত্রু বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড রাশেদ খান মেনন এমপি। তিনি বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। শুক্রবার বিকেলে উজিরপুরের সাতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উঠান বৈঠকে বক্তৃতা করেন তিনি। এ সময় মেনন বলেন, ৭ জানুয়ারি ভোট উৎসবের মধ্য দিয়ে জনগণ বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দোসরদের অগ্নিসন্ত্রাস এবং দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের সমুচিত জবাব দেবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ভোটাররা নৌকাকেই বেছে নেবেন। অনুষ্ঠানে বরিশাল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস মুঠোফোনে বক্তৃতা করে শান্তি ও উন্নয়নের প্রতীক নৌকাকে বিজয়ী করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান। সাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি খায়রুল বাশার লিটনের সভাপতিত্বে উঠান বৈঠকে আরও বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য আনিসুর রহমান, বরিশালের সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরা, উজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম জামাল হোসেন প্রমুখ।এর আগে রাশেদ খান মেনন বানারীপাড়ায় জুমার নামাজ আদায় করেন এবং উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুকের বাবা ডা. মোতাহার উদ্দিনের কুলখানিতে অংশ নিয়ে সবার কাছে দোয়া চান।
নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে, আওয়ামী লীগের লেবাস লাগিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে যারা নির্বাচন করবেন তাদেরকে জাতীয় বেইমান বলে আখ্যা দিয়েছেন গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ী-সাদুল্লাপুর) আসনের নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি। এরইমধ্যে তার ওই বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে শ্রমিক সমাবেশের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।ওই বক্তব্যে সংসদ সদস্য স্মৃতি বলেন, যারা আজ নৌকার বিরুদ্ধে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তারা জাতীয় বেইমান। তাদেরকে হুঁশিয়ার হতে হবে। নৌকা ও আওয়ামী লীগের লেবাস লাগিয়ে বিএনপি-জামায়াত ভোট দিতে যাবে আর আগুন দেবে তা মেনে নেওয়া হবে না। একই বক্তব্যে তিনি আওয়ামী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের উদ্দেশে বলেন, স্বতন্ত্র মানে স্বতন্ত্র আর দলীয় মানেই দলীয়ই। স্বতন্ত্র দিয়েই যদি সরকার গঠন করা যেত তাহলে বিএনপি-জামায়াত বলতো আওয়ামী লীগকে মানুষ চায় না।মাঠে আরও সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন জানিয়ে উম্মে কুলসুম স্মৃতি বলেন, আমরা তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করব। আমরা কেন আওয়ামী লেবাসধারী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করব? উল্লেখ্য, গাইবান্ধা-৩ আসনে মোট ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ছেন তিনজন। তারা হলেন- সাদুল্লাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সদ্য পদত্যাগ করা উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সাহারিয়া খান বিপ্লব, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বীরমুক্তিযোদ্ধা মফিজুল হক সরকার ও আওয়ামী লীগ নেতা আজিজার রহমান বিএসসি।
আওয়ামী লীগ মনোনীত খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলের পক্ষে গণসংযোগ করেছে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে তিনটা থেকে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ এবং ভোট প্রার্থনা করেছেন সংগঠনের সভাপতি এম এ নাসিম ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল। গণসংযোগ নগরীর শিববাড়ি মোড় থেকে শুরু করে কেডিএ এভিনিউ, তেতুলতলা মোড়, শেখ পাড়া, খলিল চেম্বার মোড়, ডালমিল মোড়, ময়লাপোতা মোড় ও সাতরাস্তা হয়ে রয়েল মোড়ে গিয়ে পথসভার মধ্যদিয়ে শেষ হয়। এসময় স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ নৌকা প্রতিকের প্রার্থী সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলের পক্ষে পথচারীদের মাঝে, রাস্তার পাশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ও বাড়ি-বাড়ি গিয়ে লিফলেট বিতরণ এবং ভোট প্রার্থনা করেন। এ সময় ইপস্থিত ছিলেন নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নির্বাচন পরিচালনা ও সমন্বয় কমিটির আহবায়ক মোঃ মাসুম বিল্লাহ, সদস্য সচিব কাজী মোঃ ইউসুফ আলী মন্টু। অংশনেন মোঃ মিজানুর রহমান জিয়া, ইসরাফুল জামান খান শাকিল, মীর রবিউল আলম, মোঃ রাজীব হোসাইন, বিজয় কুমার দে মিঠু, বায়জিদ হোসেন, মোঃ তাজমুল হক তাজু, এস.এম. আসিফ ইকবাল সবুজ, রফিকুর রহমান মারুফ, মোঃ হুমায়ুন শিকদার, লিটন মাহমুদ, রবীন্দ্রনাথ ধর, মোঃ জিলহজ্জ হাওলাদার, মোঃ রিপনুজ্জামান রিপন, মোঃ মোজাহার হোসেন, মোঃ আসাদুজ্জামান লিপন, মোঃ ইমরান হাওলাদার, গোলাম রাব্বানী মামুন, ইঞ্জি. মোঃ ইসমাইল সুমন, মোসাঃ সুরভী আক্তার লাইজু, মোঃ রফিকুল ইসলাম কাজল, মোঃ খান আজিম হিজল, সাব্বির আহমেদ, সাইদুর রহমান মফিজ, মোঃ ইমরান হোসেন সাগর, খান মোসাদ্দেক হোসেন ইমন, রফিকুল ইসলাম খান, মোঃ হাসান শেখ, মোঃ জাকির হোসেন খোকন, মোঃ শাহরিয়ান নেওয়াজ রাব্বি, মোঃ রবিউল ইসলাম প্রিন্স, হামিদা বেগম, তানভির ইসলাম সাব্বির, রেয়াজাদ হোসেন জন প্রমুখ।
বরিশালে জনসভায় যোগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বরিশাল-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ নাথের সমর্থকদের সঙ্গে মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. শাম্মী আহমেদের সমর্থকদের এ সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে হাসপাতালে নেওয়ার পর সিরাজ সিকদার নামে একজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আরিছুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে সিরাজ সিকদার ঠিক কি কারণে মারা গেছেন তা নিশ্চত করতে তার মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কবিরউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত সিরাজ সিকদার বরিশালের হিজলা উপজেলার কুড়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা কোব্বাত সিকদারের ছেলে। কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আরিছুল হক বলেন, ‘সিরাজকে যিনি হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন তিনি জানিয়েছেন—সিরাজ জনসভার মাঠে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করা হয়।’
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া ৬০ প্রার্থীর সঙ্গে তৃণমূল বিএনপি বেইমানি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা বলেছেন, দলের চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী ও মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার বেইমানি করেছেন। তারা নির্বাচনী মাঠে নামিয়ে এখন যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন।শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক আলোচনায় ৬০ প্রার্থীর পক্ষে এ অভিযোগ জানানো হয়। এসময় তৃণমূল বিএনপি থেকে যশোর-৫ আসনের প্রার্থী মোস্তফা গণি বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে একাত্মতা ঘোষণা করে যে নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রত্যয় ব্যক্ত করতে যাচ্ছি। সেখানে প্রচণ্ড বাধা সৃষ্টি করেছেন শমসের ও তৈমুর আলম খন্দকার। তারা আমাদের সঙ্গে নজিরবিহীন অসমন্বয় করে, বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। আমাদের অভিভাবক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী আপনি এর বিচার করুন। আমরা দলের কোনো বিচ্ছিন্ন অংশ নই। তিনি বলেন, আপনারা যদি আজকে শমসের ও তৈমুর আলমকে জিজ্ঞেস করেন তারা বলবে, দলে বিচ্ছিন্ন অংশ ষড়যন্ত্র করছে। আমি মেজর গণি বলতে চাই, আমরা দলের কোনো বিচ্ছিন্ন অংশ নই। দলের যারা অবহেলিত সংসদ সদস্য প্রার্থী তাদের পক্ষ থেকে কথা বলতে দাঁড়িয়েছি। তৈমুর-শমসের ও অন্তরা হুদা আমাদের নির্বাচনের মাঠে দাঁড় করিয়ে যে তামাশা করছেন, জাতির কাছে তার হিসাব দেন।তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি আমাদের সমস্যা সমাধান না করেন তাহলে আমরা কঠোর হতে বাধ্য হবো এবং আমরণ অনশনে যেতে বাধ্য হবো।
খেলার মাঠ থেকে সরাসরি রাজনীতিতে এসে সংসদে যাওয়ার লড়াই করছেন বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। আওয়ামী লীগের হয়ে মাগুরা-১ আসন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। তবে টাইগার এই ক্রিকেটার বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘ব্যাড বয়’ সাকিব হিসেবে বেশ পরিচিত। দেশের সেরা ক্রিকেটার হওয়ায় নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে বারবার বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার। কখনো সতীর্থদের সঙ্গে বাজে আচরণ, কখনো মিডিয়া ও দর্শকদের সঙ্গে, বোর্ডের নিয়ম ভেঙেও শাস্তি পেয়েছেন অনেকবার। এবার রাজনীতিতে পা রেখেও ‘ব্যাড বয়’ পরিচয় দিলেন তিনি।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসনের নৌকার প্রার্থী সাকিব আজ মাগুরায় নিজের ভোট প্রদান করেছেন। সকাল ৮টায় মাগুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নিজের ভোট প্রদান করেন তিনি।এদিকে সামাজিক মাধ্যমে ইতোমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। দেশের একটি গণমাধ্যমের প্রকাশ করা ভিডিওতে দেখা যায়, ভিড়ের মাঝে এক ব্যক্তিকে কষে চড় দিয়েছেন তিনি। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের মেজাজ হারানোর এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকে।এর আগে সকালে নিজের ভোট দেওয়া শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন সাকিব। সবাই যাতে নিরাপদে ভোট প্রদান করতে পারে এই কামনা জানিয়েছেন তিনি। ভোট সবার অধিকার আর তাই সবাইকে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসনে বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।রবিবার (৭ জানুয়ারি) রাতে ১৫২টি কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষে ফল ঘোষণা করা হয়। মাগুরা সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফল ঘোষণা করছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। সাকিব ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩৮৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলদেশ কংগ্রেসের কাজী রেজাউল ইসলাম ডাব প্রতীকে পেয়েছেন ৪৫,৯৯৩ ভোট। এর আগে রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়। এরপর শুরু হয় গণনা। এদিন সকাল ৮টার দিকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দরি মাগুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন সাকিব আল হাসান। ভোট দেওয়া শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, “আশা করছি, মানুষ তার নাগরিক অধিকার হিসেবে ভোট দিতে আসবেন।”সদর উপজেলার একাংশ ও শ্রীপুর নিয়ে গঠিত মাগুরা-১ আসন। সাকিব আল হাসানের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ছিলেন চারজন। তারা হলেন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের কাজী রেজাউল ইসলাম, জাতীয় পার্টির মো. সিরাজুস সায়েফিন, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) কে এম মোতাসিম বিল্লা ও তৃণমূল বিএনপির সনজয় কুমার রায়।জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মাগুরা-১ আসনে মোট ভোটার চার লাখ ৪৮৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ৮৬২ জন, নারী ভোটারের সংখ্যা এক লাখ ৯৯ হাজার ৬২১। ভোটকেন্দ্র মোট ১৫২টি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসনে জামানত হারিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের স্ত্রী শেরীফা কাদের। আসনটিতে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী খসরু চৌধুরী।কেটলি প্রতীক নিয়ে খসরু চৌধুরী পেয়েছেন ৭৯ হাজার ৮৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন ট্রাক প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৯০৯ ভোট। এদিকে, লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে শেরীফা কাদের পেয়েছেন ৬ হাজার ৪২৯ ভোট। উল্লেখ্য, জোটগত সমঝোতার ভিত্তিতে ঢাকা-১৮ আসনটি জাতীয় পার্টির জন্য ছেড়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। যার কারণে আসনটিতে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে কোনো প্রার্থী ছিল না।
খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশীদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি দেশরত্ম জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব ইতিহাসে রেকর্ড গড়েছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে বিজয়ের রেকর্ড গড়ে পঞ্চম মেয়াদে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত¦ নিয়েছেন দেশরত্ন শেখ হাসিনা। গত ৭ জানুয়ারী ব্যালটের মাধ্যমে এদেশের জনগণ তাদের সু-চিন্তিত রায় দিয়েছেন। শেখ হাসিনার প্রতি দেশের জনগণের আস্থা ও দেশের অভুথপূর্ব উন্নয়ন এখন বিএনপির গাত্রদাহের কারন। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ম জননেত্রী শেখ হাসিনা এ দেশের মানুষের শান্তিতে বসবাস করার নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে অঙ্গিকারবদ্ধ। তাই দেশের মানুষের শান্তি শৃংখলা বিনিষ্টকারীদের কোন ভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনকে প্রত্যাখ্যান করে লালকার্ড প্রদর্শন ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি ‘এবি পার্টি’। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন বিজয়-৭১ চত্বরে বিক্ষোভ শুরুর সমাবেশ থেকে প্রতীকী লাল কার্ড প্রদর্শন করেন দলটির নেতারা। পরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি বিজয়নগর, নাইটিঙ্গেল, পল্টনসহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদকে ‘প্রহসনের ফাইভ পার্সেন্ট সংসদ’ আখ্যা দিয়ে এবি পার্টির নেতারা বলেছেন, আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্রের খই ফুটায় কিন্তু মনে মনে তারা পুরোদস্তুর স্বৈরাচার। আওয়ামী লীগ নেতাদের অন্তরে দেশের ৯৫ ভাগ মানুষের প্রতিহিংসা ও বিষ, ফলে তাদের স্বৈরাচারী কর্মকাণ্ড বাংলাদেশকে এক ভয়াবহ অনিশ্চয়তার দিকে নিয়ে হচ্ছে।দলের যুগ্ম আহবায়ক বিএম নাজমুল হকের সঞ্চালনায় মিছিল শুরুর প্রাক্কালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির আহবায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী , সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহবায়ক এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন প্রমুখ।
জাতীয় সংসদের মাননীয় হুইপ, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাশরাফি বিন মুর্তজা এমপি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লক্ষ্মীপাশা ক্লাবে ক্লাব কর্মকর্তা সদস্য ও স্থানীয় যুবকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) রাত ৯ টায় ঢাকা থেকে সরাসরি তিনি লক্ষ্মীপাশা ক্লাবে উপস্থিত হন। এসময় লক্ষীপাশা ক্লাবের কর্মকর্তা ও সদস্যরা হুইপ মাশরাফিকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ভলিবল দলের অধিনায়ক হরষিত বিশ্বাস, লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায়, ওসি তদন্ত মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের সহঃ মহাব্যবস্থাপক মোঃ মাহফুজুর রহমান, লোহাগড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হামিদ ভূঁইয়া, কাশিয়ানী উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ চঞ্চল মাহমুদ, লক্ষ্মীপাশা ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: আব্দুল্লাহ পলাশ, লোহাগড়া পৌর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান, সিনিয়র সাংবাদিক রূপক মুখার্জি, লোহাগড়া পৌর কাউন্সিলর ফয়সাল আহমেদ ফারুক, সাবেক কাউন্সিলর মোঃ আলিম, আওয়ামী লীগ নেতা মিলন খান, শিকদার জিয়াউর রহমানসহ প্রমুখ।মত বিনিময় সভায় মাশরাফি বিন মোর্তজা বলেন, তরুন যুব সমাজকে মাদকের ভয়াল ছোবল থেকে বাঁচাতে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতির দিকে বেশি মনোনিবেশ করতে হবে। তরুণ প্রজন্ম যদি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতির দিকে বেশি করে মনোনিবেশ করে তাহলে আমরা নড়াইল থেকে খেলোয়ার তৈরি করে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের সুনাম অর্জন করবো। আপনারা প্রতিটা ইউনিয়নে একটি করে ক্লাব তৈরি করুন তার জন্য যা কিছু দরকার ইনশাল্লাহ আমি করব।
শিল্পাঞ্চলের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে খুলনাকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করার দাবি উঠেছে সংসদে। সংসদের প্রথম অধিবেশনে স্পিকারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে এ দাবী উত্থাপন করেন খুলনা ৩ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে মহামান্য রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে দেয়া বক্তৃতায় তিনি এ দাবি তোলেন।এসময় তিনি আরো বলেন খুলনা শিল্পাঞ্চল একসময় সমৃদ্ধ শিল্পাঞ্চল হিসেবে পরিচিত ছিল। ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর একের পর এক শিল্প কলকারখানা বন্ধ করে দেয় এবং শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ না করে তাড়িয়ে দেয়।২০০৮ এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা আসার পর পুনরায় মিল কারখানা চালু করেন, মিল কয়েক বছর চলেওছিল। সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকির কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিল বন্ধ করতে বাধ্য হন। শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ এবং সঞ্চয় পত্র করে দেয়া হয় যাতে করে ওই সঞ্চয় পত্রের লভ্যাংশ থেকে শ্রমিকরা চলতে পারে।
সমাজের বিত্তবানদের অসহায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়াতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিত্তবানদের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সমাজের বিত্তবান ও দলীয় নেতা কর্মীদের বলেছেন ইফতার পার্টি না করে অসহায়ের পাশে দাঁড়াতে। মঙ্গলবার জাতির পিতার জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে নগর যুবলীগের ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন খুলনা সিটি কর্পোরপশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক। এ সময় তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর সারাটা জীবন ব্যায় করেছেন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষের জন্য। তাঁর এই আদর্শকে ধারন করে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে কাজ করছে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই লক্ষ্যে যুব সমাজকে কাজ করতে হবে। মঙ্গলবার বিকাল চার টায় শহীদ হাদিস পার্কের সামনে এই ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপ¯ি’ত ছিলেন নগর যুবলীগের সভাপতি সফিকুর রহমান পলাশ, শ্রমিকলীগ নেতা জিএম দুলাল, নগর যুবলীগ নেতা আব্দুল কাদের শেখ, কবীর পাঠান, সাবেক ছাত্রনেতা মসিউর রহমান, অভিজিৎ পাল, ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা ইলিয়াস হোসেন লাবু, কা ন শিকদার, জামিল আহমেদ সোহাগ, ছাত্রলীগ নেতা জব্বার আলী হীরা, জহির আব্বাস, মাহামুদুর রহমান রাজেস, হিরন হাওলাদার, রহিম রেজা, যুবলীগ নেতা রাসেল সৈকত, নুপুর দাস, সাগর মজুমদার, একরামুল শেখ, রাহুল শাহারিয়ার, প্রমুখ।
ডুমুরিয়ায় সরকারের নানা উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড তুলে ধরে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাজিয়াড়া গ্রামে উন্নয়ন সভা করেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ আজগর বিশ্বাস তারা। এসময় তিনি বলেন, আ’লীগ যখনই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে তখনই দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। কারণ এর নেতৃত্বে রয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ স্বল্প উন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাথে থাকুন এবং আমার প্রতি আস্থা রাখুন। আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে আপনাদের সেবক হয়ে কাজ করতে চাই। আমি আপনাদের সেবক হয়ে থাকতে চাই। ভূমিদস্যুতা, মাদক ও জঙ্গিবাদ মুক্ত মডেল উপজেলা গড়তে চাই। উন্নয়ন সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা-উপজেলা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
জাতীয় পার্টির চেয়ম্যানের পদ থেকে আগেই বহিস্কৃত কাদের দল থেকে কাউকে অব্যাহতির এখতিয়ার রাখেন না দাবি করে ১০০ কোটি টাকার মানহানির অভিযোগ এনে জিএম কাদেরকে শনিবার লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন জেলা জাপার সদস্য সচিব এড এস এম মাসুদুর রহমান। লিগ্যাল নোটিশে তিনি উল্লেখ করেন, জিএম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নু দল থেকে বহিষ্কৃত। নতুন কাউন্সিলে কাউন্সিলরদের সর্বসম্মতিতে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্ত্রী বেগম রওশন এরশাদকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়। এরশাদ পুত্র রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদ দলের যুগ্ম-মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন। সেটা জানার পরও জিএম কাদের দল থেকে আমার নেতা রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদকে বহিষ্কার করতে পারেন না। কারণ তিনি তো দলের চেয়ারম্যানই নন। তিনি দল থেকে অব্যাহতির কথা বলে প্রেস. lবিজ্ঞপ্তি প্রচার করে জনস্মুখে আমার নেতা রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদের মানহানী করেছেন। এই রকম মানহানীকর সংবাদ প্রচার করে নেতার একশত কোটি টাকার মান সম্মানের ক্ষতি সাধন করেছেন। সাথে সাথে পেনাল কোড এর ৪৯৯ ধারা ও মানহানীকর তথ্য প্রকাশ, প্রচার এর জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে-২০১৮ এর ২৯ (১)(২) ধারার অপরাধ করেছেন। তাই পল্লীবন্ধু পুত্র সাদ এরশাদের আদর্শের প্রতি আদর্শিত হয়ে আপনাকে স্ব-উদ্যেগে লীগ্যাল নোটিশ প্রেরন করেছি।তিনি আরও উল্লেখ করেন, দ্রুত ক্ষমা চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার না করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবো।এর আগে জিএম কাদের অনুসারি মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের দলীয় গঠনতন্ত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবল উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা এম এ কুদ্দুস খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদা রহমান মুন্নি, প্রাদেশিক বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম খুশু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এস এম আল জুবায়ের, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন দে, শারফুদ্দিন আহমেদ শিপু, শারমিন পারভীন লিজা, যুগ্ম প্রচার সম্পাদক শেখ মাসুক রহমান ও যুগ্ম-মহিলাবিষয়ক সম্পাদক শাহনাজ পারভীনকে দলীয় সব পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। দলটির পদ পদবি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আগেই জিএম কাদেরের নেতৃত্ব পরিহার করে জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সাবেক বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এর নেতৃত্বে পৃথক জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়েছেন এসব নেতা। কাউন্সিলে সাদ এরশাদ, সাহিদুর রহমান টেপা কো-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বাকি নেতারা বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ম্যানের পদ থেকে আগেই বহিস্কৃত কাদের কাউকে দল থেকে অব্যাহতির এখতিয়ার রাখেন না, দাবি করে লিগাল নোটিশ দিলেন বটিয়াঘাটার জাপানেতা অ্যাড: প্রশান্ত বিশ্বাস। তিনি ১০০ কোটি টাকার মানহানির অভিযোগ এনে জিএম কাদেররে বিরুদ্ধে ২৪ মার্চ রবিবার এই লিগ্যাল নোটিশ দেন। অ্যাডভোকেট প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বটিয়াঘাটা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব । লিগ্যাল নোটিশে তিনি উল্লেখ করেন, জিএম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নু দল থেকে বহিস্কৃত। নতুন কাউন্সিলে কাউন্সিলরদের সর্বসম্মতিতে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্ত্রী বেগম রওশন এরশাদকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়। এরশাদ পুত্র রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদ দলের যুগ্ম-মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন। সেটা জানার পরও জিএম কাদের দল থেকে আমার নেতা রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদকে বহিষ্কার করতে পারেন না। কারণ তিনি তো দলের চেয়ারম্যানই নন। তিনি দল থেকে অব্যাহতির কথা বলে প্রেসবিজ্ঞপ্তি প্রচার করে জনসম্মুখে আমার নেতা রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদের মানহানী করেছেন। এই রকম মানহানীকর সংবাদ প্রচার করে নেতার একশত কোটি টাকার মান সম্মানের ক্ষতি সাধন করেছেন। সাথে সাথে পেনাল কোড এর ৪৯৯ ধারা ও মানহানীকর তথ্য প্রকাশ, প্রচার এর জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে-২০১৮ এর ২৯ (১)(২) ধারার অপরাধ করেছেন। তাই পল্লীবন্ধু পুত্র সাদ এরশাদের আদর্শের প্রতি আদর্শিত হয়ে আপনাকে স্ব-উদ্যেগে লীগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করেছি।তিনি আরও উল্লেখ করেন,দ্রæত ক্ষমা চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার না করা হলে আপনার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে কেন আপনার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে না নোটিশ প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে জানাবেন। আরও জানাবেন আপনি কি ভাবে জনবন্ধু হলেন। অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে যথা আদালতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।এ্যাডভোকেট প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, ২৪ মার্চ রবিবার জিএম কাদেরকে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির চেয়ম্যানের পদ থেকে আগেই বহিস্কৃত কাদের কাউকে দল থেকে অব্যাহতির এখতিয়ার রাখেন না, দাবি করে লিগাল নোটিশ দিলেন মহানগর জাপার সদস্য সচিব মোল্লা শওকত বাবুল।তিনি ১০০ কোটি টাকার মানহানির অভিযোগ এনে জিএম কাদেররে বিরুদ্ধে সোমবার এই লিগ্যাল নোটিশ দেন। লিগ্যাল নোটিশে তিনি উল্লেখ করেন, জিএম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নু দল থে কে বহিস্কৃত। নতুন কাউন্সিলে কাউন্সিলরদের সর্বসম্মতিতে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্ত্রী বেগম রওশন এরশাদকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়। এরশাদ পুত্র রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদ দলের যুগ্ম-মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন। সেটা জানার পরও জিএম কাদের দল থেকে আমার নেতা রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদকে বহিষ্কার করতে পারেন না। কারণ তিনি তো দলের চেয়ারম্যানই নন। তিনি দল থেকে অব্যাহতির কথা বলে প্রেসবিজ্ঞপ্তি প্রচার করে জনসম্মুখে আমার নেতা রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদের মানহানী করেছেন। এই রকম মানহানীকর সংবাদ প্রচার করে নেতার একশত কোটি টাকার মান সম্মানের ক্ষতি সাধন করেছেন। সাথে সাথে পেনাল কোড এর ৪৯৯ ধারা ও মানহানীকর তথ্য প্রকাশ, প্রচার এর জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে-২০১৮ এর ২৯ (১)(২) ধারার অপরাধ করেছেন। তাই পল্লীবন্ধু পুত্র সাদ এরশাদের আদর্শের প্রতি আদর্শিত হয়ে আপনাকে স্ব-উদ্যেগে লীগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করেছি।তিনি আরও উল্লেখ করেন,দ্রুত ক্ষমা চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার না করা হলে আপনার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে কেন আপনার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে না নোটিশ প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে জানাবেন। আরও জানাবেন আপনি কি ভাবে জনবন্ধু হলেন। অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে যথা আদালতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে শহীদ মিনারে সদর থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মোমবাতি প্রজ্জলন করা হয়। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মোমবাতি প্রজ¦লন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা। সভাপতিত্ব করেন সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যা. শহিদুল হক মিন্টু, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, শামছুজ্জামান মিয়া স্বপন, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, আব্দুল হাই পলাশ, চৌধুরী মিনহাজ উজ জামান সজল, বাবুল সরদার বাদল, মঈনুল ইসলাম নাসির, আতাউর রহমান শিকদার রাজু, মো. শিহাব উদ্দিন, মো. শহীদুল হাসান, ফেরদৌস আলাম রিতা, রোকেয়া রহমান, শেখ হারুন মানু, মো. শরিফুল ইসলাম মুন্না, এ্যাড. সোহেল পারভেজ, এ্যাড. শাম্মী, মো. মোশাররফ হোসেন, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. আনোয়ার হোসেন, রফিকুল ইসলাম, রাজু হাওলাদার, দেলোয়ার হোসেন, ফেরদাউস ফকিরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদের জন্য ফরম সংগ্রহের মধ্যদিয়ে উদ্বোধন করা হলো দশম জাতীয় সম্মেলন পরবর্তি কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনপূর্ব সদস্য অন্তর্ভূক্তি ফরম বিতরণ কার্যক্রম। প্রথম দিন ১৩৮ টি সদস্য অন্তর্ভূক্তি ফরম বিতরণ করা হয়। সোমবার ২৫ মার্চ সকালে পার্টির মহাসচিবের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সদস্য অন্তর্ভুক্তি ফরম বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জাপার সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল আহসান শাহজাদা। তিনি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের পক্ষে প্রথম ফরমটি সংগ্রহ করেন।পরে পার্টির মহাসচিব কাজী মামুনূর রশিদের পক্ষে সদস্য ফরম সংগ্রহ করেন জাপার সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য পীরজাদা জুবায়ের আহমেদ। এরপর মুঠোফোনে নির্দেশিত হয়ে জাপার নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদের জন্য ফরম সংগ্রহ করেন ফখরুল আহসান শাহজাদা। শীর্ষ নেতৃবৃন্দের ফরম সংগ্রহের পর উপস্থিত কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতারা কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে অন্তর্ভূক্তি ফরম সংগ্রহ করেন। এর মধ্যে সাবেক উপদেষ্টা এমএ কুদ্দুস, সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার মামুনূর রশিদ, সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক শাহনাজ পারভিন, সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য পীরজাদা জুবায়ের আহমেদ, আমিনা হাসান, শাহিনা আরা সুলতানা রিমা, তৌহিদুর রহমান, নড়াইল থেকে সৈয়দ ওয়াহিদুল ইসলাম তরুন, ময়মনসিংহ থেকে নাফিজ মাহবুব, লক্ষ্মীপুর থেকে আবুল কালাম আজাদসহ আরো অনেকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে স্থান করে নিতে সদস্য সংগ্রহ করেন।সদস্য বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন সাবেক ছাত্রনেতা খন্দকার মনিরুজ্জামান টিটু ও আবুল হাসান আহমেদ জুয়েল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক দফতর সম্পাদক খোরশেদ আলম খুশু, ওয়াহিদুল ইসলাম তরুণ, পীরজাদা জুবায়ের আহমেদ, ফজলে এলাহী সোহাগ, তৌহিদুর রহমান, আমিনা হাসান ও নাফিজ মাহমুদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. সাহিদুর রহমান টেপাসহ জাপার ১০ নেতাকে নিজ নিজ পদসহ দলীয় সকল পদ-পদবী থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তার এই অব্যাহতিদানকে চ্যালেঞ্জ করে এবার উকিল নোটিশ দিয়েছেন বেগম রওশন এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান মো. সাহিদুর রহমান টেপা।সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী গাজী রবিউল ইসলাম (সাগর) প্রেরিত জি এম কাদেরকে দেয়া উকিল নোটিশে উল্লেখ করা হয়, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনি এবং সাবেক মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু অংশগ্রহণ করায় আপনি ও মুজিবুল হক চুন্নুকে পদ-পদবী হইতে অব্যাহতি দেন এবং ৯ মার্চ জাতীয় পার্টির ১০ম জাতীয় সম্মেলনে ডেলিগেটরদের কন্ঠভোটে রওশন এরশাদকে চেয়ারম্যান ও আমার মোয়াক্কেলকে ১নং কো-চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়। আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, আপনাকে ও মুজিবুল চুন্নুকে অব্যাহতি দেয়ার পর আপনি বা মুজিবুল হক চুন্নু আমার মোয়াক্কেল বা কাহাকেও অব্যাহতি দেয়ার ক্ষমতা রাখেন না।নোটিশে বলা হয়, আমার মোয়াক্কেলকে অযৌক্তিকভাবে অব্যাহতি দেয়ার মহড়া, প্রচার-প্রচারণায় তার মান-সম্মান ও সামাজিক মর্যাদার ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। যেকারণে আমার মোয়াক্কেল আপনার বিরুদ্ধে দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালতের আশ্রয় নিতে পারে। ৭ দিনের মধ্যে ভুল স্বীকার না করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানানো হয়। জি এম কাদেরের সাথে জাতীয় পার্টির যুগ্ম দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলমের কাছেও উকিল নোটিশ পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমি আপনাদের সেবা করতে এসেছি। এই সেবা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে দল-মত নির্বিশেষে সকল সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন। সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকান্ডকে আরো গতিশীল করবে। তিনি বলেন, আমি সবাইকে সাথে নিয়ে শিল্পাঞ্চলের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে চাই। আপনাদের সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা সঠিকভাবে পালন করতে চাই। আমার কাজে ভুল হলে আপনারা আমাকে বলবেন আমি সংশোধন করে নিবো। আপনারা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং আমার জন্য দোয়া করবেন।বুধবার নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড সুজিত অধিকারী, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ ফারুক আহমেদ, খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আহমেদ আলী খান, এস এম হাবিব, এস এম জাহিদ হোসেন। খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক দেশ সংযোগের সম্পাদক মোঃ মুন্সী মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাহেব আলী, মল্লিক সুধাংশু, দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিনের সম্পাদক এস এম সাহিদ হোসেন, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মো. আনোয়ারুল ইসলাম কাজল, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক হাওলাদার, মো. শাহ আলম, মোঃ সাঈয়েদুজ্জামান সম্রাট, বিএফইউজে’র নেতা হুমায়ূন কবীর, কৌশিক দে বাপি, মো. হেদায়েত হোসেন মোল্লা, খুলনা বিভাগীয় ফটো জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ জাহিদুল ইসলাম সহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা শেখ শহিদুল ইসলাম, মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, এ্যাড. রজব আলী সরদার, এ্যাড. আইয়ুব আলী শেখ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, মোঃ কামরুজ্জামান জামাল, শেখ মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ, মোঃ শাহজাদা, কাউন্সিলর আলী আকবর টিপু, কাউন্সিলর জেলা মাহমুদ ডন, মুক্তিযোদ্ধা মাকসুদ আলম খাজা, এ্যাড. মোঃ সাইফুল ইসলাম, মোঃ সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, শেখ সৈয়দ আলী, তসলিম আহমেদ আশা, শহিদুল ইসলাম বন্দ, এস এম আনিছুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোশাররফ হোসেন, শেখ দাউদ হায়দার, অ্যাডভোকেট এ কে এম শাহজাহান কচি, শফিকুর রহমান পলাশ, এম এ নাসিম, ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ফয়েজুল ইসলাম টিটো, কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম প্রিন্স, সোহেল বিশ^াস, মেহেদী হাসান রাসেল, নয়ন প্রমুখ।
খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের জীবনমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে করছে। বর্তমান সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে অসহায়, হতদরিদ্র মানুষের কল্যাণে দিনরাত কাজ করে চলেছেন। প্র্রধানমন্ত্রী যেভাবে গরীব ও অসহায় মানুষের পাশে থেকে সেবা করে যাচ্ছেন বিগত দিনে কোনো সরকার করেনি। প্রধানমন্ত্রী দেশি-বিদেশী সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দেশকে উন্নয়নের শিখরে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এজন্য তিনি আগামী দিনেও দেশ ও জাতির কল্যাণে আওয়ামী লীগের সকল সংগ্রামে জনসাধারণকে পাশে থাকার আহবান জানান।গতকাল বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় রূপসা উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত গরীব অসহায় ও অসুস্থ রোগীদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুদানের চেক বিতরণ, জেলেদের মাঝে বাছুর বিতরণ এবং বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। রূপসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোহিনুর জাহানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বয়রা মহিলা কলেজের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক খান আহমেদুল কবীর চাইনিজ, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা আফরোজ মনা, রূপসা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শওকত কবীর। শিক্ষা অফিসার আমিনুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তৃতা করেন কৃষি অফিসার জাহাঙ্গীর আলম, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার মজুমদার, মৎস্য কর্মকর্তা বাপী দাস, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আইরিন পারভিন, প্রকৌশলী এসএম ওয়াহিদুজ্জামান, প্রকল্প বাস্তাবায়ন কর্মকর্তা আনিচুর রহমান, সমাজসেবা কর্মকর্তা জেসিয়া জামান, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ইশরাক হোসেন প্রমুখ। এছাড়া তিনি রূপসা উপজেলা কৃষি দপ্তর আয়োজিত পাট চাষীদের মাঝে বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।দিনব্যাপী তার সফরসঙ্গী ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য আঃ মজিদ ফকির, ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মোঃ ইমদাদুল ইসলাম, উপজেলা আওয়াম লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ মোর্শেদুল আলম বাবু, খান শাহাজাহান কবীর প্যারিস, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শ্যামল দাস, আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ মোতালেব হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাাক এসএম হাবিব, দপ্তর সম্পাদক আকতার ফারুক, সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের সাবেক অফিসার ইনচার্জ সরদার ফেরদৌস আহমেদ, আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেন বুলবুল, প্রভাষক মোঃ অয়াহিদুজ্জামান, ইউপি চেয়ারম্যান মোল্যা ওয়াহিদুজ্জামান মিজান, উপজেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক মফিজুর ইসলাম, কৃষক লীগের সভাপতি আঃ মান্নান শেখ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রাজীব দাস টাল্টু, আওয়ামী লীগ নেতা সরদার মিজানুর রহমান, হিরন আহমেদ হিরু, প্রধান শিক্ষক হায়দার আলী, কৃষ্ণপদ রায়, সরোজ কুমার হালদার, চাঁদ সুলতানা, শ্রমিক লীগ নেতা নুর ইসলাম টুলু, আওয়ামী লীগ নেতা আজমল ফকির, যুবলীগ নেতা রবিউল ইসলাম, খায়রুজ্জামান সজল, সামছুল আলম বাবু, ছাত্রলীগ নেতা অরিফুর রহমান কাজল, নাজমুল হুদা অঞ্জন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আঃ জব্বার হাওলাদার, নুর ইসলাম সরদার প্রমুখ।
খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের জীবনমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে করছে। বর্তমান সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে অসহায়, হতদরিদ্র মানুষের কল্যাণে দিনরাত কাজ করে চলেছেন। প্র্রধানমন্ত্রী যেভাবে গরীব ও অসহায় মানুষের পাশে থেকে সেবা করে যাচ্ছেন বিগত দিনে কোনো সরকার করেনি। প্রধানমন্ত্রী দেশি-বিদেশী সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দেশকে উন্নয়নের শিখরে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এজন্য তিনি আগামী দিনেও দেশ ও জাতির কল্যাণে আওয়ামী লীগের সকল সংগ্রামে জনসাধারণকে পাশে থাকার আহবান জানান।গতকাল বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় রূপসা উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত গরীব অসহায় ও অসুস্থ রোগীদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুদানের চেক বিতরণ, জেলেদের মাঝে বাছুর বিতরণ এবং বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। রূপসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোহিনুর জাহানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বয়রা মহিলা কলেজের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক খান আহমেদুল কবীর চাইনিজ, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা আফরোজ মনা, রূপসা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শওকত কবীর। শিক্ষা অফিসার আমিনুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তৃতা করেন কৃষি অফিসার জাহাঙ্গীর আলম, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার মজুমদার, মৎস্য কর্মকর্তা বাপী দাস, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আইরিন পারভিন, প্রকৌশলী এসএম ওয়াহিদুজ্জামান, প্রকল্প বাস্তাবায়ন কর্মকর্তা আনিচুর রহমান, সমাজসেবা কর্মকর্তা জেসিয়া জামান, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ইশরাক হোসেন প্রমুখ। এছাড়া তিনি রূপসা উপজেলা কৃষি দপ্তর আয়োজিত পাট চাষীদের মাঝে বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।দিনব্যাপী তার সফরসঙ্গী ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য আঃ মজিদ ফকির, ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মোঃ ইমদাদুল ইসলাম, উপজেলা আওয়াম লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ মোর্শেদুল আলম বাবু, খান শাহাজাহান কবীর প্যারিস, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শ্যামল দাস, আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ মোতালেব হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাাক এসএম হাবিব, দপ্তর সম্পাদক আকতার ফারুক, সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের সাবেক অফিসার ইনচার্জ সরদার ফেরদৌস আহমেদ, আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেন বুলবুল, প্রভাষক মোঃ অয়াহিদুজ্জামান, ইউপি চেয়ারম্যান মোল্যা ওয়াহিদুজ্জামান মিজান, উপজেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক মফিজুর ইসলাম, কৃষক লীগের সভাপতি আঃ মান্নান শেখ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রাজীব দাস টাল্টু, আওয়ামী লীগ নেতা সরদার মিজানুর রহমান, হিরন আহমেদ হিরু, প্রধান শিক্ষক হায়দার আলী, কৃষ্ণপদ রায়, সরোজ কুমার হালদার, চাঁদ সুলতানা, শ্রমিক লীগ নেতা নুর ইসলাম টুলু, আওয়ামী লীগ নেতা আজমল ফকির, যুবলীগ নেতা রবিউল ইসলাম, খায়রুজ্জামান সজল, সামছুল আলম বাবু, ছাত্রলীগ নেতা অরিফুর রহমান কাজল, নাজমুল হুদা অঞ্জন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আঃ জব্বার হাওলাদার, নুর ইসলাম সরদার প্রমুখ।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ শনিবার সন্ধ্যায় দলীয় মহাসচিব কাজী মো: মামুনূর রশিদ এর সুপারিশক্রমে দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলনের সিদ্ধান্ত এবং গঠনতন্ত্রের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আংশিক নাম ঘোষণা করেছেন। জাপার কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেয়েছেন খুলনা চার নেতা। তারা হলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য পদে সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফ্ফার বিশ্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক সংসদ সদস্য মো: মোক্তার হোসেন ও মোল্যা শওকত হোসেন বাবুল শওকত বাবুল। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে এ্যাড. এস. এম. মাসুদুর রহমান।এর আগে গত ৯ মার্চ দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে দশম জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন করে রওশনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি। সম্মেলনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন রওশন এরশাদ। এতে মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন কাজী মামুনুর রশীদ। সম্মেলনে এরশাদের ছেলে রাহগির আল মাহি এরশাদ ওরফে সাদ এরশাদকে দলের কো-চেয়ারম্যান করা হয়। রওশনের অবর্তমানে সাদ দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন বলেও সম্মেলনে ঘোষণা দেওয়া হয়।কাজী ফিরোজ রশিদকে নির্বাহী চেয়ারম্যান, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান এবং সাহিদুর রহমান টেপা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, আল মাহগির শাদ এরশাদ, গোলাম সারোয়ার মিলন ও সুনীল শুভ রায়কে কো-চেয়ারম্যান হিসেবে সম্মেলনে ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুকে মিথ্যা মামলায় সাজা প্রদান করে জেল হাজতে প্রেরণ করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাগেরহাট জেলা যুবদলের সহকারী সমন্বয়ক ও মোড়েলগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক শামীম হাসান টিটো। শামীম হাসান টিটো স্বাক্ষরিত সোমবার (২৯ এপ্রিল ) সন্ধ্যায় পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুর সাজা বাতিল করে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান।বিজ্ঞপ্তিতে তিনি আরো জানান, দেশের যুব সমাজের আইকন সালাহউদ্দিন টুকু এদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে রাজপথে রক্ত ঝরিয়েছে। বর্তমান সরকার তার গতিশীল আন্দোলনে ভীত হয়ে তাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করছে। তার উপর হামলা হয়েছে , তার নামে শত শত মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে । পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। সর্বশেষ মিথ্যা মামলায় সাজা প্রদান করে আজ তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছে। অবিলম্বে তার সাজা বাতিলসহ সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ খুলনা মহানগর শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে৷ গতকাল বুধবার বিকেলে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় আহবায়ক মোল্লা রহমাতুল্লাহ ও সদস্য সচিব মুনতাসির মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।ঘোষিত দাপ্তরিক কমিটিতে সভাপতি হিসাবে স্থান পেয়েছেন সোহরাওয়ার্দী কলেজের সাবেক ছাত্রনেতা মহরম হাসান মাহিম। সাধারণ সম্পাদক হিসাবে শাহ পরান শেখ মালেক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে শাওন হাওলাদার সহ ৩৮ সদস্য বিশিষ্ট নতুন এই কমিটিতে দপ্তর সম্পাদক মিথুন গাজী, অর্থ সম্পাদক রাকিব হাসান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইমরান আরেফিন, ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক জান্নাতুল নুজাইফা, সমাজসেবা সম্পাদক তাসনীম ইসলাম ও ত্রীড়া সম্পাদক হিসাবে স্থান পেয়েছেন সালমান সরকার।ঘোষিত কমিটিতে সহ সভাপতি হিসাবে রয়েছেন রাজিব হোসেন, মোঃ ফেরদৌস ও বিএম ইব্রাহিম। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসাবে রয়েছেন আহাদ জিহান, মঞ্জুরুল ইসলাম জিহাদ, মাহির আলফাজ, রাহুল ও রিতু। সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন কৌশিক মন্ডল, আরফিন মানুন, আল আমিন হোসাইন, মান্নান হোসেন তূর্য, আব্দুর রহিম, হামিম মাহমুদ রকি ও মাসূম বিল্লাহ। তাছাড়া প্রিন্স ঢালী, মনির ইসলাম রাজ, শাহিন শাহ, আয়ানা খান, হামিম মাহিমুদ রকি ও সানজিদা আক্তার এ্যানি’কে বিভিন্ন উপ সম্পাদক ও সহ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷কার্যনির্বাহী সদস্য হিসাবে রয়েছেন রিয়াদ ইসলাম, আরিয়ান সালমান, শুভ হাওলাদার, সুরাইয়া ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম, সৌরভ মন্ডল, মামুন ইসলাম ও মোস্তফা সরোয়ার৷
রূপসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম হাবিব (দোয়াত কলম)৷ তিনি ভোট পেয়েছেন ২৫৭৭৭। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাবেক অধ্যক্ষ সরদার ফেরদৌস আহম্মেদ (কাপ-পিরিচ) পেয়েছেন ২৪০৬৬ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাফেজ মাওলানা আবদুল্লাহ যোবায়ের (তালা) নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোট ৩৯,৮০২। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামীলীগ নেতা হিরন আহম্মেদ (টিউবওয়েল) পেয়েছেন ১৭,৭৩৬ ভোট। অপর দিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা যুব মহিলালীগের সাধারণ সম্পাদক সারমিন সুলতানা রুনা (প্রজাপতি)। তার প্রাপ্ত ভোট ৩৬৬৯৮। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ফারহানা আফরোজ মনা (কলস) পেয়েছেন ২৭,৭০৬ ভোট।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয় ধাপের স্থগিত হওয়া নির্বাচনে ডুমুরিয়ায় অতি ঝুকিপূর্ন ৩০ কেন্দ্র বলে অভিযোগ করেছেন মোটরসাইকেল মার্কার প্রার্থী আজগর বিশ্বাস তারা। তিনি গত সোমবার জেলা সহকারি রিটার্নিং অফিসারের কাছে এ তালিকাসহ লিখিত অভিযোগ করেন।অভিযোগে উল্লেখিত কেন্দ্রগুলো হলো, ঝুকিপূর্ন কেন্দ্রের নাম, কাটেংগা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কাটেংগা টোলনা মাঝের পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, টোলনা চেঁচুড়ী দহাকুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কৃষ্ণনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধুগ্রাম ইসলামীয়া আলিম মাদ্রাসা, মিকশিমিল রুদাঘরা উচ্চ বিদ্যালয়, মিকশিমিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খর্নিয়া ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কাঠালতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বেতগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাঞ্চনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জিয়ালতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,পল্লিশ্রী মহা বিদ্যালয়, বৃত্তি ভুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আকড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাহস নোয়াকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সাহস নোয়াকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উলা মৈখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হাজীবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধানিবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বান্ধা স্কুল এন্ড কলেজ, হাজিডাঙ্গা, খলশি,সাজিয়াড়া, অশ্বিনী কুমার মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মির্জাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সাজিয়াড়া শামসুল উলুম মাদ্রাসা, আরাজি, কুলটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কুলটি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, গুটুদিয়া অংকুর চন্দ্র গোলদার বান্ধব মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাগুরখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় , কৈপুকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আমুড় বুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ।মোটরসাইকেল মার্কার প্রার্থী আজগর বিশ্বাস তারা এ প্রতিবেদকের কাছে জানান, ভোটারদের অংশ গ্রহন ও উক্ত কেন্দ্র গুলোর নিরাপত্তা প্রদান করে উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট প্রদান করে দৃষ্টান্ত নজির স্থাপন করতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের একান্ত সহযোগীতা কামনা করছি ।খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান বলেন, একটি নিরপেক্ষ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমাদের জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।তবে কোন প্রার্থী আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি।অভিযোগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো। তবে এ বিষয়ে সহকারী রিটার্নিং অফিসারকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী বলেন, এলাকাবাসী ও দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করা আমার জীবনে সীমাহীন প্রশান্তি বয়ে আনে । ঈদ মানে আনন্দ।ঈদ-উল-আযাহা আমাদের সবার জীবনে বয়ে আনুক সীমাহীন আনন্দ, সুখ ও শান্তি। আপনারা সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ও নিরাপদে থাকুন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের কারণে আমি মূলত এলাকায় ঢুকতে পারিনি। তাই এলাকার মানুষের সাথে কিছুদিন আমার দেখা করা হয়ে ওঠেনি। আমি বিগত কয়েক বছর যাবত আমার গ্রামের বাড়িতে এসে এলাকাবাসীদের ও দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ করতে পেরে খুবই আনন্দ উপভোগ করতে পারছি। আমার জীবনের এই সময়টা শ্রেষ্ঠ সময় মনে হয়। খেলাধুলা ব্যবসা-বাণিজ্য করে আল্লাহর ইচ্ছায় আমি একটা জায়গায় পৌঁছেছি। এখন রাজনীতি করে মানুষের সেবা করতে পারছি এটা আমার জীবনের একটি প্রশান্তির ব্যাপার। আমি আমার জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত মানুষের সেবা করে যেতে চাই। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাকে আপনারা ভোট দিয়ে নিরঙ্কুশ বিজয় করেছেন। এ বারে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমার পছন্দের প্রার্থীদের আপনারা বিজয়ী করেছেন। তারপর ঈদুল আযহার আনন্দ। এই তিনটি বিষয়কে মাথায় রেখে এবারের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানটি ব্যাপক আকারে করতেছি। আমার এলাকায় দুস্থদের মাঝে কুরবানীর গোশত তুলে দিতে পেরে তাদের মূর্খের হাসি আমার হৃদয়ে আনন্দের প্রতিচ্ছবি তৈরি করছে। সালাম মূর্শেদী’র ব্যক্তিগত আয়োজনে তার নৈহাটি বাসভবনে গত ১৮ জুন দুপুরে ঈদ পুনর্মিলনী ও ঈদভোজ অনুষ্ঠানে এ সকল কথা এমপি বলেন৷ উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন জেলা আওয়ামীলীগসহ রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়া উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ, জনপ্রতিনিধি এবং দলীয় নেতাকর্মীরা। এ সময় তিনি গরীব, অসহায় ও দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে কোরবানির জবাইকৃত গোস্ত বিতরণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান জামাল, এনভয় গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট সমাজসেবক এমপি পত্নী সারমিন সালাম,,জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য ফ,ম সালাম,পাপিয়া সরোয়ার শিউলী,রূপসা উপজেলা পরিষদ নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান এসএম হাবিব,তেরখাদা উপজেলা পরিষদ নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আবুল হাসান শেখ,রূপসা উপজেলা সাবেক সাধারণ সম্পাদক সরদার আবুল কাশেম ডাবলু,তেরখাদা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এফএম ওয়াহিদুজ্জামান,রূপসা উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ মোর্শেদুল আলম বাবু,মোল্যা আরিফুর রহমান,খান শাহাজাহান কবীর প্যারিস,যুগ্ম সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক শ্যামল কুমার দাস,সাবেক খুলনা জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মোঃ মোতালেব হোসেন, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান সোহাগ, রূপসা উপজেলা নব নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সারমিন সুলতানা রুনা,রূপসা উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক আকতার ফারুক,শ্রম বিষয়ক সম্পাদক গাজী মোঃ আলী জিন্নাহ,নৈহাটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক,সাধারণ সম্পাদক,ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বুলবুল,ঘাটভোগ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোল্যা ওয়াহিদুজ্জামান মিজান,রূপসা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শক্তিপদ বসু,সাধারন সম্পাদক কৃষ্ণ গোপাল সেন, আওয়ামীলীগ নেতা সরদার মিজানুর রহমান, বিনয় কৃষ্ণ হালদার,মঈন উদ্দীন শেখ,ইনতিয়াজ মোল্যা, লিপিকা দাস,যুবলীগ নেতা হারুন মোল্যা, সরদার জসীম উদ্দীন,শফিকুর রহমান ইমন, সামসুল আলম বাবু,রবিউল ইসলাম, খায়রুজ্জামান সজল, সাইফুল ইসলাম শাওন,জাহিদুর রহমান,মুসা মোল্যা সবুজ,মহিউদ্দিন মানিক, ইয়াকুব শেখ,শরিফুল ইসলাম সোহাগ প্রমূখ।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রিয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগকে যারা ধ্বংস করতে ষড়যন্ত্র করেছে তারাই ধ্বংস হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ তৃণমূলের সংগঠন। আওয়ামী লীগ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন। বঙ্গবন্ধু বঞ্ছিত মানুষের জন্য রাজনীতি করেছেন। যে কারণেই এদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে ভালোবাসে। শত প্রতিকূলতা শেষেও আওয়ামী লীগের প্রতি এদেশের মানুষ আস্থা রাখে। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের সৃষ্টিই হয়েছিলো এ দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে। সে কারণেই ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬ এর ৬দফা আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যত্থান, ৭০-এর সাধারণ নির্বাচন এবং ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় সফলভাবে শেষ হয়েছে। এদেশের যত অর্জন সবই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংঘটিত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার পরে আবারও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সফলতাও এসেছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে নেই। সকল ষড়যন্ত্রকারীদের উৎখাতই হবে আজকের এই প্লাটিনাম জুবলীর অঙ্গিকার।গতকাল রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে আনন্দ র্যালি পূর্ব সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ কে এম সানাউল্লাহ নান্নুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বাশারের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ¦ তালুকদার আব্দুল খালেক, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম মুন্না, আওয়ামী লীগ নেতা কাউন্সিলর মো. খালিদ হোসেন, আব্দুস সাত্তার লিটন, মো. মুরাদ হোসেন, কাজী তালাত হোসেন কাউট, জাকির হোসেন, এস এম মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, এস এম মোর্শেদ আহমেদ মনি, মো. সফিউল্লাহ, মো. জিয়াউল ইসলাম, কামরুজ্জামান বাবলু, মোল্লা হায়দার আলী, মো. ইমরুল ইসলাম, মো. আলী আহমেদ, মো. মনিরুজ্জামান মনি, জিয়াউল আলম খান খোকন, আসলাম আলী, কাউন্সিলর এস এম খুরশীদ আহমেদ টোনা, কাউন্সিলর মো. সাহিদুর রহমান, কাউন্সিলর মাহফুজুর রহমান লিটন, কাউন্সিলর প্রিন্স, মো. খালিদ হোসেন, সাবেক কাউন্সিলর পারভীন আক্তার, প্যানেল মেয়র মেমরী সুফিয়া রহমান শুনু, কাউন্সিলর সোনালী আক্তার, কাউন্সিলর রাফিজা আক্তার মিরা, সহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।সমাবেশ শেষে এক বিশাল বণ্যাঢ্য র্যালি খালিশপুরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
রূপসা উপজেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী (প্লাটিনাম জয়ন্তী) পালন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও কেক কাটা অনুষ্ঠান গতকাল ২৩ জুন সকালে উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় জুম কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী। প্রধান বক্তা ছিলেন খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান জামাল। উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি, বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ কামাল উদ্দীন বাদশার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন রূপসা উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান এসএম হাবিবুর রহমান, খুলনা জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য ফ,ম আ: সালাম, পাপিয়া সরোয়ার শিউলী। আওয়ামীলীগ নেতা সরদার আবুল কাশেম ডাবলু ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শ্যামল কুমার দাসের পরিচালনায় বক্তৃতা করেন রূপসা উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আরিফুর রহমান মোল্যা, সৈয়দ মোর্শেদুল আলম বাবু, সাবেক জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মোঃ মোতালেব হোসেন, দপ্তর সম্পাদক আকতার ফারুক, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক গাজী মোঃ আলী জিন্নাহ, রূপসা উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শারমিন সুলতানা রুনা, আওয়ামীলীগ নেতা অধ্যাপক আল মামুন সরকার, রূপসা উপজেলা আওয়ামীলীগ সদস্য শেখ জমির হোসেন, ঘাটভোগ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোল্যা ওয়াহিদুজ্জামান মিজান, রূপসা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শক্তিপদ বসু, আওয়ামীলীগ নেতা প্রভাষক ওয়াহিদুজ্জামান, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, বিনয় কৃষ্ণ হালদার, সরদার মিজানুর রহমান, তাহিদুল ইসলাম মোল্যা, মুনীর হোসেন মোল্যা, মঈন উদ্দিন শেখ, আছাবুর রহমান মোড়ল, ফরিদ শেখ, উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি আঃ সত্তার শেখ, রূপসা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি রুহুল আমিন রবি, সাধারন সম্পাদক রাজীব দাস, শেখ জুলফিকার আলী, আরিফুর রহমান, সরদার জাকির হোসেন, হারুন মোল্যা,নাসির হোসেন সজল, ব্রজেন দাস, বিধান চন্দ্র, মৃনাল সরকার, আনিসুজ্জামান মিঠু, চয়নিকা খানম, লিপিকা রানী দাস, ইনতিয়াজ শেখ, কামরুজ্জামান সোহেল, হায়দার আলী, সরদার জসীম উদ্দীন, মোস্তাফিজুর রহমান হেলাল, সফিকুর রহমান ইমন, রবিউল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, রতন মন্ডল, খায়রুজ্জামান সজল, সাইফুল ইসলাম শাওন, ইরান মোল্যা, জাহিদুর রহমান, আঃ রউফ শিকদার, ইন্দ্রজিত বিশ্বাস, দাউদ আলী শেখ, আলমগীর হোসেন শ্রাবণ, মাসুম সরদার, সামসুল আলম বাবু, শিমূল হোসেন, মঈন উদ্দীন, কৃষকলীগ নেতা মাহামুদুল হাসান শামীম, স্বেচ্ছাসেবলীগ নেতা মুসা মোল্যা সবুজ, সোহেল পারভেজ, ইমলাক মল্লিক, মেহেদী হাসান, মামুন নীরব, মোস্তাইন শেখ মুন্না, মামুন শেখ, ইয়াকুব শেখ, ছাত্রলীগ নেতা আরিফুল ইসলাম কাজল, হুমায়ূন কবীর, নাজমুল হুদা অঞ্জন, রুবেল হোসেন, রিয়াজ শেখ, রাসেল শেখ, সাজ্জাদ হোসেন, তুষার শেখ, জনী, নাফিজ,শিপন প্রমূখ।
দেশব্যাপী চলমান আন্দোলনে খুলনায় দায়িত্ব পালনকালে নিহত হয়েছেন বাগেরহাটের সন্তান পুলিশ কনস্টেবল সুমন কুমার ঘরামী। তার অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ পরিবার। কনস্টেবল সুমন কুমার ঘরামীর শেষ কৃত্য ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী নিজ গ্রামে অনুষ্ঠিত হবে। মৃত কালে তিনি স্ত্রী এক পুত্র সন্তান আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। নিহত সুমন কুমার ঘরামী বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের মালি পটল এলাকার মুক্তিযোদ্ধা সুশীল কুমার ঘরামির ছেলে। সে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (সোনাডাঙ্গা জোন) এর দেহরক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিল।তার কনস্টেবল নং ৪৬৪১, (বিপি-৮৮১২১৪৯৯১৩)। পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবা খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ পরিবারের পক্ষ থেকে কনস্টেবল সুমন ঘরামির অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন। সেই সাথে তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
শিক্ষার্থীদের ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ছাত্র-জনতাকে হত্যার দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে খুলনা শিক্ষার্থীরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ কর্মসূচি উপলক্ষে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করছে তারা।বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় সংগঠনটির ব্যানারে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদি চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি পরে ক্যাম্পাস থেকে নগরীর শিববাড়ি মোড়ে এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় সহ সমন্বয়ক সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি, মিনহাজুল ইসলাম, আল- শাহরিয়ার , জহুরুল তানভির, আয়ান আহাদ প্রমুখ।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী কেন্দ্রীয় সহ সম্বনয়ক সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, ছাত্র-জনতার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। চব্বিশের পরাজিত শক্তিরা এই স্বাধীনতাকে ধূলিসাৎ করার পাঁয়তারা করছে। রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি, আমাদের লড়াই সংগ্রাম এখনো থেমে যায়নি। যারা পরিবেশ ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে তাদের ছাত্ররা কঠোরভাবে প্রতিহত করবে।এ সময় শিক্ষার্থীরা, ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, স্বৈরাচারীর ফাঁসি চাই, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’, ইত্যাদি শ্লোগান দেন।সমাবেশে শিক্ষার্থীরা সেখানে ৪টি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো- ১.ফ্যাসিবাদী কাঠামো ব্যবহার করে শেখ হাসিনা এবং তার দল ও সরকার যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে সেগুলোর দ্রæত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন। ২.সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী মহাজোটের শরিক দলগুলোর ‘পরিকল্পিত হত্যা-ডাকাতি-লুণ্ঠনের’ মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় অংশগ্রহণ করা ব্যক্তিদের দ্রæত বিচারের আওতায় আনা ও সংখ্যালঘুদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া। ৩. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকালে হামলা-মামলা-হত্যাযজ্ঞ বৈধতা দিয়েছেন তাদের অপসারণ ও নিয়োগ বাতিল করে বিচারের আওতায় আনা। ৪. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা এতদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছেন, তাদের দ্রæততম সময়ে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা।
আট বছর পরে কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশী ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত বুধবার, উপজেলার উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের বিএনপি কমিটি ঘোষনা করেছেন।দলীয় সূত্রে জানা যায় : ২০১৫ সালে উপজেলার ইউনিয়ন বিএনপি কমিটি করা হয়। এরপর গত ৮ বছর পেরিয়ে গেলে ইউনিয়নে কোন কমিটি হই নাই।গত ২১ আগস্ট উপজেলা বিএনপির আয়োজনে কর্মীসভা আয়োজন করা হয়েছিল। কর্মীসভায় সংগঠনকে গতিশীল ও বেগবান করার লক্ষ্যে জেলা বিএনপির নির্দেশে শেখ সিরাজুল ইসলামকে আহবায়ক ও শেখ মাসুদুর রহমানকে সদস্য সচিব করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে । আহবায়ক শেখ সিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক তৈয়েবুর রহমান পলাশ, সরদার আবুল কালাম, ঢালী জুলফিকার আলী, সরদার ইউনুছ আলী, আজিজুল মোড়ল, মোঃ আলম ঢালীসরদার, নুরুজ্জামান, সদস্য সচিব শেখ মাসুদুর রহমান। এছাড়া সদস্য, আল-আমিন শেখ, শেখ জাহিদুর রহমান, ঢালী সাইফুল ইসলাম মিঠু, মোস্তাফিজুর রহমান রাজু, সরদার কামাল হোসেন, মোকলেছুর রহমান মুন্না, শফিকুল ইসলাম, জাবের আলী মিস্ত্রী, সরদার শহিদুল ইসলাম, সাইফুল্লাহ আজাদ, ঢালী আজমাহারুল ইসলাম, জাহিদুর রহমান সোহাগ, আমান উল্লাহ মিস্ত্রীসরদার মিজানুর রহমান, মইনুর রহমান মিন্ত্রী, সিরাজুল ইসলাম শিকারী।
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পুটিখালী ইউনিয়নে জামায়াত ইসলামীর সমাবেশ শেষে নেতা কর্মীদের উপরে হাতুড়ি বাহিনীর হামলা ও মারপিটে কমপক্ষে ২০ জন আহতের ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহতদেরকে ওই রাতেই মোরেলগঞ্জে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার বেলা ১২ টায় উপজেলা জামায়াত ইসলামীর আমীর মাওলানা শাহদাৎ হোসেন ও নায়েবে আমীর মাষ্টার মনিরুজ্জামান হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারসহ গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন মোরেলগঞ্জে প্রেসক্লাবে।জানা গেছে, রোববার বিকেলে উপজেলার পুটিখালী ইউনিয়ন পরিষদ কমল্পেক্স চত্তরে ইউনিয়ন জামায়াত ইসলামী কর্তৃক আয়োজিত আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাইদীর প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী পালন উপলক্ষে ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদ ছাত্রদের স্বরণে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা শেষে তাবারক বিতারণকালে এলাকার ৪০/৫০ জনের একটি দূর্বৃত্তকারী দল হাতুড়ি, লোহার রড ও ধারালো ছুরি নিয়ে বিতরণ অনুষ্ঠানে বাধা সৃষ্টি, হামলা ও মারপিট করে জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের কমপক্ষে ২০ নেতা কর্মীকে রক্তাক্ত জখম করে। এ ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে রাত ৮টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।এদের মধ্যে গুরুতর আহতরা হলেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন পুটিখালী ইউনিয়ন সভাপতি মো. মহিবুল্লাহ কাজী (৪৫), জামায়াতের সমার্থক মো. সবুজ কাজী (২৫), ৫ ওয়ার্ড শিবিরের সভাপতি আমিনুল ইসলাম খান (২৭), জামায়াত কর্মী শাহজালাল শেখ (৫৪) ও শিবির কর্মী আব্দুল্লাহ আল মামুন (২২) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। বাকী আহতরা হলেন মোঃ দেলোয়ার হোসেন খান (৫০), মাওলানা তাজুল ইসলাম কবির (৫২), মাহবুব সরদার (৫৫), রেজাউল মোল্লা (৩৫), রিয়াজুল ইসলাম (২৫), আজিজুল ইসলাম (২৫), তারিকুল ইসলাম (২০) ও তারেক শেখ (২২) প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন।এ বিষয়ে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী মোরেলগঞ্জ উপজেলা শাখার আমীর মাওলানা শাহদাৎ হোসেন বলেন, দোয়া অনুষ্ঠান ও সমাবেশকে পন্ড করার জন্য পরিকল্পিতভাবে স্থানীয় কতিপয় দূর্বৃত্তরা সভাশেষে হামলা চালিয়ে তাদের দলীয় ২০ জন নেতা কর্মীকে হাতুড়ি পেটা করে গুরুত্বর জখম করেছে। এ হামলার ঘটনায় তিনি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে প্রশাসনের প্রতি হামলাকারীদের গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক বিচারেরও দাবি জানিয়েছেন।
খুলনায় শহীদি মার্চ কর্মসূচিগণঅভ্যুথ্যান ও শেখ হাসিনা সরকারের একমাস পূর্ণ হওয়ায় খুলনায় শহীদি মার্চ পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। এ উপলক্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) বেলা এগারটায় সরকারি বিএল কলেজ প্রাঙ্গনে শহীদদের স্মরণে ছাত্র জনতার শহীদি মার্চ ও শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল করেন। র্যালী ও সমাবেশে শিক্ষার্থীরা গণঅভ্যুথানে পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদদের স্মরণ ও র”হের মাগফেরাত কামনা করা হয়। এছাড়া বৈষম্য বিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান দিতে দেখা যায় ছাত্র-জনতাকে। “আবু সাইদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ” “শিক্ষার্থীদের উপর গুলিকরা পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাদের বিচার চাই”, শিক্ষার্থীদের বাংলায়, হামলা-মামলার ঠাই নাই, আপোষ না সংগ্রাম, এসব নানা বিপ্লবি শ্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ সমন্বয়ক সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি। এসময় তিনি বলেন, আমরা হাসিনা সরকারের আমলে কথা বলতে পারিনি, আমাদের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে, এখন সময় এসেছে আমাদের ন্যায্য কথা বলার, এই অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের কাছে আমরা আবেদন করছি তারা যেন দেশটাকে একটা গঠনমূলক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলুক।
ছাত্র-শ্রমিক মতবিনিময় সভাশিল্প নগরী খুলনার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশের উন্নয়নের গতিকে ধাবিত করতে ছাত্র-শ্রমিকদের আরও নিষ্ঠার সঙ্গে দেশপ্রেম নিয়ে কাজ করতে হবে। বুধবার বিকাল তিনটায় খালিশপুর ইউনিয়ন মাঠে ছাত্র-শ্রমিক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মোঃ অহিদুজ্জামান। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় তিনজন সমন্বয়ক । তারা হলেন মোঃ অহিদুজ্জামান, মোঃ বক্কর ও মোঃ আকরাম। সভায় মোঃ বকর বলেন, একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে শিল্প বিশেষ ভূমিকা রাখে। শিল্পের উন্নয়ন এবং বিকাশ জ্যামিতিক হারে ঘটে। এজন্য সরকার শিল্পখাতকে গুর”ত্ব দিয়ে ছোট ছোট ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শিল্পগুলোকে একত্রিত করতে অর্থনৈতিক অঞ্চল সৃষ্টি করেছে। মতবিনিময় সভায় মোঃ আকরাম বলেন, খুলনাকে শিল্পনগরী হিসেবে ফিরিয়ে আনতে ছাত্র-শ্রমিকদের আরও নিষ্ঠার সঙ্গে দেশপ্রেম নিয়ে কাজ করতে হবে। এসময় বক্তারা খালিশপুর জুট মিল, দৌলতপুর জুট মিল, জাতীয় জুট মিল, কেএফডি, আরআর শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ ও সঞ্চয়পত্রের কাগজ হস্তান্তর করতে হবে; রাষ্ট্রায়ত্ত সব পাটকল অবিলম্বে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় চালু করতে হবে; ব্যক্তি মালিকানাধীন পাটকল শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী করতে হবে; ‘ম্যান্ডেটরি প্যাকেজিং অ্যাক্ট’ বাস্তবায়ন করতে হবে; বিজেএমসির মাথাভারি প্রশাসন থেকে অতিরিক্ত জনবল ছাঁটাই করতে হবে বলে দাবি জানান। মতবিনিময় সভা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক প্যানেলের একাধিক সদ্যস্য উপস্থিত ছিলেন।
নাগরিক কমিটির খুলনা বিভাগের প্রথম আলোচনা সভা মঙ্গলবার রাত নয়টায় অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে শহীদদের জন্য ১ মিনিট নীরবতা পালন করে মিটিং শুরু করা হয়। নাগরিক কমিটির ৮ দফা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা, পরিচিতি সভা, প্রশ্নোত্তর পর্ব এবং করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সভায় আগামী এক মাসের মধ্যে প্রাথমিক কমিটি ঘোষনা করার সিদ্ধান্তসহ একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জাতীয় নাগরিক কমিটির ঘোষিত ৮ দফা বাস্তবায়নে অচিরেই খুলনা নাগরিক কমিটি কার্যক্রম শুরু করবে বলে জানায় বক্তারা। ঘোষিত ৮ দফা হলো, ১। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হওয়া সামষ্টিক অভিপ্রায় ও গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে সমুন্নত রাখা।২। ছাত্র-জনতার উপর সংঘটিত নির্মম হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কর্মসূচী গ্রহণ করা।৩। রাষ্ট্রের জরুরি সংস্কার ও পুনর্গঠন করার লক্ষ্যে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা ও জবাবদিহিতার পরিসর তৈরি করা।৪। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক উদ্যোগের সঙ্গে আলোচনা, মত বিনিময় ও গণমুখী কর্মসূচীর মাধ্যমে সর্বস্তরের জনতাকে সংহত করার লক্ষ্যে কাজ করা।৫। দেশের সর্বস্তরের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নেতৃত্বকে সংহত করে গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা সমুন্নত করে রাখার লক্ষ্যে ফ্যাসিবাদী কাঠামো ও শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অব্যাহত রাখা।৬। জনস্বার্থের পক্ষে নীতি নির্ধারণের লক্ষ্যে বিভিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষ এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে বিষয়ভিত্তিক সংলাপের আয়োজন করা।৭। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নীতি নির্ধারণী প্রস্তাবনা তৈরি ও সেটা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক পদক্ষপে গ্রহণ করা।৮। গণপরিষদ গঠন করে গণভোটের মাধ্যমে নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান তৈরির জন্য গণআলোচনার আয়োজন করা। সভা পরিচালনা করেন তানজিল মাহমুদ ও মেসবাহ কামাল।
নিষিদ্ধ ‘ছাত্রলীগে’র ঊর্মি ও রাকিব গ্রেপ্তারসদ্য নিষিদ্ধ হওয়া ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হল শাখার সভাপতি খাদিজা আক্তার ঊর্মি ও সূর্যসেন হল শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোয়াজ্জেম এইচ রাকিব সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।রোববার (২৭ অক্টোবর) দিনগত রাতে ঢাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, ঢাবির শামসুন্নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খাদিজা আক্তার ঊর্মি এবং সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোয়াজ্জেম এইচ রাকিব সরকারকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি।গ্রেপ্তারকৃতরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় শাহবাগ থানায় করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান ডিএমপির এ কর্মকর্তা।
প্রয়োজনীয় সব সংস্কার শেষে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। সোমবার (৪ নভেম্বর) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অফিস কক্ষে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকোন অ্যারাল্ড গুলব্রান্ডসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা জানান তিনি।উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। ফ্যাসিস্ট সরকার গত ১৬ বছর দেশে অনেক অনিয়ম-দুর্নীতি করেছে। অন্তর্র্বতী সরকার দেশকে পুনর্গঠন করার কাজ শুরু করেছে। যাতে দেশ ও দেশের মানুষ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারে। দেশ পুনর্গঠনে নরওয়ের পরামর্শ ও সহযোগিতা কামনা করেন উপদেষ্টা। সংস্কারের ক্ষেত্রে স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে নরওয়ের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে চায়। পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ ও গণমাধ্যমের উন্নয়নে বিনিয়োগ প্রত্যাশা করে।রাষ্ট্রদূত সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে আইনটি বাতিল হবে এবং এ আইনের অধীনে যত মামলা হয়েছে সব মামলাও বাতিল হবে। শুধু এ আইন নয়, মত প্রকাশে বাধা সৃষ্টি করে এমন সব আইন পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। রাষ্ট্রদূত সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা নিরাপদে আছে। সর্বশেষ পূজাতে তাদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল, ছুটি বাড়ানো হয়েছে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার সংখ্যালঘুদের নিয়ে রাজনৈতিক খেলায় মেতে উঠেছিল। তারা সংখ্যালঘুদের ভোটব্যাংক হিসেবে চিহ্নিত করেছে। অথচ তাদের আমলেই সংখ্যালঘু নির্যাতনের বড় বড় ঘটনা ঘটলেও তারা বিচার করেনি। জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে বহির্বিশ্বে নানা রকম নেতিবাচক প্রচারণা করা হচ্ছে উল্লেখ করে এ বিষয়ে সত্য ঘটনা প্রচার করতে নরওয়ের সহযোগিতা কামনা করেন উপদেষ্টা।রাষ্ট্রদূত হাকোন অ্যারাল্ড গুলব্রান্ডসেন বলেন, নরওয়ে অন্তর্র্বতী সরকারের পাশে থেকে নতুন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, নরওয়ের ডেপুটি হেড অব মিশন মারিয়ান রাবে ন্যাভেলসউরডসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা মহানগর উত্তরসহ চার মহানগর এবং ছয়টি জেলার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে বিএনপি। সোমবার (৪নভেম্বর) দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগর উত্তরের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি, চট্টগ্রাম মহানগর, বরিশাল মহানগ, সিলেট মহানগরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুষ্টিয়া ময়ময়নসিংহ দক্ষিণ এবং শেরপুর জেলার আংশিক আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদিত হয়েছে।ঢাকা মহানগর উত্তরে আমিনুল হককে আহ্বায়ক, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এসএম জাহাঙ্গীর, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, আবদুর রাজ্জাক যুগ্ম আহ্বায়ক এবং মোস্তফা জামানকে করা হয়েছে সদস্য সচিব।চট্টগ্রাম মহানগরের আহ্বায়ক হয়েছেন এরশাদ উল্লাহ। সদস্য সচিব করা হয়েছে নাজিমুর রহমানকে। বরিশাল মহানগরের আহ্বায়ক হয়েছেন মনিরুজ্জামান খান ফারুক, সদস্য সচিব মো. জিয়াউদ্দিন সিকদার। সিলেট মহানগর কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হয়েছেন রেজাউল হাসান কয়েছ লোদী, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী।মৌলভীবাজার জেলার আহ্বায়ক করা হয়েছে ফয়জুর রহমান ময়ুনকে, সুনামগঞ্জে এই পদ পেয়েছেন কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন। এই দুই জেলায় সদস্য সচিব রাখা হয়নি। কমিটির বাকিরা সবাই সদস্য। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আহ্বায়ক করা হয়েছে আব্দুল মান্নানকে, সদস্য সচিব হয়েছেন সিরাজুল ইসলাম সিরাজ।কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক করা হয়েছে কুতুব উদ্দীন আহমেদকে। সদস্য সচিব হয়েছেন মো. জাকির হোসেন সরকার। ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন মো. জাকির হোসেন বাবুল, সদস্য সচিব মো. রোকনুজ্জামান সরকার রোকন। শেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. হযরত আলী, সদস্য সচিব হয়েছেন মো. সিরাজুল ইসলাম।
বরিশালের গৌরনদীতে ২০২৩ সালে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, বিস্ফোরণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহসহ দলের ৩৯ নেতাকর্মীর নামে মামলা করা হয়েছে।উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আক্কেল সরদার বাদী হয়ে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) গৌরনদী মডেল থানায় তাদের নামে এই মামলা করেন।মামলায় বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহকে ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র হারিছুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন মুন্সী, খাঞ্জাপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুর আলম সেরনিয়াবাত।এ ছাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মতলেব মাতুব্বর, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা সেরনিয়াবাত, সরকারি গৌরনদী কলেজছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি সুমন মোল্লা, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর আল আমিন হাওলাদার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সান্টু ভুইয়া, সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান দ্বীপসহ নামোল্লিখিত ৩৯ জন এবং ৪০ থেকে ৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।এ তথ্য নিশ্চিত করে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বুধবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে কালবেলাকে বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
খুলনা থেকে শিক্ষক, ডাক্তার, এমপি, কাউন্সিলর সহ ৩ শতাধিক ব্যাক্তির নামে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হত্যা মামলা আবেদন করা হয়েছে। মামলার আবেদন করেছেন পাইকগাছায় নিহত রকিবুল হসানের পিতা মোঃ রফিকুল ইসলাম গাজী।মামলার আবেদনে বলা হয়, গত জুলাই-আগস্টে কোটা সংস্কারের উদ্দেশ্যে বৈষম্যবিরোধী যোক্তিক হার আন্দোলনে সারা দেশে উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয়। আমার ছেলে রকিবুল হাসান ১৬ই জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলিচালানোর প্রতিবাদে ১৭ই জুলাই থেকে রাজপথে নেমে সক্রিয়ভাবে আন্দোলন শুরু করে। ক্রমান্বয়েআন্দোলন বেগবান হওয়ায় আমার ছেলে আন্দোলনের নেতৃত্বের সামনের সারিতে চলে আসে। শুরু থেকেই আন্দোলন দমাতে আওয়ামীলীগ সরকারের উচ্চ মহল থেকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে এবং সরকারী দল আওয়ামী যুবলীগ এবং ছাত্রলীগসহ তাদের অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাসীদেরকে লেলিয়ে দেওয়া হয়। গত ০৫/০৮/২০১৪ ইং তারিখে আওয়ামীসরকার পতনের পূর্বক্ষণে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী গ্রামে সামনের রাস্তায় ছাত্র-জনতা মিছিল করে। ছাত্র জনতার অধিকার আদায়ের সেই খোক্তক মিছিল দমন করার জন্য উল্লেখিত আসামীদের পরিকল্পনা এবং সরাসরি নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে উল্লেখিত আসামীসহ খুলনা জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, শ্রমিকলীগেরকয়েকহাজার কর্মী সরাসরি গুলি বর্ষণ করে। আসামীদের ছোড়া গুলিতে অনেকেই আহত হয়।কিন্তু আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাহসী পদক্ষেপে আন্দোলন দমাতে ব্যার্থ হয়। এমতাবস্থায় আন্দোলনকারীদের বিদ্যুৎ দৃষ্টে মারার পরিকল্পনা করে উল্লেখিত আসামীরা। আন্দোলনকারীদের পরিকল্পনার অংশ হিসাবে চাদখালীর বিভিন্ন পয়েন্টে রাস্তার মাঝে পড়ে থাকা বাশ ও বিদ্যুতিক খুটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে নেওয়া হয়। এক পর্যায়ে কাচা বাশের মাথায় বাধা পতাকা হাতে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় আমার ছেলে রকিবুল হাসান এর হাতে থাকা বাশ বৈদ্যুতিক খুটির সাথে দেওয়া আসামীদের বিদ্যুৎএ দৃষ্ট হয় এবং ঘটনাস্থলেই আমার ছেলে রকিবুল হাসানের শরীর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় ও মৃত্যুর কোলে চলে পড়ে। আন্দোলনকারীরা আমার ছেলে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এজাহারে উল্লেখিত আসামীগণ শেখ হাসিনার ভাই শেখ হেলান সহ জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের সরাসরি নির্দেশ ও তাবধায়নে কয়রা পাইকগাছা এলাকার ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামীলীগের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় খুলনা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বাছাইকৃত সন্ত্রাসীদের নিয়ে আন্দোলন দমাতে নগদঅর্থের যোগান অবৈধ অস্ত্র সরবরাহ এবং নিজেরা উপস্থিত থেকে গুলি বর্ষণ, দেশীয় অস্ত্র হকিস্টিক এবং রাম দা নিয়ে আমার ছেলে সহ আন্দোলকারীদের ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করেআন্দোলনকারীদের মেরে ফেলার জন্য নগ্ন পরিকল্পনা করে ও গণহত্যা চালায়। এতে করে আমার ছেলেসহ অসংখ্য আন্দোলনকারী নিহত ও আহত হয়। এই আন্দোলনে চার শতাধিক লোক চোখ হারিয়ে অমানবিক জীবন যাপন করছে এবং অঙ্গহানীর ঘটনা ঘটেছে সহস্রাধিক লোকের।আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হত্যা মামলা আবেদনে অভিযুক্তরা হলেন, শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ হেলাল, কেসিসির সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকসহ খুলনার সাবেক ছয় সংসদ সদস্য ও কেসিসির সাবেক কাউন্সিলরবৃন্দ।সাংবাদিকদের মধ্য এসএম নজরুল ইসলাম, এসএম হাবিব, মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, মোঃ শাহ আলম, সুনীল দাসরকিব উদ্দীন পান্নু, মকবুল হোসেন মিন্টু, মল্লিক সুধাংশু, আসাদুজ্জামান খান রিয়াজ ও মোঃ জাহিদুল ইসলাম।
নিজস্ব প্রতিবেদকখুলনার সদর থানায় প্রতিনিধি কমিটি ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। খুলনা রাইজিং কর্মসূচির অংশ হিসেবে সদর থানায় ১৭০ সদস্য বিশিষ্ট এই প্রতিনিধি কমিটি দেয়া হয়েছে। রবিবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে জাতীয় নাগরিক কমিটির অফিসিয়াল পেজে প্রতিনিধি কমিটির চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়।কেন্দ্রীয় কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত তানজিল মাহমুদ ও আব্দুল্লাহ আল মামুন ফয়সালের সুপারিশে আহ্বায়ক মুহাম্মাদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন এ কমিটির অনুমোদন দেন।এর আগে, গত ৮ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফ্যাসিবাদি ব্যবস্থার বিলোপ ঘটিয়ে রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কারে প্রেশার গ্রুপ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’। ওইদিন নতুন এই রাজনৈতিক প্লাটফর্মের ৫৬ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশের যত সংগ্রামের ইতিহাস আওয়ামী লীগ তা কখনো ধারণ করেনি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্রসামান্তা শারমিন। তিনি বলেছেন, একাত্তরের ইতিহাসকে আওয়ামী লীগ পকেটেস্থ করতে চেয়েছে। আজ (শনিবার) সকালে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।সামান্তা শারমিন বলেন, আওয়ামী লীগ ছাত্র-জনতার ত্যাগের ইতিহাস মুছে ফেলতে চেয়েছে। ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান এগুলো আবারও ফিরিয়ে এনেছে। আগামী দিনে আমরা মনে করি, অভ্যুত্থানের যে তরুণ নেতৃত্ব তারা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং বিশ্বের দরবারে তুলে ধরবে। জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, জুলাই এবং আগস্টে যারা শহীদ হয়েছেন তারা যতদিন পর্যন্ত আমাদের হৃদয়ে থাকবেন, ততোদিন পর্যন্ত আমাদের এই একতাবদ্ধতাকে কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারবে না। যত ষড়যন্ত্রই করা হোক না কেন, সেই ষড়যন্ত্রকে বাংলাদেশের জনগণ প্রতিহত করবে। তিনি বলেন, একাত্তরে যারা বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলতে পারতেন, বাংলাদেশকে গড়তে পারতেন, তেমন পেশাজীবী আইনজীবী শিক্ষক বুদ্ধিজীবীদের এই সময়টাতে হত্যা করা হয়েছিল। আপনারা দেখে থাকবেন আমরা এমন একটা বছরে আছি, দুই হাজার তরুণ ছাত্র জনতাকে হত্যা করা হয়েছে। প্রত্যেকটা সময়ে প্রত্যেকটা হত্যাযজ্ঞ... সবগুলোই করা হয় যারা প্রতিবাদী হয়ে ওঠে তাদের। সেই জায়গা থেকে ২৪-এর ১৪ ডিসেম্বর আমাদের আরও বেশি গুরুত্ব বহন করে। আমরা মনে করি আমাদের একটা দীর্ঘ লড়াই আছে। বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী অঙ্গনে অনেকেই আছে যারা গোটা ১৫টা বছর ধরে এই ফ্যসিবাদের শাসনামলকে বৈধতা দিয়ে গেছে। আজকের বুদ্ধিজীবী দিবসে আমরা তাদেরকে ঘৃণা ভরে প্রত্যাক্ষান করি।
ADDVERTISE HERE 336 x 280
ADDVERTISE HERE 728 x 90
ADDVERTISE HERE 728 x 90
© 2024 All rights reserved by the owner.