নাগরিক কমিটির খুলনা বিভাগের প্রথম আলোচনা সভা মঙ্গলবার রাত নয়টায় অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে শহীদদের জন্য ১ মিনিট নীরবতা পালন করে মিটিং শুরু করা হয়। নাগরিক কমিটির ৮ দফা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা, পরিচিতি সভা, প্রশ্নোত্তর পর্ব এবং করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সভায় আগামী এক মাসের মধ্যে প্রাথমিক কমিটি ঘোষনা করার সিদ্ধান্তসহ একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জাতীয় নাগরিক কমিটির ঘোষিত ৮ দফা বাস্তবায়নে অচিরেই খুলনা নাগরিক কমিটি কার্যক্রম শুরু করবে বলে জানায় বক্তারা। ঘোষিত ৮ দফা হলো, ১। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হওয়া সামষ্টিক অভিপ্রায় ও গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে সমুন্নত রাখা।
২। ছাত্র-জনতার উপর সংঘটিত নির্মম হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কর্মসূচী গ্রহণ করা।
৩। রাষ্ট্রের জরুরি সংস্কার ও পুনর্গঠন করার লক্ষ্যে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা ও জবাবদিহিতার পরিসর তৈরি করা।
৪। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক উদ্যোগের সঙ্গে আলোচনা, মত বিনিময় ও গণমুখী কর্মসূচীর মাধ্যমে সর্বস্তরের জনতাকে সংহত করার লক্ষ্যে কাজ করা।
৫। দেশের সর্বস্তরের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নেতৃত্বকে সংহত করে গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা সমুন্নত করে রাখার লক্ষ্যে ফ্যাসিবাদী কাঠামো ও শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অব্যাহত রাখা।
৬। জনস্বার্থের পক্ষে নীতি নির্ধারণের লক্ষ্যে বিভিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষ এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে বিষয়ভিত্তিক সংলাপের আয়োজন করা।
৭। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নীতি নির্ধারণী প্রস্তাবনা তৈরি ও সেটা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক পদক্ষপে গ্রহণ করা।
৮। গণপরিষদ গঠন করে গণভোটের মাধ্যমে নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান তৈরির জন্য গণআলোচনার আয়োজন করা। সভা পরিচালনা করেন তানজিল মাহমুদ ও মেসবাহ কামাল।
ADDVERTISE HERE 728 x 90 1