শিক্ষার্থীদের ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’
ছাত্র-জনতাকে হত্যার দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে খুলনা শিক্ষার্থীরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ কর্মসূচি উপলক্ষে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করছে তারা।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় সংগঠনটির ব্যানারে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদি চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি পরে ক্যাম্পাস থেকে নগরীর শিববাড়ি মোড়ে এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় সহ সমন্বয়ক সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি, মিনহাজুল ইসলাম, আল- শাহরিয়ার , জহুরুল তানভির, আয়ান আহাদ প্রমুখ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী কেন্দ্রীয় সহ সম্বনয়ক সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, ছাত্র-জনতার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। চব্বিশের পরাজিত শক্তিরা এই স্বাধীনতাকে ধূলিসাৎ করার পাঁয়তারা করছে। রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি, আমাদের লড়াই সংগ্রাম এখনো থেমে যায়নি। যারা পরিবেশ ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে তাদের ছাত্ররা কঠোরভাবে প্রতিহত করবে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা, ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, স্বৈরাচারীর ফাঁসি চাই, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’, ইত্যাদি শ্লোগান দেন।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা সেখানে ৪টি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো- ১.ফ্যাসিবাদী কাঠামো ব্যবহার করে শেখ হাসিনা এবং তার দল ও সরকার যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে সেগুলোর দ্রæত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন। ২.সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী মহাজোটের শরিক দলগুলোর ‘পরিকল্পিত হত্যা-ডাকাতি-লুণ্ঠনের’ মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় অংশগ্রহণ করা ব্যক্তিদের দ্রæত বিচারের আওতায় আনা ও সংখ্যালঘুদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া। ৩. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকালে হামলা-মামলা-হত্যাযজ্ঞ বৈধতা দিয়েছেন তাদের অপসারণ ও নিয়োগ বাতিল করে বিচারের আওতায় আনা। ৪. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা এতদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছেন, তাদের দ্রæততম সময়ে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা।
ADDVERTISE HERE 728 x 90 1