জাতীয় পার্টির চেয়ম্যানের পদ থেকে আগেই বহিস্কৃত কাদের কাউকে দল থেকে অব্যাহতির এখতিয়ার রাখেন না, দাবি করে লিগাল নোটিশ দিলেন বটিয়াঘাটার জাপানেতা অ্যাড: প্রশান্ত বিশ্বাস। তিনি ১০০ কোটি টাকার মানহানির অভিযোগ এনে জিএম কাদেররে বিরুদ্ধে ২৪ মার্চ রবিবার এই লিগ্যাল নোটিশ দেন। অ্যাডভোকেট প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বটিয়াঘাটা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব ।
লিগ্যাল নোটিশে তিনি উল্লেখ করেন, জিএম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নু দল থেকে বহিস্কৃত। নতুন কাউন্সিলে কাউন্সিলরদের সর্বসম্মতিতে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্ত্রী বেগম রওশন এরশাদকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়। এরশাদ পুত্র রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদ দলের যুগ্ম-মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন। সেটা জানার পরও জিএম কাদের দল থেকে আমার নেতা রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদকে বহিষ্কার করতে পারেন না। কারণ তিনি তো দলের চেয়ারম্যানই নন। তিনি দল থেকে অব্যাহতির কথা বলে প্রেসবিজ্ঞপ্তি প্রচার করে জনসম্মুখে আমার নেতা রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদের মানহানী করেছেন।
এই রকম মানহানীকর সংবাদ প্রচার করে নেতার একশত কোটি টাকার মান সম্মানের ক্ষতি সাধন করেছেন। সাথে সাথে পেনাল কোড এর ৪৯৯ ধারা ও মানহানীকর তথ্য প্রকাশ, প্রচার এর জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে-২০১৮ এর ২৯ (১)(২) ধারার অপরাধ করেছেন। তাই পল্লীবন্ধু পুত্র সাদ এরশাদের আদর্শের প্রতি আদর্শিত হয়ে আপনাকে স্ব-উদ্যেগে লীগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করেছি।
তিনি আরও উল্লেখ করেন,দ্রæত ক্ষমা চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার না করা হলে আপনার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে কেন আপনার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে না নোটিশ প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে জানাবেন। আরও জানাবেন আপনি কি ভাবে জনবন্ধু হলেন। অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে যথা আদালতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ্যাডভোকেট প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, ২৪ মার্চ রবিবার জিএম কাদেরকে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।