অত্যন্ত ব্যথিত হয়ে আত্মপ্রকাশ করছি
সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী খান সাহেব নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। আর আমি একজন শিল্পী কোন রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকি না।
এই জীবনের প্রথম নিজের মন থেকে খানের জন্য নির্বাচনী কার্যক্রম করার চেষ্টা করেছি। কারণ তিনি একজন আদর্শ দেশ প্রেমিক। শিক্ষা অনুরাগী তাই তার জন্য কিছু করা উচিত আমার স্থান থেকে। আমি তাকে অভিভাবক মনে করি। আমার যে কোন সমস্যা তার কাছে শেয়ার করি। তিনি একটা সুস্থ সমাধান বের করে দেন তাই এই মহান মানুষের জন্য আমার শিল্প চেতনা থেকে ছবি আঁকা, গান ,কবিতা দিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।যে মানুষটিকে খুলনা থেকে এমপি নমিনেশন দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন কিন্তু তিনি খুলনায় নির্বাচন করেননি ।তার কারণ জানতে চাওয়া হলে তিনি বললেন আমার জন্মভূমির জন্য যদি কিছু না করতে পারি খুলনা এমপি হয়ে আমার লাভ কি। তিনি তার জেলাকে এতটা ভালবাসেন আজকে একটা উপজেলা নির্বাচন করতে গিয়ে তার উপরে যা হামলা হয়েছে এটা মেনে নেওয়াটা খুব কষ্টসাধ্যের কাজ। বাংলাদেশের একটা বড় দায়িত্বে তিনি নিয়োজিত আছেন যেটা উপজেলা নির্বাচনের চেয়েও বড় একটা সম্মানের জায়গা মংলা পোর্টের সভাপতি। আজ একজন সম্মানিত ব্যক্তি কে নিজের জন্মস্থানে নিজের মাটির উপর দাঁড়িয়ে উঠান বৈঠক করার মত সুযোগ দেওয়া হলো না।তাকে রক্ত ঝরাতে হলো।আমি এর নিন্দা জানাই ।যোগ্য লোককে সম্মান করতে হয়। তিনি এই যোগ্য কিনা ঝালকাঠিবাসীর সুশীল সমাজ ভালো করেই জানেন। যিনি নিজের অর্থে একাধিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা এরকম ব্যক্তি বরিশাল বিভাগে বা বাংলাদেশে কজন আছে এটা খুঁজে বের করা দুষ্কর ব্যাপার ।
আমার ২০১৬ সাল থেকে ১৯ সাল পর্যন্ত তিনবার স্ট্রোক হয়েছে ।
ভেলোরের চিকিৎসা নিয়ে এখন একটু স্বাভাবিক আছি গত দিনের খবরের পর থেকে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। তার মধ্যে আবার রাতে তালুকদার মনিরুজ্জামান মনি কে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে জানতে পারলাম তিনি খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনিও হার্টের পেশেন্ট তখন চিন্তাটা আরো বেশি বেড়ে গেল। যিনি আমাদের পথ দেখাবেন তিনি রয়েছেন হাসপাতালে তখন সৃষ্টিকর্তাকে ডাকা ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না। একবার ঝালকাঠি ফোন একবার ঢাকায় ফোন এরকম করে কেটে গেল সারাটা রাত। ভোর ছয়টার দিকে ফোনের চার্জ শেষ আমিও বিছানার উপরে পড়ে গেলাম। তারপর আর কিছু জানি না কেবলমাত্র জানতে পারলাম তালুকদার মনিরুজ্জামান মনি এখন সুস্থ আছেন। খবরটি শুনে খুব ভালো লেগেছে। কিন্তু আমি কথা বলার মতো শক্তি হারিয়ে ফেলেছি। এখন ঔষধ খেয়েছি দেখা যাক কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন এই অসুস্থতা কাটিয়ে উঠতে পারি।
আমার জন্মস্থান ঝালকাঠি এটা বলতে আমার লজ্জা লাগছে কারণ সুলতান হোসেন খান একজন সমাজসেবক একজন সম্মানী ব্যক্তি তার উপরে এই হামলা করা ঝালকাঠিবাসীর কাছ থেকে প্রত্যাশা করিনি।
আমি খুলনায় থাকি সুলতান হোসেন খানকে বাংলাদেশের কারা চেনে কাদের সঙ্গে চলে এটা আমি ভালো করে জানি ।
এই হামলার জবাব দিতে হবে ।
এবারে অনুরোধ রাখছি যারা ঝালকাঠিতে কর্মী হিসেবে কাজ করছেন আপনারা ভয় পাবেন না।আমরা সবাই থেমে থাকলে ওরা সুযোগ পাবে।
১৪ ই মে অমানবিক নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আমরা সাধারণ জনগণের আদালতে বিচার দিলাম, আপনারা ভোট এবং ব্যালট এর মাধ্যমে এর রায় দিবেন। আগামী ২১/০৫/২০২৪ তারিখ দোয়াত কলম মার্কায় বিজয় অর্জন করে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, ক্যাডার, মুক্ত ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্মাণের সুযোগ করে দিবেন এটাই আশা করি। আজ থেকে
আমাদের আগের চেয়েও বেশি কাজ করতে হবে তবে আমরা ভোটের দিন বিজয়ের মিছিল নিয়ে তাদের দেখিয়ে দিতে পারব সাধারণ মানুষদের প্রিয় নেতা কে ।জয় হোক দোয়াত কলমের।
দোয়াত কলমের সকল কর্মীর সুস্থতা কামনা করছি।
ADDVERTISE HERE 728 x 90 1