পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে দোকানসহ জমি দখল করে ভোগদখল করছিলেন আওয়ামী লীগের কামরুল ইসলাম ও তাঁর সহযোগীরা। জমি দখলমুক্ত করতে ভূমি অফিসে আবেদন করেছেন ভুক্তভোগী।
উপজেলার বালিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বালিপাড়া বাজারের সদর রোডে শহিদুল ইসলাম চুন্নুর ১০ দোকানসহ জমি রয়েছে। জমিটি বালিপাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে তাঁর ভগ্নিপতি ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারি আ. জলিল শেখ, মো. রেজাউল ইসলাম, মো. মনিরুল ইসলাম জোর করে দখল করেন। তারা দলের প্রভাব খাটিয়ে সেখানে ব্যবসা-বাণিজ্য করে ভোগদখল করে আসছেন। দোকানগুলো ছিল তাঁর আয়ের উৎস। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও প্রশাসনের কাছে ঘুরেও উদ্ধার করতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়েন তিনি। দুঃখে-কষ্টে ও দুশ্চিন্তায় ২০২০ সালে স্ট্রোক করে প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হন। এর পর তাঁর পরিবারটি আরও অসহায় হয়ে পড়ে। অনেকবার সালিশ বৈঠক হলেও দখলকারীরা কোনো কিছুই তোয়াক্কা না করে উল্টো হুমকি-ধমকি দেয়।
অসুস্থ শহিদুল ইসলাম চুন্নুর স্ত্রী ফারজানা বেগম জানান, জমির কাগজপত্র সব স্বামীর নামে নামে। তাদের নামে কোনো কাগজপত্র নেই। তারা প্রভাবশালী। তাই বিষয়টি প্রশাসনকে জানানোর পরও কাজ হয়নি। জমির চিন্তায় আমার স্বামী অসুস্থ। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারণে জমির দখল ফিরে পেতে উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভুমি) অফিসে আবেদন করেছি। আশা করছি এখন প্রশাসন সহায়তা করবে।
এ বিষয়ে কথা বলতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কামরুল ইসলামের বাড়িতে গেলে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তাঁর ভগ্নিপতি স্থানীয় বিএনপি নেতা আ. জলিল শেখ দখলের কথা স্বীকার করে বলেন, এটা পারিবারিক বিষয়, তিনি শ্বশুরের জমিতে দোকান তুলেছেন, অন্যের জমিতে নয়
বালিপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ও প্যানেল চেয়ারম্যান বাবুল হোসেন জানান, বিষয়টি লোক মুখে শুনেছি। আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি।
বালিপাড়া ইউনিয়ন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলাম জানান, উপজেলা ভূমি অফিস থেকে শহিদুল ইসলাম চুন্নুর জমির বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। কাগজপত্র দেখে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
থানা বিএনপি নেতা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অভিযোগ সত্য প্রমানুত হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ADDVERTISE HERE 728 x 90 1