দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী প্রস্তুতির জন্য বর্ধিত সভা করেছে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ। সভায় নির্বাচনী ক্যাম্পেইন, ক্যাম্পেইনারদের প্রশিক্ষণ, নির্বাচনী ইশতেহার বিতরণ ও ভোটারদের কাছে উন্নয়নসহ আগামী কর্মসূচী পৌঁছে দেয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দিকনির্দেশনা তৃণমূলের নেতৃবৃন্দের নিকট উপস্থাপন করা হয়।
শুক্রবার বাদ মাগরিব দলীয় কার্যালয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা তালুকদার আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানার পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবিদ হোসেন, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমেদ আশা, খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বাশার, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচনটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগামী নির্বাচনে ফয়সালা হবে- দেশ যে আজ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে, এটা অব্যাহত থাকবে, না কি দেশ পাকিস্তানের মতো পেছনের দিকে হাঁটবে। সুতরাং আমাদের ঐক্য, সংহতি, সাংগঠনিক শক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে তৃণমূলেই আওয়ামী লীগের প্রাণ। আগামী জানুয়ারী মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যদি তৃণমূল পর্যায়ে ঐক্যবদ্ধ থাকে, তাহলে আমাদেরকে হারানোর শক্তি কারো নেই। কারণ গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে উন্নয়ন হয়েছে এবং প্রত্যেকটা মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের প্রত্যেকটি ভোটারদের ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট চাইতে হবে। ভোটারদের সরকারের উন্নয়নের কথা বুঝাতে হবে। আর এ কাজটি করবে তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই।
তিনি নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, আপনারাই দলের প্রাণ, আপনারাই দলের জীবনীশক্তি। সুতরাং আপনাদের ঐক্য, সংহতি শেখ হাসিনাকে আবারও বিজয়ী করবে। কারণ ঐক্য দলের জীবনীশক্তি বাড়াবে, দলের শক্তিকে বাড়াবে।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজান, বেগ লিয়াকত আলী, মল্লিক আবিদ হোসেন কবির, বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, এ্যাড. রজব আলী সরদার, এ্যাড. আইয়ুব আলী শেখ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, মো. আশরাফুল ইসলাম, শেখ মো. ফারুক আহমেদ, আবুল কালাম আজাদ কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যা. আলমগীর কবির, শেখ মো. আনোয়ার হোসেন, মো. শাহজাদা, মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন, প্যানেল মেয়র আমিনুল ইসলাম মুন্না, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাকসুদ আলম খাজা, কামরুল ইসলাম বাবলু, হাফেজ মো. শামীম, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, এ্যাড. সরদার আনিছুর রহমান পপলু, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, মাহবুবুল আলম বাবলু মোল্লা, শেখ সৈয়দ আলী, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম বন্দ, শেখ মো. আনিছুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি আব্দুল ওয়াদুদ, মনিরুজ্জামান খান খোকন প্রমুখ।
ADDVERTISE HERE 728 x 90 1