খুলনার ফুলতলা থেকে মোংলা পর্যন্ত নির্মিত নতুন রেললাইনে পরীক্ষামূলকভাবে চলল ট্রেন। সোমবার (৩০ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় ফুলতলা থেকে মোংলার উদ্দেশে ছেড়ে যায় এই ট্রেন। ১ নভেম্বর খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়ালি এ উদ্বোধন করবেন। এই রুটে ট্রেন চালু হলে আরও গতিশীল হবে মোংলা বন্দর। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানায়, ট্রানজিট সুবিধার আওতায় ভারত, নেপাল ও ভুটানে পণ্য পরিবহন সহজ করতে ২০১০ সালে খুলনার ফুলতলা রেলস্টেশন থেকে মোংলা বন্দর পর্যন্ত রেলপথ স্থাপন প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর একনেকে অনুমোদন পায় প্রকল্পটি।ভারত সরকারের ঋণসহায়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লার্সেন অ্যান্ড টার্বো ও ইরকন ইন্টারন্যাশনাল। প্রথমে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ৮০১ কোটি ৬১ লাখ টাকা। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা ছিল। কয়েক ধাপে মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত করা হয়। সর্বশেষ প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ২৬০ কোটি ৮৮ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নব নির্বাচিত মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেককে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন যুবমহিলা লীগের মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ। গতকাল দুপুরে নগর ভবনের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর সময়ে উপস্থিত ছিলেন মহানগর সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সাবেক সদস্য সচিব আইরিন রায়হান চৌধুরি, সাবেক যুগ্ম আহবায়ক চিশতি মোস্তারি বানু, সাবেক যুগ্ম আহবায়ক নাজনিন নাহার চৌধরি, এড আফরোজা রোজি, উম্মুর রেদা, তারানা তাবাসসুম শোভা, আখি আক্তার, মৌসুমি আক্তার বন্যা, শিরিনা পারভিন প্রমুখ।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্যানেল নির্বাচনে ১নং সদস্য হিসেবে ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস এম রফিউদ্দিন আহম্মেদ, ২নং সদস্য হিসেবে ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস এম খুরশিদ আহম্মেদ টোনা ও ৩নং সদস্য হিসেবে সংরক্ষিত আসন নং-৫ এর কাউন্সিলর এ্যাড. মেমরী সুফিয়া রহমান শুনু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র প্যানেলের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।বৃহস্পতিবার প্রাথীতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে ৩ জন প্রার্থী ছাড়া অন্যরা প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিলে নির্বাচন কমিশনার কেসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্মসচিব) লস্কার তাজুল ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার উল্লিখিত ৩ জন প্রার্থীকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।কেসিসি থেকে জানা গেছে, খুলনা সিটি কর্পোরেশন আইন’২০০৯ এর ২০ ধারামতে মেয়র প্যানেল নির্বাচনের জন্য ২৫ অক্টোবর তফসিল ঘোষণা করা হয়। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ৩১ অক্টোবর এবং প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেখ তারিখ ছিল ২ নভেম্বর। আগামী ৯ নভেম্বর ভোট হওয়ার কথা ছিল।কেসিসি’র প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা সানজিদা বেগম রিটার্নিং অফিসার, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট জান্নাতুল আফরোজ স্বর্ণা সহকারী রিটার্ণিং অফিসার, প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান প্রিজাইডিং অফিসার ও চীফ প্লানিং অফিসার আবির উল জব্বার সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেন।
আদ্-দ্বীন আকিজ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খুলনা এর ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সমন্বয়ে আগামী ১ বছরের জন্যে সভাপতি পদে ডাঃ শেখ আসিব হিরো ও সাধারণ সম্পাদক পদে ডাঃ তানভীর হাসান আবির নির্বাচিত হয়েছেন। খুলনা আদ্-দ্বীন আকিজ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্নি চিকিৎসক পরিষদের ২৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটিতে তিনজনকে উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য করা হয়েছে তারা হলেন, ডাঃ শেখ মাহমুদুল হাসান, ডাঃ আব্দুল্লাহ আল নোমান, ডাঃ অভিষেক বিশ্বাস। এছাড়া সহ সভাপতি রয়েছেন ডাঃ ঋজু মিত্রা ও ডাঃ তাসনিম রহমান। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ডাঃ রাহুল বিশ্বাস ও ডাঃ আজাদী ইয়াসমিন সন্ধি। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ডাঃ সাজিদুর রহমান সাজিদ ও ডাঃ মোরশেদ আল মোর্তজা। দপ্তর সম্পাদক পদে ডাঃ জাওয়াদ হোসেন, সহ দপ্তর সম্পাদক : ডাঃ সুপ্তি বিশ্বাস, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক : ডাঃ তন্নি বিশ্বাস,সহ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক : ডাঃ আরিফ হাসনাত তানিম, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক : ডাঃ অনন্যা মলঙ্গী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক : ডাঃ হাসনা খাতুন, ক্রীড়া সম্পাদক : ডাঃ জুবায়ের হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক : ডাঃ তানভীর আহমেদ তূর্য, বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক : ডাঃ ফাহমিদা বিথী। এছাড়া ৪ জনকে কার্যকরী সদস্য করা হয়েছে তারা হলেন, ডাঃ মুতাহিরা মুবাশ্বিরা অনন্যা, ডাঃ সাবিহা ফারজানা ববি, ডাঃ ঐশ্বর্য্য বিশ্বাস জুঁই, ডাঃ তুনাজ্জিনা হাসনাত তাবাসসুম প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার খুলনায় আগমন এবং আগামী ১৩ নভেম্বর সোমবার খুলনার ঐতিহাসিক জনসভা সফল করতে কেসিসি ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি সভা ও আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত। গতকাল শনিবার মাগরিববাদ ফুলবাড়ীগেটস্থ আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় প্রস্তুতি সভার সভাপতিত্ব করেন ২নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কেসিসি ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস এম মনিরুজ্জামান মুকুল। খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো .সেলিম রেজার সঞ্চালনায় প্রস্তুতি সভায় বক্তৃতা করেন, মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা গোলাম মোস্তফা, থানা আওয়ামী লীগ নেতা মো. শাকিল আহমেদ, ওয়ার্ড আ’লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান শিকদার, সায়েদুর রহমান, থানা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক অলিয়ার রহমান রাজু, থানা মহিলা আ’লীগের নেত্রী এ্যাড. নার্গিস খানম, আবু নাঈম, আ’লীগ নেতা লিয়াকত মুন্সি, নাসির উদ্দিন , কামাল মুন্সি, ইসমাইল হোসেন ইমন, নিলা নাছির, শানু বেগম, রবিউল ইসলাম, আব্দুল আওয়াল, আওলাদ হোসেন, সাথি বেগম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। প্রস্তুতি সভা শেষে ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের উদ্যোগে একটি আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিলটি খুলনা যশোর মহাসড়কের ফুলবাড়ীগেটের গুরুত্বপুর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ফুলবাড়ীগেট দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। প্রস্তুত সভা ও আনন্দ মিছিলে খানজাহান আলী থানা, কেসিসি ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও ইউনিট আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গসহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিল।
প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার খুলনায় আগমণ এবং যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে খানজাহান আলী থানা যুবলীগের উদ্যোগে আনন্দ মিছিল ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মষুচি পালন করেছে। আগামী ১৩ নভেম্বর সোমবার খুলনায় জননেত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক জনসভা সফল করতে গতকাল শনিবার মাগরিববাদ ফুলবাড়ীগেট বাসস্টান্ড থেকে খানজাহান আলী থানা যুবলীগ ও থানার অন্তরগত ৫টি ওয়ার্ড যুবলীগের যৌথ উদ্যোগে একটি বিশাল আনন্দ মিছিল বের হয়। মিছিলটি খুলনা যশোর মহাসড়কের মাইলপোস্ট, মানিকতলা, বাদামতলাসহ গুরুত্বপুর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ফুলবাড়ীগেট বাসস্টান্ডে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়। মিছিল পরবর্তি সমাবেশ খানজাহান আলী থানা যুবলীগের আহবায়ক ও যোগিপোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাজ্জাদুর রহমান লিংকনের সভাপতিত্বে এবং আওয়ামী লীগ নেতা এফ এম জাহিদ হাসান জাকিরের সঞ্চালনায় বক্তৃতা করেন, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন খানজাহান আলী থানা শাখার সভাপতি ইউসুফ আলী খলিফা, জেলা পরিষদের সদস্য ও থানা জাতীয় শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম বাবু, ২নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. সাইফুল ইসলাম, আ’লীগ নেতা আবু হেনা বাবলু, হোসেন আলী হাওলাদার, মোড়ল মুজিবর রহমান, তরিকুজ্জামান মনির, সোহেল চৌধরী, আলামিন, যুবলীগ নেতা জাহিদ আল মামুন। এ সময় ইউপি সদস্য শেখ আমজাদ হোসেন, রফিকুল ইসলাম, শাহ হাফিজুর রহমান, মনির হোসেন শেখ তরিকুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা আলামিন, রুবেল, সাবেক মেম্বর মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, শহিদুল ্ইসলাম, মনিরুল ইসলাম, আব্দুল কাদের, তৈয়বুর রহমান লিটন মো. হানিফ, নজরুল ইসলাম, রেজাউল ইসলামসহ থানা ও ওয়ার্ড আ’লীগ, যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিল। পরে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেকে কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎযাপন করেন খানজাহান আলী থানা যুবলীগ ও থানার অন্তরগত ৫টি ওয়ার্ড যুবলীগ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুলনায় আগমন উপলক্ষে সমস্ত খুলনা মহানগরী জুড়ে সাজ সাজ রব বিরজমান। খুলনার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। প্রধানন্ত্রীর খুলনার বিভাগীয় জনসভা সাফল্যমন্ডিত করতে নেতাকর্মীবৃন্দ দফায় দফায় প্রস্তুতি সভা, আনন্দ মিছিল সহ বিভিন্ন কর্মসূচি করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় খুলনা মহানগর যুব মহিলা লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক নাসরিন ইসলাম তন্দ্রার উদ্যোগে ভ্যানগাড়ী যোগে এক আনন্দ মিছিল করা হয়। শতাধিক ভ্যান গাড়ী যোগে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শনিবার বিকাল ৩ টায় তন্দ্রার নেতৃত্বে নগরীর ছোট বয়রাস্থ পাবলিক কলেজের সামনে থেকে শুরু হয়ে বয়রা মহিলা কলেজ মোড়, নুরনগর রেডিও সেন্টার, জোড়াগেট, শিববাড়ী মোড়, ডাকবাংলা হয়ে র্যালিটি শঙ্খ মার্কেটস্থ দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ করে হাদিস পার্কে পথসভায় তারা সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে ব্যান্ড পার্টির বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে নেতৃবৃন্দ নেচে গেয়ে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে স্বাগতম ও শুভেচ্ছা জানান। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে সামনে রেখে দলীয় নেতৃবৃন্দরা যে খুবই ফুরফুরে মেজাজে আছেন, সেটা তাদের এই উৎসবেই বোঝা যায়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য আফসানা ফেরদৌসী কেকা, আফরোজা জেসমিন বিথী, আরবিনা শিকদার লাচ্চি, জেসমিন আরা লাকি, মাহাবুবা আক্তার সুমি, নাজমা হোসেন, লাভলী হোসেন, আরফিন রুমি, ঝুনু, ময়না, তাসলিমা, সোনিয়া, শান্তা, সাদিয়া, জেরিন, ছামিয়া, প্রিয়া, শিউলী, মিতা, সালমা সহ আরও অনেকে।
দীর্ঘ সাত বছর পরে ১৩ নভেম্বর খুলনা আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খুলনার ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ ময়দানে জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ইতোমধ্যে জনসভাকে জনসমুদ্রে রুপান্তরিত করার সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও প্রশাসন। গতকাল জনসভাস্থল পরিদর্শন শেষে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, আমাদের এই সভার সকল কাজ মনিটরিং করছেন এই অঞ্চলের রাজনৈতিক অভিভাবক শেখ হেলাল উদ্দিন। তার সাথে শেখ জুয়েল এমপি, ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আছেন। তিনি বলেন, জনসভাস্থলে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার মানুষ উপস্থিত হবে। অতীতের সমস্ত ইতিহাস ¤øান হয়ে স্বাধীনতার পরে এই জনসভা হবে দেশের সর্ববৃহৎ। আমরা আশা করি এই মাঠে জনসভার লোক ধরবেনা। তাই খুলনা জুড়ে আমরা মাইক লাগিয়েছি। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যে উন্নয়ন কাজ করেছেন পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, শেখ হাসিনা ছাড়া অতীতে কেউ খুলনার উন্নয়ন করেনি। তাই প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাতে সকলে স্বতস্ফুর্তভাবে উপস্থিত হবেন। প্রধানমন্ত্রী বেশ কিছু স্থাপনা উদ্বোধন করবেন। আমরা আরো বেশ কিছু দাবি তুলে ধরবো। অতিতে তিনি বিমুখ করেননি এবারো করবেন না।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ হেলাল উদ্দীন এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ খুলনায় আসছেন। তার আগমনকে কেন্দ্র করে বিভাগ জুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এই অঞ্চলের মেয়ে। খুলনা তার দ্বিতীয় শহর। তাই খুলনার উন্নয়নের ব্যাপারেও তার সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। খুলনার জনসভাস্থল পরিদর্শন শেষে একথা বলেন তিনি। এসময় তিনি আরো বলেন, বিগত দিনে বেগম জিয়া খুলনা থেকে নির্বাচন করে প্রধান মন্ত্রী হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি একদিনের জন্যও খুলনা আসেননি। তিনি মংলা পোর্ট বন্ধ করে দিয়েছিলেন। একদিনে ৩ লক্ষ লোককে বেকার করে দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা এই মোংলা চালু করেছেন। সে কারণে পদ্মার এপারের মানুষ তাকে বিশ^াস করে। তাই আমার বিশ^াস এই অঞ্চলের মানুষ আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবেন। আগামী নির্বাচনে ভোট দিয়ে প্রমাণ করবে দক্ষিনাঞ্চলের মানুষ উন্নয়নের পক্ষে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের বোন, মা; উনি আমাদের সকল দাবি পুরন করবেন। আমাদের প্রাণের দাবি পদ্মা সেতু ও রুপসা সেতু করে দিয়েছেন। পদ্মা সেতুর ফলে ২/৩ ঘন্টার মধ্যে কৃষক ও মৎস্য চাষিরা ঢাকায় পন্য বিক্রি করে ফিরে আসছেন। তাই কে আপন কে পর তার প্রমাণ খুলনার মানুষ করবে। এই জনসভা জনসমুদ্রে রুপান্তরিত হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ হেলাল উদ্দীন এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ খুলনায় আসছেন। তার আগমনকে কেন্দ্র করে বিভাগ জুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এই অঞ্চলের মেয়ে। খুলনা তার দ্বিতীয় শহর। তাই খুলনার উন্নয়নের ব্যাপারেও তার সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। খুলনার জনসভাস্থল পরিদর্শন শেষে একথা বলেন তিনি।এসময় তিনি আরো বলেন, বিগত দিনে বেগম জিয়া খুলনা থেকে নির্বাচন করে প্রধান মন্ত্রী হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি একদিনের জন্যও খুলনা আসেননি। তিনি মংলা পোর্ট বন্ধ করে দিয়েছিলেন। একদিনে ৩ লক্ষ লোককে বেকার করে দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা এই মোংলা চালু করেছেন। সে কারণে পদ্মার এপারের মানুষ তাকে বিশ^াস করে। তাই আমার বিশ^াস এই অঞ্চলের মানুষ আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবেন। আগামী নির্বাচনে ভোট দিয়ে প্রমাণ করবে দক্ষিনাঞ্চলের মানুষ উন্নয়নের পক্ষে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের বোন, মা; উনি আমাদের সকল দাবি পুরন করবেন। আমাদের প্রাণের দাবি পদ্মা সেতু ও রুপসা সেতু করে দিয়েছেন। পদ্মা সেতুর ফলে ২/৩ ঘন্টার মধ্যে কৃষক ও মৎস্য চাষিরা ঢাকায় পন্য বিক্রি করে ফিরে আসছেন। তাই কে আপন কে পর তার প্রমাণ খুলনার মানুষ করবে। এই জনসভা জনসমুদ্রে রুপান্তরিত হবে।
আগামী ১৫,১৬ ও ১৭ নভেম্বর ২০২৩ দক্ষিন বঙ্গের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি বিদ্যাপীঠ জামি’আ রশীদিয়া গোয়ালখালী (ক্যাডেট মাদ্রাসা) খুলনায় চরমোনাই’র নমুনায় ৩ দিনব্যাপী ৩৯ তম বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল ও হালকায় জিকির অনুষ্ঠিত হবে। বৃহত্তর এই মাহফিলকে ঘিরে চলছে প্যান্ডেল প্রস্তুতের কর্মযজ্ঞ সেই সাথে সকলের মাঝে চলছে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দিপনা। উক্ত মাহফিলে ২য় ও ৩য় দিন প্রধান অতিথির বয়ান রাখবেন আমিরুল মুজাহিদীন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই), প্রথম দিন প্রধান অতিথির বয়ান রাখবেন নায়েবে আমিরুল মুজাহিদীন শায়খুল হাদিস মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই)। অনুষ্ঠিতব্য ৩ দিনব্যাপী মাহফিলে আরো বয়ান রাখবেন জাতীয় পর্যায়ের উল্লেখ্যযোগ্য আলেমগন।আজ ১৩ নভেম্বর ২০২৩ (সোমবার) সন্ধ্যা ৬ টায় গোয়ালখালী মাদ্রাসা অফিসে মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির এক বৈঠক মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল সাহেব এর সভাপতিত্বে ও মাদ্রাসা সেক্রেটারী শেখ হাসান ওবায়দুল করীমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত জরুরী বৈঠকে মাহফিল কেন্দ্রিক গুরুত্বপূর্ন অনেক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশেষ করে মাহফিলে আগত সকল মুসল্লি, মা-বোনদের নিরাপত্তাসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা রাখা হয়।অত্র মাদ্রাসার মুহতামিম ও পীর সাহেব চরমোনাই রহঃ এর খলিফা হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল ও মাদ্রাসা সেক্রেটারী শেখ হাসান ওবায়দুল করীম সকলকে দলবদ্ধভাবে জিকিরের সাথে মাহফিলে যোগদান করার জন্য বিশেষভাবে আহ্বান রাখেন।উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন- মাদ্রাসা সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল গণী জমাদ্দার, মুফতী আব্দুর রহীম, মাওলানা আরিফ বিল্লাহ, মাওলানা আব্দুর রশীদ, মাওলানা আব্দুস সামাদ, মুফতী আবদুর রহমান মিয়াজী, মুফতি নাজমুল ইসলাম, মাওলানা আরিফুর রহমান, মুফতি আব্দুল্লাহ, মুফতি নাঈমুর রহমান, মিডিয়া সেল আহবায়ক আবদুল্লাহ আল নোমান, সদস্য এস.এম শাহীন হোসেন, সদস্য শাহরিয়ার তাজ, মোঃ আব্দুল কুদ্দুস, মুফতী আবু রায়হান, মোঃ আবুল হোসেন, রুহুল আমীন বাবুল, আব্দুর রশীদ প্রমুখ।
"ডায়াবেটিস ঝুঁকি জানুন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন" এই প্রতিপাদ্য নিয়ে খুলনায় বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে দিবসটি উপলক্ষ্যে খুলনা ডায়াবেটিক সমিতি প্রাঙ্গণে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র বলেন, ডায়াবেটিস একটি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণযোগ্য রোগ। ডায়াবেটিস থেকে সুরক্ষা পেতে এবং এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচতে হলে সকলকে রোগটি প্রতিরোধের উপায়গুলো জানতে হবে।সাবেক সংসদ সদস্য ও খুলনা ডায়াবেটিক সমিতির আহবায়ক মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক মোঃ মহিদুল ইসলাম টুটুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডাঃ মেহেদী নেওয়াজ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, খুলনা ডায়াবেটিক সমিতির চীফ মেডিকেল অফিসার ডাঃ দীনবন্ধু মন্ডল, ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোঃ আব্দুর সবুর, এ্যাড. তসলিমা খাতুন ছন্দা প্রমুখ। খুলনা ডায়াবেটিক সমিতি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।এর আগে মেয়রের নেতৃত্বে খুলনা ডায়াবেটিক সমিতি প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। র্যালিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ গ্রহণ করে।
গতকাল শুক্রবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউএসএআইডি এর অর্থায়নে জে এস আই কারিগরী সহায়তায় ও ব্র্যাক আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম এর এশিয়া রেজিলিয়েন্ট সিটিস প্রকল্প, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, কুয়েট, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্লানার, খুলনা সিটি কর্পোরেশন এর যৌথ উদ্যোগে বিশ্ব নগর পরিকল্পনা দিবস উদযাপন-২০২৩ উপলক্ষে এক বর্নাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়। এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো " লার্ন গ্লোবালি, এপ্লাই লোকাললি"। উক্ত র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন বিআইপি এর সভাপতি জনাব ফজলে রেজা সুমন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর প্লানার ও ড্যাপ এর পিডি জনাব আশরাফুল আলম, প্রফেসর আশিক উর রহমান, প্রফেসর ড. রাজাউল করিম, কেডিএ এ পরিকল্পনাবিদ তানভির আহমেদ, প্রফেসর জাকির হোসেন, প্রফেসর আহসানুল কবির কুয়েট এর শিক্ষক তুষার কান্তি রায়, ব্র্যাক এশিয়া রেজিলিয়েন্ট প্রকল্প এর জিয়ায়ুর রহমান, উতপল কুমার দাস, আবু বকর, স্মৃতি রানী মন্ডল, ওয়াশিম আকরাম প্রমুখ। এছাড়াও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও কুয়েটের নগর পরিকল্পনা বিভাগের ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মকর্তা গন এবং খুলনা অঞ্চলে অবস্থানরত পরিকল্পনাবিদ, স্থাপতি ও প্রকৌশলী গন উপস্থিত ছিলেন। র্যালি টি শেষে উপস্থিত অংশগ্রহনকারীগন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত গ্রিন সিটি ইনিশিয়েটিভ শীর্ষক সেমিনারে উপস্থিত হন।
আসন্ন দাদর জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে খুলনা ৫ (ডুমুরিয়া- ফুলতলা) আসনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন মনোনয়ন প্রত্যাশী অ্যাডভোকেট মোঃ সাইফুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ নেওয়াজ জোয়ারদার,কেসিসি প্যানেল মেয়র- ১ এস এম রফি উদ্দিন আহমেদ, অ্যাডভোকেট মাহমুদ এনামুল হক, এডভোকেট এসএম তারিক মাহমুদ তারা, সাংবাদিক মল্লিক সুধাংশু,অ্যাডভোকেট কেএম ইকবাল হোসেন, অ্যাডভোকেট এম এম সাজ্জাদ আলী, খুলনা চেম্বারের পরিচালক আলহাজ্ব মোশাররফ হোসেন, কাজী আলমগীর হোসেন, সরদার আব্দুল গনি, হিমাংশু বিশ্বাস, রামপ্রসাদ জোরদার, আদিত্য মন্ডল, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, ডাক্তার বিপ্লব মন্ডল, মোঃ শফিকুল ইসলাম টুটুল, মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, মোঃ সিরাজুল ইসলাম মেম্বার, হাজী লুৎফর রহমান গাজী, মোঃ রবিউল ইসলাম মিঠু, মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, মোহাম্মদ রাজু, মোহাম্মদ আনিসুর রহমান,আশরাফ আলী প্রমুখ। আজ দুপুরে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ দলীয় কার্যালয় থেকে খুলনা ৫ আসনের(ডুমুরিয়া - ফুলতলা) মনোনয়নপত্র উত্তোলন করার পর মনোনয়ন পত্রটি পূরণ করে একই দিনে জমা প্রদান করা হয়। এছাড়াও ঢাকাস্থ খুলনার অনেক রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আসন্ন দাদর জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে খুলনা ৫ (ডুমুরিয়া- ফুলতলা) আসনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন মনোনয়ন প্রত্যাশী অ্যাডভোকেট মোঃ সাইফুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ নেওয়াজ জোয়ারদার,কেসিসি প্যানেল মেয়র- ১ এস এম রফি উদ্দিন আহমেদ, অ্যাডভোকেট মাহমুদ এনামুল হক, এডভোকেট এসএম তারিক মাহমুদ তারা, সাংবাদিক মল্লিক সুধাংশু,অ্যাডভোকেট কেএম ইকবাল হোসেন, অ্যাডভোকেট এম এম সাজ্জাদ আলী, খুলনা চেম্বারের পরিচালক আলহাজ্ব মোশাররফ হোসেন, কাজী আলমগীর হোসেন, সরদার আব্দুল গনি, হিমাংশু বিশ্বাস, রামপ্রসাদ জোরদার, আদিত্য মন্ডল, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, ডাক্তার বিপ্লব মন্ডল, মোঃ শফিকুল ইসলাম টুটুল, মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, মোঃ সিরাজুল ইসলাম মেম্বার, হাজী লুৎফর রহমান গাজী, মোঃ রবিউল ইসলাম মিঠু, মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, মোহাম্মদ রাজু, মোহাম্মদ আনিসুর রহমান,আশরাফ আলী প্রমুখ। আজ দুপুরে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ দলীয় কার্যালয় থেকে খুলনা ৫ আসনের(ডুমুরিয়া - ফুলতলা) মনোনয়নপত্র উত্তোলন করার পর মনোনয়ন পত্রটি পূরণ করে একই দিনে জমা প্রদান করা হয়। এছাড়াও ঢাকাস্থ খুলনার অনেক রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ইউএসআইডির সমতা প্রকল্পের সহযোগিতায় খুলনা বিভাগীয় বন্ধু মিডিয়া ফোরামের গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে সভার আয়োজন করে বন্ধু সোশ্যাল ওয়েল ফেয়ার সোসাইটি। রবিবার সকালে খুলনার একটি অভিজাত হোটেলে এ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় খুলনার ট্রান্সজেন্ডার, হিজড়া এবং লিঙ্গবৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় গণমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়। উপস্থিত সাংবাদিকরা এই জনগোষ্ঠীকে তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে সমাজে ইতিবাচক ও কার্যকরী ভূমিকা পালনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া যেকোন প্রয়োজনে হিজড়াদের পাশে থাকার প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন। সভায় উপস্থিত থেকে মতামত তুলে ধরেন বন্ধুর সিনিয়র প্রজেক্ট ম্যানেজার মোঃ মশিউর রহমান, বন্ধুর পাবলিক রিলেশন এন্ড ডকুমেন্টাশন বিভাগের ডেপুটি ম্যানেজার রুহুল রবিন খান, দৈনিক ইত্তেফাকের খুলনা প্রতিনিধি এনামুল হক, সময়ের খবরের চীফ রিপোর্টার সোহরাব হোসেন, ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির খুলনা প্রতিনিধি মোঃ শামীমুজ্জামান, বাংলা ট্রিবিউনের খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি মোঃ হেদায়েৎ হোসেন মোল্লা, দৈনিক তথ্যের বার্তা সম্পাদক আলমগীর হান্নান, দৈনিক প্রবাহের স্টাফ রিপোর্টার খলিলুর রহমান সুমন, বাংলানিউজ ২৪.কমের খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি মাহবুবুর রহমান মুন্না, ডিবিসি টিভির খুলনা প্রতিনিধি আমিরুল ইসলাম, ঢাকা পোস্টের খুলনা প্রতিনিধি মোহাম্মদ মিলন, এম সাইফুল ইসলাম, মধুমতি নিউজের স্টাফ রিপোর্টার প্রিয়া রহমান, নক্ষত্র যুব মানবকল্যাণ সংস্থা সভাপতি পাখি দত্ত, সহ-সভাপতি সজল আহমেদ, প্রান্তজ ফাউন্ডেশনের অর্থ সম্পাদক জাহিদুর রহমান। সভায় লিঙ্গ বৈষম্য যাতে সমাজে না হয় সে ব্যাপারে এসব সাংবাদিকরা পাশে থাকবেন বলে মতামত পেশ করেন। সভায় দৈনিক প্রবাহের স্টাফ রিপোর্টার খলিলুর রহমান সুমনকে আহবায়ক করে ১০ সদস্য বিশিষ্ট খুলনা বিভাগীয় মিডিয়া ফোরামের কমিটি গঠন করা হয়।
ডুমরিয়া প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা প্রবীণ সাংবাদিক ও অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল কাদের খানের জায়গা দখল করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী থানায় সাধারণ ডায়েরী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।লিখিত অভিযোগে সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন গত বুধবার সকালে উপজেলা সদরের সাংবাদিক আব্দুল কাদের খানের নিজস্ব জায়গায় স্থানীয় প্রভাবশালী গাজী রেজা তার দলবল নিয়ে জোরপূর্বক ঘেরাবেড়া কেটে তার রেকর্ডীয় জমির উপর রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু করে। এ সময় প্রতিবাদ করতে এগিয়ে গেলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মারতে আসে। এক পর্যায়ে প্রতিবেশীদের সামনে প্রভাবশালী ওই রেজা তাকে জীবননাশের হুমকি দেয়। এ নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভুক্তভোগী পরিবার।এ প্রসঙ্গে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ কনি মিয়া বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, নারীদের স্বনির্ভরতা অর্জন ছাড়া একটি দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। সে জন্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে সহজ শর্তে ঋণ প্রদানসহ নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী গৃহীত এ সকল সুবিধা কাজে লাগিয়ে নিজ নিজ মেধা ও যোগ্যতার মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে হবে।সিটি মেয়র আজ শনিবার সন্ধ্যায় নগরীর উমেষচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে বার্ষিক উদ্যোক্তা সম্মেলন সম্মননা স্মারক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রৌদ্রছায়া ফাউন্ডেশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। রৌদ্রছায়া ফাউন্ডেশনের সহসভাপতি সেলিনা আক্তার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পুরস্কার লাভ করায় সংগঠনের পক্ষ থেকে তাকে সম্মাননা স্মরক প্রদান করা হয়।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মীর মো: কবীর হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সিটি ল’ কলেজের অধ্যক্ষ এ্যাড. আওয়াল রাজা, বাংলাদেশ উইমেন্স চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি-খুলনার বিভাগীয় প্রধান শামীমা সুলতানা শিলু, নাসিব-খুলনা শাখার সভাপতি মো: ইফতেখার আলী বাবু, সমাজসেবা কর্মকর্তা আবিদা আফরিন ও গ্রীণ নারী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের পরিচালক সাকেরা বানু। বিভিন্ন সংগঠনের নারী উদ্যোক্তাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
রূপসায় রূপান্তরের সহযোগীতায় অপরাজিতা নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, নারীর জন্য বিনিয়োগ, নারী সহিংসতা প্রতিরোধ, নারী নির্যাতন প্রতিরোধের লক্ষে আলোচনা সভা, কবিতা আবৃত্তি ও মানব বন্ধন গতকাল ২৬ নবেম্বর সকাল ১০ টায় পিঠাভোগ রবিন্দ্র স্মৃতি সংগ্রহ শালায় অনুষ্ঠিত হয়। অপরাজিতা নারী নেটওয়ার্কের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা আফরোজ মনা। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী প্রগ্রামার মোঃ রেজাউল করিম, ঘাটভোগ ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান মিজান, এডভোকেসি এন্ড নেটওয়ার্ক সমন্বয়কারী খন্দকার জিলানী হোসেন। রূপসা উপজেলা অপরাজিতা নারী নেটওয়ার্কের সভাপতি আকলিমা খাতুন তুলির সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন রিনা পারভীন, সাবিনা ইয়াসমিন, মাধরী সরকার, শারমিন সুলতানা রুনা, সাহনাজ ইসলাম, স্বপ্না রাণী পাল, রাবেয়া সুলতানা, জেসমিন আক্তার প্রমুখ।
ভালো মন্দ যাহাই আসুক সত্যেরে লও সহজে এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে নৃত্য সংগঠন অরুণোদয়’র ৪র্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার বিকালে সিএসএস আভা সেন্টারে একটি কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জনি সরকার। প্রধান অতিথি ছিলেন কাউন্সিলর আলী আকবর টিপু। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত কাউন্সিলর মাহমুদা বেগম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি হুমায়ুন কবির ববি, পান্না লাল দে, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ সিরাজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মুকুট। এছাড়া অরুণোদয়ের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সুরভী ক্রুশ উপস্থিত ছিলেন। কেক কাটার মধ্যে দিয়ে উক্ত অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।
দলিত জনগোষ্টির সামাজিক ক্ষমতায়ন ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিলেন নাগরিক ঐক্য, ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি ও জেএসডি খুলনার নেতৃবৃন্দ। শনিবার সন্ধ্যায় নাগরিক ঐক্যের কার্যালয়ে প্রান্তিক জনগোষ্টির সামাজিক ক্ষমতায়ন ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিতে ৮ দফা দাবি সোচ্চার হওয়ার পাশাপাশি ইতিমধ্যে তাদের ৩১ দফা দাবির মধ্যে দলিত ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ে ৫ টি দাবি সংযোজন করেছেন বলেও জানান নেতৃবৃন্দ। দলিত ওয়ার্কিং গ্রুপের উদ্যোগে রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে ৮ দফা দাবী অন্তর্ভূক্তির কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর কাছে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেএসডি’র খুলনা মহানগর সভাপতি লোকমান হাকিম, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কে এম আলীদাদ, নাগরিক ঐক্যের সদস্য সচিব মোতাহার রহমান, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক মানীর চৌধুরী সোহেল, গণসংহতি আন্দোলনের নগর সদস্য সচিব কামরুজ্জামান টুকু ও কাজী আমিনুর রহমান।দলিত জনগোষ্টির সামাজিক ক্ষমতায়ন ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিতে দাবীগুলোর মধ্যে বৈষম্য নিরোধ আইন কার্যকর করা এবং এতে দলিত জনগোষ্ঠীর কথা উল্লেখ করা। আসন্ন দ্বাদশ সংসদে প্রতিশ্রুত সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা। জাতীয় সংসদে ও স্থানীয় সরকার এ আসন সংরক্ষণের পাশাপাশি স্টান্ডিং কমিটিতে দলিতদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা ও সংসদীয় ককাস গঠন করা। সমাজকল্যান মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া/অনগ্রসর জনগোষ্ঠী কারা তা সুনির্দিষ্ট করা এবং পিছিয়ে পড়া/অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর তালিকায় দলিত উল্লেখ করা। দলিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ঝরে পরা রোধে, উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন শিক্ষা অব্যাহত রাখতে শিক্ষা ঋণ চালু করা। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরী এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্দেশ্যে দলিত এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বিনিয়োগ তহবিল (সহজ শর্তে ঋণ) গঠন করা। মেডিকেল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে দলিত দের জন্য এবং সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভায় হরিজন জনগোষ্ঠীর কোটা বরাদ্দ করা। জন্য চাকরি নীতি যুগোপযোগী করাসহ সকল প্রতিষ্ঠানে চাকুরি স্থায়ী করা এবং ঘোষিত প্রঙ্গাপন অনুসারে ঝাড়ুদার/ক্লিনার/সুইপার পদে মোট নিয়োগের ৮০% হরিজন জনগোষ্ঠীর কোটার সঠিক বাস্তবায়ন করা এবং আউটসোর্সিং পদ্ধতি বাতিল করা।স্মারকলিপি প্রদানকালে ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আহ্বায়ক সিলভি হারুন, সদস্য ইসরাত হিরা, অ্যাড. মুজাহিদুল ইসলাম শামীম, মানবাধিকার কর্মী ইসরাত নূয়েরী হোসেন মুমু, অরুণ দাশ প্রমুখ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনের রেখে বর্ধিত সভা করেছে সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগ। বুধবার বাদ মাগরিব ১৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। সম্মানিত অতিথির বক্তৃতা করেন বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা।সম্মানিত অতিথির বক্তৃতায় সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে দেশ আবার জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত হবে। দেশ আবার অন্ধকারে যুগে ফিরে যাবে। তবে বাংলাদেশের মানুষ আর অন্ধকারে ফিরে যেতে চায় না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার কারণেই বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। এত নিষ্ঠা ও ভালোবাসা নিয়ে দেশের উন্নয়নে আর কেউ কাজ করবে না। বর্তমান সরকার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের বিনামূল্যে বাড়ি দিয়েছে, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়েছে। আড়াই কোটি শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেয়া হচ্ছে, যেন দেশবাসী আর কষ্ট না পায়। তিনি আরো বলেন, দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করতে আমরা পরিকল্পিতভাবে সবকিছু করে যাচ্ছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশের মানুষের কেউ গৃহহীন ও অতি দরিদ্র থাকবে না। দেশের মানুষ চায় এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক এবং এক্ষেত্রে কেউ যেন বাধা সৃষ্টি করতে না পারে।সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও তসলিম আহমেদ আশার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, আওয়ামী লীগ নেতা মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, আবুল কালাম আজাদ কামাল, অধ্যা. আলমগীর কবির, মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, আলহাজ্ব শেখ মোশাররফ হোসেন, মো. তরিকুল আলম খান, কাজী জাহিদ হোসেন, কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ, কাউন্সিলর এস এম গাউসুল আযম, এস এম আকিল উদ্দিন, শেখ আবিদউল্লাহ, হাজী মোতালেব মিয়া, সফিকুর রহমান পলাশ, এম এ নাসিম, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, কাউন্সিলর মাহমুদা বেগম, নুর জাহান রুমি, কাউন্সিলর রোজী ইসলাম নদী, কাউন্সিলর এস এম রাজুল হাসান রাজু, মো. কামরুল ইসলাম। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলাম বাবলু, কাউন্সিলর আলী আকবর টিপু, নূর মোহাম্মদ শেখ, কাউন্সিলর শেখ হাসান ইফতেখার চালু, কাউন্সিলর গোলাম মাওলা শানু, কাউন্সিলর জাকির হোসেন বিপ্লব, শেখ নূর ইসলাম, শেখ জাহিদুল ইসলাম, চ.ম. মুজিবুর রহমান, মুন্সি আইয়ুব আলী, মীর মো. লিটন, মো. ইউসুফ আলী খান, সরদার আব্দুল হালিম, শেখ রুহুল আমিন, মো. আমির হোসেন, জান্নাতুল ফেরদৌস পিকুল, আব্দুল কাউয়ুম গোরা, রফিকুল ইসলাম পিটু, মোক্তার হোসেন, অধ্যা. আদেল মুকুল, কামরুজ্জামান, মো. রুহুল আমীন খান, আলী আকবর মাতুব্বর, মেহজাবিন খান, এ্যাড. শামিম আহমেদ পলাশ, শিপন চৌধুরী, এ্যাড. সোহেল পারভেজ, তোতা মিয়া ব্যাপারী, সোহেল চৌধুরী, রুম্মান আহম্মেদ প্রমুখ।
নগরীর একটি হোটেলে নারী উদ্যোক্তাদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত উইন্টার ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধন হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় নগরীর হোটেল রয়্যালে ৫০ জন নারী উদ্যোক্তাদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত উইন্টার ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধন করেন কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।এসময় মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে তাদেরকে সামাজিক মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছেন। নারীরা এখন বিমান চালক ও সেনা কর্মকর্তাসহ দেশে বিদেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে বলেন বর্তমানে দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্পীকার, বিরোধীদলীয় নেত্রী নিজ নিজ অবস্থানে থেকে দেশ পরিচালনা করছেন।সিটি মেয়র আরো বলেন, বর্তমান প্রতিযোগিতার যুগে টিকে থাকতে হলে পণ্যের গুণগত মান ঠিক রাখতে হবে। বাজারে নিম্নমানের পণ্য বিপণন করে ব্যবসায় সফল হওয়া সম্ভব নয়। সিটি মেয়র বলেন দেশের মোট জনগোষ্ঠীর অর্ধেকের বেশী নারী। তাদেরকে পিছিয়ে রেখে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এ জন্য বর্তমান সরকার নারীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনা প্রেস কাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর-খুলনার উপপরিচালক হাসনাহেনা, শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তা আবিদা আফরিন, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট এন্ড হেড অব ব্রাঞ্চ মোঃ আব্দুল মতিন ও নাসিব-খুলনার সভাপতি ইফতেখার আলী বাবু। স্বাগত বক্তৃতা করেন নারী উদ্যোক্তা চিশতি মুশতারী বানু।
প্রান্তিক জনগোষ্টির সামাজিক ক্ষমতায়ন ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিতে ৮ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশীদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে এই দাবি সমূহ অন্তর্ভূক্তি লক্ষ্যে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।দলিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ে গঠিত ওয়ার্কিং গ্রুপের আহবায়ক সিলভি হারুনের নেতৃত্বে রোববার দুপুরে জেলা পরিষদ কার্যালয়ে দলিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ৮ দফা দাবী সম্বলিত স্মারকলিপি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির কাছে তুলে ধরা হয়। জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি তার বক্তৃতায় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির এই ন্যায্য দাবি সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে তুলে ধরার আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি বলেন, সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষও এই দেশের নাগরিক। তাদের সবধরনের সুযোগ সুবিধা ভোগ করার অধিকার রয়েছে। তারা যেনো পিছিয়ে না থাকে সে জন্য আওয়ামীলীগ সরকার কাজ করছে।পরবর্তীতে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারীর কাছেও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।স্মারকলিপিতে দাবীগুলোর মধ্যে বৈষম্য নিরোধ আইন কার্যকর করা এবং এতে দলিত জনগোষ্ঠীর কথা উল্লেখ করা। আসন্ন দ্বাদশ সংসদে প্রতিশ্রুত সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা। জাতীয় সংসদে ও স্থানীয় সরকার এ আসন সংরক্ষণের পাশাপাশি স্টান্ডিং কমিটিতে দলিতদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা ও সংসদীয় ককাস গঠন করা। সমাজকল্যান মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া/অনগ্রসর জনগোষ্ঠী কারা তা সুনির্দিষ্ট করা এবং পিছিয়ে পড়া/অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর তালিকায় দলিত উল্লেখ করা। দলিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ঝরে পরা রোধে, উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন শিক্ষা অব্যাহত রাখতে শিক্ষা ঋণ চালু করা। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরী এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্দেশ্যে দলিত এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বিনিয়োগ তহবিল (সহজ শর্তে ঋণ) গঠন করা। মেডিকেল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে দলিত দের জন্য এবং সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভায় হরিজন জনগোষ্ঠীর কোটা বরাদ্দ করা। জন্য চাকরি নীতি যুগোপযোগী করাসহ সকল প্রতিষ্ঠানে চাকুরি স্থায়ী করা এবং ঘোষিত প্রঙ্গাপন অনুসারে ঝাড়ুদার/ক্লিনার/সুইপার পদে মোট নিয়োগের ৮০% হরিজন জনগোষ্ঠীর কোটার সঠিক বাস্তবায়ন করা এবং আউটসোর্সিং পদ্ধতি বাতিল করা।এসময় ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্য ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার কর্মী ইসরাত নূয়েরী হোসেন মুমু, অরুণ দাশ প্রমুখ।
সর্বস্তরের মানুসের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন খানজাহান আলী থানার বিদায়ী অফিসার্স ইনচার্জ মানবিক পুলিশ অফিসার মোঃ কামাল হোসেন খান। একই সাথে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করা হলো থানার নবাগত অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ মম্তাজুল হককে। খানজাহান আলী থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন খানের খুলনা সদর থানায় বদলিজনিত কারনে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান করেন তার সহকর্মী, থানা এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেনী পোশার মানুষ। সকলের অশ্রম্ন সিক্ত ভালোবাসায় বিদায়ী অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন খানকে বিদায় জানানো হয়। বিদায়ের শেষ ব্যস্ততার মুহুর্তেও তিনি কর্মের মধ্যে দিয়ে আবারও পরিচয় দিলেন তিনি মানবিক পুলিশ ।খানজাহান আলী থানার অফিসার্স মোঃ কামাল হোসেন খানের শেখ কর্মদিসব ছিল গতকাল মঙ্গলবার। শেষ কর্মদিবসের সকাল থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে ক্রেস্ট, ফুল, জায়নামাজ, সোপিচ, ফলফলাদিসহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী নিয়ে থানায় হাজির হয় শতশত মানুষ। শিরোমণি এলাকার হতদরিদ্র কুলসুম বেগম নিজের খাওয়ার জন্য বোনের কাছ থেকে পাওয
ডুমুরিয়ায় তৃনমুল পর্যায়ে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ্যোক্তাদের বিকাশ সাধান প্রক্ল্প প্রশিক্ষন কেন্দ্রের আয়োজনে উদ্যোক্তাদের উদ্বদ্ধকরণ প্রশিক্ষন ভাতার চেক বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।রবিবার ১৭ডিসেম্বর দুপুরে মধুগ্রাম ইসলামীয়া আলীম মাদ্রাসা অডিটোরিয়ামে, জাতীয় মহিলা সংস্থা খুলনা জেলা কার্যালয়ের নির্বাহী অফিসার নুর মোহাম্মদ’র সভাপতিত্বে ও মধুগ্রাম কেন্দ্রের প্রশিক্ষক ক্যাটারিং শিল্পা মন্ডল’র সঞ্চলানায় প্রধান অতিথির বক্তব্যদেন, জাতীয় মহিলা সংস্থা খুলনা জেলা কার্যালয়ের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রুনু ইকবল বিথার।এসময় আরও বক্তব্যদেন, রুদাঘরা ইউপি চেয়ারম্যান তোহিদ্দুজ্জামান, মধুগ্রাম ইসলামীয়া আলীম মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মহিবুর রহমান, ডুমুরিয়া প্রশিক্ষন কেন্দ্রের উপদেষ্টা সদস্য জি এম সহিদুল ইসলাম, জাতীয় মহিলা সংস্থা খুলনা জেলা কার্যালয়ের সদস্য শাহিদা ইসলাম, সবনম সাবা,নুরিনা রহমান বিউটি,ইসরাত আরা হিরা, জাতীয় মহিলা সংস্থা মধুগ্রাম কেন্দ্রের উপদেষ্টা মোঃ সুজন চৌধুরী প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে ৪৮৬ জন প্রশিক্ষণার্থীর মাঝে ৩৯ লক্ষ ১৯ হাজার ৩ শত ৫০ টাকা প্রশিক্ষণ ভাতার চেক বিতরণ করা হয়।
সোনাডাঙ্গাস্থ রিয়াদুল জান্নাহ্ হিফয্ মাদরাসার বার্ষিক ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে দেশপ্রেমিক, সৎ চরিত্রবান নাগরিক প্রয়োজন। আর সেটি অর্জন করা সম্ভব মাদরাসা বা ধর্মীয় শিক্ষার মধ্যদিয়ে। মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার পাশাপাশি সমাজের সকল প্রকার দুর্নীতি, অনিয়ম দূর করতে হলেও সন্তানদেরকে মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষিত করার আহবান জানান বক্তারা।আজ বৃহস্পতিবার সকালে মাদরাসা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন, তা’লীমুল মিল্লাত রহমাতিয়া ফাযিল(ডিগ্রী) মাদরাসার অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওলানা এএফএম নাজমুস সউদ। মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও তত্ত¡াবধায়ক মুহাদ্দিস আলহাজ্ব মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং মাদরাসার উপদেষ্টা ও মানবাধিকার সংগঠক, নাগরিক নেতা এস এম দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় এসময় সম্মানিত অতিথি ছিলেন, সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ডিজিএম আলহাজ্ব এ এম ফরহাদ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জাতীয় শ্রমিক লীগের খুলনা জেলা শাখার আহবায়ক সরদার মিজানুর রহমান মিজান।প্রধান আলোচক ছিলেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে’র নির্বাহী সদস্য ও দৈনিক পূর্বাঞ্চলের সিনিয়র রিপোর্টার এইচ এম আলাউদ্দিন এবং বিশেষ আলোচক ছিলেন, এরাবিক বিশুদ্ধ কুরআন শিক্ষা ফাউন্ডেশনের যুগ্ম মহাসচিব ও আত-ত্বাকওয়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি ক্বারী মাহদী হাসান কাওসারী।বক্তারা আরও বলেন, নৈতিক অবক্ষয়ের কারণে সমাজে আজ বিভিন্ন প্রকার অনিয়ম, দুর্নীতি দেখা দিয়েছে। এ থেকে সমাজ তথা দেশকে রক্ষা করতে হলে আমাদের সন্তানদেরকে নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষা দিতে হবে। বিশেষ করে আল কুরআনের শিক্ষার মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তন সম্ভব বলেও বক্তারা উল্লেখ করেন।এসময় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও মাদরাসার অভিভাবক মোঃ রফিকুল ইসলাম হাওলাদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী, আলহাজ্ব আবুল কালাম, শেখ মোঃ মিরাজ হোসেন, মাদরাসা শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মোঃ রেজাউল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা সাব্বির হোসেন, হাফেজ মোঃ জাকির হোসাইন, হাফেজ মোঃ আব্দুল্লাহ শিকদার, হাফেজ মাওলানা মেহেদী হাসান, ইংরেজি শিক্ষক মোঃ গোলাম রব্বানি, গণিত শিক্ষক মোঃ তৈহিদুল ইসলাম, মোঃ মেহেদী হাসান, বিজ্ঞান শিক্ষক মোঃ ইব্রাহিম খলিল, শিক্ষিকা হাফেজা মোছাঃ জেসমিন আক্তার, জেনারেল শিক্ষিকা মোছাঃ লিপি সুলতানাসহ মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ, অভিভাবক-অভিভাবিকাবৃন্দ এবং স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দেওয়া প্রয়োজন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত খুলনা-১ আসনের নৌকার প্রার্থী সাবেক এমপি ননী গোপাল মন্ডল বলেছেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে, তার হাতকে শক্তিশালী এবং বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকা প্রতীককে পুনরায় ভোট দেওয়া প্রয়োজন। তিনি বিপুল সংখ্যক ভোটারদের ভোটের মাধ্যমে নৌকাকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে সকল ভেদাভেদ ভুলে একযোগে কাজ করার আহবান জানান । তিনি আরও বলেন, মনোনয়ন বোর্ড নৌকা প্রতীক আমার হাতে তুলে দিয়েছেন, তার মানে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা আমাকে এ আসনে তার পছন্দের প্রতিনিধি হিসেবে পাঠিয়েছেন। সুতরাং নৌকার বিজয় মানেই শেখ হাসিনার জয়, আমার বিজয়। তিনি গতকাল শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় জলমা-চক্রাখালী ফুটবল মাঠে বটিয়াঘাটা উপজেলার প্রথম জনসভায় জনতার উদ্দেশ্যে এসকল কথা বলেন। জলমা ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি নারায়ন চন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী জনসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম খান। বিশেষ অতিথি খুলনা জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি এ্যাড.নিমাই চন্দ্র রায়, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. নব কুমার চক্রবর্তী, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ হালদার, জেলা আ’লীগের সদস্য নান্টু রায় ও বুলু রায় গাঙ্গুলী, দাকোপ উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক বিনয় কৃষ্ণ, চালনা পৌরসভার মেয়র সনত কুমার বিশ্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান গৌর পদ বাছাড়,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান চঞ্চলা মন্ডল, সাবেক মেয়র ড.অচিন্ত্য কুমার মন্ডল ও প্রধান নির্বাচনীয় এজেন্ট এড,জীএম কামরুজ্জামান। জলমা ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মোল্লা মিজানুর রহমান বাবু ও সুজয় মন্ডলের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান বিধান রায়, ইউপি চেয়ারম্যান পল্লব বিশ্বাস, আ’লীগনেতা অসীত বরণ সাহা, রবীন্দ্রনাথ ঢালী, মীর মহম্মদ আলী, গোলাম মোস্তফা মুন্সী, পলাশ রায়, আব্দুল হাদী সরদার, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আবু হানিফ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পারভেজ আলম, জেলা সৈনিক লীগের সভাপতি এস এম ফরিদ রানা, জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারা খাতুন শিউলী, আ’লীগ নেতা বিবেক বিশ্বাস, চয়ন বিশ্বাস,অনুপ গোলদার, সুবীর মল্লিক, বিপ্লব মল্লিক, অনুপম মন্ডল, গোবিন্দ মল্লিক, ইউপি চেয়ারম্যান যথাক্রমে ওবায়দুল সেখ, আসাবুর রহমান, জিএম মিলন, সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম হাসান, সরদার নাজমুল সাকিব সিদ্দিকী, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক অনুপম বিশ্বাস, যুগ্ম আহবায়ক শেখ মোঃ ওয়াহিদুর রহমান, সঞ্জিত রায়, কার্তিক টিকাদার, তরিকুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রলীগনেতা আজিজুর রহমান, পার্থ রায় মিঠু, আরিন্দম গোলদার, মিজানুর রহমান, নিতিশ মল্লিক, পলাশ রায়, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমিরুল মোমেনীন রানা, সাধারণ সম্পাদক শেখ ইমন প্রমূখ। ওইদিন নৌকার প্রার্থী ননী গোপাল মন্ডল জলমা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করেন। ###
খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল বলেছেন, দেশকে অশান্ত ও অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিতে না চাইলে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে। শেখ হাসিনা ছিলেন বলে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। শেখ হাসিনার শক্তিশালী নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নে বদলে যাচ্ছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আজ সারাবিশ্বের জননন্দিত নেতা। তিনি দরিদ্র দেশ থেকে একটি সম্ভাবনাময় দেশে পরিণত করেছেন। মাথাপিছু আয় বেড়েছে। আমরা ২০৩০ সালে সবাইকে শিক্ষিত করব। ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হব। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আপনাদের নিরাপদ, উন্নত জীবন, উন্নত জীবনযাত্রা এবং স্মার্ট সোনার বাংলাদেশ উপহার দিবেন। যে দেশে আপনারা মাথা উঁচু করে বীরের মতো বাঁচবেন। আপনাদের সন্তানেরা উন্নত শিক্ষা গ্রহণ করে সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে উচ্চ মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবে।তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হলে শিল্পাঞ্চল খুলনা তার হারানো গৌরব ফিরে পাবে। ইতিমধ্যে ভোলা থেকে গ্যাস খুলনায় আনার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। খুলনাকে উন্নত আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত নগরীতে পরিণত করা হবে। তাই দেশকে এগিয়ে নিতে শেখ হাসিনার নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান তিনি। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর ২৫নং ওয়ার্ডের সোহরাওয়ার্দী কলেজে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন ২৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি আইয়ুব আলী। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার আব্দুল হালিম ও শরীফ এনামুল কবীরের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক কাউন্সিলর আলী আকবর টিপু, দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, নির্বাহী সদস্য এ্যাড. সরদার আনিছুর রহমান পপলু, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমেদ আশা, মহানগর যুবলীগের সভাপতি সফিকুর রহমান পলাশ, সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, এস এম হাফিজুর রহমান হাফিজ, এ্যাড. শামীম আহমেদ পলাশ, সাবিহা ইসলাম আঙ্গুরা, রুম্মান আহমেদ। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাড. নিমাই চন্দ্র রায়, মো. শাহজাদা, অধ্যা. রুনু ইকবাল বিথার, কাজী জাহিদ হোসেন, এস এম আকিল উদ্দিন, কাউন্সিলর এস এম রাজুল হাসান রাজু, কাউন্সিলর গোলাম মওলা শানু, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, শেখ নজিবুল ইসলাম নজিব, আব্দুল কাইউম গোরা, শিপার হায়দার, এ্যাড. আসাদুজ্জামান মিল্টন, অধ্যা. সুরাইয়া পারভিন, আব্দুস সালাম ঢালী, আব্দুর রাজ্জাক, শওকাত হোসেন, মিজানুর রহমান জিয়া, আব্দুর রহিম, মাহাবুব, আলী হোসেনসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এর আগে তিনি সকালে নগরীর ২৮নং ওয়ার্ডের চয়নিকার মোড় থেকে শুরু করে ইলাক্সের মোড়, জোড়াকল বাজার, গাছতলা মন্দির, ছোট খাল পাড়, মাওলার বাড়ির মোড়, ফরিদ মোল্লার মোড়, করের বাজার, মিয়াপাড়া ও বিনোদিনী হাসপাতাল হয়ে ব্যাংকের মোড় (হামিদ আলী স্কুল) এলাকায় নৌকা প্রতিকের গণসংযোগ করেন। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বাচ্চু, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. ফরিদ আহমেদ, মহানগর আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ মো. শামীম, নির্বাহী সদস্য কাজী জাহিদ হোসেন, ২৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ওয়ার্ড নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক বাবুল সরদার বাদল, সদস্য সচিব কাউন্সিলর জিয়াউল আহসান টিটু, ২৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আজম খানসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। ##
দলিতসহ সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠির সামাজিক ক্ষমতায়ন ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন খুলনার সংসদ সদস্য (এমপি) প্রার্থীরা। খুলনার ছয়টি আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থীদের কাছে স্মারকলিপি পেশের সময় প্রার্থীরা নির্বাচিত হলে সংসদে এ নিয়ে কথা বলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সম্প্রীতি ফোরাম ও দলিত ওয়ার্কিং গ্রুপের উদ্যোগে রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহার ও প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে ৮ দফা দাবি অন্তর্ভুক্তির কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রার্থীদের কাছে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।খুলনা-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য প্রার্থী আবদুস সালাম মূর্শেদী, খুলনার জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু, কাজী হাসিনুর রশীদ, গাউসুল আজম, আবদুল্লাহ আল মামুন ও শফিকুল ইসলাম মধু স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য প্রার্থীদেরকেও স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। স্মারকলিপিতে প্রার্থীদের ইশতেহারে আটটি প্রতিশ্রুতি অন্তর্ভুক্তির দাবি জানানো হয়। এর মধ্যে রয়েছে দ্বাদশ সংসদে প্রতিশ্রুত সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা; বৈষম্য নিরোধ আইন কার্যকর করা এবং এতে দলিত জনগোষ্ঠীর কথা উল্লেখ করা; আসন্ন জাতীয় সংসদে ও স্থানীয় সরকারে আসন সংরক্ষণের পাশাপাশি স্টান্ডিং কমিটিতে দলিতদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা; দলিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ঝরে পড়া রোধে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন শিক্ষা অব্যাহত রাখতে শিক্ষাঋণ চালু করা; ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্দেশ্যে দলিত এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বিনিয়োগ তহবিল (সহজ শর্তে ঋণ) গঠন করা; মেডিকেল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দলিতদের জন্য এবং সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় হরিজন জনগোষ্ঠীর কোটা বরাদ্দ রাখা, ঝাড়ুদার/ক্লিনার/সুইপার পদে মোট নিয়োগের ৮০ ভাগ হরিজন জনগোষ্ঠীর কোটার সঠিক বাস্তবায়ন করা ও আউটসোর্সিং পদ্ধতি বাতিল করা।স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান, সম্প্রীতি ফোরামের সভাপতি সিলভি হারুন, নাগরিক নেতা মিনা মিজানুর রহমান, মানবাধিকার কর্মী আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শামীম, ইসরাত নূয়েরী হোসেন মুমু, অরুণ দাশ প্রমুখ।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার ওপর গুরুত্বারোপ“খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর অবকাঠামো উন্নয়ন (১ম সংশোধিত)” শীর্ষক প্রকল্পের আওতাধীন চলমান উন্নয়ন কাজের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সদস্যবৃন্দ। আজ ২৩ ডিসেম্বর (শনিবার) সকালে কমিটির সদস্যবৃন্দ প্রকল্পের আওতাধীন চলমান বিভিন্ন ভৌত-অবকাঠামোর কাজ সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। পরে বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ তাজউদ্দিন আহমদ ভবনের উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে পিআইসির ১০ম সভা অনুষ্ঠিত হয়। পিআইসি’র সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রকল্পের অগ্রগতি বস্তবায়ন অগ্রগতি এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে উদ্ভূত সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও সমাধানের প্রয়োজনীয় সুপারিশ নিয়ে আলোচনা করা হয়।সভার শুরুতে প্রকল্পের পরিচিতি, প্রকল্পের উদ্দেশ্য, অগ্রগতি এবং অঙ্গভিত্তিক বাস্তবায়ন অগ্রগতি পাওয়ার পয়েন্টে উপস্থাপন করেন সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. হাসানুজ্জামান। সভায় সার্বিক অগ্রগতি পর্যালোচনা করে সন্তোষ প্রকাশ করেন সদস্যবৃন্দ। এসময় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়া সোলার প্যানেল থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ব্যবহার ও এর রক্ষণাবেক্ষণ বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হয়।সভায় উপাচার্য বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি ভবনের ছাদে ২১৬টি সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে। এর থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার ১২ শতাংশ পূরণে সক্ষম হচ্ছে। আগামীতে অন্যান্য ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল স্থাপন করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ শতাংশ বিদ্যুতের চাহিদা মিটবে সৌর বিদ্যুৎ থেকে। তিনি আরও বলেন, এই সোলার প্যানেল স্থাপনের ফলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ৬ মাস ধরে প্রতিমাসে প্রায় এক লাখ টাকা করে বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয় এবং ১৮ টন কার্বন নিঃসরণ কমানো সম্ভব হয়েছে। সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্ট বাস্তবায়ন এবং প্রায় ২ হাজার ৫ শত গাছের চারা রোপণের মাধ্যমে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে গ্রিন-ক্লিন হিসেবে গড়ে তোলার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল- তা ইতোমধ্যে ফলপ্রসূ হয়েছে।উপাচার্য বলেন, এই প্রকল্পের আওতাধীন উন্নয়ন কাজগুলো এখন শেষ পর্যায়ে। তিনি এই প্রকল্পের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদানের জন্য পিআইসির সংশ্লিষ্ট সদস্যদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান এবং প্রকল্পের কাজ আরও ত্বরান্বিত করে নির্ধারিত মেয়াদে কাজ শেষ করতে প্রতিনিধি দলের সহায়তা কামনা করেন।সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব মুহাম্মদ জহুরুল ইসলাম, ইউজিসির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া, পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের উপপ্রধান (শিক্ষা উইং) নাজিয়া ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব (পরিকল্পনা শাখা) আহমেদ শিবলী, ইউজিসির ইউজিসির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের উপ-পরিচালক শিবানন্দ শীল, ইউজিসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক আকরাম আলী খান উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন। এ সময় সংশ্লিষ্ট প্রকল্প তদারকি কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. খো. মাহফুজ-উদ-দারাইন, পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের মাল্টিসেক্টরাল ইস্যুজ ও সমন্বয় অনুবিভাগের উপ-প্রধান নাহিদ ফারজানা সিদ্দিকী, একনেক শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব স্নিগ্ধা তালুকদারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত থেকে আলোচনা করেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট প্রকল্প তদারকি কমিটির সদস্য প্রফেসর ড. লস্কর এরশাদ আলী, সহকারী অধ্যাপক মাহমুদ-উজ-জামান, প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) এস এম মনিরুজ্জামান, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) খায়রুল বাশারসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।এর আগে সকাল ১১.৪৫ মিনিটে নামফলক উন্মোচনের মাধ্যমে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব মুহাম্মদ জহুরুল ইসলাম, ইউজিসির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া, পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের উপপ্রধান (শিক্ষা উইং) নাজিয়া ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব (পরিকল্পনা শাখা) আহমেদ শিবলী, ইউজিসির ইউজিসির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের উপ-পরিচালক শিবানন্দ শীল, ইউজিসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক আকরাম আলী খানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে উপাচার্যসহ প্রতিনিধিদের সদস্যবৃন্দ শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসনিক ভবনের ছাদে স্থাপিত সোলার প্যানেল পরিদর্শন করেন।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর ) দুপুর ১ টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর ও জেলার উদ্যোগে চলমান একতরফা প্রহসনের নির্বাচন বন্ধের দাবি ও প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাস্তরে প্রবর্তিত বিতর্কিত নতুন শিক্ষা কারিকুলাম বাতিলের দাবিতে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে খুলনা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মহামান্য রাষ্ট্রপতির বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।স্মারকলিপি প্রদানে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সভাপতি আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল, নগর সহ-সভাপতি শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, নগর সেক্রেটারি মুফতি ইমরান হোসাইন, জেলা সেক্রেটারি হাফেজ আসাদুল্লাহ আল গালিব, মাওঃ দ্বীন ইসলাম, ইসলামী যুব আন্দোলন নগর সভাপতি মোঃ ইমরান হোসেন মিয়া, ফেরদৌস গাজী সুমন, হাফেজ আব্দুল লতিফ, আলহাজ্ব সরোয়ার হোসেন বন্দ, আলহাজ্ব আমজাদ হোসেন, শেখ হাসান ওবায়দুল করিম, ইঞ্জিনিয়ার হায়দার আলী, মোঃ বশির মুন্সী, এইচ এম আরিফুর রহমান, মাওলানা আব্দুর রাকিব, এস এম সৈকত হোসেন প্রমুখ।স্মারকলিপিতে বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গোটা দেশবাসী দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে, দেশের অধিকাংশ শান্তিকামী নাগরিক একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন চায়। কিন্তু বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকার একটি একতরফা প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের মতো আবারো ক্ষমতায় আসতে চায়।আগামী ৭ জানুয়ারি ২০২৪ এমনই একটি জঘন্য একতরফা প্রহসনের নির্বাচন আয়োজনের অপরিণামদর্শী প্রস্তুতি চলছে। একটি দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল হিসেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে ৭ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচন দেশকে আরও বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাবে। দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হবে। জাতীয় ঐক্য সংহতি বিনষ্ট হয়ে বিভক্তি চরম আকার ধারণ করবে।এসব যৌক্তিক কারণে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৭ জানুয়ারির একতরফা প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করেছে এবং জনগণকেও এই নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়েছে। স্মারকলিপিতে রাষ্ট্রপতি কে বলেন দেশের মহামান্য অভিভাবক হিসেবে আপনার দায়িত্ব হল দেশকে অনিবার্য বিপর্যয় থেকে রক্ষা করা, এজন্য আপনার কাছে আমরা শান্তি প্রিয় দেশবাসীর পক্ষ থেকে বিনীতভাবে দাবি জানাচ্ছি, আপনি ৭ জানুয়ারি ঘোষিত একতরফা প্রহসনের নির্বাচন বন্ধের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করুন এবং সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করুন।স্মারকলিপিতে জাতিসত্তা বিরোধী নতুন শিক্ষা কারিকুলাম পরিবর্তন করার জন্য ১১ টি দাবি জানানো হয়, দাবিগুলো হল১) বিতর্কিত শিক্ষা কারিকুলাম ২০২১ বাতিল করা এবং যুগোপযোগি শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়নে অভিজ্ঞ, দেশপ্রেমিক, দ্বীনদার শিক্ষাবিদদের সম্পৃক্ত করা।২) শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক ও সকল পরীক্ষায় আবশ্যিক করা।৩) ডারউইনের অপ্রমাণিত, ভ্রান্ত ও বিতর্কিত বিবর্তনবাদ শিক্ষার সকল স্তর থেকে বাদ দেওয়া।৪) পাঠ্য পুস্তকের সকল বিষয় হতে অনৈসলামিক ও ইসলামী বিশ্বাস বিরোধী বিষয় ও শব্দসমূহ বাদ দেওয়া।৫) ইসলাম ধর্ম শিক্ষার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ‘কুরআনুল কারীম’ শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করা।৬) মাদ্রাসা শিক্ষার কারিকুলাম, শিক্ষানীতিমালা-২০১০ অনুযায়ী মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট আলেম, দ্বীনদার শিক্ষকদের দ্বারা পূনর্মার্জন করা।৭) নৈতিকতা সমৃদ্ধ জনশক্তি তৈরির লক্ষে সকল ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের জন্য নিজ নিজ ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা করা।৮) বাংলা, ইংরেজি, সমাজবিজ্ঞান ও ইতিহাস বই হতে বিতর্কিত ও ইসলামী আকিদা বিরোধী প্রবন্ধসমূহবাদ দেওয়া। স্কুল ও মাদ্রাসার সকল পাঠ্যপুস্তক অপ্রয়োজনীয় এবং অশ্লীল চিত্রমুক্ত রাখা। ৯) ইসলাম ও মুসলমানদের হেয়প্রতিপন্ন কারী প্রবন্ধসমূহ বাদ দিয়ে প্রমানিত ও সঠিক ইতিহাসকে তুলে ধরা।১০) পূর্বের ন্যায় নবম শ্রেণী হতেই বিভাগ বিভাজনের পদ্ধতি বলবৎ রাখা এবং বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চতর গনিত ও বিজ্ঞান বিষয়ক বইসমূহ পৃথক রাখা।১১) যেহেতু এদেশের সাধারণ জনগণই এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সম্পূর্ণ ব্যয়ভার বহন করেন, সেহেতু জোরকরে চাপিয়ে দেয়া শিক্ষা ব্যবস্থা নয় বরং এদেশবাসীর ধর্মীয় বোধ বিশ্বাসের অনুকুলে আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর ও জেলা নেতৃবৃন্দের একটি প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসকের অনুপস্থিতিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নাজমুল হুসেইন খাঁন এর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন।
দলিত জনগোষ্ঠীর সামাজিক ক্ষমতায়ন এবং সাংবিধানিক অধিকারসহ ৮ দফা দাবী আদায়ে খুলনা-৪ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ ফরহাদ আহমেদ এর কাছে স্মরকলিপি প্রদান করা হযেছে। আজ সকাল ১০ ঘটিকায় গাজীর হাট নিজস্ব বাসবভনে দলিত ওয়ার্কিং গ্রুপের নেতৃত্বে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এসময় মো: ফরহাদ আহমেদ বলেন, দলিত ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ৮ দফা দাবী বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে যুক্তিযুক্ত। তিনি দলিতদের দাবীর প্রতি সহমত পোষণ করেন। তিনি আশ্বাস প্রদান করেন, নির্বাচনে জয় লাভ করে দলিত ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর দাবী প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবেন এবং সংসদে দলিতদের দাবী তুলে ধরবেন। স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন দলিত ওয়ার্কিং গ্রুপের আহŸায়ক সিলভী হারুন, সদস্য অ্যাড. মোঃ মোজাহিদুল ইসলাম শামীম, আলমগীর হান্নান, সাইফুল ইসলাম মানবাধিকার কর্মী অরুন দাশ, প্রান্ত দাস প্রমুখ।দাবী সমূহের মধ্যে রয়েছে- দলিত জনগোস্ঠীর সামাজিক ক্ষমতায়ন ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিতে দাবীগুলোর মধ্যে বৈষম্য নিরোধ আইন কার্যকর করা এবং এতে দলিত জনগোষ্ঠীর কথা উল্লেখ করা। আসন্ন দ্বাদশ সংসদে প্রতিশ্রুত সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা। জাতীয় সংসদে ও স্থানীয় সরকার এ আসন সংরক্ষণের পাশাপাশি স্টান্ডিং কমিটিতে দলিতদরে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা ও সংসদীয় ককাস গঠন করা। সমাজকল্যান মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া/ অনগ্রসর জনগোষ্ঠী কারা তা সুনির্দিষ্ট করা এবং পিছিয়ে পড়া/ অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর তালিকায় দলিত উল্লেখ করা।দলিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ঝরে পরা রোধে, উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন শিক্ষা অব্যাহত রাখতে শিক্ষা ঋণ চালু করা। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরী এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্দেশ্যে দলিত এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বিনিয়োগ তহবিল (সহজ শর্তে ঋণ) গঠন করা। মেডিকেল ও প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয় গুলিতে দলিত দের জন্য কোটা বরাদ্দ করা। সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভায় হরিজন জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা বরাদ্দ করা, চাকরি নীতি যুগোপযোগী করা সহ সকল প্রতিষ্ঠানে চাকুরি স্থায়ী করা এবং ঘোষিত প্রঙ্গাপন অনুসারে ঝাড়–দার/ক্লিনার/সুইপার পদে মোট নিয়োগের ৮০% হরিজন জনগোষ্ঠীর কোটার সঠিক বাস্তবায়ন করা এবং আউটসোর্সিং পদ্ধতি বাতিল করা।
খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি বিশেষ টিম কর্তৃক অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার সময় দৌলতপুর থানাধীন জননী এক্সপ্রেস পার্সেল সার্ভিস, নতুন রাস্তার মোড় শাখা হতে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ৩৬০ (তিনশত ষাট) কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ জব্দ করে।উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, খুলনা উক্ত জননী এক্সপ্রেস পার্সেল সার্ভিস, নতুন রাস্তা মোড় শাখা, দৌলতপুর, খুলনা এর ম্যানেজার শহর আলী’কে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর অননুমোদিত নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পরিবহনের অভিযোগে ১৯৯৫ সালের পরিবেশ সংরক্ষণ আইন মূলে ২০০০/— (দুই হাজার) টাকা জরিমানা করেন। মূল মালিক সনাক্তকণের প্রক্রিয়া চলমান। মূল মালিক সনাক্তপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খালিশপুর থানা পুলিশের অভিযানবৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তরে পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম—সেবা খালিশপুর থানা পুলিশের অভিযানে ১টি কাটা রাইফেল, ১টি ম্যাগজিন ও ৪ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ২টি চাপাতি, ১টি ছুরি এবং ২৫০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার সহ ১জন অস্ত্রধারী শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার সংক্রান্তে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং করেন।খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম—সেবা খালিশপুর থানা পুলিশের অভিযানে ১জন অস্ত্রধারী শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার সংক্রান্তে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং করেন।কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মিডিয়া বিফ্রিংয়ে বলেন, “খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ সবসময় অপরাধ দমন, আইন—শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ এবং নগরবাসীর সেবায় সর্বদা তৎপর। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ অস্ত্রধারী শীর্ষ সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও নাশকতাকারি, মাদক ব্যবসায়ী, ভূমিদস্যু, সাজাপ্রাপ্ত পরোয়ানাভুক্ত আসামীসহ বিভিন্ন মামলার আসামি গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে। গত পহেলা আগস্ট থেকে ইতোমধ্যেই ১৭ টি আগ্নেয়াস্ত্র, ১২৮ রাউন্ড গুলি, ২৫ টি চোরাই মোটরসাইকেল, ককটেল, গান পাউডার, চোরাই স্বর্ণালঙ্কার সহ বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।এরই ধারাবাহিকতায় গত ৯ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ হতে চলমান বিশেষ অভিযানে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ ০২ টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৬১ রাউন্ড গুলি সক্ষম হয়েছে। চলমান বিশেষ অভিযানে ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ, খালিশপুর থানা পুলিশের একটি চৌকস টীম কর্তৃক মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে উক্ত থানাধীন নিউজ প্রিন্ট গেট এর বিপরীত পাশে মের্সাস আর.এম ট্রের্ডাসের পিছনে জনৈক আলামিনের বাড়ির নিচ তলায় আসামীর ভাড়া বাসার কক্ষ হতে শীর্ষ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গুটি আব্বাসসাগর (২২)কে গ্রেফতার করে। আটক আসামী পিরোজপুরের নাজিরপুর থানার এসকেন্দার শেখের ছেলে ও খালিশপুর থানাধীন ৩৩ ইস্ট ব্লক বিআইডিসি রোডের বাসিন্দা।গ্রেফতারকৃত আসামী গুটি আব্বাসসাগর এর দেখানো মতে তার খাটের নিচ হতে আসামীর নিজ হাতে বের করে দেওয়া অবৈধ মাদকদ্রব্য ২৫০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এ সময় আসামীর কক্ষ তল্লাশী করে খাটের নিচে হতে ২টি চাপাতি ও ছুরি উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এবং অস্ত্র আইনে পৃথক মামলা রুজু করা হয়েছে।উল্লেখিত ঘটনায় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ধৃত আসামী জানায় তার কাছে আরো অস্ত্র রয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করা হয়। তখন আসামীর দেখানো মতে খালিশপুর থানাধীন নিউজপ্রিন্ট মিলের ভিতর পুকুর পাড় সংলগ্ন পরিত্যক্ত কো—অপারেটিভ স্টোরের পশ্চিম দিকের প্রথম কক্ষ হতে ১টি কাটা রাইফেল, ৪ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ম্যাগজিন প্লাস্টিকের সুতা দিয়ে নীল রংয়ের ছেড়া পলিথিন দ্বারা জড়ানো অবস্থায় উদ্ধারপূর্বক নিরপেক্ষ সাক্ষীদের উপস্থিতিতে জব্দ করা হয়। অস্ত্রটি আসামী নিজ হাতে ঘটনাস্থল থেকে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে বের করে দেয়। এ সংক্রান্তে খালিশপুর থানায় অস্ত্র আইনে আরো একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।আসামী সম্পর্কে পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায় তার পিতা নিউজ প্রিন্ট মিলের লেবারের কাজ করতো। তার স্থায়ী নিবাস পিরোজপুর জেলায় হলেও খুলনার খালিশপুরে তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা। সে ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত। তার সুনিদিষ্ট কোন পেশা নেই। মূলত সে মাদকের ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনার সাথে জড়িত।”সিডিএমএস পর্যালোচনা করে গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে নিম্নরুপ মামলা পাওয়া যায়—১। (2T72N) কেএমপি এর খালিশপুর থানার এফআইআর নং—৩৩/৪৩৩, তারিখ— ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮; ধারা— ১৪৩/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/ ৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোড—১৮৬০;২। (1U4V6) কেএমপি এর খালিশপুর থানার এফআইআর নং—১/১, তারিখ— ০১ জানুয়ারি, ২০২২; জি আর নং—, তারিখ— ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩; ধারা— ৩৬(১) সারণির ১০(ক) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮;৩। (13VUH) কেএমপি এর খালিশপুর থানার এফআইআর নং—১২/১২, তারিখ— ১১ জানুয়ারি, ২০২০; জি আর নং—, তারিখ— ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩; ধারা— ৩৬(১) সারণির ১০(ক) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮;৪। (1XDAF) কেএমপি এর খালিশপুর থানার এফআইআর নং—১১/১১২, তারিখ— ১৫ মে, ২০২২; জি আর নং—, তারিখ— ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩; ধারা— ৩৬(১) সারণির ১০(ক)/৪০ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮;এ সময় মিডিয়া বিফ্রিংয়ে কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এএন্ডও) সরদার রকিবুল ইসলাম, বিপিএম—সেবা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক এন্ড প্রটোকল) মোছাঃ তাসলিমা খাতুন; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (উত্তর) অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর) অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন; বিশেষ পুলিশ সুপার (সিটিএসবি) অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত রাশিদা বেগম, পিপিএম—সেবা; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস অ্যান্ড সাপ্লাই) অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত এম এম শাকিলুজ্জামান; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (এফএন্ডবি) শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু এবং ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ইএন্ডডি) মোঃ কামরুল ইসলাম—সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, পুলিশ অফিসারবৃন্দ ও ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।
“জাত পাত পেশা ভিত্তিক বৈশম্য মুক্ত বাংলাদেশ গড়ি ” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে দলিত জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে অর্থিক অনুদান ও শিক্ষা উপকরন বিতরন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের মিলনায়তনে দলিতর নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার দাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক খান মোতাহার হোসেন। প্রকল্প কর্মকর্তা লক্ষ্মী দাসের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক, মোঃ শফিকুল ইসলাম। এসময় ৩৬ জন দলিত শিক্ষার্থীদের নগদ আর্থ এবং ৮০জন শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরন বিতরন করা হয়।
কেএমপি কমিশনার মো. মোজাম্মেল হকের সঙ্গে কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম সদস্যদের আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে খুলনা থানাধীন রূপসা বাসস্ট্যান্ডে কেএমপি কমিশনারের সঙ্গে খুলনা থানা কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিং ফোরাম সদস্যদের আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেএমপি কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বিপিএম (বার) পিপিএম সেবা।খুলনা থানা কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিং ফোরাম সদস্যদের পক্ষ থেকে আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা থানা কমিউনিটি ও বিট পুলিশিং ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌস আজম ফরাজী ওরফে চান ফরাজী।সভায় কেএমপি কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ সবসময় অপরাধ দমন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ এবং নগরবাসীর সেবায় সর্বদা তৎপর। পাশাপাশি অস্ত্রধারী শীর্ষ সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও নাশকতাকারী, মাদক ব্যবসায়ী, ভূমিদস্যু, সাজাপ্রাপ্ত পরোয়ানাভুক্ত আসামিসহ বিভিন্ন মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। পুলিশের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি ও অপরাধ দমনের অন্যতম কৌশল হিসেবে কমিউনিটি পুলিশিং বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। ২০১৩ সালে স্বল্প পরিসরে পুলিশ সদরদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক ডিআইজি আপরেশনের অধীনে পৃথক শাখা হিসেবে কাজ শুরু করেছিল কমিউনিটি পুলিশিং। ২০১৪ সালে একজন সহকারী মহাপরিদর্শক এআইজির তত্ত্বাবধানে পাবলিক সেফটি অ্যান্ড প্রিভেনশন শাখার কার্যক্রম শুরু হয়। এটিই এখন কমিউনিটি পুলিশিং এবং বিট পুলিশিং নামে দেশব্যাপী কার্যক্রম পরিচালনা করছে।তিনি বলেন, বর্তমানে খুলনা মহানগরী এলাকায় ১০২টি কমিটিতে মোট ১ হাজার ৮০৫ জন কমিউনিটি পুলিশের সদস্য হিসেবে কাজ করছে। তাদের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ওপেন হাউজ ডে’র মাধ্যমে স্থানীয় সমস্যা নিয়ে মতবিনিময় সভা, পুলিশের কাজে সহযোগিতা ও বাল্যবিবাহ রোধ, ইভটিজিং প্রতিরোধ, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস দমন, মাদকের কুফল, নারী নির্যাতন, যৌতুক নিরোধ, মোবাইল ফোনের অপব্যবহার এবং সামাজিক মূল্যবোধ সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ সকল কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে দেশের অবকাঠামোগত থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নতি সাধিত হয়েছে।মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের প্রত্যয় ব্যক্ত করে পুলিশ কমিশনার বলেন, মাদক বর্তমান সমাজের মারাত্মক ব্যাধি। এই ব্যাধি দূর করতে আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করে যেতে হবে, তা না হলে আমাদের আগামী প্রজন্ম ধ্বংসের মুখে পতিত হবে। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আমাদের উপর যে পবিত্র দায়িত্ব কর্তব্য রয়েছে তা আমাদের সততা, স্বচ্ছতার সঙ্গে পালন করতে হবে ইনশাআল্লাহ।এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ( ট্রাফিক এন্ড প্রটোকল, অতিরিক্ত দায়িত্বে ক্রাইম) মোছা. তাসলিমা খাতুন, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এ.জেড.এম তৈমুর রহমান, সহকারী পুলিশ কমিশনার (খুলনা জোন) রুবাইয়াত সানজিদ হোসেনসহ অফিসার ইনচার্জ খুলনা থানা এবং বিট ইনচার্জ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেডিএ বিজয় গাথা কমিউনিটি সেন্টারে রোটারি ক্লাব অব সেভেন্টি ওয়ান খুলনার চতুর্থ অভিষেক জাঁকজমক ভাবে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডিসট্রিক্ট গভর্নর মোঃ আসরাফুজ্জামান নান্নু এমডি। বিশেষ অতিথি ছিলেন পিডিজি আবুল ফজল মোঃ আলমগীর, গভর্নর ইলেক্ট হাফিজ ইউ বিপ্লব এমপিএইচএফ। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে রোটারি ক্লাব অব সেভেন্টি ওয়ান খুলনার চতুর্থ অভিষেক অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। রোটারি প্রত্যয় পাঠ করেন পিপি ডাঃ গাজী মিজানুর রহমান একেএস। অতিথিবৃন্দের ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান রোটারি ক্লাব অব সেভেন্টি ওয়ান খুলনার সদস্যবৃন্দ। অনুষ্ঠানে আগত অতিথি, রোটারিয়ান ও তাদের স্ত্রীদের পরিচয় করিয়ে দেন ইভেন্ট চেয়ার পিপি মোঃ নুরুল ইসলাম। ২০২২-২৩ রোটারী বর্ষের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করেন ডাঃ রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস। বক্তব্য রাখেন আইপিপি মোঃ হাদি উজ্জামান বিশ্বাস, নবাগত প্রেসিডেন্ট আসমুন নাহার রীনা, সিপি মোঃ আফসার আলী এমপিএইচএফ, প্রফেসর ডাঃ বঙ্গ কমল বসু, পিপি আলহাজ্ব হোসাইন মোঃ ইউছা ওয়ায়েজ আররাফী নাজু পিএইচএফ, ডাঃ নুসরাত আহমেদ মুন, ডাঃ উম্মে সায়েমা সুন্নি, মোঃ আনোয়ার হোসেন, শিরিনা বেগম, মোঃ নওশাদ হোসেন, ডাঃ বরকত আলী, উমমুর রেদা মোসম্মৎ স্যাধা। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম, পিপি সৈয়দ মোঃ মকসুদুল ইসলাম মুকুল, এ এফ এম মাহামুদুর রহমান কার্নি, এস এম আতাহার আলী, মির বরকত আলী, মোল্লা মারুফ রশিদ, রুহুল আমিন হাওলাদার, মোঃ আশরাফুল বিশ্বাস, সুদেব চন্দ্র মন্ডল, মোঃ ফেরদৌসুর রহমান পিয়াস প্রমূখ। অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তব্যে রোটারী ক্লাব অব সেভেন্টি ওয়ান খুলনার সমাজসেবামূলক কর্মকান্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তারা আশা করেন এই ক্লাবটি আগামীতে তাদের কর্মকান্ডের পরিধি আরো বাড়াবেন যাতে করে দেশ ও সমাজ থেকে দারিদ্র্য দূর হয়। অভিষেক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি এবং ক্লাবের রোটারিয়ানদেরকে ক্লাবের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট উপহার দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ প্রদান করেন পিপি ডাঃ গাজী মিজানুর রহমান। অভিষেক অনুষ্ঠান উপলক্ষে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মাশরুর উল্লাহ (অবঃ) সম্পাদনায় প্রকাশিত স্যুভেনিরটি প্রধান অতিথি আনুষ্ঠানিকভাবে মোড়ক উন্মোচন করেন। অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয় এবং সমাজে দুস্ত ও অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল, সেলাইমেশিন ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়। অভিষেক অনুষ্ঠান শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন পিপি ডাঃ গাজী মিজানুর রহমান একেএস এবং রোটারি ক্লাব অব সেভেন্টি ওয়ান খুলনার রোটারিয়ান সহ শিল্পীরা। পরে নৈশভোজ ও র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় রূপসা উপজেলার পালেরহাট বাজারে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৪ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী মো: আব্দুস সালাম মুর্শিদীর পক্ষে গনসংযোগ ও পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক মো:কামরুজ্জামান জামাল। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ জামিল খান, রূপসা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার আবুল কাসেম ডাবলু, সরদার জাকির হোসেন, রূপসা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা আফরোজ মনা, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ ফিরোজ ইব্রাহিম তন্ময়, জেলা যুবলীগ নেতা বিধান চন্দ্র রায়, হিরণ আহমেদ হিরু, মাহফুজ রানা ডগøাস, ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, মাহাবুর রহমান, আহসান আহমেদ পাভেল, হৃদ আহলান হাবিব, স্বাধীন গাজী, জামাল শেখ, ইমলাক মল্লিক, হিরা বেগম,আসমা বেগম, ইমরান সরদার প্রমুখ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নগরীর ৩১নং ওয়ার্ডের সালাহউদ্দিন ইউসুফ স্কুল নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ৩১নং ওয়ার্ড নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক এ্যাড. আইয়ুব আলী শেখ। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ। সভায় সভাপতিত্ব করেন সালাহউদ্দিন ইউসুফ স্কুল নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি খান কবির হোসেন। সদস্য সচিব কাজী আজিজুর রহমানের পরিচালনায় এসময়ে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা শামীমুর রহমান শামীম, ফারুক হোসেন, সাহেবুর রহমান পিটু মোল্লা, মো. শরিফুল ইসলাম মুন্না, ইউসুফ মল্লিক, মাসুদ আহমেদ সজল, সাইফুল ইসলাম লিটনসহ সেন্টার কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
দলিত জনগোষ্ঠীর সামাজিক ক্ষমতায়ন এবং সাংবিধানিক অধিকারসহ ৮ দফা দাবী আদায়ে খুলনা-৪ আসনের স্বতস্ত্র প্রার্থী এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারার কাছে স্মরকলিপি প্রদান করা হযেছে। আজ বেলা ১১:০০ টার সময় রুপসা ট্রাফিক মোড় সংলগ্ন নিজস্ব কার্যালয়ে দলিত ওয়ার্কিং গ্রæপের নেতৃত্বে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।এসময় এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা বলেন, আমি দরিদ্র অসহায়দের জীবনমান উন্ন্য়নের জন্য কাজ করি। দলিত ও পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীর এই দাবীর প্রতি আমি একাত্বতা প্রকাশ করছি। আমি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় লাভ করে সংসদের অধিবেশনে দলিতদের দাবী তুলে ধরবো এবং দাবী আদায়ে সোচ্চার পদক্ষেপ নিবেন বলে আশ^াস প্রদান করেন।স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন দলিত ওয়ার্কিং গ্রæপের আহŸায়ক সিলভী হারুন, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফুজ্জামান, সদস্য মিনা আজিজুর রহমান, অ্যাড. মোঃ মোজাহিদুল ইসলাম শামীম, আলমগীর হান্নান, সাইফুর ইসলাম, প্রিয়া রহমান মানবাধিকার কর্মী ইসরাত নূয়েরী হোসেন, অরুন দাশ প্রমুখ।দাবী সমূহের মধ্যে রয়েছে-দলিত জনগোস্ঠীর সামাজিক ক্ষমতায়ন ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিতে দাবীগুলোর মধ্যে বৈষম্য নিরোধ আইন কার্যকর করা এবং এতে দলিত জনগোষ্ঠীর কথা উল্লেখ করা। আসন্ন দ্বাদশ সংসদে প্রতিশ্রুত সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা। জাতীয় সংসদে ও স্থানীয় সরকার এ আসন সংরক্ষণের পাশাপাশি স্টান্ডিং কমিটিতে দলিতদরে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা ও সংসদীয় ককাস গঠন করা। সমাজকল্যান মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া/ অনগ্রসর জনগোষ্ঠী কারা তা সুনির্দিষ্ট করা এবং পিছিয়ে পড়া/ অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর তালিকায় দলিত উল্লেখ করা।দলিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ঝরে পরা রোধে, উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন শিক্ষা অব্যাহত রাখতে শিক্ষা ঋণ চালু করা। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরী এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্দেশ্যে দলিত এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বিনিয়োগ তহবিল (সহজ শর্তে ঋণ) গঠন করা। মেডিকেল ও প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয় গুলিতে দলিত দের জন্য কোটা বরাদ্দ করা। সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভায় হরিজন জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা বরাদ্দ করা, চাকরি নীতি যুগোপযোগী করা সহ সকল প্রতিষ্ঠানে চাকুরি স্থায়ী করা এবং ঘোষিত প্রঙ্গাপন অনুসারে ঝাড়–দার/ক্লিনার/সুইপার পদে মোট নিয়োগের ৮০% হরিজন জনগোষ্ঠীর কোটার সঠিক বাস্তবায়ন করা এবং আউটসোর্সিং পদ্ধতি বাতিল করা।
নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির আওতাধীন ইইই বিভাগে যোগদান করলেন প্রফেসর ড. বাসুদেব চন্দ্র ঘোষ। সোমবার সকাল ১১টায় ভাইস-চ্যান্সেলরের দপ্তরে তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো: নওশের আলী মোড়ল, ট্রেজারার কানাই লাল সরকার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. নাসিম আহমেদ, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো: তবিবার রহমান, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ, পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) এস এম রিয়াজুর রশীদ ও কর্মকর্তাবৃন্দ। উল্লেখ্য, প্রফেসর ঘোষ এর আগে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এ বর্ণাঢ্য ৪৫ বছর শিক্ষাকতা জীবন অতিবাহিত করেন। তিনি কুয়েটের ইইই বিভাগের ডিন, ইইই ও ইসিই বিাগের বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক (পরিকল্পনা-উন্নয়ন, আইআইসিটি), প্রফেসর AIUB ও BSRTM এর ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
কেএমপি’র মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন্স হাই স্কুলে শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরণের বই উৎসব-২০২৪ অনুষ্ঠান সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক।বই উৎসব-২০২৪ অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশনার উপস্থিত সকলকে সালাম ও ইংরেজি নববর্ষ-২০২৪ এর শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের মানচিত্র পেয়েছি। স্বাধীনতার পূর্বে ১৯৭০ সালে এদেশের সাক্ষরতার হারছিল মাত্র ১৬% এবং নারী শিক্ষার হার ছিল ৫% শতাংশ। আজকে বাংলাদেশে সাক্ষরতার হার প্রায় ৮০% শতাংশ এবং নারী শিক্ষায় ও এসেছে অভাবনীয় পরিবর্তন। ২০১০ সাল থেকে আমাদের দেশে শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরণের বই উৎসব আয়োজন করা শুরু হয়েছে। পৃথিবীর খুব কম দেশ আছে যে দেশে বছরের প্রথম দিনে নতুন বই বিতরণ করা হয়। বাংলাদেশে বছরের প্রথম দিনেই নতুন বই বিতরণ উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আপনারা জেনে অবাক হবেন যে, এ বছর ৩ কোটি ৮১ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর মাঝে নতুন বই বিতরণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার পৃথিবীর উন্নত দেশের সাথে মিল রেখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমাদের সন্তানদের কর্মমুখী, বিজ্ঞান ভিত্তিক এবং যুগোপযোগী শিক্ষার ব্যবস্থা করেছে। বর্তমানে আমাদের দেশে যে শিক্ষা কারিকুলা চালু হয়েছে এই শিক্ষার আলোয় আলোকিত হয়ে শিক্ষার্থীরা পৃথিবীর যেকোন রাষ্ট্র শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োগ করতে পারবে এবং চাকরিতে সুবিধা পাবে।পুলিশ কমিশনার বলেন, বাংলাদেশে অনেক ধরনের উৎসব হয় তার ভিতরে অন্যতম উৎসব হলো ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরণের বই উৎসব। নতুন বই এর গন্ধ কিন্তু খুব সুন্দর হয় যা একজন শিক্ষার্থীর মননে গেঁথে যায় এবং শিক্ষার প্রতি অনুরাগ সৃষ্টি করে। অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, আপনার সন্তান সঠিকভাবে পড়াশোনা করছে কিনা, সঠিক মানুষের সাথে মিশছে কিনা, লেখাপড়ার মধ্য আছে কিনা, মাদকাসক্ত হচ্ছে কিনা, কিশোর গ্যাং এর সাথে যুক্ত আছে কিনা এগুলোর দিকে খেয়াল রাখবেন। আবার আপনার সন্তানকে ঘরেও বন্দি করে রাখবেন না। তাকে মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবেন। সবশেষে সবাইকে ধন্যবাদ এবং পুনরায় নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য সমাপ্ত করেন।বই বিতরণ শেষে স্কুলের শিক্ষার্থী কর্তৃক দেশাত্মবোধক গান পরিবেশনকালে পুলিশ কমিশনার স্বয়ং তাদের সাথে অংশ গ্রহণ করেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর) অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (আরসিডি) শাহরিয়ার মোহাম্মদ মিয়াজী; অতিঃ ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর) পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত মিয়া মোহাম্মদ আশিস বিন হাছানসহ সহকারি পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার পুলিশ অফিসারবৃন্দ, মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন্স হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ তরিকুল ইসলাম, অন্যান্য শিক্ষক মন্ডলী এবং শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, বই উৎসব একটি সুন্দর ও মহৎ উদ্যোগ। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। শিক্ষা ছাড়া সমৃদ্ধ জাতি বিনির্মাণ সম্ভব নয়। মেয়র সোমবার সকালে খুলনা কলেজিয়েট গার্লস স্কুল ও কেসিসি উইমেন্স কলেজ প্রাঙ্গণে পাঠ্যপুস্তক উৎসবের নতুন বই বিতরণ, বার্ষিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ এবং মেধা পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। সিটি মেয়র বলেন, সবার জন্য শিক্ষার সমান সুযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দেশে বছরের প্রথম দিনে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মাঝে ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিনামূল্যে নতুন পাঠ্যবই বিতরণ করে আসছে বর্তমান সরকার। ২০১০ সালে প্রায় ১৯ কোটি বই শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয়। বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। সরকার আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছে। এর ফলে এখন শিক্ষার্থীরা নতুন কারিকুলামে হাতে-কলমে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে। এজন্য শিক্ষার্থীদের কোচিং করার প্রয়োজন হবে না। নতুন কারিকুলামে আগামী প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা সুফল পাবে। শিক্ষার্থীদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে অভিভাবকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহবান জানান মেয়র। খুলনা কলেজিয়েট গার্লস স্কুল ও কেসিসি উইমেন্স কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ তৌহিদুজ্জামান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এসময় কলেজের পরিচালনা পরিষদের সদস্য এ্যাডভোকেট জেসমিন পারভীন জলি, অভিভাবক সদস্য ডাঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, মোঃ শহিদুল ইসলাম, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মেয়র শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন পাঠ্যপুস্তক তুলে দেন।এর আগে মেয়র রূপসা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর মাঝে বই বিতরণ করেন। এবছর খুলনা জেলার মাধ্যমিক ও ইবতেদায়ি স্তরের পাঁচশত ৪৫টি স্কুলের প্রায় দুই লাখ ৬০ হাজার নয়শত ৬৩ শিক্ষার্থীর মাঝে ৩০ লাখ ৮৬ হাজার ছয়শত ৪৫টি নতুন বই এবং প্রাথমিক স্তরের এক হাজার পাঁচশত ৭৬টি বিদ্যালয়ের দুই লাখ ১৪ হাজার একশত ৩১ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ১০ লাখ ১৬ হাজার ছয়শত ৩৭টি নতুন বই বিতরণ করা হবে। এছাড়া প্রাক-প্রাথমিক স্তরের এক হাজার পাঁচশত ৬৮টি বিদ্যালয়ের ৩৯ হাজার সাতশত ৩৫ জন শিক্ষার্থীর মাঝে নতুন বই বিতরণ করা হবে।
খুলনা জেলা পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে বছরের প্রথম দিনে বিনামূল্যে নতুন পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উৎসব আজ (সোমবার) সকালে জিলা স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ।প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ শুরু হয়। বাংলাদেশ একমাত্র দেশ, যেখানে বছরের প্রথম দিনে বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়া হচ্ছে। এবছরও এর কোন ব্যত্যয় হয়নি। এ কার্যক্রম সারা পৃথিবীতে প্রশংসিত হয়েছে। বই উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্ঞান ও বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশ ঘটছে। এই বই কিন্তু বিনামূল্যে নয়। এটা সরকার কর্তৃক রাষ্টীয় উপহার। এই উপহার গ্রহণ করে রাষ্ট্র গঠনের কাজে লাগাতে হবে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষাবান্ধব। শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন। নতুন কারিকুলামের মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। এর ফলে শিক্ষাব্যবস্থার মান উন্নয়ন ঘটবে বলে আশা করা যায়। যার সুফল আগামী প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা ভোগ করবে।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা খুলনা অঞ্চলের উপপরিচালক খোঃ রুহুল আমিন। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা শিক্ষা অফিসার ফারহানা নাজ। অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন পাঠ্যপুস্তক তুলে দেন।
গতকাল ফুলতলায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৫ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এর পক্ষে গনসংযোগ করেন খুলনা জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মাহাফুজুর রহমান সোহাগ। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা যুবলীগ নেতা জলিল তালুকদার, শহীদুল্লাহ প্রিন্স, মাসুদ পারভেজ, মিজান শেখ, আশরাফুল আলম কচি, খায়রুজ্জামান সবুজ, তুষার সরদার, জাসেম আনল জাভেদ, কবির আহমেদ মনা, মইনুল ইসলাম নয়ন, সৈকত আহমেদ জন, আমিনুল ইসলাম মনির, ফরহাদ বাবু প্রমুখ।
খুলনা শরীফ ফাউন্ডেশনের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে শুক্রবার (০৫ জানুয়ারি) সকালে নগরীর খুলনা মাজার শরীফ এবং বিকেলে দৌলতপুর দেয়াড়া খানকায় হাসানিয়ায় থেকে দুস্থ্য মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করা হয়।সকালের শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ অনুষ্ঠান ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য আবুল কালাম আজাদ চিশতী, মাজার শরীফের খাদেম কালাম চিশতী, ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা ফ্যায়াজ হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক রাগিব হাসান, কোষাধ্যক্ষ আলি আফজাল মেহেদি, সহ অন্যান্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।বিকেলের আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন রাবেয়া হোসেন,নারী নেত্রী চিশতী মুস্তারী বানু ,শাহীন মাহমুদ, চিশতী মাহমুদ হাসানসহ আরে অনেকে । এর আগে গত ১ জানুয়ারি নগরীর রেলস্টেশন এলাকায় গরীব ও দুস্থ্যদের মাঝে উন্নত খাবার বিতরণ করা হয় ।
সংসদ নির্বাচনে দলিত হরিজন জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় সুস্পষ্ট অঙ্গিকারসহ ৪ দফা দাবিতে খুলনা-২, খুলনা-৩ ও খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থীদের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ দলিত যুব ঐক্য পরিষদ। রোববার থেকে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে গতকাল বুধবার এই কর্মসূচি শেষ হয়। স্মারকলিপিতে দলিত ও হরিজন সম্প্রদায়কে আইনগত সুরক্ষা, রাজনৈতিক, সামাজিক অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়ন এবং শিক্ষাক্ষেত্রে অন্তর্ভূক্তির দাবি জানানো হয়। সম্প্রীতি ফোরাম খুলনার সার্বিক সহযোগিতায় স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন ফোরামের সভাপতি সিলভী হারুন, যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি সুব্রত দাস, সাধারণ সম্পাদক শিমুল চক্রবর্তী, প্রান্ত দাস, সুমন দাস, অর্পন দাস, চৈতী দাস, বীরেন দাস, আশিক দাস, পরিতোষ দাস কমল, মল্লিকা দাস, বিক্রম দাস, বিশাল দাস, শুভ্রদেব দাস, অপু দাস প্রমুখ।
নগরীর অজ্ঞাত ব্যক্তির হাত-পা বাঁধা মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে মহানগরীর খানজাহান আলী থানাধীন আটরা পশ্চিমপাড়া খুলনা-মোংলা নতুন রেল লাইনের পূর্ব পাশে সরিষা ক্ষেত থেকে এ লাশ উদ্ধার হয়। মৃতদেহের বয়স আনুমানিক ৪৫ বছরের মতো। তাঁর হাত-পা বাঁধা ছিল। এলাকাবাসীর ধারণা তাকে অন্য কোনো স্থান থেকে এনে হাত-পা বেঁধে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় খান জাহান আলী থানাধীন আটরা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই খায়রুল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।পুলিশের ধারণা, তাকে কে বা কারা শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়। তার পড়নে প্যান্ট ,ফুল হাতা শার্ট, গলায় মাফলার ও জ্যাকেট আছে। খানজাহান আলী থানার ওসি মমতাজুল হক বলেন, লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হবে।
এজেন্ট বের করে দেওয়া, মারধরসহ নানা অভিযোগ এনে বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এম আর জামিল হোসাইন (ঈগল) ভোট বর্জন করেছেন। রবিবার (০৭ জানুয়ারি) দুপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তার বরাবর লিখিত আবেদন দিয়ে তিনি ভোট বর্জন করেন।এম আর জামিল হোসাইন বলেন, মোরেলগঞ্জ উপজেলার ২নং পঞ্চাকরণ ইউনিয়নের প্রত্যেকটি কেন্দ্র থেকে ঈগল প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দিয়ে নৌকার এজেন্টরা সরাসরি ব্যালটে সিল মেরেছে। পুটিখালি ইউনিয়নের এবি গজালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকার এজেন্টরা সরাসরি ব্যালটে সিল মেরেছে। সুতালড়ি ও উত্তর সুতালড়ি কেন্দ্রে প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা আমাদের এজেন্টদের কার্ড দেয়নি। এছাড়াও কয়েকটি কেন্দ্রে আমাদের এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়েছে। জাল ভোটও দিয়েছেন নৌকার কর্মীরা। এসব অভিযোগ দেওয়ার পরেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় আমি ভোট বর্জন করেছি।এ বিষয়ে কথা বলার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাঃ খালিদ হোসেন ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম তারেক সুলতানকে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।।এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জামিল ছাড়াও ৬ জন প্রার্থী রয়েছেন। এরা হলেন, আওয়ামী লীগের এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ, জাতীয় পার্টির সাজন কুমার মিস্ত্রি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মুহাম্মদ লোকমান, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মুহাম্মদ বদরুজ্জামান, বাংলাদেশ ন্যাশনাল মুভমেন্ট (বিএনএম) এর রেজাউল ইসলাম রাজু, তৃনমূল বিএনপির লুৎফর নাহার রিক্তা।
চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। রোববার বিকেলে এ সিদ্ধান্তের কথা জানায় নির্বাচন কমিশন।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম। এদিকে নৌকার এ প্রার্থীর পুলিশের এক কর্মকর্তাকে ধমকানোর একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।চট্টগ্রামে এবার ১৬ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১২৫ প্রার্থী। জেলায় মোট ভোটার রয়েছেন ৬৩ লাখ ১৪ হাজার ৩৯৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩২ লাখ ৮৯ হাজার ৫৯০ জন। এছাড়া নারী ভোটার রয়েছেন ৩০ লাখ ২৪ হাজার ৭৪৯ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৫৪ জন।চট্টগ্রামের সব আসন মিলিয়ে মোট ভোটকেন্দ্র ২ হাজার ২৩টি এবং ভোটগ্রহণ কক্ষ ১৩ হাজার ৭৩২টি। প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ৪৩ হাজার ২১৯ জন। ১০ শতাংশ অতিরিক্তসহ ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকবেন মোট ৪৭ হাজার ৫৪৪ জন।
পটুয়াখালী-১ আসনে মহাজোটের প্রার্থী এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার ৫৪৬৩৪ ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে তিনি ৮১৫০৮ ভোট পেয়েছেন। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী নাসির উদ্দীন তালুকদার ডাব প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৬৮৭৪ ভোট। রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যালটে ভোটগ্রহণ হয়। এরপর মোট ১৫৯ কেন্দ্রের সবগুলোর ভোট গণনা শেষে রাত পৌনে ৮টার দিকে এ ফলাফল জানা যায়।
খুলনা-৫ আসনের একটি ভোটকেন্দ্র থেকে একজন ভুয়া পোলিং এজেন্টকে আটক করা হয়েছে। রোববার বেলা ১১টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলার শোভনা বিরাজমানী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র থেকে তাকে আটক করা হয়। ওই কেন্দ্রে তিনি নৌকা প্রতীকের পোলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছিলেন।আটক জিল্লুর বাগাতি ডুমুরিয়া উপজেলার পূর্ব-শোভনা গ্রামের নওশের বাগাতির ছোলে। ওই এলাকায় দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল হোসেন বলেন, কেন্দ্রটিতে গিয়ে এজেন্টের দেখতে চাইলে তিনি নিজেকে এজেন্ট বলে পরিচয় দেন। তবে কোনো নিয়োগপত্র দেখাতে পারেননি। তাই তাকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। খুলনা-৫ আসনে নির্বাচনে লড়ছেন ৪ জন প্রার্থী। তবে মূল প্রতিযোগীতা হচ্ছে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের নারায়ন চন্দ্র চন্দের সঙ্গে একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আকরাম হোসেনের।
বাগেরহাট-২ (কচুয়া-সদর) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ তন্ময় ভোট দিয়েছেন। রবিবার (০৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে দশটায় বাগেরহাট শহরের আমলাপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তিনি ভোট প্রদান করেন। এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত সংসদের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সাখাওয়াত আলী দারুসহ নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। ভোট প্রদান শেষে শেখ তন্ময় নেতাকর্মী ও উপস্থিত ভোটারদের সাথে কুশল বিনিময় করেন।শেখ তন্ময় বলেন, সকাল থেকে কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরেছ। উৎসবমুখর পরিবেশে বাগেরহাটে ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আশাকরি আমরা বিজয়ী হব। মানুষ উন্নয়নের পক্ষে শেখ হাসিনার পক্ষে রায় দিবেন।
খুলনা-৩ (খালিশপুর, দৌলতপুর ওখানজাহান আলী) আসনে বিপুল ভোটের এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এসএম কামাল হোসেন।রবিবার (০৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১১৬টি কেন্দ্রের ২৫টির ফলাফলে তিনি নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৫৮৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আব্দুল্লাহ আল-মামুন লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৬৬৮ ভোট।
খুলনার ডুমুরিয়ায় ডিবি পুলিশের হাতে অস্ত্রসহ ডালিম শেখ(৩০) নামে এক সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০ টায় খুলনা জেলা ডিবি পুলিশের এসআই শেখ ইমরুল করিম এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে টিপনা গ্রামের মৃত আঃ রহমান গাজীর বাড়ীর সামনে থেকে তাকে ২টি ওয়ান শাটার গানসহ আটক করা হয়। আটককৃত ডালিম শেখ ডুমুরিয়া উপজেলার শৈলগাতিয়া গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। এব্যাপারে ডুমুরিয়া থানায় অবৈধ অস্ত্র আইনে নিয়মিত মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এবং একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। ডুমুরিয়া থানা মামলা নং-০৬।
নগরীর বিভিন্ন এলাকায় শুক্রবার দিনগত রাতে কম্বল বিতরণ করে জেলা প্রশাসন। মহানগরীর রেল স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, সাত নম্বর ঘাট, বিডব্লিউ ঘাট, ফেরিঘাটসহ শহরে বিভিন্ন অলি-গলিতে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয় এসব কম্বল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট নাজমুল হুসেইন, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো: আব্দুল করিম, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ।
বিশিষ্ট প্রকৌশলী শেখ মুনির আহমেদ দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটীস্থ ঐতিহ্যবাহী আলহাজ্ব সারোয়ার খান কলেজ পরিচালনা পর্ষদের পুন: সভাপতি মনোনীত হয়েছেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তাকে আগামী ২ বছরের জন্য সভাপতি মনোনীত করেছে। জাতীয় বিশ্বদ্যিালয়ের কলেজ পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত ) ফাহিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ-তথ্য জানাযায়। একই পত্রে শেখ মো. ফরহাদ হোসেনকে বিদ্যেৎসাহী সদস্য মনোনীত করা হয়েছে। প্রকৌশলী শেখ মুনির আহমেদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম শেখ নজির আহমেদের পুত্র ও কৃষিমন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তারের ছোটো ভাই। তিনি বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পাওয়ার সেলের পরিচালক ।অপরদিকে নতুন সভাপতিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ মো. আলতাফ হোসেন, পরিচালনা পরিষদের সদস্য ও শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ
গতকাল ২৯ জানুয়ারি দিঘলিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী আলহাজ্ব সারোয়ার খান কলেজে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ নজির আহমেদ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ করা হয়।ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান ও আলহাজ্ব সারোয়ার খান কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি প্রকৌশলী শেখ মুনির আহমেদের দিক নির্দেশনায় কম্বল বিতরণ করেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আলতাফ হোসেন ও সরকারি সেনাটী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক শেখ মোঃ ফরহাদ হোসেন।এসময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শেখ মোঃ মনিরুল হক বাবুল, মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও শিক্ষক প্রতিনিধি নবদ্বীপ ঢালী , ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজসেবক মুন্সি আসলাম হোসেন প্রমুখ। কলেজের দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ নজির আহমেদ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক কর্মকান্ডে যুক্ত রয়েছে। ইতিমধ্যে খুলনা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সেলাই প্রশিক্ষণ , শীত বস্ত্র বিতরণ, বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানে আর্থিক অনুদান প্রদান সহ বিভিন্ন মানবিক কর্মকান্ডে করেছে এবং বর্তমানে এ ধরনের কাজ অব্যাহত আছে।
খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী’র নিজস্ব অর্থায়নে রূপসা উপজেলা শ্রমিক লীগের উদ্যোগে দরিদ্র ও শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল রবিবার বিকেল ৪টায় রূপসার বাগমারাস্থ সামছুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।ভার্চ্যুয়ালে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আওয়ামী লীগ পুণরায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সকল অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন হবে। তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়াবাসী নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করেছেন। বাকিটা জীবন তিনি তার নির্বাচনী এলাকার সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে চান।’বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক মোঃ মোতালেব হোসেন, আইচগাতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ আসাদুজ্জামান আসাদ। উপজেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক মোঃ মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও জেলা শ্রমিক লীগের সদস্য হায়দার আলী খানের পরিচালনায় বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম-আহবায়ক মোঃ কবির শেখ, নৈহাটী ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি জাহিদ হাসান, ছাত্রলীগ নেতা মোঃ রাসেল, নোমান সৈকত, বঙ্গবন্ধু গবেষণা ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাবুল হাওলাদার, শ্রমিক লীগ নেতা এসএম সোহেল হোসেন লিটন, মোঃ ইসহাক শেখ, মোঃ লিটু বিশ্বাস, আবুল হাসান হাওলাদার, মোঃ জিরু শেখ, জসিম উদ্দিন, মোঃ মাসুদ, গোলাম রসুল, মোঃ কবির শেখ, ইউছুফ শেখ, নারী নেত্রী চম্পা বেগম, ফজিলা বেগম, সালমা বেগম, সিমা খাতুন, সোনা বেগম, মুক্তা খাতুন, হাসি বেগম, রেখা বেগম, রাশিদা বেগম, রুনা বেগম, খুশি খাতুন, জোসনা, আনজিরা বেগম, সেতারা বেগম, পারভীন বেগম, রহিমা বেগম প্রমুখ। #
১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দিখুলনা নগরীর ময়লাপোতা মোড়ের আহসান উল্লাহ কলেজের সামনে আলোচিত সাদিকুর রহমান রানা ওরফে বিহারী রানাকে গুলি করে হত্যা মামলায় এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার নাম হাবিবুর রহমান ওরফে সবুজ (৩২)।মঙ্গলবার সকালে নগরীর ছোট বয়রা ফয়েজ উদ্দিন স্কুলের পিছন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। বিকালে খুলনা মহানগর হাকিম তরিকুল ইসলামের আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তার সবুজ ফুলবাড়িগেটের দিঘির পশ্চিমপাড়ের বাসিন্দা হায়দার আলী ছেলে।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সোনাডাঙ্গা থানার এস আই সুমন মন্ডল জানান, আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সবুজকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সে স্বীকার করে হত্যাকান্ডের সময় আহসান উল্লাহ কলেজের বিপরীত পাশে সে উপস্থিত ছিলো। হত্যাকান্ডের ঘাতকরা যাতে সহজে যেতে পারে এবং কোনো সমস্যায় না পরে সেটি তদারকি এবং সহযোগিতার দায়িত্বে ছিল সে।প্রসঙ্গত, গত ২৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় আহসানউল্লাহ কলেজের সামনে বিহারী রানাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় রানার স্ত্রী হাবিবা রানু বাদি হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে সোনাডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
উদ্যমে উত্তরণে শতকোটি"জেগে ওঠো মুক্তির লক্ষ্যে" এ আহব্বানকে সামনে রেখে বুধবার খুলনা ২১ শে বই মেলা প্রাঙ্গনে আইআরভি, সম্মিলিত নারী অধিকার সুরক্ষা ফোরাম এর যৌথ উদ্যোগে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, ন্যায় বিচার ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনমনে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ ও বানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন সম্মিলিত নারী অধিকার সুরক্ষা ফোরামের সমন্বয়ক এড. তসলিমা খাতুন ছন্দা, সদস্য সচিব সুতপা বেদজ্ঞ,সম্প্রীতি ফোরামের সভাপতি ও নারী নেত্রী সিলভী হারুন, মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অজন্তা দাশ, লেখিকা সংঘের আলমাস আরা, আইআরভির নির্বাহী পরিচালক মেরিনা যুথি, নাইস ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি রাবেয়া সুলতানা, নিজেরা করি এর প্রতিনিধি নাসিমা আক্তার, নারী নেত্রী নুরুন্নাহার হীরা, এম এ রাজ্জাক, ধনঞ্জয় সাহা, সুজানা জলি প্রমুখ।
বন্ধুত্ব হলো মানুষের মধ্যে পারস্পরিক বিশেষ একটি সম্পর্ক। যেখানে থাকে আত্মার শক্তিশালী বন্ধন। বন্ধুত্বের মধ্যেই থাকে যত নির্ভরতা আর বিশ্বাস। যুগে যুগে অনেক কবি, সাহিত্যিক, গীতিকার বন্ধুত্ব নিয়ে লিখেছেন উপন্যাস, কবিতা কিংবা গান। ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস ডেটাবেজ গবেষণায় দেখা গেছে যে, ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের কারণে মানুষ সুখী হয়। তাইতো বন্ধুত্বকে আরো একধাপ এগিয়ে নিতে এবার খুলনায় অনুষ্ঠিত হলো এসএসসি-৯৯ খুলনা বিভাগের বন্ধুদের আড্ডা। শুক্রবার খুলনা মহানগরীর খালিশপুরে ভৈরর পাড়ে সবুজের সমারোহে ঘেরা প্লাটিনাম জুটমিল চত্তরে অনুষ্ঠিত হয় বন্ধুত্বের এক অকৃত্রিম মেলবন্ধন। ‘যেখানে থাকি যে যেখানে, বাধঁন আছে প্রাণে প্রাণে’ এমন শ্লোগানকে সামনে নিয়ে বন্ধুদের আড্ডা যেন প্রাণ ফিরে পায়। সকাল থেকে এক আকাশ স্বপ্ন নিয়ে ছুটে আসে সব বন্ধুরা। শুরু হয় জীবনের স্মৃতির পাতার পূরাবৃত্তি। বন্ধুত্বের এ আড্ডা প্রশান্তি এনে দেয় সকলের মনে। দুপুরে খাওয়ার পর জমে ওঠে গল্প-আড্ডা-গান। আড্ডায় আলোচনা হয় নিত্য-নতুন অভিজ্ঞতা, রাজনীতি, প্রেম-ভালোবাসা, বিরহ, স্কুল জীবনের না বলা কথা, যার যেভাবে মনে পড়ে, সে সেইভাবে উপস্থাপন করে। অনেকে আবার ব্যস্ত ছিল বহুদিন পরে দেখা বন্ধুদেরকে ফটো ফ্রেমে বন্দিতে। বিকেল হতেই মঞ্চে কেক কেটে আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হয়। পরে মঞ্চ মাতিয়ে তোলে গান, আড্ডা, অভিনয়, কৌতুকে। চলে রাত অবধী। আযোজন সফল করতে অক্লান্ত করেছে বন্ধু সেন গৌতম, মোঃ আনোয়ারুল কবির নিজাম, তাসনিন তানা, উত্তত কুমার দাস, শফিক রাজন, উত্তম রায়, শরিফ ইসলাম, নাজমুল আহসান, আলমগীর হোসেন, সোহেলী ইয়াসমিন, মানবেন্দ্র বিশ^াস, জিয়া উদ্দিন কাজল, বুলবুল আহমেদ, বিশ^জিৎ নাথ, ডালিয়া পারভিন, শান্তনু মল্লিক, লিজা নাহার, বন্যা হুসাইন, ফারিয়া খান, সিরাজুল ইসলাম, আশরাফুল আলম মোহন, সাইদুর রহমান সাদি, ঋতা বসাক, রফিকুল ইসলাম শারাফাত প্রমুখ।
বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশন (বিপিএইচসিডিওএ), খুলনা জেলা শাখার উদ্যোগে নগরীর অরণ্য ইকো গার্ডেন, (লবনচরা থানার পার্শ্বে, রুপসা) ৫ম খুলনা বিভাগীয় সম্মেলন ও মেডিকেল ট্রেড ফেয়ার- অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বিপিএইচসিডিওএ, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও খুলনা বিভাগ ও জেলা শাখার সভাপতি ডা. গাজী মিজানুর রহমান। খুলনা বিভাগের অর্ন্তভুক্ত ১০টি জেলা, গোপালগঞ্জ, ও পিরোজপুর হতে প্রায় ৩০০ শতাধিক ক্লিনিক, ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিকগন, সরকারি-বেসরকারি চিকিৎসকগণ ও খুলনা শহরের সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ এবং বিপিএইচসিডিওএ, এর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন। সম্মেলনের সমগ্র অনুষ্ঠানের সঞ্চানালয়ে ছিলেন বিপিএইচসিডিওএ, খুলনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. গৌতম রায়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন বিপিএইচসিডিওএ, কেন্দ্রীয় কমিটির সুযোগ্য সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো: মনিরুজ্জামান ভুঁইয়া। উক্ত সম্মেলনে মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিপিএইচসিডিওএ, কেন্দ্রীয় কমিটির সংগ্রামী মহাসচিব ডা. মো: মইনুল আহসান। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিপিএইচসিডিওএ, কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ ডা. মো: খন্দকার রাহাত হোসেন, খুলনা বিভাগের পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো: ইকবাল হোসেন, খুলনা জেলার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জনাব মো: মিজানুর রহমান, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা জেলার সহকারী পরিচালক জনাব মো: ওয়ালিদ বিন হাবিব। ট্রেড ফেয়ারে মেডিকেল ইকুপেমেনটস কোম্পানির অত্যাধুনিক মেশিনারিজ বিভিন্ন স্টলে প্রদর্শন করেন। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে তথ্যবহুল ও আকর্ষণীয় ‘স্যুভিনির’ প্রকাশিত হয়। সম্মেলন শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আর্কষনীয় র্যাফেল ড্র’র এর আয়োজন করা হয় বিপিএইচসিডিওএ, খুলনা জেলা শাখার সভাপতি, বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের স্বনামধন্য শিল্পী, সুরকার ও সংগীত পরিচালক ডা. গাজী মিজানুর রহমান সংগীত পরিবেশন করে সকলকে মুগ্ধ করেন।
আমরা বড় বড় মানুষের কথা শুনতে যতটা পছন্দ করি, তাঁদের লেখা বই ততটা পড়তে পছন্দ করি না। আসলে আমরা শুনতে ও বলতে যতটা পছন্দ করি, পড়তে ততটা নয়। গবেষণা বলছে জ্ঞান অর্জনের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে বই পড়া। কিন্তু বই পড়ার প্রতি মানুষের আগ্রহ অনেক আগে থেকেই কম। বই পড়ে আনন্দ পায় খুব কম মানুষ।শত শত বছর আগেও সব মানুষ বই পড়ত না। এখনকার মতই। বলা হয় মাত্র ১০% মানুষ বই পড়ে, এবং সফল মানুষদের প্রায় সবাই নিয়মিত বই পড়ে। বই পড়ার অভ্যাস মানুষকে জ্ঞানী এবং মননশীল করে। কেউ একজন বই থেকে যত দূরে সে জ্ঞান অর্জনের প্রক্রিয়া থেকেও তত দূরে।এখন ডিজিটাল যুগ, বই পড়া ছাড়াও জ্ঞান অর্জনের অনেক মাধ্যম তৈরী হয়েছে। সাফল্যের পথ খুঁজতে তাই অনেকেই বই পড়ার বাইরে এইসব মাধ্যমের উপর নির্ভর করছে। এই মাধ্যমগুলো কার্যকর নয় তা বলব না। অনেক ভাল ভাল প্ল্যাটফর্ম তৈরী হয়েছে এখন। ক্যারিয়ার ম্যানেজমেন্ট, মটিভেশন, মেডিটেশন, লাইফ কোচিং সহ অনেক বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ ডিজিটাল মিডিয়াতে আছে। এছাড়াও আছে ব্যক্তিগত প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ।তবে বই না পড়ে শুধুই ডিজিটাল মাধ্যমে, বা ব্যক্তিগত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কোন বিষয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জন সম্ভব কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। কেন বলছি কথাটা?একটি বই আপনাকে কোন বিষয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জনের সুযোগ তৈরী করে দিবে। বইয়ে বিষয় বস্তু সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়। চিন্তা শক্তি এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে কোন একটি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানার দরকার আছে। বই আপনাকে কোন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞানের ভিত্তি তৈরীতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।ডিজিটাল মিডিয়া বা ব্যক্তিগত প্রশিক্ষণ থেকে কোন বিষয়ের অংশ বিশেষ জানা সম্ভব হয়। পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জন এক্ষেত্রে বেশ কঠিন একটি কাজ।বিষয়বস্তু নির্বাচন করে বই পড়লে অনেকটা পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জনের সুযোগ হয়। একটি বিষয় ভালভাবে বুঝে, তারপর ডিজিটাল মিডিয়া বা ব্যক্তিগত প্রশিক্ষণের সহযোগিতা নিলে জ্ঞান অর্জনের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়।সব মাধ্যমকে সঠিকভাবে ব্যবহার করলে আপনার জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে।বলতে চেয়েছি, আপনি শেখার মাধ্যম হিসেবে বই পড়ার বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দিন। বই পড়ার বিষয়কে অবহেলা করবেন না। ভাল ভাল বই পড়ুন এবং ডিজিটাল মিডিয়া সহ অন্যান্য মাধ্যমকেও কাজে লাগান।সময় বদলাচ্ছে, আপনি নিজেকেও বদলান। বই পড়ুন, নিয়মিত শিখুন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খুলনা বিভাগীয় গন গ্রন্থাগার একুশে বইমেলায় ভূমন কাহিনী,মিশন এভারেস্ট বেসক্যাম ও থ্রিলার উপন্যাস অনিমন্ত্রিত অতিথির লেখক ও প্রকাশক এবং কেয়া কসমেটিকসের এম ডি এম মিরাজ হোসেন এবং বৈধব্য ও অবচেতনা উপন্যাসের লেখক ও প্রকাশক আফরোজা খানম তন্দ্রার লেখা বই মানবাধিকার সংগঠক কবি এস এম দেলোয়ার হোসেন ও তাদের ৯৩ ব্যাচ খুলনার বন্ধুদের মাঝে প্রদান করেন। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন অ্যাড, এস এম মাসুদুর রহমান এপিপি জজ কোর্ট খুলনা, মোঃ তৌহিদুর রহমান মিলন,অ্যাড কামাল হোসেন, মোঃ রিয়াজ,সহ ৯৩ ব্যাচের অদ্য শতাধিক বন্ধু।
খুলনা দারুল মাকাম আয়োজিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, শুধু সাধারণ শিক্ষাই নয়, বরং নৈতিক ও ইসলামী তথা কুরআন-হাদিসের শিক্ষার মধ্যদিয়ে আগামী প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হবে। আর ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নৈতিক শিক্ষায় গড়ে তোলা হলেই সমাজের সকাল প্রকার অনাচার, দুর্নীতি-অনিয়ম দূর করা সম্ভব। নগরীর মুজগুন্নি আবাসিক এলাকা সংলগ্ন মেলার মাঠে শুক্রবার দিনব্যাপী এ ক্রীড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন, দৈনিক পূর্বাঞ্চলের সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সনি। খুলনা দারুল মাকামের চেয়ারম্যান মুকাররম আনসারীর সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন, দৈনিক পূর্বাঞ্চলের সিনিয়র রিপোর্টার এইচ এম আলাউদ্দিন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দারুল মাকামের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক জাফর সাদিক আনসারী, সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন, পরিচালক আজীজ ফারাজি, ফারহানা সিদ্দিকা মিম্মা, মুমতাহিনা সিদ্দিকা, কুতুবউদ্দিন রব্বানী, সোহেল রানা, ফোরকান উদ্দিন মিঠু, সহকারী কো অর্ডিনেটর হাসানুজ্জামান। বিকেলে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন, খুলনা বিদ্যুৎ কেন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুনাওয়ার হোসাইন আনসারী।অনুষ্ঠানে বক্তারা আরও বলেন, যুব সমাজকে মাদকসহ সমাজের সকল প্রকার অনাচার থেকে দূরে রাখতে খেলাধূলার বিকল্প নেই। তাই ক্রীড়ানুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে একদিকে যেমন শারীরিক বিকাশ সম্ভব তেমনি মানষিক প্রশান্তির মধ্যদিয়েও আগামী প্রজন্ম বেড়ে উঠতে পারে।
নারীদের স্বাবলম্বী করাসহ নানা প্রকল্প নিয়ে তৃনমূলে কাজ করছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নাহিয়ান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন। দেশের পনের জেলাতে মানব উন্নয়নে তারা তাদের কর্মকাÐ পরিচালনা করছে।সংগঠন সূত্রে জানা যায়, তৃণমূল পর্যায়ে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ্যাক্তাদের বিকাশ সাধন বেকার ও সুবিধাবঞ্চিত নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনে উদ্বুদ্ধ ও সহায়তা দেওয়া পাশাপাশি নারী সমাজকে মানবসম্পদে পরিণত করার লক্ষে দেশব্যাপী কাজ করে যাচ্ছে নাহিয়ান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন। দেশের পনেরো জেলায় ও বিভিন্ন উপজেলা পর্যায়ে তাদের চলছে সামাজিক কাজ। জেলাগুলো হচ্ছে ঢাকা, খুলনা, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, বগুড়া, সিলেট, বরিশাল, কুমিল্লা, রংপুর, ঠাকুরগাঁও, নওগাঁ, নারায়নগঞ্জ, হবিগঞ্জ, দিনাজপুর ও গাজীপুর। নতুন উদ্যোক্তা তৈরী ও নারীদের আত্ম-কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে শিল্পনগরী খুলনার সুবিধাবঞ্চিত নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনে উদ্বুদ্ধ ও সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি নারী সমাজকে মানবসম্পদে গড়ে তুলতে বিউটিফিকেশন কোর্স চলিু করছে সংগঠনটি।
জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে সাবেক এমপি আলহাজ্ব আব্দুল গাফ্ফার বিশ্বাসকে আহবায়ক ও মোল্ল্যা শওকত হোসেন বাবুলকে সদস্য সচিব করে ২৮ সদস্যের খুলনা বিভাগীয় সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে।পার্টির চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদের নির্দেশে জাতীয় সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম সেন্টু এর অনুমোদন দেন। গতকাল বিকেলে জাপার দশম জাতীয় সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব স্বাক্ষরিত সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের চিঠি সংবাদমাধ্যমে পাঠানো হয়।পার্টির কেন্দ্রীয় জাতীয় সম্মেলন বাস্তবায়নে ২৮ সদস্যের কমিটিতে যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে আছেন সাবেক এমপি মো. মোক্তার হোসেন, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, সৈয়দ ওয়াহিদুল ইসলাম তরুন, এ্যাড. এ. কে. এম. আকরাম হোসেন, এ্যাড. এস এম মাসুদুর রহমান। এছাড়া সদস্য হিসেবে আছেন মো. মোসলেম আলী, এ্যাড. রতন কুমার মিত্র জীবন, শিকদার মো. আলমগীর কবীর, মোতোয়ালী শেখ, বাবু নারায়ন সরকার, এ্যাড. সাজ্জাদ হোসেন সেনা, মো. তৌহিদুজ্জামান বাচ্চু মন্ডল, মো. আব্দুর রাজ্জাক, মো. হাসান মিয়া, মো. আব্দুর রহমান বাদল চাকলাদার, মো. আনিসুর রহমান লিটু, এ্যাড. প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস, মো. আকবার আলী মাস্টার, শরীফ মোহাম্মদ শাহজাহান, এ্যাড. এস এম ইমদাদুল হক, মো. তৌহিদুর রহমান, মো. লুৎফর রহমান, এ্যাড. মো. মিজানুর রহমান, এ্যাড. মো. মিজানুর রহমান, মো. রিয়াজ উদ্দিন হাওলাদার, এস এম ফয়েজ প্রমূখ।এতে বলা হয়েছে, গঠিত খুলনা বিভাগীয় জাতীয় সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটি আসন্ন ৯ মার্চ অনুষ্ঠেয় জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় দশম জাতীয় কাউন্সিল সফল করার জন্য প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে। কমিটি প্রয়োজন মনে করলে অনুমোদন সাপেক্ষ বিভাগ থেকে এতে আরো সদস্য অন্তর্ভূক্ত করতে পারবে। সাংগঠনিক আদেশে জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু আরো জানান, সফল ভাবে জাতীয় কাউন্সিল শেষে বিভাগীয় পর্যায়ে গঠিত এই কমিটি বিলুপ্ত বলে বিবেচিত হবে।
পাইকগাছা পৌর সভার প্রান কেন্দ্রে কাচ্চি বাড়ীতে মিলবে শান্তি মিলবে প্রশান্তি স্লোগানে পাইকগাছা পৌরসদরের অবস্হিত কাচ্চি বাড়ী রেস্টুরেন্টে পচা মাংশের কাচ্চি বিরিয়ানি বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে পেরে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে যেয়ে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র আলামিন সহ তার দুই বন্ধু আবির ও সাজু মিলে পাইকগাছা পৌরসদরের নতুন রেস্টুরেন্ট কাচ্চি বাড়ীতে বিরিয়ানি খেতে যান। ঐ সময় তাদের তিন বন্ধু কে প্লেটে করে বিরিয়ানি খেতে দেওয়া হয়। তবে খাওয়ার সময় বিরিয়ানি তে পচা মাংশের গন্ধ পেয়ে তারা কর্তৃপক্ষ কে জানান। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানা মাত্রই তাদের দেওয়া পচা মাংশের বিরিয়ানি বদলে দিয়ে নতুন করে বিরিয়ানি দেন। আর পচা মাংশের ঐ বিরিয়ানি ফেলে দিতে যান। এসব দেখে তিন বন্ধুর চিৎকার ও চেঁচামেচিতে আশে পাশের ব্যবসায়ী সহ পথচারীরা কাচ্চি বাড়ির সামনে অবস্থান নেন। ঐ সময় উপস্হিত লোকজন কাচ্চি বিরিয়ানি হোটেল মালিকের কাছে পচা মাংস না মরা গরু/ছাগলের মাংশ জানতে চেয়ে গোলোযোগ সৃষ্টি করতে থাকে। ঐ সময় খবর পেয়ে থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আল-আমিন সহ স্হানীয়রা কাচ্চি বাড়ি রেস্টুরেন্ট মালিক আক্তার হোসনের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান। এ ঘটনার বিষয়ে প্রশাসন সহ উপস্হিত জনতার সম্মুখে কাচ্চি বাড়ি রেস্টুরেন্টের মালিক আক্তার হোসেন বলেন,তিনি বড়দল থেকে মাংশ আনেন মরা কি পচা জানেন না। এ বিষয়ে সহকারি কমিশনার ভূমি মোঃআরিফুজ্জামান বলেন,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে হোটেল মালিক কে ৪০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।.
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, সূদগ্রহীতা, সূদ দাতা, সূদের দলীল লেখক এবং সূদের সাক্ষী সকলের উপর আল্লাহর লা‘নত। আর (পাপের দিক দিয়ে) তারা সকলে সমান।আল্লাহ তায়ালা বলেছেনوَ اَحَلَّ اللّٰہُ الۡبَیۡعَ وَ حَرَّمَ الرِّبٰواআল্লাহ্ ক্রয়-বিক্রয়কে হালাল ও সুদকে হারাম করেছেন (সূরা বাকারা ২৭৫)সুদ নেয়া বা দেয়া দুটাই হারাম এবং চরম পর্যায়ের ঘৃণিত কাজ।পবিত্র কুরআন ও হাদীসের মধ্যে সুদ সম্পর্কে বার বার সতর্ক করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃیٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوا الرِّبٰۤوا اَضۡعَافًا مُّضٰعَفَۃً ۪ وَ اتَّقُوا اللّٰہَ لَعَلَّکُمۡ تُفۡلِحُوۡنَহে মুমিনগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধিহারে সুদ খেয়ো না এবং আল্লাহকে ভয় কর যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। (সূরা আল ইমরান ১৩০)হাদীস শরীফে এসেছে, হযরত আবূ হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) বলেছেনالرِّبَا سَبْعُونَ حُوبًا أَيْسَرُهَا أَنْ يَنْكِحَ الرَّجُلُ أُمَّهُসুদের সত্তরটি স্তর রয়েছে।সবচেয়ে নিম্নটি হল-নিজ মায়ের সাথে ব্যভিচার করা (ইবনে মাজাহ,অধ্যায়ঃ ব্যবসাঃসুদঃ ২২৭৪)(নাউজুবিল্লাহ) দয়াময় রব আমাদেরকে এই জঘন্য গুনাহ থেকে নিজ দয়ায় হেফাজত করুন আর আমাদের অন্তরে ঢুকিয়ে দিন সুদের ভয়াবহতা,পরিণতি আর কুফল থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা ও ইচ্ছা।যে কাজে ইচ্ছার পাশাপাশি আন্তরিক চেষ্টা থাকে তাতে অবশ্যই সফলতা দান করেন আমার রব। ২৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার নগরীর সোনাডাঙ্গাস্ত বায়তুন নূর জামে মসজিদ ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে এক বিশাল তাফসিরুল কুরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।তাফসিরুল কুরআন মাহফিলে প্রধান বক্তা ছিলেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, গবেষক হাফেজ ক্বারী মাওলানা মোহাম্মদ মনোওয়ার হোসাইন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া। বিশেষ বক্তা ছিলেন দারুস সালাম জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মোঃ সাইফুল ইসলাম, মাওলানা মুফতি জালাল উদ্দিন, হাফেজ মাওলানা মোঃ আবুল হাসান।বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোঃ আবু জাফর গাজীর সভাপতিত্বে এবং বায়তুন নূর মসজিদের যুগ্ম সম্পাদক শেখ ইকবাল হোসেন ও মোসলেমউদ্দিন হাওলাদারের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজ উন্নয়ন কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মানবাধিকার সংগঠক এস এম দেলোয়ার হোসেন, কৃষি ব্যাংকের সাবেক এজিএম আলহাজ্ব মোঃ ইসমাইল হোসেন, আলহাজ্ব মাওলানা মোঃ শরিফুল ইসলাম, কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সামছুল ইসলাম কামরুল, সৈয়দ আলমগীর বখত, শেখ মফিজুল ইসলাম।এছাড়াও যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের বিনিময়ে মাহফিল সম্পন্ন হল তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ মিলন, মেহেদী হাসান তৌফিক, মোঃ আল আমিন সরদার, মোঃ জাহাঙ্গীর, হাফেজ ক্বারী আয়াতুল্লাহ, হাফেজ মুহাম্মদ শাহজাহান, মোঃ মুস্তাকিম বিল্লাহ, প্রমুখ।
নগরীতে নারীদের নিয়ে এসএমই ফাউন্ডেশনের আয়োজনে গেøারিয়া স্কিন কেয়ার এন্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় নগরীতে প্রথমবারের মতো পাচদিন ব্যাপি আয়ুবের্দিক বিউটি থেরাপির প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার বিকেল তিনটায় নগরীর ফুল মার্কেটের গেøারিয়া স্কিন কেয়ার এন্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক আন্জুমান আরা মুন্নীর সভাপতিত্বে কর্মশালার সমাপনি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসএমই ফউন্ডেশনের উপ ব্যবস্থাপক সালমা সুলতানা। বিডবিøউসিসিআই এর বিভাগীয় প্রধান শামিমা সুলতানা শিলু, নাসিবের সভাপতি মোঃ ইফতেখার আলী বাবু। প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একাডেমি অফ এলেন এর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক সাদিয়া তাজনিন দোলা। এর আগে ২২ ফেবুয়ারি বৃহস্পতিবার কর্মশালার উদ্বোধন হয়। উদ্ধোধনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাহিয়ান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি শায়লা আজীম, বাংলাদেশ নারী উদ্যোক্তা সোসাইটির সভাপতি সুমা মন্ডল।
সানমার্ট.কম.বিডি (SunMart.com.bd) নামে নতুন ই-কমার্স ব্যাবসায় নেমেছেন খুলনা জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সভাপতি সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি। গতকাল রাতে নিজের ফেসবুক পেজ এ করা এক পোস্টে এ তথ্য জানান তিনি। ব্যাবসায় নেমেই ‘ঈদ স্পেশাল’ নামের নতুন এক ক্যাম্পেইনে বিশাল মূল্য ছাড়ের ঘোষনা দিয়েছেন তিনি। আপাতত ঈদ প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করলেও ঈদের পর চিংড়ি সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিয়ে কাজ করার কথা জানান বাপ্পি। বাপ্পি জানান,কয়েকমাসের মধ্যেই সানমার্টকে একটি ভেন্ডর সাইটে পরিনত করা হবে এবং সকল মার্চেন্টদের জন্য সাইট খুলে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, দ্রুত পন্য ডেলিভারী ও লেনদেনে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের মাধ্যমে শীঘ্রই তার প্রতিষ্ঠান ক্রেতা ও বিক্রেতাদের কাছে বিশ্বস্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে পরিনত হবে।
ভালো থাকুক প্রকৃতি ও তার সন্তানরা""'মানুষ ও ধরিত্রীর বন্ধন বণ্যপ্রানী সংরক্ষণে ডিজিটাল উদ্ভাবন, এই প্রতিপাদ্য কে ধারন করে আজ ৪ মার্চ সোমবার সন্ধ্যা সাতটায় শান্তিধাম মোড়ে হাজী মেহের আলী রোড সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) খুলনা শাখার উদ্যোগে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।সংগঠনের জাতীয় পরিষদ সদস্য ও খুলনা শাখার সমন্বয়কারী পরিবেশবিদ অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ বাবুল হাওলাদার এর সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন শিক্ষক নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নিতাই পাল, মানবাধিকার সংগঠক নাগরিক নেতা এস এম দেলোয়ার হোসেন, গনসংহতি আন্দোলনের খুলনা জেলা শাখার আহবায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল, সোনালী ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম এফ এম মনিরুজ্জামান, খোদেজা ফাউন্ডেশনের খ ম শাহীন হোসেন, সুন্দরবন- নদী ও দক্ষিবঙ্গ উন্নয়ন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল তারেক তুষার, অ্যাড: আরেফীন কবির, মোঃ হাফিজুর রহমান প্রমুখ।এসময়ে বক্তারা বলেন -বিশ্বের বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদকূল সংরক্ষণের প্রতি গণসচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছর ৩ মার্চ "বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস" পালন করা হয়। ২০১৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর জাতিসংঘের ৬৮ তম সাধারণ অধিবেশনে বন্যপ্রাণী দিবস হিসেবে ৩ মার্চ ঘোষণা করা হয়। ২০১৪ সালে প্রথম এ দিবসটি পালন করা হয। বিশ্বের বন্যপ্রাণী এবং উদ্ভিদগুলির প্রতি গণসচেতনা বৃদ্ধি করাই এ দিবসের মূল লক্ষ্য। বাংলাদেশে সরকার বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য ৫৩টি সংরক্ষিত এলাকা ঘোষনা করেছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষন ও অপরাধ দমনের জন্য বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ এবং আইনে অধীন আনেকগুলি বিধিমালা ও নীতিমালা রয়েছে। বন্যপ্রাণী ও মানুষ সহাবস্থান তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে বন অধিদপ্তর। প্রকৃতির সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে হলে প্রকৃতিতে বন্যপ্রাণীর উপস্থিতি থাকতে হবে।“World Wildlife Fund (WWF)”-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এখন যে হারে মানুষ প্রকৃতি আর পরিবেশ ধ্বংস করছে তা অতীতের সব রেকর্ডই ভেঙে দিয়েছে। আর এই ধ্বংসের ঘটনা যে অদূর ভবিষ্যতে কমে যাবে, এমন কোনো ইঙ্গিতও নেই আপাতত। বন্যপ্রাণীর বর্তমান চিত্র সম্পর্কে WWF-এর রিপোর্ট জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী স্তন্যপায়ী, পাখি, উভচর, মাছ ও সরীসৃপের ২০ হাজার প্রজাতির ৬৮ শতাংশই হারিয়ে গেছে। সেই বিলুপ্তি সবচেয়ে বেশি হয়েছে ১৯৭০ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত। যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়সহ জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও বাংলাদেশের ১৪ গবেষকের করা এক সমীক্ষায় বলা হয়-সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের বন ধারাবাহিকভাবে সংকুচিত হয়ে আসছে। IUCN এর সমীক্ষা জানাচ্ছে, মানুষের বিভিন্ন কার্যক্রমে ২০০০ সাল থেকে বিশ্বে ১৯ লাখ মাইল ভূমি হারিয়ে গেছে, যা গোটা ব্রিটেনের ৮ গুণ। ১০ লাখ বন্যপ্রাণী বিলুপ্তির দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। প্রাণী ও উদ্ভিদের এক লাখ প্রজাতির মধ্যে ৩২ হাজার প্রজাতি বিলুপ্তির মুখে পৌঁছে গেছে।জাতিসংঘের জীববৈচিত্র্য সনদ CBD তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের ৪.৬১ শতাংশ স্থলভাগ এবং ৫.৪ শতাংশ সামুদ্রিক এলাকা সংরক্ষিত এলাকার আওতায় রয়েছে। CBD আওতায় করা কুনমিং-মন্ট্রিয়ল চুক্তি অনুযায়ী দেশের ১৭ শতাংশ ভূখণ্ড ও ১৩ শতাংশ সাগর এলাকাকে সংরক্ষিত হিসাবে ঘোষণা দিতে হবে। কারণ বেশির ভাগ সংরক্ষিত এলাকার আয়তন খুব ছোট হওয়ায় তা জীববৈচিত্র্য রক্ষায় যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে পারছে না।
জন্মভূমি রিপোর্টচোখের সর্বাধুনিক বিশেষায়িত সেবা নিয়ে নগরীতে ফোকাস আই হসপিটাল’র উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার বিকাল পাঁচটায় কেডিএ এভিনিউ রোডের সাথী কমপ্লেক্সের এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএমএ সাধারণ সম্পাদক ও খুমেকের উপাধ্যক্ষ ডাঃ মেহেদী নেওয়াজ। এসময় তিনি কেক কেটে হাসপাতাল উদ্ধোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, আদ্ব-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজের চক্ষু বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডাঃ মোঃ আরিফ হায়াত খান পাঠান, খুমেকের সহকারি অধ্যাপক ডাঃ মোঃ এমরান ইসলাম আবির, লায়ন্স আই ইনস্টিটিউট এন্ড হসপিটালের গøুকোমা বিশেষজ্ঞ এন্ড ফ্যাকো সার্জন অধ্যাপক ড. এস এম রেজওয়ান রাজু, খুমেকের কনসালটেন্ট ডাঃ মোঃ মাকসুদে মাওলা। ডাঃ শিমুল চক্রবর্তী সঞ্চালনায় উদ্ধোধনি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডাঃ শেখ হাসিবুল ইসলাম।
খুলনার দৌলতপুর থানার সালামী মঞ্চের উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সালামী মঞ্চের উদ্বোধন করেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম। কেএমপির পুলিশ কমিশনার দৌলতপুর থানার নবনির্মিত সালামী মঞ্চের নির্মাণ শৈলী দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কেএমপির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (উত্তর) অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন, অতি: উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) সোনালী সেন, পিপিএম-সেবা; সহকারী পুলিশ কমিশনার (স্টাফ অফিসার টু পিসি) মো. ইমদাদুল হক; সহকারী পুলিশ কমিশনার (দৌলতপুর জোন) মো. আবুল বাশার, খুলনা মহানগর কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ সৈয়দ আলী এবং দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ প্রবীর বিশ্বাসসহ প্রমুখ।
ডুমুরিয়ায় বেসরকারি মানব উন্নয়ন সংস্থা দলিতের আয়োজনে ও খ্রীশ্চিয়ান এইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় প্রযুক্তিতে অভিগম্যতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অনগ্রসর দলিত জনগোষ্ঠীর জীবিকা উন্নয়নের লক্ষ্যে আত্মানির্ভরশীল দলের সাথে ই-কমার্সের অহিতকরন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় উপজেলার চুকনগর দলিত হাসপাতাল সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব প্রকল্প প্রধান বিকাশ কুমার দাস। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা রীনা মজুমদার। এ সময় সংস্থার কার্যক্রম ও উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা করেন প্রকল্পের টেকনিক্যাল সাপোর্ট অফিসার আনজুমান আরা। অনুষ্ঠান সঞ্চলনায় ছিলেন সোস্যাল মোবিলাইজার রুমা আক্তার।
কুষ্টিয়ার চৌড়হাসে ব্যাংক কর্মকর্তার পুরুষাঙ্গ কর্তন মামলায় স্ত্রী খালেদা পারভিন (৩৫) কে ৯ বছরের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সে সঙ্গে পৃথক দুটি ধারায় ৫ বছর ও ৪ বছর এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও একবছরের কারাদন্ডের আদেশ দেন। গতকাল সোমবার বেলা ৩ টায় কুষ্টিয়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক কেরামত আলী এই রায় ঘোষনা করেন। রায় ঘোষনা সময় মামলার একমাত্র আসামী খালেদা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। কুষ্টিয়া জজ আদালতের পিপি এ্যাডঃ অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তার সহযোগি হিসাবে উক্ত মামলায় কাজ করেন এ্যাড. নিজাম উদ্দিন।সাজাপ্রাপ্ত খালেদা পারভিন যশোর জেলা কতোয়ালী মডেল থানার চুরামনকাঠি এলাকার হাফিজ উল্লার মেয়ে এবং সোনালী ব্যাংক কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার হরিনারায়ন পুর শাখার কর্মকর্তা আরিফুল হকের স্ত্রী। মামলার এজাহার এবং আদালত সুত্রে জানাযায়, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহের জের ধরে ২০২২ সালের ৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় কুষ্টিয়ার চৌড়হাস আদর্শপাড়ার বাসায় স্বামী আরিফুলকে খাবারের সাথে ঘুমের ঔষুধ মিশিয়ে খাওয়ায়ে দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে তার হাত পা বেধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার পুরুষাঙ্গ কেটে দ্বীখন্ডিত করে সেটি নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আরিফুলের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তী করে। এই ঘটনায় ভুক্তভুগী ব্যাংক কর্মকর্তার বড় ভাবী বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই জহুরুল ইসলাম তদন্ত শেষে আদালতে ২০২২ সালের ১২ নভেম্বর অভিযুক্ত ঐ নারীর বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করেন। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত আজ এই রায় ঘোষনা করেন।
দলিত জনগোষ্ঠীর সামাজিক ক্ষমতায়ন এবং বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের লক্ষ্যে কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনাল এর কারিগরী সহযোগীতায়, ইউএসএইড এর অর্থায়নে এবং ওয়ার্কিং গ্রæপ ও দলিত হরিজন সম্প্রদায়ের সহযোগীতায় সেইড প্রকল্পের মাধ্যমে দলিত সংস্থা আন্তর্জাতিক বর্ণবৈষম্য বিলোপ দিবস -২০২৪ উদযাপন করেন। দিবসটি র্যালি, মানববন্ধন ও পথনাটকের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়। আজ বুধবার সকাল ১০:৩০ ঘটিকায় খুলনার ৬ নং ঘাট আশরাফমামুর মাজার সংলগ্ন সড়কে এ দিবসটি উদযাপন করা হয়। উক্ত দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অষবহধ ঞধহংবু, পরিচালক, গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং শাসন কার্যালয়, ইউএসএইড, বাংলাদেশ। সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বপন কুমার দাস, নির্বাহী পরিচালক, দলিত।র্যালি ও মানববন্ধনে দলিত হরিজনদের বিভিন্ন দাবিতে মুখরিত ছিল। এর মধ্য দলিতদের অন্যতম দাবি ছিলো বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থার মাধ্যমে অধিকার প্রতিষ্ঠা করা, সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা, বৈষম্য বিলোপ আইন পাস, দলিত হরিজনদের জন্য স্থায়ী আবাসন, শিক্ষা ইত্যাদি। এ র্যালি, মানববন্ধন ও পথনাটকে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুমনা বিনতে মাসুদ, প্রোজেক্ট ম্যনেজমেন্ট স্পেশালিস্ট, ইউএসএইড, বাংলাদেশ, রুমানা আমিন, প্রোজেক্ট ম্যনেজমেন্ট স্পেশালিস্ট, ইউএসএইড, মঞ্জুরে এলাহী সুমন, ডেপুটি চিপ অফ পার্টি, কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনাল, মেহেদী হাসান, প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট, কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনাল, ইফফাত জেরিন,অ্যাডভোকেসি স্পেশালিস্ট, কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনাল, ঢাকা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইসরাত নূয়েরী হোসেন, প্রকল্প ব্যবস্থাপক, সেইড প্রকল্প, বিকাশ কুমার দাস, হেড অব প্রোগ্রাম, দলিত, প্রদীপ কুমার দাস, অ্যাকাউন্টস এন্ড অ্যাডমিন অফিসার, দলিত, অরুন দাশ, সম্পা দাস প্রমুখ।
গতকাল বিকেল ৫টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে অসহায় ও ছিন্নমূল রোজাদারের মাঝে ব্যক্তিগত উদ্দ্যোগে রান্না করা খাবার বিতরণ করেন খুলনা জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিঃ মাহাফুজুর রহমান সোহাগ।এসময়ে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান জামাল,খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক হফেজ শামীম,খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য পাপিয়া সরোয়ার শিউলী,মোঃ জামিল খান,সাবেক যুবলীগ নেতা নাহিদ মুন্সি,রুপসা উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মাদ আলী জিন্নাহ,মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল, খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আরাফাত হোসেন পল্টু,সাধারন সম্পাদক মুসফিকুর রহমান সাগর, জেলা যুবলীগ নেতা বিধান চন্দ্র রায়,তৌহিদুল ইসলাম প্রিন্স,মাহামুদ আল হাসান গালিব,ফরিদ আহম্মেদ,মোর্শেদ রিয়াদ,কে এম তহিদুজ্জামান রনি,অনুপম মল্লিক,সৈকত আহম্মেদ জন,রিয়াদ শেখ,নাজমুল ইসলাম হৃদয় প্রমুখ।
বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি শুরু করেছে। শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার এ কর্মবিরতি চলবে আগামী সোমবার রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত। খুমেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. দিবাকর চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক ডা. আসাদুজ্জামান সাগর জানান, গত বছর ইন্টার্ন চিকিৎসক ও পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা তাদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন। ওই সময়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। পরে পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা হলেও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা হয়নি। তারা বলেন, অনেক পরিশ্রম করলেও সেই তুলনায় তাদের বেতন-ভাতা অনেক কম। তাদের দাবি, বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করে ৩০ হাজার টাকা করা হোক। এদিকে রোগী ও তাদের স্বজনরা বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা রোজার মধ্যে টানা ২ দিন কর্মবিরতি পালন করলে তাদেরকে দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
আসাদুজ্জামান রাসেল ব্লাড ডোনার ক্লাবের উদ্যোগে রোজাদারদের মাঝে ইফতার বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার (২৩ মার্চ) বিকাল ৫ ঘটিকায় নগরীর শিববাড়ী তেঁতুলতলা মোড়ে এ ইফতার বিতরণ করা হয়। এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম শিমুল, সেবার আলো বাংলাদেশ বৃদ্ধাশ্রমের পরিচালক আবু তালহা জুবায়ের, আসাদুজ্জামান রাসেল ব্লাড ডোনার ক্লাবের প্রধান সমন্বয়ক মো: রায়হান তামিম।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আসাদুজ্জামান রাসেল ব্লাড ডোনার ক্লাবের সদস্য খান মোসাদ্দেক হোসেন ইমন, মো: গালিব হোসেন, অভিজিৎ সরকার রাহুল, মো: আল আমিন, মো: সাজু শেখ, শাহিন মুন্সি, হুসাইন বাদশা, রুহুল আমিন খান, ইসতিয়াক হোসেন, ফারদিন, দ্বীপসহ ব্লাডডোনার ক্লাবের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
বটিয়াঘাটার গাওঘরা এলাকার চরডাঙ্গা গ্রামের আমিনুর শেখ হত্যাকান্ডের আসামীদের ফাঁসির দাবীতে গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলা সদরে গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে এক বিরাট মিছিল বের হয়। সহস্রাধিক নারী পুরুষ বিক্ষোভ মিছিল বের করে। সজিনা চুরিতে বাধা দেওয়ায় গত মঙ্গলবার রাতে কালাম,শাহীন,নয়ন,ফারুক,বিল্টু,আলামীন,মুনসুর,ফরিদ সংঘবন্ধ ভাবে আঘাত করে হত্যা করে। পুলিশ এঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। মিছিলে নেতৃত্ব দেন মুন্নাফ বিশ্বাস, মাসুদ বিশ্বাস, রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, জাহাতাপ বিশ্বাস, বিপ্লব শেখ, মিন্টু শেখ, জিয়াউর রহমান, আল-আমীন গোলদার, আমানুল্লাহ বিশ্বাস, প্রমুখ।মানববন্ধনের পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর খুনিদের ফাঁসির দাবিতে এবং খুনিদের মদদদাতাদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির জন্য একটি স্মারকলিপি দেয়।
শাওন সভাপতি ও রেফাজুল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিতখুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী পেশাজীবী কর্মচারীদের সমন্বয়ে গণতান্ত্রিক কর্মচারী পরিষদ গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের একাডেমিক শাখার কম্পিউটার টাইপিস্ট মো. মাহমুদুল হাসান (শাওন) কে সভাপতি ও শিক্ষা শাখার কম্পিউটার টাইপিস্ট রেফাজুল শেখকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের দৌলতপুরস্থ ক্যাম্পাসে বিপুল সংখ্যক কর্মচারীদের প্রত্যক্ষ ভোটে এ কমিটি গঠন করা হয়। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে এ পরিষদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নগরীর স্যার ইকবাল রোডস্থ ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে খুলনা ব্লাড লাভার্সের আয়োজনে রবিবার সন্ধ্যায় ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের উপদেষ্টা আহসান হাবিবের সভাপতিত্বে দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ চৌধুরী মোহাম্মদ রায়হান ফরিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ডয়লেন, ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইমাম হাসান চৌধুরী ময়না। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন লুৎফর রহমান, এ আর রাজিব, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুরুজ খলিফা, সাধারণ সম্পাদক সাব্বির ইসলাম, মিজান হাওলাদার, মাহমুদুল হাসান মুক্তা প্রমুখ।
শুক্রবার বটিয়াঘাটা বাজার জামে মসজিদ সংলগ্ন হাজী মনোয়ারা জাহাঙ্গীর হাফেজিয়া মাদ্রাসার আয়োজনে এক ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মসজিদ ও মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি আবু হেনা মুক্তির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন দাকোপ-বটিয়াঘাটা খুলনা ১ আসনের সাংসদ ননী গোপাল মন্ডল, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট শিল্পপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব মোতাহার হোসেন শিমু,অনুপম মন্ডল, অধ্যাপক ফিরোজুর রহমান মোল্যা,বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আকরাম হোসেন,মাদ্রাসা কমিটির সাধারণ সম্পাদক লুতফর রহমান, সাবেক ছাত্রনেতা আজিজুর রহমান, সাংবাদিক ইমরান হোসেন মোল্যা সুমন, সাংবাদিক মনিরুজ্জামান, প্রনব মন্ডল,রফিক সেখ,সহ মুসল্লী বৃন্দ।ইফতার পরবর্তী সময়ে মসজিদ সংলগ্ন বাজার চান্দীতে সাবেক হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস ও বর্তমান সাংসদ নানী গোপাল মন্ডল, মোতাহার হোসেন শিমু সহ আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতা একত্রিত হয়ে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড নিয়ে আলোচনা করেন এবং মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত সমাজ গঠনে সকলের সহোযোগিতা কামনা করেন
দিঘলিয়া বঙ্গবন্ধু চত্বরের উদ্বোধনজাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি ধরে রাখতে গতকাল দিঘলিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সরকারি সেনহাটী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চত্তরের উদ্বোধন করা হয়। চত্তরের উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার।দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খান মাছুম বিল্লাহর সভাপতিত্বে ও সরকারি সেনহাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মোঃ ফরহাদ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এন এস আই এর উপ-পরিচালক লতিফা আক্তার মিলা, সারোয়ার খান কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আলতাফ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এম এ রিয়াজ কচি, আজগর আলী, আব্দুর রাজ্জাক, ইদ্রিস আলী হাওলাদার, সাখাওয়াত হোসেন , দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবুল আক্তার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলী রেজা বাচা, প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান, মোঃ হাবিবুর রহমান, মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা নজির আহমেদ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন’র ভাইস চেয়ারম্যান ইলা আহমেদ, অধ্যাপক এস এম ছাখাওয়াত হোসেন, অধ্যাপক ফেরদাউস খান, অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম , ছাত্রলীগ নেতা রিশাদুল ইসলাম প্রমুখ। প্রধান অতিথি তার বক্তব্য বলেন, মানুষকে সম্মান করতে হবে, ভালোবাসতে হবে। মানুষকে ভালোবাসলে দেশকে ভালোবাসা হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন । তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাঁর সুযোগ কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে তিনি আমাদের উপহার দিয়েছেন ডিজিটাল বাংলাদেশ। এখন দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত করে উন্নত দেশের তালিকায় স্থান দিতে প্রধানমন্ত্রী নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর নির্দেশনায় বাংলাদেশ কৃষিতে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করে বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্রে পরিণত করতে আমাদের এক যোগে কাজ করতে হবে। পরে সচিব ওয়াহিদা আক্তার সুগন্ধি এলাকায় কৃষি ক্লাবের উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বিসিবির পরিচালক শেখ সোহেল এঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে অসহায় এক প্রতিবন্ধীকে রিকশা উপহার দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ ঘটিকায় হানিফ শেখ নামের এক প্রতিবন্ধীকে নতুন একটি রিকশা উপহার দেওয়া হয়। এসময় শেখ সোহেলের পক্ষে রিকশা হস্তান্তর করেন মহানগর আওয়ামী লীগ উপ দপ্তর সম্পাদক হাফেজ মো: শামিম, এস এম সিরাজুল ইসলাম, মোর্শেদ আহমেদ রিপন, মো: নাসির হোসেন সেন্টু, শাকিল মালিক, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল। এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন ‘খুলনার গণমানুষের প্রিয় নেতা জননেতা শেখ সোহেল খুলনার গরীব, অসহায়, প্রতিবন্ধী, বিপদগ্রস্থ ও নিম্নআয়ের মানুষের পাঁশে সর্বদা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিকতার অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন শেখ সোহেল। তিনি করোনাকালে বাড়ি বাড়ি বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা দিয়ে খুলনাবাসীর হৃদয়ে অবস্থান করে নিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন শেখ সোহেলের মত একজন উদার ও মানবিক নেতা আছেন বলেন খুলনার সাধরণ মানুষ যে কোন সমস্যায় যে কোন প্রয়োজনে তার কাছে গিয়ে সমস্যার কথা বলতে পারেন ও প্রতিকার পান।’ এসময় অন্যানের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ মিঠু কুমার দে, ছাত্রলীগ নেতা রণবীর বাড়ই সজল, চিন্ময় মিত্র, শংকর কুন্ডু, জনি বসু, রুমান আহমেদ প্রমুখ।
ডুমুরিয়া উপজেলায় গণসংযোগকালে ‘মোটরসাইকেল’ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আজগর বিশ^াস তারা বলেছেন, যুবসমাজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা এবং উঠতি বয়সী তরুণদের খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারলে মাদকমুক্ত সমাজ বিনির্মাণ সম্ভব। আমাকে ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করলে ডুমুরিয়ার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক চর্চার পরিবেশ সৃষ্টি করবো। প্রয়োজনে নিজ উদ্যোগে ডুমুরিয়ার মাটিতেই শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে সেখানেই চাকরির সুযোগ করে দেবো। অবকাঠামোগত ও আর্থসামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে সমাজের অপরাধ নির্মূলে তরুণ-যুবকদের কাছে ভোট ও আন্তরিক সহযোগিতা চাই। তরুন-যুবক নতুন ভোটারদের উদ্দেশ্যে এমনি নির্বাচনী প্রতিশ্র“তিতে সকলের মন কেড়েছেন তারা বিশ্বাস। নির্বাচিত হলে পর্যায়ক্রমে তার দেয়া নির্বাচনীয় প্রতিশ্র“তি বাস্তবায়ন করে ডুমুরিয়াবাসীকে দেখিয়ে দিবেন ইনশাআল্লাহ্।আজ শনিবার (০১ জুন) ডুমুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পথসভা ও উঠান বৈঠকে ‘মোটরসাইকেল’ প্রতীকের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আজগর বিশ^াস তারা এসব কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্র“তি প্রতিটি গ্রাম হবে শহর। শহরতলী হওয়ার পরও ডুমুরিয়া উপজেলাবাসী বঞ্চিত। মোটরসাইকেল মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের জোয়ার আমিই ডুমুরিয়াবাসীর দ্বোর গড়ায় পৌঁছে দেবো। আমাকে নির্বাচিত করলে ডুমুরিয়ার প্রতিটি গ্রামে শহরের সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেবো ইনশাআল্লাহ্। গণসংযোগ ও পথসভার পর জনসাধারনের সাথে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় করেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আজগর বিশ^াস তারা। এসময়ে তার সাথে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, মহিলা লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।।
বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র খুলনা ২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ জুয়েলের সাথে বটিয়াঘাটা উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন শিমু সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। গত শুক্রবার রাত আটটায় সংসদ সদস্য সেখ জুয়েলের খুলনাস্থ নিজ বাসভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে নবাগত উপজেলা চেয়ারম্যান তাকে ফুলেল শুভেচছা জানান। সাংসদ শেখ জুয়েল আগামী দিনে বটিয়াঘাটা উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকার দিক নির্দেশনা দেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রিয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগকে যারা ধ্বংস করতে ষড়যন্ত্র করেছে তারাই ধ্বংস হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ তৃণমূলের সংগঠন। আওয়ামী লীগ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন। বঙ্গবন্ধু বঞ্ছিত মানুষের জন্য রাজনীতি করেছেন। যে কারণেই এদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে ভালোবাসে। শত প্রতিকূলতা শেষেও আওয়ামী লীগের প্রতি এদেশের মানুষ আস্থা রাখে। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার পরে আবারও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সফলতাও এসেছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে নেই। সকল ষড়যন্ত্রকারীদের উৎখাতই হবে আজকের এই প্লাটিনাম জুবলীর অঙ্গিকার।রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় ১৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ আয়োজিত ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে আনন্দ র্যালি পূর্ব সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। এস এম মোর্শেদ আহমেদ মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা। কর্মসূচিতে কেসিসির প্যানেল মেয়র-২ এস এম খুরশীদ আহমেদ টোনা, জিয়াউল আলম খান খোকন, আসলাম আলীসহ ওয়ার্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স এর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সভাকক্ষে বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ বিকাল ৫টায় নারীদের রোলার স্কেটিং ও রোপ স্কিপিং প্রশিক্ষণের শুভ উদ্ভোদন করা হয়। সুন্দরবন স্কেটিং ক্লাব এর সভাপতি মিসেস সোনিয়ার সভাপতিত্বে অনু্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো: আবুল হোসেন হাওলাদার উপ পরিচালক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন মিসেস সিলভি হারুন, সাংগঠনিক সম্পাদক খুলনা বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া সংস্থা।মো: রেজাউল ইসলাম সহ সভপতি খুলনা জেলা ক্রীড়া সংস্থা। মো: বখতিয়ার রহমান গাজী জেলা ক্রীড়া অফিসার,খুলনা এবং মোহাম্মদ আলী সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ ফাইটার কারাতে ক্লাব, বিশেষ ভাবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা থেকে আগত বাংলাদেশ শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং এন্ড রোপ স্কিপিং ফেডারেশন এর যুগ্ম সম্পাদক জনাব আশরাফুল আলম মাসুম,প্রশিক্ষক রোলার স্কেটিং ও রোপ স্কিপিং এ গোল্ড মেডেলিস্ট শাফিন আহমেদ অন্তর ও গোল্ড মেডেলিস্ট তানিয়া আক্তার শান্তা, অম্পা বিশ্বাস, নাজমুন নাহার, সানজিদা ইয়াসমিন, শইলী ও পূর্ণেন্দু সানা এবং কয়েক জন শিক্ষার্থী। অতিথিরা তাদের বক্তব্য প্রদান কালে বলেন বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স এখন খুলনার নারী ও নারী শিশুদের ক্রীড়া প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে নজীর সৃষ্টি করার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক মণ্ডলীর নেত্রীত্বে ও সচেতন অভিভাবকদের সহায়তায় দক্ষ নারী প্রশিক্ষকদের মাধ্যমে নারী শিশুদের সুইমিং, কারাতে,ব্যাডমিন্টন,ফুটবল, রোলার স্কেটিং ও রোপ স্কিপিং, এথলেটিক্স প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়াও খুলনা জেলা ও বিভাগের বিভিন্ন খেলার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পাশাপাশি প্রাপ্ত বয়স্ক নারীদের স্কুটি চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
বটিয়াঘাটা প্রতিনিধিঃবটিয়াঘাটার বুজবুনিয়া এলাকায় জোরপূর্বক জমি দখল করে ঘর নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী উপজেলার বুজবুনিয়া এলাকার মোঃ শাহ আলমের স্ত্রী শরিফা বেগম বাদী হয়ে একই এলাকার মৃত ঈসমাইল শেখের পুত্র হালিম শেখ, ওয়ায়েজ উদ্দীনের পুত্র মজিদ শেখ, হালিম শেখের পুত্র রাজু, চানকে বিবাদী করে থানায় একটি অভিযোগ করেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিবাদীগণ গত ৬ই আগস্ট ভুক্তভোগী শরিফা বেগমের মাছের গেট দখল বসতঘর ভাঙচুর আগুনে পুড়িয়ে দেয়া সহ তাদের মারপিট করায় ভুক্তভোগী বিবাদ দের বিরুদ্ধে কোর্টে একটি মামলা গায়ের করে। বটিয়াঘাটা থানা পুলিশ সেই মামলা তদন্ত করে ফেরার পর বিবাদীগণ ভুক্তভোগী শরীফা বেগমের মাছের ঘেরে বিষ দিয়ে তারই নিকট আত্মীয়দের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগসূত্রে আরও জানা যায়, গত ১৮ ই অক্টোবর ২০২৪ হতে ১৯ শে অক্টোবর ২০২৪ বেলা এগারোটা পর্যন্ত ভুক্তভোগী শরিফা বেগমের জমিতে বিবাদীগণ চোরপূর্বক ঘর বাড়তে থাকে। ভুক্তভোগী শরিফা বেগম বলেন, আমার স্বামী শাহ আলম ও সন্তান বাড়িতে না থাকায় আমার বোন আনজিরা বেগম ঠেকানোর চেষ্টা করলে বিবাদীরা দালাঠি নিয়ে তাকে মারপিট করতে উদ্যত হয় এবং প্রকাশ্য হুমকি দিয়ে বলে আমরা যদি তাদের কোন কাজে বাধা দেই তাহলে আমাদের মারপিট করে হত্যা করবে। শুধু তাই নয় এখনো বিবাদীরা আমাদের জমিতে ঘর নির্মাণের কাজ অব্যাহত রেখেছে। আমরা আমাদের জমি ফেরত চাই। এই অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে আমরা মুক্তি পেতে চাই। তাই বটিয়াঘাটা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। বিবাদী আব্দুল হালিমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা খায়রুল বাশার বলেন, জমি সংক্রান্ত বিষয়াদি সব দেওয়ানিতে যাবে। তবে কেউ অপ্রীতিকর কোন ঘটনা ঘটাতে চাইলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বটিয়াঘাটা প্রতিনিধিঃবটিয়াঘাটার বুজবুনিয়া এলাকায় জোরপূর্বক জমি দখল করে ঘর নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী উপজেলার বুজবুনিয়া এলাকার মোঃ শাহ আলমের স্ত্রী শরিফা বেগম বাদী হয়ে একই এলাকার মৃত ঈসমাইল শেখের পুত্র হালিম শেখ, ওয়ায়েজ উদ্দীনের পুত্র মজিদ শেখ, হালিম শেখের পুত্র রাজু, চানকে বিবাদী করে থানায় একটি অভিযোগ করেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিবাদীগণ গত ৬ই আগস্ট ভুক্তভোগী শরিফা বেগমের মাছের গেট দখল বসতঘর ভাঙচুর আগুনে পুড়িয়ে দেয়া সহ তাদের মারপিট করায় ভুক্তভোগী বিবাদ দের বিরুদ্ধে কোর্টে একটি মামলা গায়ের করে। বটিয়াঘাটা থানা পুলিশ সেই মামলা তদন্ত করে ফেরার পর বিবাদীগণ ভুক্তভোগী শরীফা বেগমের মাছের ঘেরে বিষ দিয়ে তারই নিকট আত্মীয়দের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগসূত্রে আরও জানা যায়, গত ১৮ ই অক্টোবর ২০২৪ হতে ১৯ শে অক্টোবর ২০২৪ বেলা এগারোটা পর্যন্ত ভুক্তভোগী শরিফা বেগমের জমিতে বিবাদীগণ চোরপূর্বক ঘর বাড়তে থাকে। ভুক্তভোগী শরিফা বেগম বলেন, আমার স্বামী শাহ আলম ও সন্তান বাড়িতে না থাকায় আমার বোন আনজিরা বেগম ঠেকানোর চেষ্টা করলে বিবাদীরা দালাঠি নিয়ে তাকে মারপিট করতে উদ্যত হয় এবং প্রকাশ্য হুমকি দিয়ে বলে আমরা যদি তাদের কোন কাজে বাধা দেই তাহলে আমাদের মারপিট করে হত্যা করবে। শুধু তাই নয় এখনো বিবাদীরা আমাদের জমিতে ঘর নির্মাণের কাজ অব্যাহত রেখেছে। আমরা আমাদের জমি ফেরত চাই। এই অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে আমরা মুক্তি পেতে চাই। তাই বটিয়াঘাটা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। বিবাদী আব্দুল হালিমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা খায়রুল বাশার বলেন, জমি সংক্রান্ত বিষয়াদি সব দেওয়ানিতে যাবে। তবে কেউ অপ্রীতিকর কোন ঘটনা ঘটাতে চাইলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক দারগারভিটায় আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে জমি দখলের অসৎ উদ্দেশ্যে উচ্ছেদ অভিযান, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা প্রেস ক্লাবের হুমায়ূন কবীর বালু মিলনায়তনে এই অভিযোগ করা হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন লবণচরার দরগাপাড়া পূর্ব মোহাম্মদনগর এলাকার মো. কামরুল ইসলামের স্ত্রী রাশিদা পারভিন।তিনি বলেন, আমার মাতা মনজুয়ারা বেগম সাবেক বটিয়াঘাটা থানা বর্তমান লবনচরা থানাধীন আলুতলা মৌজার সার্ভে মাপের ৪ কাঠা জমি ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর হেবার ঘোষনা দলিল নং-৭৪৬৪/১৯ মোতাবেক রেজিস্ট্রি করে দেন। আমি এই জমিতে সেমি পাঁকা টিন সেড ঘর তৈরী করে বসবাস করছিলাম। সরকারী চাকুরী সূত্রে অধিকাংশ সময় আমাকে পাইকগাছা গড়ইখালী এলাকায় অবস্থান করায় আমার মেয়ে ফারহানা ইসলামএই বাড়িতে স্থায়ী ভাবে বসবাস করেন।সম্মেলনে তিনি বলেন, আমার প্রতিবেশী আব্দুস সালাম এর বিরুদ্ধে জামিজমা নিয়ে বিরোধের কারনে জামাল হোসেন ও ডাঃ রমজান আলী আদালতে দেওয়ানী মামলা নং- ১৩৪/২০১৭ দায়ের করেন। মামলায় আদালত ২০১৯ সালের ২৮এপ্রিল রায় প্রদান করেন এবং ৫মে জামাল হোসেন, ডাঃ রমজান আলীর পক্ষে ডিক্রী প্রদান করে জমি উচ্ছেদ জারি করেন। উচ্ছেদ পরোয়ানার প্রেক্ষিতে গ ২৩ অক্টোবর বিকেল ৩টায় আব্দুস সালামের বাড়ী আব্দুস সালামকে উচ্ছেদ করার পর অসৎ উদ্দেশ্যে বেআইনি জনতাবদ্ধা হাতে লোহার রড, শাবল, কোদাল, দা, লাঠি অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার বসত বাড়ীতে প্রবেশ করে বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে অনুমান বিশ লাখ টাকার ক্ষতি করে। আমার মেয়ে ফারহানা ইসলাম ও ভাই মোজাফারুল আমিন বাধা দিতে গেলে তারা মারমুখি আচরন করে এবং জীবন নাশের হুমকি দেয়। আমার ঘরে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্রসহ দশ লক্ষ টাকার মালামাল নিয়া যায়। তারা ২৩ অক্টোবর বিকেল ৩টা হতে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত পর্যন্ত তান্ডব চালায়। এসময় উপস্থিত আদালতের প্রসেস সার্ভার গন ও পুলিশ নিরব ভূমিকা পালন করেন। তিনি ন্যায় বিচার দাবি করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক বাংলাদেশ কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্টস্ সমিতির (বিসিডিএস) খুলনা শাখার আওতাধীন সোনাডাঙ্গা থানার ১৭ সদস্যের দ্বিবার্ষিক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে সভাপতি পদে শেখ রমিজুল ইসলাম ও সেক্রেটারি পদে শেখ মো. আবিদুজ্জামানকে মনোনিত করা হয়। সংগঠনের খুলনা শাখার সভাপতি এএসএম মনিরুজ্জামান খান ও সিনিয়র সহ সভাপতি তাপস কুমার শিব স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটি অনুমোদন করেন। একই সাথে খালিশপুর, দৌলতপুর, খানজাহান আলী, ফুলতলা, ডুমুরিয়া উত্তর, ডুমুরিয়া দক্ষিণ, পাইকগাছা ও কয়রা থানা কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। নবগঠিত থানা ও উপজেলা কমিটির মেয়াদ ১লা নভেম্বর ২০২৪ থেকে ৩১ অক্টোবর ২০২৬ পর্যন্ত। ১লা নভেম্বর থেকে কমিটির কার্যক্রম শুরু হবে।
খুলনার শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালসহ ১৪ হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের নাম পরিবর্তন করেছে সরকার। রোববার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ প্রশাসন-১ শাখার সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।নাম পরিবর্তন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে-শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের নতুন নাম হবে খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতাল, ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটকে গোপালগঞ্জ চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, টাঙ্গাইলের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি, শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালকে ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল নামকরণ করা হয়েছে।এছাড়া গোপালগঞ্জের শেখ লুৎফর রহমান ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালের নতুন নাম গোপালগঞ্জ ডেন্টাল কলেজ হাসপাতাল, গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শেখ সায়েরা খাতুন ট্রমা সেন্টারকে গোপালগঞ্জ ট্রমা সেন্টার, সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল, জামালপুরের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজকে জামালপুর মেডিকেল কলেজ নামকরণ করা হয়েছে।
ডুমুরিয়ায় বিদ্যুৎ বিল সংক্রান্ত জটিলতায় সংযোগ পাইনি সেচযন্ত্রে। ফলে ঘাটে এসে গড়াগড়ি খাচ্ছে ১০টি সেচযন্ত্র। তিন দপ্তরের গড়িমসিতে ইতিমধ্যে পার হয়ে গেলো দেড় মাস। এতে হুমকীতে পড়তে যাচ্ছে ১৪টি বিলের প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমির বোরো আবাদ। এদিকে সেচযন্ত্র স্থাপনসহ চালুর দাবীতে তিন দিনের আল্টিমেটাম বেঁধে দিয়েছে বিলের ভুক্তভোগী কৃষকরা। নইলে আন্দোলনে নামার হুমকীও দিয়েছেন তারা।জানা যায়, আকাশ বন্যায় প্রায় দেড় মাস হাবুডুবু খাচ্ছে ডুমুরিয়াসহ বিলডাকাতিয়ার কয়েক লাখ মানুষ। ভেসে গেছে হাজার হাজার মাছের ঘের। বৃহত্তর এই অঞ্চলে ৫০ হাজার হেক্টরের বেশি কৃষি ভুমি রয়েছে। মাছ ও সবজির ৫থশ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। এ জমিতে ইতিপূর্বে ব্যাপকভাবে বোরো আবাদ চাষাবাদ হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি পানি নিষ্কাশনে সু-ব্যবস্থা না থাকায় হুমকীতে পড়েছে চলতি বোরো আবাদ। এদিকে বোরো আবাদ চাষাযোগ্য করতে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) কতর্ৃপক্ষ ১০টি সেচযন্ত্র বরাদ্দ দিয়েছে গেল দেড় মাস আগে। ডুমুরিয়া সদরে গোলনা ফায়ার সার্ভিসের সামনে ২টি, চহেড়া স্লুইজ গেটে ৫টি, ষষ্ঠিতলা স্লুইজ গেটে ১টি, নরনিয়া স্লুইজ গেটে ১টি ও দহকুলা গেটে ১টি সেচপাম্প স্থাপন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কিন্তু বিদ্যুৎ বিল সংক্রান্ত জটিলতায় আজো পাম্পগুলো চালু হয়নি। সময়মতো পাম্প চালু না হলে চলতি বোরো মৌসুমে গোলনা, খলসী, কোদালকাটা, উখড়া, মেছাঘোনা, মির্জাপুর, বিলসিংগা, জোয়ারের বিল, নরনিয়া, বাদুড়িয়া, ঘোষড়া, মাগুরাঘোনা ও দহকুলা বিলে বোরো চাষাবাদ হুমকীতে পড়বে। এদিকে শোলমারী ১০ ভেন্ট রেগুলেটর দিয়ে রংপুর, বিলডাকাতিয়া, গুটুদিয়া, রঘুনাপুর ইউনিয়নের পানি নামছে। তাছাড়া বিকল্প পথে ময়ুর নদী দিয়েও পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা চালাচ্ছে উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড।এদিকে বিদ্যুতের রেট নিয়ে দ্বিধাদন্ধে পড়েছে কৃষকরা। সেচ রেট প্রতি ইউনিট ৫ টাকা ২৫ পয়সা এবং পানি নিষ্কাশন রেট ৯ টাকা ৭৫ পয়সা। তবে বিএডিসি, কৃষি ও পল্লি বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের গড়িমসিতে বিলম্ব হচ্ছে সেচযন্ত্র চালু হওয়া। এমনটাই মনে করছেন কৃষকরা। তবে আগামী তিন দিনের মধ্যে পাম্পস্থাপনসহ চালু না হলে আন্দোলনে নামার হুমকী দিয়েছেন বিলের কৃষক সমাজ।সিংগা বিলের কৃষক জামির হোসেন জানান , আমরা দুথমাস ধরে বিভিন্ন দপ্তরে ধর্ণা দিচ্ছি। কারও মন গলছে না। বিএডিসি এবং পল্লী বিদ্যূৎ রেট নিয়ে যে যার অবস্থানে রয়েছে। এখন নিরুপায় হয়ে আমরা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হচ্ছি। খর্ণিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ দিদারুল হোসেন দিদার জানান, আমাদের বিল সিংগার পানি নিষ্কাশনে ৫টি সেচপাম্প বরাদ্দ দিয়েছে দেড়মাস হয়ে গেছে। কিন্তু বিদ্যুৎ বিলের রেট সংক্রান্ত জটিলতা এবং সংযোগ না পাওয়ায় পাম্পগুলো এখনো চালু করতে পারেনি।সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জিএম আমান উল্লাহ বলেন, সেচ রেটে অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া আছে। কিন্তু আমাদের কেন জটিলতা হচ্ছে বুঝলাম না। তবে সময় মতো পানি নিষ্কাশন করতে না পারলে এ বিলে বোরো আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।এ বিষয় খুলনা পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির ডুমুরিয়া জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী কাজী রমজান আলী জানান, বিদ্যুতের রেট সংক্রান্ত একটা বিষয় নিয়ে জটিলতা ছিলো। বিএডিসি এবং কৃষি অধিদপ্তরের সাথে আমাদের সমন্বয় হয়ে গেছে এবং ডিমান্ডনোটও পেয়েছি। নিষ্কাশন রেট অর্থাৎ ৯ টাকা ২৫ পয়সা ইউনিট প্রতি বিল করা হবে। আগামীকাল (মঙ্গলবার) এনিয়ে বিএডিসি ও কৃষি অধিদপ্তরের সাথে আমাদের চুক্তিপত্র হওয়ার কথা রয়েছে। হলেই দ্রুত সংযোগ দেয়া হবে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন বলেন, আগে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে আজই(সোমবার) পল্লী বিদ্যুৎকে অনুরোধ করা হয়েছে। আশা করা যায় দুথএক দিনের মধ্যে সেচ পাম্প চালু করা সম্ভব হবে।
খুলনা জেলার সাংবাদিকদের জন্য তিন দিনব্যাপী সংবাদ প্রতিবেদন ও বয়ান বিষয়ক প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। আজ (বুধবার) সকালে খুলনা সার্কিট হাউজের সম্মেলনকক্ষে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) আয়োজিত এ প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক বলেন, প্রশিক্ষণের কোন বয়স নেই। মানুষের প্রতিটি ক্ষেত্রেই শিক্ষার অনেক কিছু রয়েছে। প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে সাংবাদিকদের পেশাগত মান উন্নয়ন করা খুবই জরুরি। তিনি আরও বলেন, যেকোন প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নেই। তিনি খুলনার সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের জন্য পিআইবিকে ধন্যবাদ জানান।খুলনা মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আবুল হাসান হিমালয়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি মো. আনিসুজ্জামান। বক্তৃতা করেন পিআইবির প্রশিক্ষক মোহাম্মদ শাহ আলম ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির গণমাধ্যম যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডক্টর জামিল খান।খুলনা জেলার ৩৫ সাংবাদিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করছেন।
ডুমুরিয়ার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল খোকন পাশার তত্ত্বাবধানে সাভারে গণহত্যাখুলনা প্রতিনিধি পতিত সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ হেলালের নেতৃত্বে এবং শেখ হেলালের ঘনিষ্ঠ বন্ধু খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও ডুমুরিয়ার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল খোকন পাশার তত্ত্বাবধানে গত ৫ আগস্ট ঢাকার সাভার ও আশুলিয়া এলাকায় গণহত্যা সংঘটিত হয়। এ হত্যাকান্ডের শিকার খুলনা তেরখাদার পানতিতা গ্রামের মোঃ জাফর শেখের ছেলে মোঃ হামিদ শেখ। নিহতের মা রাশিদা বেগম বাদী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলালসহ ৪৪ জনের নামে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে মামলার আবেদন করা হয়েছে। এজাহার সুত্রে জানা যায়, শেখ হাসিনা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সরাসরি নির্দেশে সাভার ও আশুলিয়া এলাকার প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ হেলালের নেতৃত্বে এবং শেখ হেলালের ঘনিষ্ঠ বন্ধু খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মোস্তফা কামাল খোকন পাশার তত্ত্বাবধানে খুলনা ও বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাছাইকৃত সন্ত্রাসীদের নিয়ে আন্দোলন দমাতে নগদ অর্থের যোগান, অবৈধ অস্ত্র সরবরাহ এবং নিজেরা উপস্থিত থেকে গুলি বর্ষণ, দেশীয় অস্ত্র, হকিস্টিক এবং রাম দা নিয়ে হামিদসহ আন্দোলকারীদের ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং গনহত্যা চালায়। এতে করে হামিদসহ অসংখ্য আন্দোলনকারী নিহত ও আহত হয়। থানায় দায়েরকৃত মামালার বিবরণীতে জানা যায়, গত জুলাই-আগস্টে কোটা সংস্কারের উদ্দেশ্যে বৈষম্যবিরোধী যৌক্তিক ছাত্র আন্দোলনে সারা দেশে উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয়। ১৬ই জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানোর প্রতিবাদে মোঃ হামিদ শেখ ১৭ই জুলাই থেকে রাজপথে নেমে সক্রিয়ভাবে আন্দোলন শুরু করে। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী সরকার পতনের পূর্বক্ষণে আশুলিয়া থানার সামনের রাস্তায় ছাত্র-জনতা মিছিল করে। ছাত্র জনতার অধিকার আদায়ের সেই যৌক্তিক মিছিল দমন করার জন্য আসামীদের পরিকল্পনা এবং সরাসরি নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে উল্লেখিত আসামীসহ আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, শ্রমিকলীগের কয়েকহাজার কর্মী সরাসরি গুলি বর্ষণ করে। আসামীদের ছোড়া গুলিতে জাফর শেখের মাথা ও বুক গুলিবিদ্ধ হয় এবং তার গুলিবিদ্ধ দেহকে আসামীরা ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে কিন্তু আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাহসী পদক্ষেপে ছিনিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়। আন্দোলনকারীরা হামিদকে সাভার গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মামলার আসামীরা হলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শেখ হাসিনার ভাই ও সাবেক সংসদ সদস্য, বাগেরহাট-১) শেখ হেলাল, সাবেক সংসদ সদস্য ডাক্তার এনামুর রহমান, আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত পাপ্পু, সাবেক সংসদ সদস্য (ঢাকা-১৯ সাভার) তালুকদার মোঃ তৌহিদ মুরাদ, সাভারপৌর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি,আব্দুল হালিম, সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান, সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল আলম রাজীব, সাভার উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মিসেস হাসিনা দৌলা, ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম, ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনির, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাংসদ ঢাকা ২০ (সাভার) বেনজীর আহমেদ, ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যানমাহবুবুর রহমান।খুলনার আসামীরা হলেন, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দীন জুয়েল ,বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক পরিচালক শেখ সোহেল, জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল পাশা খোকন, মহানগর আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সদর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাড. সাইফুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা বেগ লিয়াকত আলী, মাকসূদ আলম খাজা, খানহাজান আলী থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবিদ হোসেন, শেখ সোহেলের ক্যাশিয়ার মোঃ মফিজুর রহমান ,সাবেক সংসদ সদস্য বাগেরহাট-২ শেখ সারহান নাছের তন্ময়, খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সদস্য সাইফুল ইসলাম সাইফ, খুলনা-৩ এর সাবেক সংসদ সদস্য মন্নুজান সুফিয়ানের ভাই ও এপিএস মোঃ শাহাবুদ্দিন আহমেদ, মুন্সি আব্দুর রশিদ, সেলিম রেজা, রিপন হাওলাদার, রনবীর বড়াই সজল, দেবদুলাল বড়াই বাপ্পি, মেহেদী হাসান রাসেল, খানজাহানআলী থানার শেখ জালাল, শেখ ফরিদ, শেখ সজীব প্রমূখ।
বটিয়াঘাটা (খুলনা) প্রতিনিধি : বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালী ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত ইউপি সদস্য রত্না অধিকারীর বিরুদ্ধে আবারো দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতি অনিয়ম যেন তার কাছে কিছুই না। জেলা পরিষদের টাকা আত্মসাৎ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের টাকা নিয়ে ৯/৬ অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। রাস্তার অধিকাংশ কাজে রয়েছে রত্না অধিকারীর বিরুদ্ধে নানাবিধ অনিয়ম।৫ তারিখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও পতন হয়নি হারুন-সুজিতের মেয়ে বনে যাওয়া রত্না অধিকারীর। এখন সে বিএনপি পন্থী নেতৃবৃন্দদের ঘাড়ে ভর করে চালিয়ে যাচ্ছে তার বিভিন্ন অপকর্ম। বর্তমান অবস্থার মধ্যেও সে তার কাজ নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে। অনিয়ম দুর্নীতির মধ্যে সুরখালি ইউনিয়নের ভগবতীপুর গ্রামের ২ লক্ষাধিক টাকার ইটের সলিং রিপিয়ারিং এর কাজ করছেন তিনি বলে জানা যায়। আর তার এই কাজের সহযোগিতায় রয়েছেন বিএনপিপন্থী এক নেতা।সুরখালী ইউনিয়ন পরিষদের ১% টাকার রাস্তার কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে রত্না অধিকারীর বিরুদ্ধে। পুরানো আধুলী দিয়ে রাস্তা তৈরি, সলিং এর বালির বেড সঠিকভাবে না করা, নিম্নমানের নতুন ইট দিয়ে রাস্তা করা সহ একাধিক অভিযোগ এই আওয়ামী লীগ নেত্রী ইউপি সদস্যার বিরুদ্ধে। রাস্তা তৈরীর তিনদিন যেতে না যেতেই বিভিন্ন জায়গা থেকে ডেবে গিয়েছে রাস্তাটি। জানিয়ে এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয়ে রত্না অধিকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাজটি আমার কিন্তু কাজটি দেখাশোনা করেছেন পরিষদের ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ। ওখানে কোন অনিয়ম দুর্নীতি হলে দায়ভার তার। ইউপি সদস্য আবুল কালাম হাওলাদার বলেন, কাজটিতে কিছু অনিয়ম হয়েছে। রাস্তাটি বেশি ক্ষতি করেছেন, ইউপি সদস্য নাজমুল সিদ্দিকী সাকিব। তার ইটের গাড়ি উক্ত রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করায়, রাস্তাটির মান অত্যন্ত খারাপ হয়ে গেছে। সুরখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন লিটু বলেন, রাস্তার অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ শুনেছি। আমি পরিষদের সচিবকে বলেছি, রাস্তা নতুন করে সংস্কার করার জন্য, অন্যথায় কাজের বিল দেওয়া হবে না। উপজেলা প্রকৌশলী গৌতম কুমার মন্ডল বলেন, উক্ত কাজের সাইডে আমার সরকারি ইঞ্জিনিয়ার গিয়েছিলেন। তারা কি রিপোর্ট দিয়েছে সেটা এখনো আমি বলতে পারিনা। কাজে কোন অনিয়ম দুর্নীতি হলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনে আরা তান্নি বলেন, কাজে কোন অনিয়ম দুর্নীতি হলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এ নিয়ে এলাকায় স্থানীয় জনগণের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে যে, প্রজেক্টের বাজেটের বেশিরভাগ টাকা অপব্যবহার করা হচ্ছে। সঠিকভাবে কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছেনা। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষর নিকট তদন্ত পূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় জনগণ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির দাবি জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চান তারা।
বাংবাংলাদেশ যুব উন্নয়ন ফোরাম খুলনা জেলার আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় কার্যকরী সভাপতি সাব্বির তালুকদার ও মোঃ রাজিবুল হক রনি স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।ঘোষিত দাপ্তরিক কমিটিতে আহবায়ক হিসেবে স্থান পেয়েছেন মহরম গাজী মাহিম ও সদস্য সচিব হিসেবে পেয়েছেন নাজমুল হোসেন ইমরান এবং ২৫ সংখ্যা বিশিষ্ট এই নতুন কমিটিতে যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে আছেন সুলতান সালাউদ্দিন, মোঃ ছাব্বির হাওলাদার আমিনুল ইসলাম ও যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন সোহানুর রহমান, রাজিব হোসেন, খায়রুল ইসলাম সুমন ও কার্যকরী সদস্য হিসেবে রয়েছেন মোঃ রাকিব হাসান, মোঃ আজিজুল হক, খায়রুল ইসলাম, ইয়াসিন আরাফাত, জান্নাতি ইসলাম, মোঃ সুমন ইসলাম রনি, মোঃ শাহরিয়ার হৃদয়, শাহ পরান শেখ, এম এম জাহিদ, মোঃ রেজওয়ান মোড়ল, জাহিদ খাঁন, ঐশি হায়াত, আল আমিন মৃধা, আফসানা আক্তার মিম, মোঃ বায়জিদ বোস্তামি, মাহফুজুর রহমান, মোঃ আরাফাত শিকদার, ফারহান রেজা ও আবু রায়হান।কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ধন্যবাদ জানিয়ে নব-নির্বাচিত আহবায়ক বলেন, আমাদের লক্ষ্য উদ্দ্যেশ্য বেকার যুবক ও যুবতী নারীদের আধুনিক প্রযুক্তিতে হাতে কলমে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মমূখী সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। যুবদের স্ব-কর্মসংস্থান সৃজনে উপযোগী করে গড়ে তোলা। বিশ্বায়নের সাথে সুসংগঠিত রেখে যুবদের দেশ-বিদেশের শ্রম বাজারের উপযোগী দক্ষ মানবসম্পদে পরিনত করা। যুবকদের মাঝে জ্ঞান, দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তন সাধন করাই আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।নব নির্বাচিত সদস্য সচিব নাজমুল হোসেন ইমরান বলেন, তারুণ্য অর্থ হচ্ছে বাঁধা না মানা। তীব্র স্রোতে উজান সাঁতারে পাড়ি দেয়াই তারুণ্যের ধর্ম। চেতানাদৃপ্ত তরুণরা যখন জেগে ওঠে তখন সকল প্রতিবন্ধকতার সকল চড়াই- উৎরাই মাড়িয়ে তারা বিজয় ছিনিয়ে আনে। ইনশাআল্লাহ আমাদের এ কার্যক্রমের ধারা অব্যাহত থাকবে।
আদর্শ পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে শিশুকাল থেকেই নিজ নিজ সন্তানদের নৈতিক মূল্যবোধের শিক্ষা দেওয়ার বিকল্প নেই। নবিজী বলেছেন, ‘তোমরা নিজেদের সন্তানদের স্নেহ কর এবং তাদের আদর্শ শিক্ষায় গড়ে তোলো।আজ যারা শিশু আগামী দিনে তারাই যুবক। সুন্দর সমাজ ও রাষ্ট্রগঠনে তারাই দেশ ও জাতিকে নেতৃত্ব দেবে। তারাই হবে সুশোভিত ও গৌরবময় ভবিষ্যতের পথনির্দেশক। প্রত্যেক শিশুর মাঝেই লুকিয়ে আছে ভবিষ্যতের সুন্দর পৃথিবী। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি দুনিয়ার জীবনের শোভা।’ (সুরা কাহফ : আয়াত ৪৬)*নবী স. বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের মহৎ করে গড়ে তোলো এবং তাদের উত্তম আদব তথা শিষ্টাচার শিক্ষা দাও*নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন, ‘ ‘সন্তানদের আদব তথা শিষ্টাচার শিক্ষা দেওয়া সম্পদ দান করা অপেক্ষা উত্তম।*শিশুদের আদর্শ শিক্ষার ব্যাপারে ইসলামই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বারোপ করে। কোরআনুল কারিমে মহান আল্লাহ শিক্ষার গুরুত্ব দিয়ে মহাগ্রন্থ আল-কোরআন নাজিল করেন। যার প্রথম ঘোষণাই ছিল- ইকরা; পড়ুন। শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতির উন্নতি কল্পনা করা যায়।*ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র তথা দুনিয়া ও পরকালের সফলতায় পৌঁছার অন্যতম উপায় হচ্ছে আদর্শ জাতি গঠন ও উত্তম শিক্ষাগ্রহণ। ইসলাম শিশুকাল থেকেই এ শিক্ষা গ্রহণেরই দিকনির্দেশনা দেয়। *জাগতিক ও পারকালীন জীবনের সফলতার জন্য শিক্ষা একান্ত প্রয়োজন। কোরআন-সুন্নাহভিত্তিক সুশিক্ষায়িই হতে পারে মুক্তির একমাত্র উপায়। শিশুরা ছোট বয়সে কোরআন-সুন্নাহর উন্নত শিক্ষা পেলে স্বার্থক হবে দুনিয়া ও পরকালীন জীবন।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সবাইকে নিজ নিজ সন্তানদের শিশু বয়স থেকে ইসলামি শিক্ষায় গড়ে তোলার তাওফিক দান করুন।নগরীর সোনাডাঙ্গাস্ত আন্তর্জাতিক মানের ক্যাডেট সিস্টেম এ পরিচালিত আরবি ও জেনারেল শিক্ষার সমন্বয়ে রিয়াদুল জান্নাহ হিফযৃ মাদ্রাসায় আজ রাত নয়টায় ৩ জন ছাত্র কে নাযেরা এবং ৪ জন ছাত্র কে হিফযৃ সবক প্রদান করা হয়।মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা তত্ত্বাবধায়ক মুহাদ্দিস আলহাজ্ব মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে সবক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন দারুল কুরআন সিদ্দিকীয়া কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, বিশেষ আলোচক ছিলেন মাদরাসার উপদেষ্টা মানবাধিকার সংগঠক নাগরিক নেতা এস এম দেলোয়ার হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ মাওলানা সাব্বির আহমেদ, হাফেজ মুহাম্মদ জাকির হোসেন, হাফেজ মুহাম্মদ রেজাউল ইসলাম, নাশিদ শিক্ষক হাফেজ ক্বারী আয়াতউল্লাহ খান, হাফেজ ক্বারী হাসানুজ্জামান সিদ্দিকী, হাফেজ মুহাম্মদ জোবায়ের আহমেদ, শেখ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, গাজী মাহামুদুল হাসান,হাফেজ মুহাম্মদ আব্দুস সোবহান, মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল হালিম, মোঃ রফিকুল ইসলাম সহ অভিভাবক ও অভিভাবিকা বৃন্দ।হিফযৃ সবক প্রদান করা হয়েছে ৪ জন১: মোঃ মুস্তাকিম বিল্লাহ২: আব্দুল্লাহ খান সাজিদ৩: মোঃ রাকিব হাসান সাহাদ৪: মোঃ হাসানুল রহমান মুমিননাযেরা সবক দেওয়া হয়েছে ৩ জন১: মোঃ আমিনুল এহসান২: আবদুল্লাহ আল নোমান৩: আবদুল্লাহ খান রাফিআলহামদুলিল্লাহ এই বছর ২৫ জন ছাত্র কে নাযেরা সবক এবং ১৬ জন ছাত্র কে হিফযৃ সবক প্রদান করা হয়েছে।
বটিয়াঘাটা (খুলনা) প্রতিনিধি :বটিয়াঘাটা প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সকাল ১১ টায় বটিয়াঘাটা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শেখ মনিরুজ্জামান মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায়সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে মোঃ আরিফুজ্জামান দুলুকে আহবায়ক ও মহিদুল ইসলাম শাহীনকে সদস্য সচিব ,যুগ্ম আহবায়ক যথাক্রমে শেখ মনিরুজ্জামান, হিরামন মন্ডল সাগর, কাজি আতিক, তুরান হোসেন রানা, বিএম মুরাদ হোসেন হানিফ, সদস্য যথাক্রমে মুক্তিযোদ্ধা কামরুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন, আক্তারুল ইসলাম, বজলুর রহমান, অজিত রায়, শাহিন বিশ্বাস সহ ১৩ সদস্য বিশিষ্ট এক আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এ সময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বটিয়াঘাটা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও প্রেসক্লাব উপদেষ্টা এজাজুর রহমান শামীম। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, বটিয়াঘাটা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও প্রেসক্লাব উপদেষ্টা খন্দকার ফারুক হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি মোঃ কামরুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক মোঃ সাইফুল ইসলাম, সাবেক প্রচার সম্পাদক আব্দুস সালাম, সদর ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক পলাশ মহালদার, সহ সভাপতি আলম ভুঁইয়া, মানবধিকার সংরক্ষণ কমিশনের সাধারণ সম্পাদক সরদার হাফিজুর রহমান প্রমুখ। ##
ট্রাস্টি বোর্ডের ৬৯তম সভা আহ্বান করেন চেয়ারম্যান। সেখানে খুলনায় অবস্থানরত উদ্যোক্তা ট্রাস্টিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। বরং বিপুল সংখ্যক বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে বিশ^ট্রাস্টি বোর্ডের ৬৯তম সভা আহ্বান করেন চেয়ারম্যান। সেখানে খুলনায় অবস্থানরত উদ্যোক্তা ট্রাস্টিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। বরং বিপুল সংখ্যক বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের ভেতরে ট্রাস্টি বোর্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে নতুন সদস্য হিসেবে মিজানুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ৬৮তম বোর্ড সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন দিয়ে মিজানুর রহমানের সদস্য পদ নিশ্চিত করা হয়।নর্থ ওয়েস্টার্ন টাস্ট্রি বোর্ডের উদ্যোক্তা সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ বলেন, নর্থ ওয়েস্টার্ন ট্রাস্ট, কোম্পানি আইন দ্বারা তৈরি একটি সত্ত্বা। তার একটি প্রতিষ্ঠান নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ঘটনায় ট্রাস্ট্রিদের বাদ দেওয়ার ক্ষমতা চেয়ারম্যানসহ কারও নেই। কিন্তু রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সুযোগে সেই কাজই করা হচ্ছে।তিনি বলেন, ৬৮তম বোর্ড সভায় মিজানুর রহমানকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি। অথচ কার্যবিবরণীতে তাকে সদস্য হিসেবে নেওয়ার বিষয়টি সংযোজন করা হয়েছে। ১০ ডিসেম্বরের বোর্ড সভায় সেটি অনুমোদন দেওয়া হয়।ট্রাস্টি বোর্ডের আরেক সদস্য তৌহিদুল ইসলাম বলেন, পট পরিবর্তনের পর ভালোভাবে বিশ^বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য আমরা চেয়ারম্যান পরিবর্তন করি। কিন্তু এখন তিনিই সবাইকে বাদ দিয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এর চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা আর কী হতে পারে।তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টি বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সিরাজুল হক চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক কারণে অনেকে বৈঠকে আসতে পারছেন না। ছাত্ররা অনেককে আসতে দিতে চাইছে না। এসব নিয়ে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে নিয়মতান্ত্রিকভাবেই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় দখল চেষ্টার অভিযোগ সঠিক নয়। অনুমোদন দিয়ে মিজানুর রহমানের সদস্য পদ নিশ্চিত করা হয়।নর্থ ওয়েস্টার্ন টাস্ট্রি বোর্ডের উদ্যোক্তা সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ বলেন, নর্থ ওয়েস্টার্ন ট্রাস্ট, কোম্পানি আইন দ্বারা তৈরি একটি সত্ত্বা। তার একটি প্রতিষ্ঠান নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ঘটনায় ট্রাস্ট্রিদের বাদ দেওয়ার ক্ষমতা চেয়ারম্যানসহ কারও নেই। কিন্তু রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সুযোগে সেই কাজই করা হচ্ছে।তিনি বলেন, ৬৮তম বোর্ড সভায় মিজানুর রহমানকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি। অথচ কার্যবিবরণীতে তাকে সদস্য হিসেবে নেওয়ার বিষয়টি সংযোজন করা হয়েছে। ১০ ডিসেম্বরের বোর্ড সভায় সেটি অনুমোদন দেওয়া হয়।ট্রাস্টি বোর্ডের আরেক সদস্য তৌহিদুল ইসলাম বলেন, পট পরিবর্তনের পর ভালোভাবে বিশ^বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য আমরা চেয়ারম্যান পরিবর্তন করি। কিন্তু এখন তিনিই সবাইকে বাদ দিয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এর চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা আর কী হতে পারে।তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টি বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সিরাজুল হক চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক কারণে অনেকে বৈঠকে আসতে পারছেন না। ছাত্ররা অনেককে আসতে দিতে চাইছে না। এসব নিয়ে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে নিয়মতান্ত্রিকভাবেই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় দখল চেষ্টার অভিযোগ সঠিক নয়।
ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে খুলনায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে খুলনার একটি অভিজাত হোটেলে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘ভ্যাট দিব জনে জনে, অংশ নিব উন্নয়নে’। সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা কাস্টমস, এক্সাইজও ভ্যাট কমিশনারেট এর কমিশনার সৈয়দ আতিকুর রহমান।সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা কর অঞ্চলের কর কমিশনার শ্রাবনী চাকমা। বিশেষ অতিথি ছিলেন মোংলা কাস্টমস হাউসের কমিশনার একে এম মাহবুবুর রহমান।সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট (আপিল) কমিশনারেট, খুলনার কমিশনার এস এম সোহেল রানা।সভায় প্রধান অতিথি খুলনা কর অঞ্চলের কর কমিশনার শ্রাবনী চাকমা বলেন, ভ্যাট সম্পর্কে জনসাধারণের সচেতনতা বাড়ানো ও ভ্যাট প্রদানের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। ১৯৯১ সালের ১ জুলাই থেকে বাংলাদেশে ভ্যাট ব্যবস্থার চালু হয়। সমৃদ্ধ দেশ গড়ার ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণের গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। দেশ ও জাতির উন্নয়নে ভ্যাট ও কর দিতে হবে। আমাদের দেশের মানুষ যদি সঠিকভাবে ভ্যাট প্রদান করে তা হলে ভবিষ্যদে বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে। সব ধরনের কেনাকাটায় ভোক্তাদের ভ্যাট চালান গ্রহণ করতে হবে। আগামী প্রজন্মের জন্য সুন্দর ভবিষ্যত রেখে যেতে হবে। সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে।সবাই সহযোগিতা করলে দেশ এগিয়ে যাবে।মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট খুলনার অতিরিক্তি কমিশনার মো: বশীর আহমেদ। এছাড়া বিভিন্ন পর্যায়ে সরকারী ও বেসরকারি কর্মকর্তা কর্মকর্তাবৃন্দ, খুলনা অঞ্চলের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।সভায় খুলনা চেম্বার অব কমার্স এ- ইন্ডাস্ট্রিস এর পরিচালক খান সাইফুল ইসলাম বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে ব্যবসায়ী সমাজ, ভ্যাট, ট্যাক্স শুল্ক, আয়কর ও অন্যান্য কর সহ সব ধরনের রাজস্ব প্রদানে সর্বদা প্রস্তুত। খুলনা অঞ্চলের ব্যবসায়ীরাও সব ধরনের ভ্যাট, ট্যাক্স পরিশোধের সব সময়ই আন্তরিক। ভ্যাটের পরিমাণ বৃদ্ধি না করে ভ্যাটের পরিধি বৃদ্ধি করা হলে সরকার রাজস্ব আহরণে অধিক লাভবান হবে।সভায় সভাপতির বক্তব্যে খুলনা কাস্টমস, এক্সাইজও ভ্যাট কমিশনারেট এর কমিশনার সৈয়দ আতিকুর রহমান বলেন, দেশ আমার, এই দেশের উন্নয়নের জন্য ভ্যাট প্রদান করতে হবে। সময় এসেছে পরিবর্তনের, এই পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন দেখেছি। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ তৈরি করতে হবে।তিনি বলেন, পণ্যের মূল্য পরিশোধের মধ্যে ভ্যাট অন্তর্ভূক্ত আছে। ক্রেতা হিসেবে ভ্যাট চালান নিবেন। চলমান ভ্যাট সপ্তাহে ২৪টি সেবা প্রদান করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক। খুলনা জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু ও সদস্য সচিব আবু হোসেন বাবুসহ সকল নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট নেতৃবৃন্দ।বিবৃতি দাতারা হলেন খুলনা জেলা শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট এর সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মনিরুল হক বাবুল, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট খুলনা জেলার সেক্রেটারি অধ্যক্ষ বায়েজিদ হোসেন, বাকশিস সভাপতি অধ্যাপক শফিকুল আলম মুন্সি, বাকশিস সেক্রেটারি অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, বাশিস সভাপতি মাস্টার দাউদ অর রশিদ শাওন, বাশিস সেক্রেটারি মাস্টার আবুল কালাম, বাকশিস নেতা অধ্যাপক মফিজুল ইসলাম, বাকশিস নেতা মঈনুদ্দিন, অধ্যাপক আব্দুল হান্নান, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, মাস্টার আব্দুল হালিম, মাস্টার রবিউল ইসলাম, মাস্টার নাসির উদ্দিন, মাস্টার শহিদুল ইসলাম, মাস্টার আব্দুর রহিম প্রমুখ।
ADDVERTISE HERE 336 x 280
ADDVERTISE HERE 728 x 90
ADDVERTISE HERE 728 x 90
© 2024 All rights reserved by the owner.