দারগারভিটায় আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে জমি দখলের অসৎ উদ্দেশ্যে উচ্ছেদ অভিযান, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা প্রেস ক্লাবের হুমায়ূন কবীর বালু মিলনায়তনে এই অভিযোগ করা হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন লবণচরার দরগাপাড়া পূর্ব মোহাম্মদনগর এলাকার মো. কামরুল ইসলামের স্ত্রী রাশিদা পারভিন।
তিনি বলেন, আমার মাতা মনজুয়ারা বেগম সাবেক বটিয়াঘাটা থানা বর্তমান লবনচরা থানাধীন আলুতলা মৌজার সার্ভে মাপের ৪ কাঠা জমি ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর হেবার ঘোষনা দলিল নং-৭৪৬৪/১৯ মোতাবেক রেজিস্ট্রি করে দেন। আমি এই জমিতে সেমি পাঁকা টিন সেড ঘর তৈরী করে বসবাস করছিলাম। সরকারী চাকুরী সূত্রে অধিকাংশ সময় আমাকে পাইকগাছা গড়ইখালী এলাকায় অবস্থান করায় আমার মেয়ে ফারহানা ইসলাম
এই বাড়িতে স্থায়ী ভাবে বসবাস করেন।
সম্মেলনে তিনি বলেন, আমার প্রতিবেশী আব্দুস সালাম এর বিরুদ্ধে জামিজমা নিয়ে বিরোধের কারনে জামাল হোসেন ও ডাঃ রমজান আলী আদালতে দেওয়ানী মামলা নং- ১৩৪/২০১৭ দায়ের করেন। মামলায় আদালত ২০১৯ সালের ২৮এপ্রিল রায় প্রদান করেন এবং ৫মে জামাল হোসেন, ডাঃ রমজান আলীর পক্ষে ডিক্রী প্রদান করে জমি উচ্ছেদ জারি করেন। উচ্ছেদ পরোয়ানার প্রেক্ষিতে গ ২৩ অক্টোবর বিকেল ৩টায় আব্দুস সালামের বাড়ী আব্দুস সালামকে উচ্ছেদ করার পর অসৎ উদ্দেশ্যে বেআইনি জনতাবদ্ধা হাতে লোহার রড, শাবল, কোদাল, দা, লাঠি অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার বসত বাড়ীতে প্রবেশ করে বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে অনুমান বিশ লাখ টাকার ক্ষতি করে। আমার মেয়ে ফারহানা ইসলাম ও ভাই মোজাফারুল আমিন বাধা দিতে গেলে তারা মারমুখি আচরন করে এবং জীবন নাশের হুমকি দেয়। আমার ঘরে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্রসহ দশ লক্ষ টাকার মালামাল নিয়া যায়। তারা ২৩ অক্টোবর বিকেল ৩টা হতে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত পর্যন্ত তান্ডব চালায়। এসময় উপস্থিত আদালতের প্রসেস সার্ভার গন ও পুলিশ নিরব ভূমিকা পালন করেন। তিনি ন্যায় বিচার দাবি করেন।