দিঘলিয়া বঙ্গবন্ধু চত্বরের উদ্বোধন
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি ধরে রাখতে গতকাল দিঘলিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সরকারি সেনহাটী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চত্তরের উদ্বোধন করা হয়। চত্তরের উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার।
দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খান মাছুম বিল্লাহর সভাপতিত্বে ও সরকারি সেনহাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মোঃ ফরহাদ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এন এস আই এর উপ-পরিচালক লতিফা আক্তার মিলা, সারোয়ার খান কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আলতাফ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এম এ রিয়াজ কচি, আজগর আলী, আব্দুর রাজ্জাক, ইদ্রিস আলী হাওলাদার, সাখাওয়াত হোসেন , দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবুল আক্তার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলী রেজা বাচা, প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান, মোঃ হাবিবুর রহমান, মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা নজির আহমেদ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন’র ভাইস চেয়ারম্যান ইলা আহমেদ, অধ্যাপক এস এম ছাখাওয়াত হোসেন, অধ্যাপক ফেরদাউস খান, অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম , ছাত্রলীগ নেতা রিশাদুল ইসলাম প্রমুখ। প্রধান অতিথি তার বক্তব্য বলেন, মানুষকে সম্মান করতে হবে, ভালোবাসতে হবে। মানুষকে ভালোবাসলে দেশকে ভালোবাসা হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন । তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাঁর সুযোগ কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে তিনি আমাদের উপহার দিয়েছেন ডিজিটাল বাংলাদেশ। এখন দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত করে উন্নত দেশের তালিকায় স্থান দিতে প্রধানমন্ত্রী নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর নির্দেশনায় বাংলাদেশ কৃষিতে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করে বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্রে পরিণত করতে আমাদের এক যোগে কাজ করতে হবে। পরে সচিব ওয়াহিদা আক্তার সুগন্ধি এলাকায় কৃষি ক্লাবের উদ্বোধন করেন।
ADDVERTISE HERE 728 x 90 1
উল্লেখ্য ১৯৭৪ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ নজির আহমেদের নেতৃত্বে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের মাধ্যমে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক আব্দুল জাব্বারের নিকট নদী ভাঙন রক্ষার্থে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজ হাতে অর্থ বরাদ্দ দেন। সেই স্মৃতি রক্ষার্থে এখানে বঙ্গবন্ধুর চত্ত্বর নির্মাণ করা হলো।