কেএমপি কমিশনার মো. মোজাম্মেল হকের সঙ্গে কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম সদস্যদের আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে খুলনা থানাধীন রূপসা বাসস্ট্যান্ডে কেএমপি কমিশনারের সঙ্গে খুলনা থানা কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিং ফোরাম সদস্যদের আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেএমপি কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বিপিএম (বার) পিপিএম সেবা।
খুলনা থানা কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিং ফোরাম সদস্যদের পক্ষ থেকে আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা থানা কমিউনিটি ও বিট পুলিশিং ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌস আজম ফরাজী ওরফে চান ফরাজী।
সভায় কেএমপি কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ সবসময় অপরাধ দমন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ এবং নগরবাসীর সেবায় সর্বদা তৎপর। পাশাপাশি অস্ত্রধারী শীর্ষ সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও নাশকতাকারী, মাদক ব্যবসায়ী, ভূমিদস্যু, সাজাপ্রাপ্ত পরোয়ানাভুক্ত আসামিসহ বিভিন্ন মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। পুলিশের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি ও অপরাধ দমনের অন্যতম কৌশল হিসেবে কমিউনিটি পুলিশিং বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। ২০১৩ সালে স্বল্প পরিসরে পুলিশ সদরদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক ডিআইজি আপরেশনের অধীনে পৃথক শাখা হিসেবে কাজ শুরু করেছিল কমিউনিটি পুলিশিং। ২০১৪ সালে একজন সহকারী মহাপরিদর্শক এআইজির তত্ত্বাবধানে পাবলিক সেফটি অ্যান্ড প্রিভেনশন শাখার কার্যক্রম শুরু হয়। এটিই এখন কমিউনিটি পুলিশিং এবং বিট পুলিশিং নামে দেশব্যাপী কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে খুলনা মহানগরী এলাকায় ১০২টি কমিটিতে মোট ১ হাজার ৮০৫ জন কমিউনিটি পুলিশের সদস্য হিসেবে কাজ করছে। তাদের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ওপেন হাউজ ডে’র মাধ্যমে স্থানীয় সমস্যা নিয়ে মতবিনিময় সভা, পুলিশের কাজে সহযোগিতা ও বাল্যবিবাহ রোধ, ইভটিজিং প্রতিরোধ, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস দমন, মাদকের কুফল, নারী নির্যাতন, যৌতুক নিরোধ, মোবাইল ফোনের অপব্যবহার এবং সামাজিক মূল্যবোধ সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ সকল কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে দেশের অবকাঠামোগত থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নতি সাধিত হয়েছে।
মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের প্রত্যয় ব্যক্ত করে পুলিশ কমিশনার বলেন, মাদক বর্তমান সমাজের মারাত্মক ব্যাধি। এই ব্যাধি দূর করতে আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করে যেতে হবে, তা না হলে আমাদের আগামী প্রজন্ম ধ্বংসের মুখে পতিত হবে। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আমাদের উপর যে পবিত্র দায়িত্ব কর্তব্য রয়েছে তা আমাদের সততা, স্বচ্ছতার সঙ্গে পালন করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ( ট্রাফিক এন্ড প্রটোকল, অতিরিক্ত দায়িত্বে ক্রাইম) মোছা. তাসলিমা খাতুন, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এ.জেড.এম তৈমুর রহমান, সহকারী পুলিশ কমিশনার (খুলনা জোন) রুবাইয়াত সানজিদ হোসেনসহ অফিসার ইনচার্জ খুলনা থানা এবং বিট ইনচার্জ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
ADDVERTISE HERE 728 x 90 1